Skip to content

ওভারিয়ান সিস্টঃ কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

ওভারিয়ান সিস্টঃ কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

ওভারিয়ান সিস্ট একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা অনেক নারীর জীবনে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই বিষয়ে সঠিক তথ্য এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ থাকলে ভয় ও বিভ্রান্তি অনেকটাই কমে যায়।

এই বিস্তারিত ব্লগ পোস্টে আমরা ওভারিয়ান সিস্টের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ নিয়ে সহজবোধ্যভাবে আলোচনা করব, যা আপনাকে সচেতন এবং আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে।

এই তথ্যগুলো আমরা সংগ্রহ করেছি ডা. সোনালী বিশ্বাসের বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে, যিনি একজন প্রখ্যাত কনসালট্যান্ট গাইনোকোলজিস্ট, ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন এবং ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ। তাঁর বছরের পর বছর অভিজ্ঞতা এবং রোগীদের প্রতি সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত সম্মানিত করে তুলেছে।

ডা. সোনালী বিশ্বাস তাঁর চেম্বারে প্রায়ই রোগীদের কাছ থেকে ওভারিয়ান সিস্ট নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন শোনেন-

  • এই সিস্ট কি ওষুধে সেরে যাবে?
  • অপারেশন ছাড়া কি এটি ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে?
  • সিস্ট থাকার কারণে কি গর্ভধারণে সমস্যা হবে?

এই ব্লগে আমরা তাঁর বিশেষজ্ঞ পরামর্শের আলোকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেব এবং ওভারিয়ান সিস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করব, যাতে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বিস্তারিত জানতে পড়তে থাকুন।

(১) ওভারিয়ান সিস্ট কী?

ওভারিয়ান সিস্ট কি

ওভারিয়ান সিস্ট হলো ডিম্বাশয়ে তৈরি হওয়া তরল বা আধা-তরল ভরা থলি। এটি সাধারণত নারীদের প্রজনন বয়সে বেশি দেখা যায়, তবে যেকোনো বয়সে হতে পারে। বেশিরভাগ সিস্টই নিরীহ এবং নিজে নিজেই সেরে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

পড়ুন
পিরিয়ড কি? মাসিক হলে কি কি করা যাবে না?

(২) ওভারিয়ান সিস্টের প্রকারভেদ

ওভারিয়ান সিস্ট বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এগুলোর প্রকৃতি, লক্ষণ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন। নিচে প্রধান ধরনগুলো আলোচনা করা হলো:

ক) ফাংশনাল সিস্ট

ফাংশনাল সিস্ট সবচেয়ে সাধারণ ধরনের সিস্ট, যা মাসিক চক্রের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তৈরি হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • ফলিকুলার সিস্ট: মাসিক চক্রে ডিম ফাটার সময় যদি ফলিকল ফাটতে ব্যর্থ হয়, তবে তা ফলিকুলার সিস্টে পরিণত হতে পারে। এটি সাধারণত ২-৩ মাসের মধ্যে নিজে নিজে সেরে যায়।
  • কর্পাস লিউটিয়াল সিস্ট: ডিম ফাটার পর ফলিকল কর্পাস লিউটিয়ামে রূপান্তরিত হয়। কখনো এটি তরল বা রক্তে ভরে সিস্ট তৈরি করে।
  • থেকা লিউটিন সিস্ট: এটি গর্ভাবস্থায় দেখা যায় এবং সাধারণত নিরীহ।

বৈশিষ্ট্য: ফাংশনাল সিস্ট সাধারণত কোনো চিকিৎসা ছাড়াই নিজে নিজে সেরে যায়। এগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি বহন করে না এবং গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করে না। তবে কখনো এগুলো বড় হলে (৭-৮ সেন্টিমিটার) সাময়িক ব্যথা হতে পারে, যা পেইনকিলার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

খ) বিনাইন টিউমার (নিরীহ টিউমার)

কিছু সিস্ট বিনাইন টিউমার হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হলো:

  • ডার্ময়েড সিস্ট: এই সিস্টে চুল, নখ, দাঁত বা ফ্যাটের মতো টিস্যু থাকতে পারে। এগুলো সাধারণত নিরীহ, তবে বড় হলে টর্শন (পাক খাওয়া) হওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা তীব্র ব্যথার কারণ হতে পারে। এ কারণে বড় ডার্ময়েড সিস্টের ক্ষেত্রে অপারেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • সিস্টাডেনোমা: এটি ডিম্বাশয়ের বাইরের স্তরে তৈরি হয় এবং তরল বা শ্লেষ্মায় ভরা হতে পারে।

চিকিৎসা: বিনাইন টিউমার যদি বড় হয় বা টর্শনের ঝুঁকি থাকে, তবে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির মাধ্যমে তা অপসারণ করা হয়। এগুলো ক্যান্সারে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

গ) ম্যালিগন্যান্ট টিউমার (ক্যান্সারযুক্ত সিস্ট)

কিছু সিস্ট ক্যান্সারযুক্ত হতে পারে, যা সাধারণত বয়স্ক নারীদের (৪০-৬০ বছর) মধ্যে দেখা যায়। এর লক্ষণগুলো হলো:

  • পেট ফুলে যাওয়া
  • ক্ষুধা কমে যাওয়া
  • অস্বাভাবিক পেট বড় হওয়া
  • ঢকঢক অনুভূতি
পড়ুন
যোনি কালো হয় কেন?

চিকিৎসা: এই ধরনের সিস্টের জন্য গাইনোকোলজিকাল অঙ্কোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসায় কেমোথেরাপি, সার্জারি বা উভয়ই প্রয়োজন হতে পারে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

ঘ) পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ (PCOD/PCOS)

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ (PCOD) হলো হরমোনাল ভারসাম্যহীনতার কারণে ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্টের মতো গঠন তৈরি হওয়া। এগুলো আসলে সিস্ট নয়, বরং অপরিপক্ক ফলিকল যা ডিম ফাটতে ব্যর্থ হয়।

লক্ষণ:

  • অনিয়মিত মাসিক
  • ওজন বৃদ্ধি
  • মুখে ব্রণ বা অতিরিক্ত লোম
  • গর্ভধারণে সমস্যা

চিকিৎসা: PCOD-এর চিকিৎসায় সার্জারির প্রয়োজন হয় না। ওজন নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনই যথেষ্ট। গর্ভধারণে সমস্যা হলে ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হতে পারে।

ঙ) চকলেট সিস্ট (এন্ডোমেট্রিওমা)

চকলেট সিস্ট হলো এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে ডিম্বাশয়ে তৈরি হওয়া সিস্ট, যেখানে রক্ত জমে বাদামী রঙের (চকলেটের মতো) গঠন তৈরি হয়।

লক্ষণ:

  • তীব্র পেলভিক ব্যথা, বিশেষ করে মাসিকের সময়
  • সহবাস বা মলত্যাগের সময় ব্যথা
  • গর্ভধারণে সমস্যা

চিকিৎসা: চকলেট সিস্টের ক্ষেত্রে ওষুধে সাধারণত সাইজ কমে না। বড় সিস্ট বা তীব্র ব্যথার ক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে। এটি গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, কারণ এটি ডিম্বাশয় ও ফ্যালোপিয়ান টিউবের কার্যকারিতা ব্যাহত করে।

(৩) ওভারিয়ান সিস্টের লক্ষণ

ওভারিয়ান সিস্টের লক্ষণ

বেশিরভাগ সিস্ট কোনো লক্ষণ সৃষ্টি করে না এবং আল্ট্রাসোনোগ্রাফির মাধ্যমে দৈবচয়নে ধরা পড়ে। তবে কিছু ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা যায়-

  • পেলভিক ব্যথা: সাময়িক বা ক্রমাগত ব্যথা, বিশেষ করে মাসিকের সময়।
  • অনিয়মিত মাসিক: অতিরিক্ত রক্তপাত বা অনিয়মিত মাসিক চক্র।
  • পেট ফুলে যাওয়া: পেট বড় হওয়া বা ঢকঢক অনুভূতি।
  • গর্ভধারণে সমস্যা: বিশেষ করে চকলেট সিস্ট বা PCOD-এর ক্ষেত্রে।
  • অন্যান্য: বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, বা মলত্যাগে সমস্যা।

(৪) কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?

ডা. সোনালী বিশ্বাস তিনটি প্রধান পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেন-

  1. তীব্র ব্যথা: যদি পেলভিক ব্যথা ওষুধে সারে না।
  2. মাসিক সমস্যা: অতিরিক্ত রক্তপাত বা অনিয়মিত মাসিক যা নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
  3. পেট বড় হওয়া: অকারণে পেট ফুলে যাওয়া বা ঢকঢক অনুভূতি।
পড়ুন
যোনির গভীরতা কত ইঞ্চি?

(৫) ওভারিয়ান সিস্টের নির্ণয়

ওভারিয়ান সিস্ট নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়-

  • আল্ট্রাসোনোগ্রাফি (USG): এটি সিস্টের আকার, ধরন এবং অবস্থান নির্ণয়ের প্রাথমিক পদ্ধতি।
  • সিটি স্ক্যান/এমআরআই: জটিল বা ক্যান্সার সন্দেহজনক সিস্টের ক্ষেত্রে।
  • রক্ত পরীক্ষা: CA-125 পরীক্ষা ক্যান্সারের ঝুঁকি নির্ণয়ে সাহায্য করে।

(৬) ওভারিয়ান সিস্টের চিকিৎসা

চিকিৎসা সিস্টের ধরন, আকার এবং লক্ষণের উপর নির্ভর করে। নিচে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি আলোচনা করা হলো-

ক) পর্যবেক্ষণ

ছোট এবং নিরীহ সিস্ট (যেমন ফাংশনাল সিস্ট) সাধারণত নিজে নিজে সেরে যায়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক নিয়মিত আল্ট্রাসোনোগ্রাফির মাধ্যমে এটি পর্যবেক্ষণ করেন।

খ) ওষুধ

  • পেইনকিলার: ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য।
  • হরমোনাল ওষুধ: PCOD বা এন্ডোমেট্রিওসিসের ক্ষেত্রে মাসিক নিয়ন্ত্রণ ও সিস্টের আকার কমাতে।
  • গর্ভনিরোধক বড়ি: নতুন সিস্ট তৈরি প্রতিরোধে।

গ) সার্জারি

বড় সিস্ট, টর্শন, বা ক্যান্সার সন্দেহজনক সিস্টের ক্ষেত্রে সার্জারি প্রয়োজন। সার্জারির ধরন:

  • ল্যাপারোস্কোপি: কম আক্রমণাত্মক পদ্ধতি, যেখানে ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে সিস্ট অপসারণ করা হয়। এটি দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়ক।
  • ল্যাপারোটমি: বড় বা জটিল সিস্টের ক্ষেত্রে পেট কেটে অপারেশন।

গুরুত্বপূর্ণ: অপারেশনের সময় চিকিৎসক সিস্টেকটমি (শুধু সিস্ট অপসারণ) করার চেষ্টা করেন, যাতে ডিম্বাশয় অক্ষত থাকে। এটি বিশেষ করে তরুণ বা সন্তান জন্ম দেওয়ার পরিকল্পনাকারী নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ঘ) ক্যান্সারের চিকিৎসা

ক্যান্সারযুক্ত সিস্টের ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি বা সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

(৭) ওভারিয়ান সিস্ট ও গর্ভধারণ

অনেক নারী চিন্তিত যে সিস্ট থাকলে গর্ভধারণে সমস্যা হবে। এটি সিস্টের ধরনের উপর নির্ভর করে-

  • ফাংশনাল সিস্ট: গর্ভধারণে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না।
  • চকলেট সিস্ট: এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে ওভুলেশন বা ফ্যালোপিয়ান টিউবের কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে, যা গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করে। তবে সঠিক চিকিৎসা (যেমন ল্যাপারোস্কোপি) এবং ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সহায়তায় গর্ভধারণ সম্ভব।
  • PCOD: হরমোনাল ভারসাম্যহীনতার কারণে ওভুলেশনে সমস্যা হতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং ওষুধ এই সমস্যা সমাধানে সহায়ক।
পড়ুন
মায়ের দুধের স্বাদ কেমন?

পরামর্শ: গর্ভধারণে সমস্যা হলে ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ওভুলেশন ইন্ডাকশন বা IVF-এর মতো চিকিৎসা সফল হতে পারে।

(৮) ওভারিয়ান সিস্ট প্রতিরোধ

সিস্ট সম্পূর্ণ প্রতিরোধ সম্ভব না হলেও কিছু পদক্ষেপ ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে-

  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: চর্বিযুক্ত খাবার কম খান। ফল, শাকসবজি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, বিশেষ করে PCOD-এর ঝুঁকি থাকলে।
  • গর্ভনিরোধক বড়ি: চিকিৎসকের পরামর্শে গর্ভনিরোধক বড়ি সেবন নতুন সিস্ট তৈরি প্রতিরোধে সহায়ক।
  • টিউবাল লাইগেশন: সন্তান জন্ম সম্পন্ন হলে লাইগেশন সিস্ট ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: পরিবারে ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে নিয়মিত স্ক্রিনিং করুন।

(৯) ওভারিয়ান সিস্ট ও ক্যান্সারঃ ভয় কতটা জরুরি?

অনেকে মনে করেন ওভারিয়ান সিস্ট মানেই ক্যান্সার। কিন্তু এটি সত্য নয়। বেশিরভাগ সিস্ট নিরীহ এবং ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয় না। তবে কিছু সিস্ট, বিশেষ করে বয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে, ক্যান্সারযুক্ত হতে পারে। প্রাথমিক নির্ণয় ও চিকিৎসা এই ঝুঁকি কমায়।

একটি সফল গল্প: ডা. সোনালী বিশ্বাস বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজের একজন রোগীর কথা উল্লেখ করেন, যিনি ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। দুই বছর ধরে কেমোথেরাপি এবং সার্জারির মাধ্যমে তিনি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। এটি প্রমাণ করে যে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে ক্যান্সার থেকেও সুস্থ হওয়া সম্ভব।

(১০) সাধারণ ভুল ধারণা

  1. ওভারিয়ান সিস্ট মানেই ক্যান্সার: বেশিরভাগ সিস্ট নিরীহ এবং নিজে নিজে সেরে যায়।
  2. সিস্ট থাকলে অপারেশন করতেই হবে: ছোট এবং নিরীহ সিস্টের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণই যথেষ্ট।
  3. সিস্ট থাকলে বাচ্চা হবে না: সঠিক চিকিৎসায় অনেক ক্ষেত্রে গর্ভধারণ সম্ভব।
  4. ওষুধে সব সিস্ট সারে: বড় বা জটিল সিস্টের ক্ষেত্রে সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।

(১১) শেষ কথা

ওভারিয়ান সিস্ট একটি সাধারণ সমস্যা, তবে সঠিক তথ্য ও চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বেশিরভাগ সিস্ট নিরীহ এবং নিজে নিজে সেরে যায়। তবে তীব্র ব্যথা, অনিয়মিত মাসিক বা পেট ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রাথমিক নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা আপনাকে সুস্থ জীবনের দিকে নিয়ে যাবে। গুজব বা ভুল ধারণায় কান না দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।

পড়ুন
কত বছর বয়সে মেয়েদের যোনির চুল গজায়?

সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন!

মানব শরীর ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট স্বাস্থ্য’ (inbangla.net/sastho) এর সাথেই থাকুন।

অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।

Leave a Reply

nv-author-image

ইন বাংলা নেট স্বাস্থ্য

মানব শরীর ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যা কিছু বাংলাতে।View Author posts