আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ,
আপনারা যেখান থেকেই এই লেখাটি পড়ছেন—বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত বা অন্য কোনো দেশ থেকে—সবাইকে আমার পক্ষ থেকে স্বাগতম। আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আজ আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, যা অনেকের মনে প্রশ্ন জাগিয়ে তুলেছে- আপনি কি ইউরোপে যাবেন, নাকি রাশিয়ায় যাবেন? কোনটি আপনার জন্য সঠিক? অনেকে ইউরোপের জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা করে হতাশ হয়ে পড়েছেন। আবার অনেকে ভাবছেন, দেশে থাকবেন নাকি বাইরে যাবেন। এই লেখাটি আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে এবং সঠিক তথ্য জানতে সাহায্য করবে।
আমি এটি বিস্তারিতভাবে, তথ্যবহুলভাবে এবং সহজবোধ্যভাবে লিখব, যাতে আপনারা সবাই উপকৃত হন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
(১) ইউরোপ নাকি রাশিয়া: একটি প্রাথমিক ধারণা

প্রথমেই একটি বিষয় পরিষ্কার করে নিই। রাশিয়া পুরোপুরি ইউরোপ নয়, আবার পুরোপুরি এশিয়াও নয়। এটি একটি ইউরেশীয় দেশ, যার একটি অংশ ইউরোপে এবং অন্য অংশ এশিয়ায় পড়ে। তবে আমরা বাংলাদেশীরা যখন রাশিয়ায় যাই, তখন সাধারণত ইউরোপীয় অংশে থাকি—যেমন মস্কো বা সেন্ট পিটার্সবার্গ। এই শহরগুলো ইউরোপীয় সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা এবং আবহাওয়ার দিক থেকে ইউরোপের অনেক দেশের মতোই। তাই রাশিয়াকে আমরা একটি মধ্যবর্তী গন্তব্য হিসেবে ভাবতে পারি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইউরোপ আর রাশিয়ার মধ্যে কোনটি আপনার জন্য ভালো? এর উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করব: ভিসা প্রক্রিয়া, খরচ, আয়ের সুযোগ, জীবনযাত্রা, ভাষা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা। আসুন ধাপে ধাপে এগুলো বিশ্লেষণ করি।
(২) ভিসা প্রক্রিয়া: রাশিয়া বনাম ইউরোপ
ক) রাশিয়ার ভিসা প্রক্রিয়া
রাশিয়ায় যাওয়ার জন্য ভিসা প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সহজ এবং দ্রুত। আপনি বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা বা ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করলে, সাধারণত ১-৩ মাসের মধ্যে ভিসা পেয়ে যেতে পারেন। রাশিয়ার এম্বাসি বা কনস্যুলেটে ফাইল জমা দেওয়ার পর প্রক্রিয়াটি খুব বেশি জটিল হয় না।
এছাড়া, রাশিয়ার ভিসার জন্য খরচও তুলনামূলকভাবে কম। স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে আপনার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণপত্র লাগবে, আর ওয়ার্ক ভিসার জন্য একটি কোম্পানির চাকরির অফার। এই দুটো পেলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
আমার এক বন্ধু গত বছর, ২০২৪ সালে, রাশিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়েছিল। সে মাত্র দুই মাসের মধ্যে ভিসা পেয়ে মস্কোতে পড়তে গেছে। তার অভিজ্ঞতা থেকে জানি, রাশিয়ার ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত এবং কম ঝামেলার।
খ) ইউরোপের ভিসা প্রক্রিয়া
অন্যদিকে, ইউরোপের ভিসা প্রক্রিয়া অনেক জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। আপনি যদি ক্রোয়েশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স বা অন্য কোনো ইউরোপীয় দেশে যেতে চান, তাহলে ভিসা পেতে ৬ মাস থেকে এক বছর, এমনকি তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য অনেকে ২০২৫ সালে ১৪০-১৬০ দিন অপেক্ষা করছেন, কিন্তু এখনো পাসপোর্ট ফেরত পাননি। ইউরোপের দেশগুলোতে ভিসা প্রক্রিয়ায় কঠোর নিয়ম, ডকুমেন্ট যাচাই এবং কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য দীর্ঘ সময় লাগে। এছাড়া, ভিসা ফি এবং এজেন্টের খরচও অনেক বেশি।
গ) কার জন্য কোনটি ভালো?
- রাশিয়া: যদি আপনার সময় কম থাকে, বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে না চান, এবং দ্রুত বিদেশে যেতে চান, তাহলে রাশিয়া আপনার জন্য ভালো।
- ইউরোপ: যদি আপনার হাতে অনেক সময় থাকে, শক্তিশালী প্রোফাইল (যেমন ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কাজের অভিজ্ঞতা) থাকে, এবং অপেক্ষা করার ধৈর্য থাকে, তাহলে ইউরোপে চেষ্টা করতে পারেন।
(৩) খরচ: জীবনযাত্রা এবং পড়াশোনা
ক) রাশিয়ায় খরচ
রাশিয়ায় জীবনযাত্রার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। আপনি যদি মস্কো বা সেন্ট পিটার্সবার্গে থাকেন, তাহলেও ২০২৫ সালে মাসে বাংলাদেশি টাকায় ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে থাকা-খাওয়া চালাতে পারবেন।
রাশিয়াতে পড়াশোনার খরচও অনেক কম। রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২৫ সালে বার্ষিক টিউশন ফি ২-৫ লাখ টাকার মধ্যে থাকে, এবং অনেক ক্ষেত্রে স্কলারশিপ পাওয়া যায়। এছাড়া, আপনি যদি কাজ করেন, তাহলে নিজের খরচ নিজেই চালাতে পারবেন।
খ) ইউরোপে খরচ
ইউরোপে জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেশি। উদাহরণস্বরূপ, জার্মানি, ফ্রান্স বা যুক্তরাজ্যে ২০২৫ সালে মাসে কমপক্ষে ৭০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা লাগে—শুধু থাকা-খাওয়ার জন্য।
ইউরোপে পড়াশোনার খরচ আরও বেশি। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২৫ সালে বার্ষিক টিউশন ফি ৫-২০ লাখ টাকা হতে পারে, যদি না আপনি স্কলারশিপ পান। স্কলারশিপ ছাড়া পড়াশোনা এবং জীবনযাত্রার খরচ চালানো খুব কঠিন। এছাড়া, ইউরোপে গিয়ে প্রথম কয়েক মাস কাজ না পেলে পরিবারের সাপোর্ট ছাড়া টিকে থাকা কঠিন।
গ) কার জন্য কোনটি ভালো?
- রাশিয়া: যদি আপনার আর্থিক সামর্থ্য কম থাকে এবং নিজের আয় দিয়ে চলতে চান, তাহলে রাশিয়া ভালো।
- ইউরোপ: যদি আপনার পরিবারের শক্তিশালী আর্থিক সাপোর্ট থাকে বা স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে ইউরোপে যেতে পারেন।
(৪) আয়ের সুযোগ
ক) রাশিয়ায় আয়
রাশিয়ায় গিয়ে আপনি ভালো আয় করতে পারেন। আমার বন্ধুদের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, সেখানে ২০২৫ সালে মাসে ৭০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, রাশিয়ায় স্টুডেন্টদের কাজের ক্ষেত্রে কোনো সময়ের সীমাবদ্ধতা নেই। আপনি যত ইচ্ছা তত ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। এমনকি আপনি চাইলে ২০২৫ সালে ১ লাখ টাকার বেশিও আয় করতে পারেন। এই টাকা দিয়ে নিজের খরচ চালিয়ে দেশে টাকা পাঠানোও সম্ভব।
খ) ইউরোপে আয়
ইউরোপে আয়ের সম্ভাবনা আরও বেশি। সেখানে ২০২৫ সালে মাসে ১,৫০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব, বিশেষ করে যদি আপনি দক্ষ কাজ (যেমন আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং) করেন। কিন্তু স্টুডেন্টদের জন্য একটি বড় সীমাবদ্ধতা আছে। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে স্টুডেন্টরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে পারেন না। ফলে আয় সীমিত থাকে। এছাড়া, জীবনযাত্রার খরচ বেশি হওয়ায় সঞ্চয় করা কঠিন।
গ) কার জন্য কোনটি ভালো?
- রাশিয়া: যদি আপনি দ্রুত আয় শুরু করতে চান এবং বেশি কাজ করে টাকা সঞ্চয় করতে চান, তাহলে রাশিয়া ভালো।
- ইউরোপ: যদি আপনি দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ আয় এবং ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে ইউরোপে যেতে পারেন।
(৫) ভাষা: একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ক) রাশিয়ায় ভাষা
রাশিয়ায় গেলে রুশ ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক। সেখানে ইংরেজি খুব কম চলে। আপনি যদি পড়াশোনা বা কাজ করতে চান, তাহলে রুশ ভাষায় কথা বলতে এবং বুঝতে হবে। এটি শুরুতে একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তবে ভালো খবর হচ্ছে, রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথম বছরে ভাষা শেখার কোর্স দেওয়া হয়। আপনি যদি একটু চেষ্টা করেন, তাহলে ৬-১২ মাসের মধ্যে রুশ ভাষায় দক্ষ হয়ে যেতে পারেন।
খ) ইউরোপে ভাষা
ইউরোপে ভাষার ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আছে। কিছু দেশে (যেমন ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা) শুধু ইংরেজি দিয়ে চলতে পারবেন। অন্যান্য দেশে (যেমন জার্মানি, ফ্রান্স) স্থানীয় ভাষা (জার্মান, ফরাসি) শিখতে হবে। তবে বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশে ইংরেজি টুকটাক চলে, বিশেষ করে শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে। তাই ইংরেজি জানলে ইউরোপে শুরু করা তুলনামূলকভাবে সহজ।
গ) কার জন্য কোনটি ভালো?
- রাশিয়া: যদি আপনি নতুন ভাষা শিখতে আগ্রহী হন এবং সময় দিতে পারেন, তাহলে রাশিয়া ঠিক আছে।
- ইউরোপ: যদি আপনি ইংরেজিতে দক্ষ হন এবং দ্রুত শুরু করতে চান, তাহলে ইউরোপ ভালো।
(৬) ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
ক) রাশিয়া থেকে সম্ভাবনা
রাশিয়ায় গিয়ে আপনি অনেক কিছু করতে পারেন। যেমন-
- পড়াশোনা: স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে ব্যাচেলর বা মাস্টার্স করতে পারেন। এরপর ইউরোপ বা অন্য দেশে মাস্টার্স বা পিএইচডির জন্য আবেদন করতে পারেন।
- কাজ: ওয়ার্ক ভিসায় গিয়ে টাকা সঞ্চয় করতে পারেন এবং পরে অন্য দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন।
- সেটেলমেন্ট: রাশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদে থাকার সুযোগও আছে। সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়া সম্ভব।
খ) ইউরোপ থেকে সম্ভাবনা
ইউরোপে গেলে আপনার ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হতে পারে। যেমন:
- ক্যারিয়ার: ইউরোপে দক্ষ পেশায় কাজ করলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
- নাগরিকত্ব: অনেক ইউরোপীয় দেশে ৫-১০ বছর থাকলে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ আছে।
- জীবনমান: ইউরোপে জীবনযাত্রার মান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা অনেক উন্নত।
গ) কার জন্য কোনটি ভালো?
- রাশিয়া: যদি আপনি দ্রুত শুরু করতে চান এবং পরে বড় পরিকল্পনা করতে চান, তাহলে রাশিয়া একটি স্টেপিং স্টোন হতে পারে।
- ইউরোপ: যদি আপনি দীর্ঘমেয়াদে উন্নত জীবন এবং ক্যারিয়ার চান, তাহলে ইউরোপে লক্ষ্য রাখুন।
(৭) ডাঙ্কি বা বাইপথ: একটি সতর্কবার্তা
অনেকে ভাবেন, “আমি ডাঙ্কি মেরে ইউরোপে যাব” বা “রাশিয়া থেকে ডাঙ্কি মেরে ইউরোপে চলে যাব।” আমি আপনাদের হাইলি রিকোয়েস্ট করব, এই চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিন। বাইপথে যাওয়া শুধু আপনার জন্যই বিপদজনক নয়, অন্যদের ভবিষ্যৎও নষ্ট করে।
- ইউরোপে ডাঙ্কি: বাইপথে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করলে আপনি পথে মারা যেতে পারেন বা ধরা পড়তে পারেন। এতে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা নীতি আরও কঠিন হবে।
- রাশিয়া থেকে ডাঙ্কি: বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সীমান্তে কঠোর নজরদারি আছে। রাশিয়া থেকে ডাঙ্কি মেরে ইউরোপে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। ধরা পড়লে বড় শাস্তি হতে পারে।
এই পথে না গিয়ে সঠিক পথে চেষ্টা করুন। যারা আপনাকে এই ধরনের পরামর্শ দেয়, তাদের থেকে দূরে থাকুন।
(৮) কী করবেন? সিদ্ধান্ত আপনার
এখন আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা। আপনার পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখুন-
- যদি আপনার সময় কম থাকে: বছরের পর বছর ইউরোপের জন্য অপেক্ষা না করে রাশিয়ায় যান। সেখানে গিয়ে কাজ করুন, টাকা সঞ্চয় করুন, এবং পরে ইউরোপে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন।
- যদি আপনার সময় এবং সামর্থ্য থাকে: ইউরোপে চেষ্টা করুন। শক্তিশালী প্রোফাইল তৈরি করুন, স্কলারশিপের জন্য আবেদন করুন, এবং ধৈর্য ধরুন।
- যদি আপনি হতাশ হয়ে থাকেন: টেনশন করবেন না। আপনার রিজিক যেখানে আছে, সেখানেই যাবেন। শুধু চেষ্টা চালিয়ে যান।
(৯) শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, ইউরোপ আর রাশিয়ার মধ্যে কোনটি আপনার জন্য সঠিক, তা আপনার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। রাশিয়া আপনাকে দ্রুত শুরু করার সুযোগ দেবে, আর ইউরোপ আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে উন্নত জীবন দেবে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আপনার চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখবেন না। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন। আপনার রিজিক যেখানে আছে, আল্লাহ সেখানে পৌঁছে দেবেন।
আমি আপনাদের সবার জন্য দোয়া করি। আপনারাও আমার জন্য দোয়া করবেন। আশা করি এই লেখাটি আপনাদের উপকারে আসবে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আসসালামু আলাইকুম।
এ ধরণের আরও তথ্য সমৃদ্ধ, জীবন ঘনিষ্ঠ, উপকারি কন্টেন্ট পেতে, প্রয়োজনীয় যে কোন বিষয়ে জানতে, বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বড় তথ্যমূলক ব্লগ ওয়েবসাইট– ‘ইন বাংলা নেট’ (inbangla.net) এর সাথেই থাকুন।
অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।