Skip to content

ইস্তেখারার দোয়া, নামাজ ও দোয়া পড়ার নিয়ম সহ (istikhara dua in bangla)

ইস্তেখারার দোয়া, istikhara dua in bangla (নামাজ ও দোয়া পড়ার নিয়ম সহ)

ইস্তেখারার দোয়া সম্পূর্ণটা আরবি। ইস্তেখারার দোয়া বাংলা উচ্চারণ। ইস্তেখারার দোয়া বাংলা অর্থ। ইস্তেখারার দোয়া কি, উদ্দেশ্য, কখন, কেন, কিভাবে করতে হয়, ইস্তিখারা দোয়া কখন করা যাবে না। এই পোষ্টিতে এ সকল বিষয়ে বিস্তরিত বর্ণনা আপনানের সামনে তুলে ধরা হবে, ইংশাআল্লাহ।

কোন কাজের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে, অর্থাৎ কাজটি তার জন্য কল্যাণকর কি না সে বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়াকেই ইস্তেখারা বলা হয়।

মানুষ বিভিন্ন সময় একাধিক বিষয়ের মধ্যে কোনটিকে গ্রহণ করবে সে ব্যাপারে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যায়। কারণ, কোথায় তার কল্যাণ নিহীত আছে সে ব্যাপারে কারো জ্ঞান নাই। তাই সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে কল্যান লাভের জন্য আসমান জমীনের সৃষ্টিকর্তা, আহকামুল-হাকিমিন আল্লাহু-রব্বুল-আলামিন এর নিকট সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ইস্তেখারা করতে হয় বা সাহায্য প্রার্থনা করতে হয়,যেন তিনি তার সিদ্ধান্তকে এমন জিনিসের উপর স্থীর করে দেন যা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী জন্য উপকারী হয়।

বিয়ে, চাকুরী, ব্যবসা, সফরসহ যেকোনো বৈধ বিষয়ে ইস্তেখারা করা উত্তম।

দোয়া আরবিতে পড়া জরুুরি নয়। অঅল্লাহ রব্বুল আলামিন পৃথিবীর সকল বান্দার সকল ভাষা বোঝেন তিনি অন্তরের কথাও জানেন। আপনার পক্ষেআরবি মুখস্ত করা কঠিন হয়ে, বাংলাতে দোয়াটিও পড়তে পারেন। আল্লাহ তায়ালা বুঝবেন ও দোয়া কবুল করে নিবেন। তিনি সর্ব জ্ঞান, সসর্ব শ্রোতা ও অন্তর্যামী।

চলুন জেনে নেওয়া যাক-

(১) ইস্তেখারার দোয়া কি? উদ্দেশ্য, কখন, কেন, কিভাবে করতে হয়?

ইস্তেখারার দোয়া কি, উদ্দেশ্য, কখন, কেন, কিভাবে করতে হয়

ইস্তেখারা শব্দটি আরবী। এর আভিধানিক অর্থ হলোো, কোন বিষয়ে কল্যাণ চাওয়া।

পড়ুন
বাংলা মোনাজাতের দোয়াসমূহ

দুই রাকাত সালাত ও বিশেষ দুয়ার মাধ্যমে আল্লাহর তায়ালার নিকট দুটি বিষয়ের মধ্যে কল্যাণকর বিষয়ে মন ধাবিত হওয়ার জন্য আশা করা। অর্থাৎ দুটি বিষয়ের মধ্যে কোনটি অধিক কল্যাণকর হবে এ ব্যাপারে আল্লাহর নিকট দু রাকাত সালাত ও ইস্তিখারার দুয়ার মাধ্যমে সাহায্য চাওয়ার নামই ইস্তেখারা।

সহজ কথায় ইস্তিখারা হচ্ছে- আল্লাহর কাছে পরামর্শ চাওয়া এবং তাঁর ইলম, কুদরত ও ফজীলতের মাধ্যমে তাঁর সাহায্য কামনা করা।

ইস্তেখারার দোয়া সম্পর্কে, প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ ইবনে হাজার (রহ.) লিখেছেন, ইস্তেখারা মানে কোনো বিষয় বাছাই ও নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া।

ইস্তেখারার নামাজ ও দোয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে- যে ব্যক্তিকে দুটি বিষয়ের মধ্যে একটি বিষয় বাছাই করে নিতে হবে, সে যেন উত্তমটি বাছাই করে নিতে পারে। এমন প্রার্থনা করাই হলোো ইস্তেখারার মূল উদ্দেশ্য।

(২) ইস্তেখারার দোয়া সম্পূর্ণটা আরবি

ইস্তেখারার দোয়া সম্পূর্ণটা আরবি ছবি

ইস্তেখারার দোয়াটি সহিহ্ হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে।

জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে যেভাবে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন, ঠিক সেভাবে প্রতিটি কাজে আমাদেরকে ইস্তিখারা (কল্যাণ প্রার্থনা) শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেনঃ যখন তোমাদের কেউ কোনো কাজ করার ইচ্ছা করে, তখন সে যেনো ফরয সালাত ব্যতীত দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করে নেয়, অতঃপর বলেঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ، وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ؛ فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلاَّمُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأمْرَ – وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ – خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي – أَوْ قَالَ: عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ – فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي – أَوْ قَالَ: عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ – فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي بِهِ

(তিরমিজি, ইবন মাজাহ)

(৩) ইস্তেখারার দোয়া বাংলা উচ্চারণ

ইস্তেখারার দোয়া বাংলা উচ্চারণ ছবি

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসতাখীরুকা বি‘ইলমিকা ওয়া আস্তাক্বদিরুকা বিক্বুদরাতিকা ওয়া আস্আলুকা মিন ফাদলিকাল আযীম। ফাইন্নাকা তাক্বদিরু ওয়ালা আক্বদিরু, ওয়া তা‘লামু ওয়ালা আ‘লামু, ওয়া আনতা ‘আল্লামূল গুয়ূব।

পড়ুন
দোয়ায়ে মাসুরা আরবি, অর্থসহ বাংলা উচ্চারণ ও ফযিলত

আল্লা-হুম্মা ইন কুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আম্‌রা (মনে মনে প্রয়োজন উল্লেখ করুন) খাইরুন লী ফী দীনি ওয়া মা‘আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী (অথবা বলেছেনঃ আজিলিহী ওয়া আজিলিহী), ফাকদুরহু লী, ওয়া ইয়াসসিরহু লী, ছুম্মা বা-রিক লী ফীহি।

ওয়াইন কুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আমরা (মনে মনে প্রয়োজন উল্লেখ করুন) শাররুন লী ফী দীনী ওয়া মা‘আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী (অথবা বলেছেনঃ আজিলিহী ওয়া আজিলিহী), ফাসরিফহু ‘আন্নী ওয়াসরিফনী ‘আনহু, ওয়াকদুর লিয়াল-খাইরা হাইসু কা-না, সুম্মা আরদ্বিনী বিহ্)।

(৪) ইস্তেখারার দোয়া বাংলা অর্থ

ইস্তেখারার দোয়া বাংলা অর্থ ছবি

হে আল্লাহ, আমি আপনার জ্ঞানের সাহায্যে আপনার কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আমি আপনার শক্তির সাহায্যে শক্তি ও আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। কেননা আপনিই ক্ষমতাবান; আমি ক্ষমতা রাখি না। আপনি জ্ঞান রাখেন, আমার জ্ঞান নেই এবং আপনি অদৃশ্য বিষয়ে সম্পূর্ণ পরিজ্ঞাত।

হে আল্লাহ, আপনার জ্ঞানে আমার এ কাজ (এখানে নিজের প্রয়োজনের নাম উল্লেখ করবে অথবা মনে মনে স্মরণ করবে) আমার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য (কিংবা বলবে আমার দ্বীনদারি, জীবন-জীবিকা ও কর্মের পরিণামে) কল্যাণকর হলোে, আপনি তা আমার জন্য নির্ধারণ করে দিন। সেটা আমার জন্য সহজ করে দিন এবং তাতে বরকত দিন।

হে আল্লাহ, আর যদি আপনার জ্ঞানে আমার এ কাজ আমার দ্বীনদারি, জীবন-জীবিকা ও কর্মের পরিণামে (কিংবা বলবে, আমার বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য) অকল্যাণকর হয়, তবে আপনি আমাকে তা থেকে ফিরিয়ে দিন এবং সেটাকেও আমার থেকে ফিরিয়ে রাখুন। আমার জন্য সর্বক্ষেত্রে কল্যাণ নির্ধারণ করে রাখুন এবং আমাকে সেটার প্রতি সন্তুষ্ট করে দিন। 

(৫) ইস্তেখারার নামাজ ও দোয়া পড়ার নিয়ম

ইস্তেখারার নামাজ ও দোয়া পড়ার নিয়ম

১। ওযু করতে হবে।

২। ইস্তেখারার উদ্দেশ্যে দুই রাকায়াত নফল নামায পড়তে হবে।

৩। নামাযের সালাম ফিরিয়ে আল্লাহ তায়ালার বড়ত্ব ও মর্যাদার কথা মনে জাগ্রত করে একান্ত বিনয় ও নম্রতা সহকারে আল্লাহর প্রশংসা ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দরূদ পেশ করার পর ইস্তেখারার দুয়াটি পাঠ করতে হবে।

পড়ুন
প্রসাব পায়খানার দোয়া ও আদব/টয়লেটে প্রবেশ ও বের হওয়ার দোয়া

৪। এ দু’আর মধ্যে যেখানে “হাজাল আম’রা” শব্দটি আসবে, সেখানে মনে মনে যে কাজটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছেন সেটি স্মরণ করবেন। উক্ত দু’আ শেষ করে কারো সাথে কথা না বলে কিবলামুখী হয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন। ঘুম থেকে জাগার পর মন যেদিকে সায় দিবে, বা যেদিকে আগ্রহী হয়ে উঠবে, সেটিই ফলাফল মনে করবেন। সে কাজের মধ্যে আপনার জন্য কল্যাণ রয়েছে।

আর যদি ঘুমানোর সময় না থাকে অর্থাৎ খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চান, তাহলে দোয়াটি শেষ করার পর, যেদিকে আপনার মন আগ্রহ পোষণ করবে সেটাই ফলাফল বলে মনে করতেন।

(৬) ইস্তিখারার দোয়ার বিষয়ে কিছু কথা

১। ইস্তিখারার দুয়া মুখস্ত না থাকলে দেখে দেখে তা পড়তে পারবেন অসুবিধা নেই। তবে মুখস্ত পড়া বেশি ভাল।

২। ইস্তিখারা করার পর তার উদ্দিষ্ট বিষয়ে স্বপ্ন দেখা আবশ্যক নয়। স্বপ্নের মাধ্যমেও সঠিক জিনিসটি জানতে পারে আবার স্বপ্ন ছাড়াও মনের মধ্যে সে কাজটির প্রতি আগ্রহ বা অনাগ্রহ তৈরি হতে পারে।

৩। উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনিত হলে আল্লাহর উপর ভরসা করে দৃঢ়ভাবে কাজে এগিয়ে যান। পিছুপা হবেন না বা হীনমন্যতায় ভূগবেন না।

আল্লাহ তায়ালা বলেন,

“আর যখন সিদ্ধান্ত গ্রহন করে ফেল তখন আল্লাহর উপর ভরসা কর।”

(সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং ১৫৯)

৪। সালাতুল ইস্তিখারা ও দোয়া পড়ার পরও সঠিক সিদ্ধান্তে উপণিত না হতে পারলে একধিকবার তা পড়া জায়েয আছে।

৫। এক জনের পক্ষ থেকে আরেকজন সালাতুল ইস্তিখারা আদায় করতে পারবে না। তবে সাধারণভাবে তার কল্যাণের জন্য দুয়া করতে পারে।

৬। অন্যায় বা হারাম কাজে এমন কি মাকরূহ কাজেও ইস্তিখারা করা জায়েজ নাই।

৭। ইস্তেখারার উদ্দেশ্যে নফল নামাজ আদায় করার কথা ভাবলেই নিয়ত হয়ে যাবে। আলাদা করে কোন নিয়ত মুখস্থ করার প্রয়োজন নেই, এতে কোন সমস্যা নেই।

পড়ুন
ayatul kursi bangla

(৭) ইস্তিখারা দোয়া কখন করা যাবে না?

ইস্তিখারা নামাজ ও দোয়া কখন করা যাবে না
  • যে কাজ হারাম অথবা যে কাজ ফরজ বা ওয়াজিব তাতে কোন ইস্তিখারা নাই। যেমন, যে চাকরির সাথে হারাম জড়িত তা করা না করার জন্য কোন ইস্তিখারা নাই। তাতে অবশ্যই যোগ দেয়া যাবে না।
  • উদাহরণ দিই একটা। আপনি সুদী ব্যাংকে চাকরির অফার পেয়েছেন। এখন এখানে যোগ দেবার বা না দেবার জন্য কোন ইস্তিখারা নাই। আপনার এখানে যোগ দেয়াটাই হারাম। একইভাবে কেউ কোন মুসলিম কোন কাফির, মুশরিক নারী বা পুরুষকে বিয়ে করবে কি করবে না সেজন্য ইস্তিখারা করবে না। সে অবশ্যই কাফির, মুশরিককে বিয়ে করবে না, কারণ এটা তার জন্য নিষিদ্ধ।
  • অন্যদিকে যে কাজ করা ফরজ বা ওয়াজিব [যা অবশ্যই করতে হবে] তার জন্যও কোন ইস্তিখারা নাই। এখানে ইস্তিখারা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কিছু নাই। আপনাকে তো এ কাজ অবশ্যই করতে হবে।
  • যেমন আপনি জাকাত দিবেন কি দিবেন না সেজন্য ইস্তিখারা করবেন না। আপনার বাপ-মাকে সাহায্য করবেন না কি করবেন না সেজন্যও ইস্তিখারা করবেন না।
  • অথবা মুসলিমদের দেশ দুশমনদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে এবং মুসলমানদের আমীর দুশমনের বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য সাধারণ [আম] সমন জারী করেছেন; এমতাবস্থায় আপনি ইস্তিখারা করে সিদ্ধান্ত নেবেন না। এই জিহাদে যোগ দেয়া আপনার জন্য ওয়াজিব।

মহান সৃষ্টিকর্তা, সর্বজ্ঞানী, সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা আল্লাহ্ তাআ’লা! আমাদেরকে জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাহার নিকট ‘ইস্তেখারা’র মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

পবিত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট ইসলাম’ (inbangla.net/islam) এর সাথেই থাকুন।

[তথ্য সূত্র: মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন]

অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।

Leave a Reply

nv-author-image

ইন বাংলা নেট ইসলাম

পবিত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত যা কিছু বাংলাতে।View Author posts