ওভারিয়ান সিস্ট মহিলাদের মধ্যে একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, তবে এটি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকে ওভারিয়ান সিস্টকে টিউমারের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন বা এটি ক্যান্সারের কারণ হতে পারে বলে ভয় পান। কিন্তু বাস্তবে, বেশিরভাগ ওভারিয়ান সিস্ট ক্ষতিকর নয় এবং নিজে থেকেই চলে যায়।
এই বিস্তর ব্লগ পোষ্টটিতে আমরা জানবো ওভারিয়ান সিস্ট কি, এর প্রকার, লক্ষণ, ওভারিয়ান সিস্ট কেন হয়? ওভারিয়ান সিস্ট দূর করার উপায়সমূহ, সম্ভাব্য জটিলতা এবং চিকিৎসার বিকল্পগুলো। আপনি নিজের জন্য বা প্রিয়জনের জন্য তথ্য খুঁজছেন, এই আর্টিকেলটি স্পষ্ট, নির্ভরযোগ্য এবং ব্যবহারযোগ্য তথ্য প্রদান করবে।
এই আর্টিকেলটি ডক্টর পারমিতা হাজারীর তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি লেখা হয়েছে, যিনি একজন কনসাল্ট্যান্ট ইনফার্টিলিটি স্পেশালিস্ট এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন। তথ্যগুলো সাধারণ জ্ঞান ও নির্দেশনার জন্য লেখা এবং নিজের ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অপরিহার্য।
চলুন জানি।
(১) ওভারিয়ান সিস্ট কি?


ওভারিয়ান সিস্ট হলো মহিলাদের ডিম্বাশয়ে বা তার উপরে তৈরি হওয়া তরল ভরা থলি। ডিম্বাশয় হলো জরায়ুর দুপাশে অবস্থিত দুটি ছোট অঙ্গ, যা ডিম উৎপাদন এবং ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মতো হরমোন তৈরির জন্য দায়ী। সিস্ট সাধারণত ডিম্বস্ফুরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তৈরি হয় বা অন্যান্য অন্তর্নিহিত অবস্থার কারণে হতে পারে।
“সিস্ট” শব্দটি শুনে অনেকে ভয় পেলেও সব সিস্ট ক্ষতিকর নয়। অনেক সিস্ট ফাংশনাল, অর্থাৎ এগুলো মাসিক চক্রের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ এবং সাধারণত কোনো চিকিৎসা ছাড়াই নিজে থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। তবে, কিছু সিস্ট থেকে যায়, বড় হয় বা লক্ষণ সৃষ্টি করে, যার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
ওভারিয়ান সিস্ট সম্পর্কে মূল তথ্য:
- প্রচলন: প্রায় ৮-১০% মহিলার জীবনের কোনো না কোনো সময়ে ওভারিয়ান সিস্ট হয়।
- ক্যান্সারের ঝুঁকি: ১% এরও কম সিস্ট ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়।
- বয়স: ১২ থেকে ৫০ বছর বয়সের মহিলাদের মধ্যে সিস্ট বেশি দেখা যায়, তবে মেনোপজের পরেও এটি হতে পারে।
- চিকিৎসা: বেশিরভাগ সিস্টের জন্য কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, তবে কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ বা অস্ত্রোপচার প্রয়োজন।
(২) ওভারিয়ান সিস্টের প্রকার

ওভারিয়ান সিস্ট বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এগুলোর প্রকৃতি, কারণ এবং চিকিৎসা ভিন্ন হয়। নিচে প্রধান ধরনগুলো বর্ণনা করা হলো-
ক) ফাংশনাল সিস্ট
ফাংশনাল সিস্ট সবচেয়ে সাধারণ এবং সাধারণত ক্ষতিকর নয়। এগুলো মাসিক চক্রের সময় ডিম্বাশয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তৈরি হয়। দুটি প্রধান ধরন:
- ফলিকুলার সিস্ট: ডিম্বাশয়ে একটি ফলিকল (ডিম ধারণকারী থলি) যদি ডিম্বস্ফুরণ না করে তরল জমা করে, তবে এটি ফলিকুলার সিস্টে পরিণত হয়।
- কর্পাস লুটিয়াম সিস্ট: ডিম্বস্ফুরণের পর ফলিকল কর্পাস লুটিয়ামে রূপান্তরিত হয়। এটি যদি তরল বা রক্ত জমা করে, তবে সিস্ট তৈরি হয়।
এই সিস্টগুলো সাধারণত ১-৩ মাসের মধ্যে নিজে থেকে চলে যায় এবং কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।
খ) এন্ডোমেট্রিওসিস সিস্ট (এন্ডোমেট্রিওমা)
এন্ডোমেট্রিওসিস একটি অবস্থা যেখানে জরায়ুর আস্তরণের মতো টিস্যু শরীরের অন্যান্য অংশে, যেমন ডিম্বাশয়ে, বৃদ্ধি পায়। এই টিস্যু যখন ডিম্বাশয়ে তরল বা রক্ত জমা করে, তখন এন্ডোমেট্রিওমা বা “চকলেট সিস্ট” তৈরি হয়।
- লক্ষণ: মাসিকের সময় তীব্র পেটে ব্যথা, সহবাসের সময় ব্যথা, এবং বন্ধ্যাত্ব।
- চিকিৎসা: ওষুধ বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই সিস্ট ফেলে রাখা যায় না, কারণ এটি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
গ) পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) একটি হরমোনাল সমস্যা, যেখানে ডিম্বাশয়ে একাধিক ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়। তবে এগুলো সত্যিকারের সিস্ট নয়, বরং অপরিপক্ক ফলিকল যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে তৈরি হয়।
- লক্ষণ: অনিয়মিত মাসিক, ওজন বৃদ্ধি, অতিরিক্ত লোম বৃদ্ধি, এবং বন্ধ্যাত্ব।
- চিকিৎসা: হরমোনাল ওষুধ, জীবনযাত্রার পরিবর্তন, এবং গর্ভধারণের জন্য বিশেষ চিকিৎসা।
ঘ) ডার্ময়েড সিস্ট
ডার্ময়েড সিস্ট জন্মগতভাবে তৈরি হয় এবং এতে চুল, ত্বক বা দাঁতের মতো টিস্যু থাকতে পারে। এগুলো সাধারণত ক্ষতিকর নয়, তবে বড় হলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
ঙ) সিস্টাডেনোমা
এই সিস্টগুলো ডিম্বাশয়ের বাইরের পৃষ্ঠে তৈরি হয় এবং তরল বা শ্লেষ্মা দিয়ে ভরা থাকে। এগুলো বড় হলে ব্যথা বা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
চ) ক্যান্সারাস সিস্ট
খুবই কম ক্ষেত্রে (১% এর কম) সিস্ট ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে। এগুলো সাধারণত মেনোপজের পরে বেশি দেখা যায়।
- লক্ষণ: পেট ফুলে যাওয়া, ক্ষুধা হ্রাস, এবং অব্যক্ত ওজন হ্রাস।
- চিকিৎসা: আল্ট্রাসাউন্ড, এমআরআই, বা রক্ত পরীক্ষা (CA-125) এর মাধ্যমে নির্ণয় এবং অস্ত্রোপচার।
(৩) ওভারিয়ান সিস্টের লক্ষণ
বেশিরভাগ ওভারিয়ান সিস্ট কোনো লক্ষণ সৃষ্টি করে না এবং রুটিন আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে ধরা পড়ে। তবে, যখন লক্ষণ দেখা দেয়, তখন সেগুলো হতে পারে-
- পেটে ব্যথা: মাসিকের সময় বা সারাক্ষণ হালকা থেকে তীব্র ব্যথা।
- পেট ফুলে যাওয়া: বড় সিস্টের কারণে পেট ফাঁপা বা ভারী লাগা।
- মাসিকের সমস্যা: অনিয়মিত মাসিক বা মাসিকের সময় অতিরিক্ত ব্যথা।
- সহবাসের সময় ব্যথা: এন্ডোমেট্রিওসিস সিস্টের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।
- বন্ধ্যাত্ব: কিছু সিস্ট, বিশেষ করে এন্ডোমেট্রিওমা বা PCOS, গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- অন্যান্য: বমি বমি ভাব, ঘন ঘন প্রস্রাব, বা ওজন বৃদ্ধি।
জরুরি লক্ষণ:
কিছু ক্ষেত্রে, সিস্ট ফেটে যাওয়া বা ডিম্বাশয়ের মোচড় (টর্শন) হতে পারে, যা জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন। এর লক্ষণগুলো হলো-
- হঠাৎ তীব্র পেটে ব্যথা
- জ্বর
- বমি বা মাথা ঘোরা
এই লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
(৪) ওভারিয়ান সিস্ট কেন হয়?

ওভারিয়ান সিস্টের কারণ বিভিন্ন হতে পারে-
- হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা: PCOS বা হরমোনাল ওষুধের কারণে সিস্ট তৈরি হতে পারে।
- এন্ডোমেট্রিওসিস: জরায়ুর টিস্যু ডিম্বাশয়ে ছড়িয়ে পড়লে সিস্ট হয়।
- গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায় কর্পাস লুটিয়াম সিস্ট তৈরি হতে পারে।
- জেনেটিক বা জন্মগত কারণ: ডার্ময়েড সিস্ট জন্ম থেকেই থাকতে পারে।
- পূর্ববর্তী সিস্ট: একবার সিস্ট হলে পুনরায় হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
(৫) ওভারিয়ান সিস্ট নির্ণয়
সিস্ট নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকরা সাধারণত নিম্নলিখিত পদ্ধতি ব্যবহার করেন-
- আল্ট্রাসাউন্ড: সিস্টের আকার, ধরন এবং অবস্থান নির্ণয়ের জন্য সবচেয়ে সাধারণ পরীক্ষা।
- রক্ত পরীক্ষা: CA-125 পরীক্ষা ক্যান্সারের ঝুঁকি মূল্যায়নের জন্য করা হয়, বিশেষ করে মেনোপজের পরে।
- এমআরআই বা সিটি স্ক্যান: জটিল সিস্টের ক্ষেত্রে বিস্তারিত চিত্রের জন্য।
- ল্যাপারোস্কোপি: সিস্টের প্রকৃতি নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য ছোট অস্ত্রোপচার।
(৬) ওভারিয়ান সিস্ট দূর করার উপায় সমূহ

চিকিৎসা নির্ভর করে সিস্টের ধরন, আকার, লক্ষণ এবং রোগীর বয়সের উপর।
ক) পর্যবেক্ষণ
ছোট এবং লক্ষণবিহীন ফাংশনাল সিস্টের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা সাধারণত “অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণ” পদ্ধতি অনুসরণ করেন। এর মধ্যে নিয়মিত আল্ট্রাসাউন্ড করা হয় যাতে সিস্টের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যায়।
খ) ওষুধ
- হরমোনাল ওষুধ: জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সিস্টের পুনরাবৃত্তি কমাতে সাহায্য করে।
- ব্যথার ওষুধ: ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ (NSAIDs)।
- PCOS চিকিৎসা: মেটফরমিন বা অন্যান্য হরমোনাল ওষুধ মাসিক নিয়মিত করতে এবং গর্ভধারণে সহায়তা করে।
গ) অস্ত্রোপচার
বড়, লক্ষণ সৃষ্টিকারী, বা ক্যান্সারের ঝুঁকিপূর্ণ সিস্টের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে। দুটি প্রধান পদ্ধতি:
- ল্যাপারোস্কোপি: ছোট ছেদের মাধ্যমে সিস্ট অপসারণ, যা দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়ক।
- ল্যাপারোটমি: বড় সিস্ট বা ক্যান্সার সন্দেহ হলে বড় ছেদের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার।
এন্ডোমেট্রিওসিস বা PCOS-এর ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব নিরসনের জন্য বিশেষ চিকিৎসা দেওয়া হয়, যেমন IVF (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন)।
ঘ) জীবনযাত্রার পরিবর্তন
PCOS বা অন্যান্য হরমোনাল সমস্যার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা গুরুত্বপূর্ণ:
- সুষম খাদ্য
- নিয়মিত ব্যায়াম
- ওজন নিয়ন্ত্রণ
- মানসিক চাপ কমানো
(৭) মেনোপজের পরে সিস্টঃ বিশেষ সতর্কতা
৫০ বছরের বেশি বয়সে বা মেনোপজের পরে ওভারিয়ান সিস্ট হলে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। এই সময়ে সিস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
করণীয়:
- অবিলম্বে গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
- আল্ট্রাসাউন্ড, এমআরআই, বা CA-125 রক্ত পরীক্ষা করান।
- প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুত থাকুন।
(৮) সিস্ট প্রতিরোধের উপায়
সম্পূর্ণভাবে সিস্ট প্রতিরোধ সম্ভব না হলেও কিছু পদক্ষেপ ঝুঁকি কমাতে পারে-
- নিয়মিত গাইনোকোলজিকাল চেকআপ।
- হরমোনাল ভারসাম্য বজায় রাখতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা।
- এন্ডোমেট্রিওসিস বা PCOS-এর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা।
(৯) সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
প্রশ্ন: ওভারিয়ান সিস্ট কি সবসময় ক্যান্সারের কারণ?
উত্তর: না, ১% এরও কম সিস্ট ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়। তবে মেনোপজের পরে সিস্ট হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রশ্ন: সিস্টের জন্য কি অস্ত্রোপচার সবসময় প্রয়োজন?
উত্তর: না, বেশিরভাগ সিস্ট নিজে থেকে চলে যায়। অস্ত্রোপচার শুধু বড়, লক্ষণ সৃষ্টিকারী, বা ক্যান্সার সন্দেহজনক সিস্টের ক্ষেত্রে প্রয়োজন।
প্রশ্ন: PCOS কি সিস্ট?
উত্তর: PCOS একটি হরমোনাল সমস্যা, যেখানে ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট অপরিপক্ক ফলিকল তৈরি হয়। এটি সত্যিকারের সিস্ট নয় এবং ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
প্রশ্ন: সিস্ট কি বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করে?
উত্তর: কিছু সিস্ট, যেমন এন্ডোমেট্রিওমা বা PCOS, গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তবে সঠিক চিকিৎসায় এই সমস্যা সমাধান সম্ভব।
(১০) শেষ কথা
ওভারিয়ান সিস্ট একটি সাধারণ অবস্থা, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষতিকর নয়। তবে সঠিক তথ্য এবং চিকিৎসকের পরামর্শ এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ।
আশাকরি উপরোক্ত আলোচনা পড়ে আপনি ওভারিয়ান সিস্ট কি, ওভারিয়ান সিস্ট কেন হয়, ওভারিয়ান সিস্ট দূর করার উপায় সমূহ কি কি রয়েছে; প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।
আপনার যদি সিস্ট সংক্রান্ত লক্ষণ থাকে বা এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তবে একজন গাইনোকোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন। নিয়মিত চেকআপ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করবে।
মানব শরীর ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট স্বাস্থ্য’ (inbangla.net/sastho) এর সাথেই থাকুন।
অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।