Skip to content

ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে কী বোঝায়? ক্লাউড কম্পিউটিং এর উদাহরণ

ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে কী বোঝায়, ক্লাউড কম্পিউটিং এর উদাহরণ

প্রযুক্তির জগতে ক্লাউড কম্পিউটিং একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি এমন একটি ধারণা যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে—ব্যক্তিগত থেকে পেশাদার, শিক্ষা থেকে বিনোদন—গভীর প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু ক্লাউড কম্পিউটিং আসলে কী?

ক্লাউড কম্পিউটিং ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন কম্পিউটিং সেবা—যেমন স্টোরেজ, সার্ভার, ডাটাবেস, সফটওয়্যার—প্রদানের একটি পদ্ধতি। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজেদের হার্ডওয়্যার বা ফিজিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচারে বিনিয়োগ না করে প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা গ্রহণ করতে পারেন। এটি একটি “ভাড়ার সেবা” বলা যায়, যেখানে আপনি শুধুমাত্র যা ব্যবহার করেন তার জন্য অর্থ প্রদান করেন।

এই ব্লগ পোস্টে আমরা ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে কী বোঝায়, ক্লাউড কম্পিউটিং-এর বিভিন্ন উদাহরণ নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করব। আমরা দেখব কীভাবে এই প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবন, ব্যবসায়িক কার্যক্রম, শিক্ষা এবং এমনকি স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা প্রতিটি উদাহরণের কার্যপ্রণালী, সুবিধা-অসুবিধা এবং বাস্তব জীবনের প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করব। তাহলে চলুন, এই আকর্ষণীয় যাত্রা শুরু করা যাক!

(১) ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে কী বোঝায়?

ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে কী বোঝায়: ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটিং সেবা প্রদানকে বোঝায়, যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের নিজস্ব হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যারে বিনিয়োগ না করে দূরবর্তী সার্ভারের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করতে পারেন। এটি একটি “পে-অ্যাজ-ইউ-গো” মডেলের উপর ভিত্তি করে কাজ করে, যেখানে আপনি যতটুকু ব্যবহার করেন, ততটুকুর জন্য মূল্য পরিশোধ করেন।

ক্লাউড কম্পিউটিং-এর প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে-

  1. স্টোরেজ: ডেটা সংরক্ষণের জন্য ক্লাউড সার্ভার ব্যবহার (যেমন, Google Drive, Dropbox)।
  2. কম্পিউটিং পাওয়ার: দূরবর্তী সার্ভারে প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ব্যবহার (যেমন, AWS, Microsoft Azure)।
  3. সফটওয়্যার: ইন্টারনেটের মাধ্যমে সফটওয়্যার অ্যাক্সেস (যেমন, Google Docs)।
পড়ুন
ক্লাউড কম্পিউটিং কি? আইসিটি (HSC)

এর সুবিধার মধ্যে রয়েছে খরচ সাশ্রয়, স্কেলেবিলিটি (প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পদ বাড়ানো বা কমানো), এবং যেকোনো স্থান থেকে অ্যাক্সেসের সুবিধা। তবে, এর চ্যালেঞ্জ হলো ডেটা নিরাপত্তা এবং ইন্টারনেট সংযোগের উপর নির্ভরতা।

সহজভাবে বলতে গেলে, ক্লাউড কম্পিউটিং হলো এমন একটি সিস্টেম, যেখানে আপনার কম্পিউটারের কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কারো সার্ভারে সম্পন্ন হয়।

এটি চিরাচরিত কম্পিউটিংয়ের তুলনায় অনেক বেশি নমনীয় এবং খরচ-সাশ্রয়ী। ক্লাউড কম্পিউটিং তিনটি প্রধান ধরনের সেবায় বিভক্তঃ ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাজ অ্যা সার্ভিস (IaaS), প্ল্যাটফর্ম অ্যাজ অ্যা সার্ভিস (PaaS), এবং সফটওয়্যার অ্যাজ অ্যা সার্ভিস (SaaS)। এই প্রতিটি ধরনের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং উদাহরণ রয়েছে, যা আমরা এখানে ক্লাউড কম্পিউটিং-এর উদাহরণগুলো বিস্তারিতভাবে দেখব।

ক্লাউড কম্পিউটিং-এর ধারণাটি বোঝার জন্য আমরা একটি দৈনন্দিন উপমা ব্যবহার করতে পারি। ধরুন, আপনি একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। আপনি সেই বাড়ির মালিক নন, কিন্তু আপনি এটি ব্যবহার করছেন এবং প্রতি মাসে ভাড়া দিচ্ছেন। ক্লাউড কম্পিউটিংও অনেকটা তাই—আপনি নিজে কোনো সার্ভার বা হার্ডওয়্যার কিনছেন না, বরং একটি তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে সেবা ভাড়া নিচ্ছেন। এই সেবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার কাছে পৌঁছে যায়, যাকে আমরা “ক্লাউড” বলি।

ক্লাউড কম্পিউটিং-এর তিনটি প্রধান মডেল রয়েছে-

  1. ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাজ আ সার্ভিস (IaaS): যেমন সার্ভার, স্টোরেজ।
  2. প্ল্যাটফর্ম অ্যাজ আ সার্ভিস (PaaS): অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য প্ল্যাটফর্ম।
  3. সফটওয়্যার অ্যাজ আ সার্ভিস (SaaS): সরাসরি সফটওয়্যার ব্যবহার।

এই প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। এটি খরচ কমায়, স্কেলেবিলিটি প্রদান করে এবং যেকোনো স্থান থেকে অ্যাক্সেসের সুযোগ দেয়। এখন চলুন, কিছু বাস্তব উদাহরণ দেখি যা আমাদের জীবনে ক্লাউড কম্পিউটিং-এর প্রভাব তুলে ধরে।

(২) প্রকারভেদসহ ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের উদাহরণ

ক) ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাজ অ্যা সার্ভিস (IaaS)

IaaS হলো ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মৌলিক স্তর, যেখানে ব্যবহারকারীরা ভার্চুয়াল মেশিন, স্টোরেজ এবং নেটওয়ার্কিং সুবিধা পান। এটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের নিজস্ব ডেটা সেন্টার স্থাপনের খরচ ও জটিলতা থেকে মুক্তি দেয়।

  • উদাহরণ: Amazon Web Services (AWS)
    AWS হলো IaaS-এর একটি শীর্ষস্থানীয় উদাহরণ। এটি ব্যবহারকারীদের ভার্চুয়াল সার্ভার (EC2), স্টোরেজ (S3), এবং নেটওয়ার্কিং সেবা প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইট হোস্ট করতে AWS-এর EC2 ইন্সট্যান্স ব্যবহার করতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সার্ভারের ক্ষমতা বাড়াতে বা কমাতে পারে। AWS-এর S3 ব্যবহার করে তারা তাদের ডেটা নিরাপদে সংরক্ষণ করতে পারে।
  • উদাহরণ: Microsoft Azure
    Azure আরেকটি জনপ্রিয় IaaS প্রদানকারী। এটি ভার্চুয়াল মেশিন, ক্লাউড স্টোরেজ এবং নেটওয়ার্কিং সেবা দেয়। অনেক বড় প্রতিষ্ঠান তাদের ডেটা ব্যাকআপ এবং ডিজাস্টার রিকভারির জন্য Azure ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ব্যাংক তাদের গ্রাহক ডেটা সুরক্ষিত রাখতে Azure-এর স্টোরেজ সেবা ব্যবহার করতে পারে।
  • উদাহরণ: Google Cloud Platform (GCP)
    GCP-ও IaaS সেবা প্রদান করে। এটি গুগলের শক্তিশালী ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটিং শক্তি ও স্টোরেজ সরবরাহ করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি গেমিং কোম্পানি তাদের সার্ভারের জন্য GCP ব্যবহার করতে পারে, যাতে হঠাৎ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সেবা অব্যাহত থাকে।
পড়ুন
ক্লাউড কম্পিউটিং কি? আইসিটি (HSC)

খ) প্ল্যাটফর্ম অ্যাজ অ্যা সার্ভিস (PaaS)

PaaS ডেভেলপারদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে, যেখানে তারা সফটওয়্যার তৈরি, পরীক্ষা এবং ডিপ্লয় করতে পারে। এটি হার্ডওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেম পরিচালনার ঝামেলা দূর করে।

  • উদাহরণ: Google App Engine
    Google App Engine ডেভেলপারদের তাদের অ্যাপ্লিকেশন সরাসরি ক্লাউডে ডিপ্লয় করার সুযোগ দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি স্টার্টআপ তাদের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন দ্রুত লঞ্চ করতে এটি ব্যবহার করতে পারে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কেলিংয়ের সুবিধা দেয়, যা ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী সম্পদ বাড়ায়।
  • উদাহরণ: Heroku
    Heroku একটি PaaS যা ডেভেলপারদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা সমর্থন করে এবং সহজেই অ্যাপ্লিকেশন স্কেল করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, একটি ছোট টিম তাদের প্রথম মোবাইল অ্যাপ Heroku-তে হোস্ট করতে পারে এবং সার্ভার পরিচালনার চিন্তা না করে শুধু কোডিংয়ে মনোযোগ দিতে পারে।
  • উদাহরণ: Microsoft Azure App Service
    Azure App Service ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন এবং API তৈরির জন্য একটি PaaS সেবা। এটি ব্যবহার করে একটি কোম্পানি তাদের গ্রাহক সেবা পোর্টাল তৈরি করতে পারে। এটি ডেভেলপারদের জন্য দ্রুত ডিপ্লয়মেন্ট এবং পরীক্ষার সুবিধা দেয়।

গ) সফটওয়্যার অ্যাজ অ্যা সার্ভিস (SaaS)

SaaS হলো এমন একটি সেবা যেখানে ব্যবহারকারীরা সরাসরি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারে, ইনস্টলেশন বা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন ছাড়াই।

  • উদাহরণ: Google Workspace
    Google Workspace (পূর্বে G Suite) Gmail, Google Drive, Docs, Sheets ইত্যাদি প্রদান করে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের জন্য এটি ব্যবহার করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষকরা Google Docs-এ অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করতে পারেন এবং ছাত্ররা তা অনলাইনে জমা দিতে পারে।
  • উদাহরণ: Microsoft 365
    Microsoft 365-এ Word, Excel, PowerPoint এবং Teams-এর মতো সফটওয়্যার রয়েছে। একটি অফিস তাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য এটি ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি টিম Microsoft Teams-এ মিটিং করতে পারে এবং Excel-এ ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে।
  • উদাহরণ: Dropbox
    Dropbox একটি ক্লাউড স্টোরেজ SaaS। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের ফাইল সংরক্ষণ ও শেয়ার করতে এটি ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ফ্রিল্যান্সার তাদের ক্লায়েন্টের সাথে ফাইল শেয়ার করতে Dropbox ব্যবহার করতে পারে।
পড়ুন
ক্লাউড কম্পিউটিং কি? আইসিটি (HSC)

(২) নিত্য ব্যবহৃত কিছু ক্লাউড কম্পিউটিং-এর উদাহরণ

ক) গুগল ড্রাইভ (Google Drive)

এটি কী?

গুগল ড্রাইভ হলো ক্লাউড কম্পিউটিং-এর একটি সবচেয়ে সাধারণ এবং জনপ্রিয় উদাহরণ। এটি গুগলের একটি সেবা যা ব্যবহারকারীদের ফাইল সংরক্ষণ, শেয়ারিং এবং সম্পাদনার সুবিধা প্রদান করে। এটি SaaS মডেলের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

কীভাবে কাজ করে?

আপনি যদি একটি ছবি, ডকুমেন্ট বা ভিডিও গুগল ড্রাইভে আপলোড করেন, তবে তা গুগলের দূরবর্তী সার্ভারে সংরক্ষিত হয়। আপনি যেকোনো ডিভাইস—মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট বা এমনকি একটি পাবলিক কম্পিউটার—থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এটি অ্যাক্সেস করতে পারেন। গুগল ড্রাইভের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর রিয়েল-টাইম কোলাবোরেশন সুবিধা, যার মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি একই ফাইলে একসাথে কাজ করতে পারে।

বাস্তব জীবনের উদাহরণ:

ধরুন, আপনি একজন শিক্ষার্থী এবং আপনার গ্রুপ প্রজেক্টের জন্য একটি প্রেজেন্টেশন তৈরি করছেন। আপনি গুগল স্লাইডে প্রেজেন্টেশনটি তৈরি করে গুগল ড্রাইভে সেভ করেন। তারপর আপনি আপনার সহপাঠীদের সাথে লিঙ্কটি শেয়ার করেন। তারা তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে একই সাথে ফাইলটি সম্পাদনা করতে পারে। আপনি যদি একটি স্লাইডে ছবি যোগ করেন, তবে তা তৎক্ষণাৎ অন্যদের কাছেও দৃশ্যমান হয়। এমনকি আপনার কম্পিউটার বন্ধ থাকলেও কাজ চলতে থাকে।

সুবিধা:

  • গুগল প্রতিটি ব্যবহারকারীকে ১৫ জিবি বিনামূল্যে স্টোরেজ দেয়।
  • লিঙ্কের মাধ্যমে ফাইল শেয়ার করা যায়।
  • যেকোনো ডিভাইস থেকে অ্যাক্সেস সম্ভব।
  • হার্ডড্রাইভ নষ্ট হলেও ডাটা নিরাপদ থাকে।

অসুবিধা:

  • ইন্টারনেট ছাড়া অফলাইন অ্যাক্সেস সীমিত।
  • কিছু ব্যবহারকারী তাদের ডাটা তৃতীয় পক্ষের সার্ভারে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ নাও করতে পারেন।

কেন জনপ্রিয়?

গুগল ড্রাইভের সরলতা এবং বিনামূল্যে সেবা এটিকে শিক্ষার্থী, ফ্রিল্যান্সার এবং ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় করে তুলেছে। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ক্লাউড কম্পিউটিং-এর একটি অপরিহার্য অংশ।

খ) আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস (AWS)

এটি কী?

পড়ুন
ক্লাউড কম্পিউটিং কি? আইসিটি (HSC)

আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস (AWS) হলো ক্লাউড কম্পিউটিং-এর একটি বিশাল প্ল্যাটফর্ম, যা আমাজন দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি IaaS, PaaS এবং SaaS—তিনটি মডেলেরই সেবা প্রদান করে। AWS সার্ভার, স্টোরেজ, ডাটাবেস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং আরও অনেক কিছু অফার করে।

কীভাবে কাজ করে?

AWS ব্যবহারকারীদের তাদের প্রয়োজনীয় কম্পিউটিং রিসোর্স ভাড়া দেয়। এটি “পে-অ্যাজ-ইউ-গো” মডেলে কাজ করে, অর্থাৎ আপনি যতটুকু ব্যবহার করবেন ততটুকুর জন্যই খরচ হবে। উদাহরণস্বরূপ, একটি কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য AWS-এর সার্ভার ব্যবহার করতে পারে। ব্যবহারকারীদের চাহিদা বাড়লে সার্ভার ক্ষমতাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ানো যায়।

বাস্তব জীবনের উদাহরণ:

নেটফ্লিক্স, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম, তার পুরো অপারেশন AWS-এর উপর নির্ভর করে। লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী যখন একই সাথে ভিডিও স্ট্রিম করেন, তখন AWS তাদের ডাটা স্টোরেজ, ব্যান্ডউইথ এবং দ্রুত সার্ভিস প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যখন একটি সিনেমা দেখছেন, তখন AWS নিশ্চিত করে যে ভিডিওটি বাফারিং ছাড়াই চলে।

আরেকটি উদাহরণ:

একটি স্টার্টআপ কোম্পানি তাদের নতুন অ্যাপ লঞ্চ করতে চায়। তারা নিজস্ব সার্ভার কেনার পরিবর্তে AWS থেকে সার্ভার ভাড়া নেয়। প্রাথমিকভাবে তাদের ব্যবহারকারী কম থাকায় খরচ কম হয়। কিন্তু অ্যাপটি জনপ্রিয় হলে AWS তাদের সার্ভার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, যা তাদের ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

সুবিধা:

  • প্রয়োজন অনুযায়ী রিসোর্স বাড়ানো বা কমানো যায়।
  • উচ্চমানের ডাটা এনক্রিপশন এবং সুরক্ষা।
  • নিজস্ব সার্ভার রক্ষণাবেক্ষণের ঝামেলা এবং খরচ নেই।
  • AWS-এর সার্ভার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে, যা দ্রুত সার্ভিস নিশ্চিত করে।

অসুবিধা:

  • নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য AWS-এর ইন্টারফেস বোঝা কঠিন হতে পারে।
  • ব্যবহার বাড়লে খরচও বাড়তে পারে।

কেন গুরুত্বপূর্ণ?

AWS বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি যেমন নেটফ্লিক্স, এয়ারবিএনবি, এবং এমনকি NASA পর্যন্ত ব্যবহার করে। এটি ক্লাউড কম্পিউটিং-এর ব্যবসায়িক সম্ভাবনার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।

গ) মাইক্রোসফট অফিস ৩৬৫ (Microsoft Office 365)

এটি কী?

পড়ুন
ক্লাউড কম্পিউটিং কি? আইসিটি (HSC)

মাইক্রোসফট অফিস ৩৬৫ হলো একটি ক্লাউড-ভিত্তিক সফটওয়্যার স্যুট, যেখানে ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট এবং OneDrive-এর মতো টুল রয়েছে। এটি SaaS মডেলের একটি উদাহরণ।

কীভাবে কাজ করে?

আপনি যখন অফিস ৩৬৫ ব্যবহার করেন, আপনার ফাইলগুলো মাইক্রোসফটের ক্লাউডে (OneDrive) সংরক্ষিত হয়। আপনি যেকোনো ডিভাইস থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এগুলো অ্যাক্সেস এবং সম্পাদনা করতে পারেন। এটি রিয়েল-টাইম কোলাবোরেশনের সুবিধাও দেয়।

বাস্তব জীবনের উদাহরণ:

একটি কোম্পানির মার্কেটিং টিম একটি শেয়ার্ড এক্সেল ফাইল ব্যবহার করে তাদের মাসিক বাজেট ট্র্যাক করে। দলের সদস্যরা বিভিন্ন শহরে থাকলেও তারা একই সাথে ডাটা আপডেট করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একজন সদস্য যদি বাজেটের একটি অংশে পরিবর্তন করে, তবে তা তৎক্ষণাৎ সবার কাছে দৃশ্যমান হয়।

আরেকটি উদাহরণ:

একজন শিক্ষক তাদের ছাত্রদের জন্য একটি ওয়ার্ড ডকুমেন্টে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে এবং OneDrive-এ শেয়ার করেন। ছাত্ররা তাদের উত্তর লিখে একই ফাইলে জমা দিতে পারে।

সুবিধা:

  • ম্যানুয়াল আপডেটের প্রয়োজন নেই।
  • একাধিক ব্যবহারকারী একসাথে কাজ করতে পারে।
  • যেকোনো জায়গা থেকে অ্যাক্সেস সম্ভব।
  • ডাটা নিরাপদে সংরক্ষিত থাকে।

অসুবিধা:

  • এটি বিনামূল্যে নয়, বার্ষিক বা মাসিক ফি দিতে হয়।
  • অফলাইন কার্যক্ষমতা সীমিত।

কেন জনপ্রিয়?

অফিস ৩৬৫ আধুনিক কর্মক্ষেত্রে দলগত কাজ এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি শিক্ষা এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

ঘ) ড্রপবক্স (Dropbox)

এটি কী?

ড্রপবক্স হলো আরেকটি জনপ্রিয় ক্লাউড স্টোরেজ সেবা, যা ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক উভয় কাজের জন্য উপযোগী। এটিও SaaS মডেলের একটি উদাহরণ।

কীভাবে কাজ করে?

আপনি ফাইল আপলোড করলে তা ড্রপবক্সের সার্ভারে সংরক্ষিত হয়। আপনি লিঙ্কের মাধ্যমে অন্যদের সাথে ফাইল শেয়ার করতে পারেন। এটি ডিভাইসের সাথে সিঙ্ক্রোনাইজেশনও করে, যাতে আপনার ফাইল সব ডিভাইসে একই থাকে।

বাস্তব জীবনের উদাহরণ:

একজন ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনার তাদের ক্লায়েন্টের জন্য একটি বড় ডিজাইন ফাইল ড্রপবক্সে আপলোড করে। ক্লায়েন্ট লিঙ্কের মাধ্যমে ফাইলটি ডাউনলোড করে এবং মতামত দেয়। যদি ফাইলটিতে পরিবর্তন করা হয়, তবে সেই আপডেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছে যায়।

পড়ুন
ক্লাউড কম্পিউটিং কি? আইসিটি (HSC)

আরেকটি উদাহরণ:

একটি ছোট ব্যবসা তাদের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ব্যাকআপের জন্য ড্রপবক্স ব্যবহার করে। অফিসে আগুন লাগলেও তাদের ডাটা নিরাপদ থাকে।

সুবিধা:

  • সহজ ইন্টারফেস: ব্যবহার করা সহজ।
  • সিঙ্ক্রোনাইজেশন: সব ডিভাইসে ফাইল একই থাকে।
  • শেয়ারিং: বড় ফাইল শেয়ার করা সহজ।

অসুবিধা:

  • সীমিত বিনামূল্যে স্টোরেজ: মাত্র ২ জিবি ফ্রি স্টোরেজ।
  • খরচ: বেশি স্টোরেজের জন্য অর্থ দিতে হয়।

কেন জনপ্রিয়?

ড্রপবক্স তার সরলতা এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য ফ্রিল্যান্সার এবং ছোট ব্যবসার কাছে প্রিয়। এটি ব্যক্তিগত ফাইল ব্যাকআপের জন্যও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

ঙ) সেলসফোর্স (Salesforce)

এটি কী?

সেলসফোর্স হলো একটি ক্লাউড-ভিত্তিক CRM (Customer Relationship Management) প্ল্যাটফর্ম, যা ব্যবসায়ীদের গ্রাহক সম্পর্ক পরিচালনায় সহায়তা করে। এটি SaaS মডেলের একটি উদাহরণ।

কীভাবে কাজ করে?

সেলসফোর্স গ্রাহকের তথ্য, বিক্রয় ডাটা এবং মার্কেটিং কার্যক্রম ক্লাউডে সংরক্ষণ করে। ব্যবসায়ীরা এটি ব্যবহার করে তাদের গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক উন্নত করতে পারে।

বাস্তব জীবনের উদাহরণ:

একটি ই-কমার্স কোম্পানি সেলসফোর্স ব্যবহার করে তাদের গ্রাহকদের ক্রয়ের ইতিহাস ট্র্যাক করে। তারা দেখতে পারে কোন গ্রাহক কী পছন্দ করেন এবং তাদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত অফার পাঠাতে পারে।

আরেকটি উদাহরণ:

একটি বীমা কোম্পানি সেলসফোর্স ব্যবহার করে তাদের ক্লায়েন্টদের ফলো-আপ পরিচালনা করে। এটি তাদের বিক্রয় দলকে আরও দক্ষ করে তোলে।

সুবিধা:

  • প্রক্রিয়া সহজতর হয়।
  • গ্রাহক আচরণ বোঝা সহজ।
  • ব্যবসা বাড়ার সাথে সাথে সেবা বাড়ানো যায়।

অসুবিধা:

  • ছোট ব্যবসার জন্য ব্যয়বহুল।
  • ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।

কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সেলসফোর্স বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য গ্রাহক সম্পর্ক ব্যবস্থাপনায় একটি শক্তিশালী টুল। এটি ক্লাউড কম্পিউটিং-এর ব্যবসায়িক প্রয়োগের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।

চ) জুম (Zoom)

এটি কী?

জুম হলো একটি ক্লাউড-ভিত্তিক ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম, যা মহামারীর সময় বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

কীভাবে কাজ করে?

জুম তার ক্লাউড সার্ভার ব্যবহার করে ভিডিও কল, ওয়েবিনার এবং মিটিং পরিচালনা করে। এটি ব্যবহারকারীদের ডাটা স্টোরেজ এবং রেকর্ডিং সুবিধাও দেয়।

পড়ুন
ক্লাউড কম্পিউটিং কি? আইসিটি (HSC)

বাস্তব উদাহরণ:

একটি কোম্পানি তাদের দূরবর্তী কর্মীদের সাথে সাপ্তাহিক মিটিংয়ের জন্য জুম ব্যবহার করে। মিটিং রেকর্ড করে ক্লাউডে সেভ করা যায়, যাতে পরে যারা উপস্থিত ছিলেন না তারা দেখতে পারেন।

সুবিধা:

  • ইন্টারফেস ব্যবহারকারী-বান্ধব।
  • যেকোনো স্থান থেকে যোগাযোগ সম্ভব।
  • মিটিং সংরক্ষণ করা যায়।

অসুবিধা

  • প্রাথমিকভাবে কিছু গোপনীয়তা সমস্যা ছিল।
  • দ্রুত গতির ইন্টারনেট প্রয়োজন।

(৩) বাস্তব জীবনে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের উদাহরণ

ক) শিক্ষা ক্ষেত্রে

বিশ্বব্যাপী অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, Google Classroom এবং Microsoft Teams শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে যোগাযোগ ও শিক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলো SaaS-এর উদাহরণ। একটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের লাইব্রেরি সিস্টেম ক্লাউডে হোস্ট করতে AWS ব্যবহার করতে পারে, যাতে ছাত্ররা যেকোনো সময় বইয়ের তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে।

খ) স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে

হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো রোগীর ডেটা সংরক্ষণের জন্য AWS বা Azure-এর মতো IaaS ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি হাসপাতাল তাদের ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড (EHR) ক্লাউডে সংরক্ষণ করতে পারে। এটি ডাক্তারদের যেকোনো স্থান থেকে রোগীর তথ্য দেখতে সাহায্য করে। SaaS-এর উদাহরণ হিসেবে, টেলিমেডিসিন প্ল্যাটফর্ম যেমন Doxy.me ক্লাউডে চলে।

গ) বিনোদন ক্ষেত্রে

Netflix এবং Spotify-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করে। Netflix AWS-এর উপর নির্ভর করে তাদের বিশাল ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা পরিচালনা করে। উদাহরণস্বরূপ, যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ একসাথে একটি নতুন সিরিজ দেখতে শুরু করে, AWS স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভার ক্ষমতা বাড়ায়। Spotify তাদের মিউজিক স্ট্রিমিংয়ের জন্য Google Cloud ব্যবহার করে।

ঘ) ই-কমার্স

Amazon এবং eBay-এর মতো ই-কমার্স সাইট ক্লাউড ব্যবহার করে তাদের ওয়েবসাইট পরিচালনা ও গ্রাহক ডেটা সংরক্ষণ করে। উদাহরণস্বরূপ, বড় বিক্রয় ইভেন্টের সময় যেমন Amazon Prime Day, তারা AWS ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের লোড সামলায়। একটি ছোট ই-কমার্স স্টোর Shopify-এর মতো SaaS ব্যবহার করতে পারে।

পড়ুন
ক্লাউড কম্পিউটিং কি? আইসিটি (HSC)

ঙ) গেমিং

ক্লাউড গেমিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Google Stadia এবং NVIDIA GeForce Now ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের শক্তি ব্যবহার করে। এগুলো গেমারদের শক্তিশালী হার্ডওয়্যার ছাড়াই উচ্চমানের গেম খেলতে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, Stadia গুগলের ক্লাউডে গেম রান করে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্ট্রিম করে।

চ) সরকারি সেবা

সরকারি প্রতিষ্ঠানও ক্লাউড ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের আধার প্রকল্প তাদের বিশাল ডেটাবেস ক্লাউডে সংরক্ষণ করে। এটি নাগরিকদের তথ্য দ্রুত অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করে।


পরিশেষে এটাই বলাই যায়, ক্লাউড কম্পিউটিং এর উদাহরণ অনেক বিস্তৃত।

ক্লাউড কম্পিউটিং ক্রমশ আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে। 5G প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT)-এর সাথে এর সমন্বয় ভবিষ্যতে আরও উন্নত সেবা নিয়ে আসবে। উদাহরণস্বরূপ, স্বাস্থ্যসেবায় ক্লাউড-ভিত্তিক টেলিমেডিসিন বা শিক্ষায় ভার্চুয়াল ক্লাসরুম আরও জনপ্রিয় হবে।

ক্লাউড কম্পিউটিং আজকের বিশ্বে একটি অপরিহার্য প্রযুক্তি হয়ে উঠেছে। এটি ব্যক্তি থেকে বড় প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত সবার জন্য সুবিধা নিয়ে এসেছে। উপরের উদাহরণগুলো থেকে আমরা দেখতে পাই যে, এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কীভাবে প্রভাব ফেলছে। AWS, Azure, Google Workspace-এর মতো সেবা আমাদের কাজকে সহজ করেছে। তবে নিরাপত্তা ও নির্ভরতার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে। ভবিষ্যতে এর ব্যবহার আরও বাড়বে এবং নতুন নতুন উদাহরণ আমাদের সামনে আসবে। ক্লাউড কম্পিউটিং আমাদের জীবনকে আরও সংযুক্ত ও দক্ষ করে তুলছে, এবং এটি প্রযুক্তির ভবিষ্যতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকবে।

ক্লাউড কম্পিউটিং আমাদের জীবনকে সহজ, দ্রুত এবং কার্যকর করে তুলেছে। গুগল ড্রাইভের মতো ব্যক্তিগত স্টোরেজ থেকে AWS-এর মতো ব্যবসায়িক সমাধান, জুম-এর মতো যোগাযোগ মাধ্যম—এর উদাহরণ অসংখ্য। এটি শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, বরং আমাদের জীবনধারার একটি অংশ। আপনি কোন ক্লাউড সেবা ব্যবহার করেন? আপনার অভিজ্ঞতা কেমন? কমেন্ট করে জানান!

টেকনোলজি বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট আইসিটি’ (inbangla.net/ict) এর সাথেই থাকুন।

অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।

Leave a Reply

nv-author-image

ইন বাংলা নেট আইসিটি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কিত যা কিছু বাংলাতে।View Author posts