Skip to content

 

গরুর খাদ্যঃ গবাদি পশুর খাদ্য কত প্রকার? গবাদি পশুর খাদ্য তালিকা

গরুর খাদ্যঃ গবাদি পশুর খাদ্য কত প্রকার, গবাদি পশুর খাদ্য তালিকা

(১) কেন গরুর খাদ্য তালিকার প্রতি যত্ন নিতে হবে?

কেন গবাদি পশুর খাদ্য তালিকার প্রতি যত্ন নিতে হবে

জীবন ধারনের জন্য খাদ্য অত্যাবশ্যক। ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য যে সব দ্রব্য গ্রহনের মাধ্যমে দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন ও শক্তি উৎপাদিত হয় তাকে খাদ্য বলে।

১. দেহের তাপ সংরক্ষণ, শক্তি উৎপাদন, ক্ষয়পূরণ, রোগ প্রতিরোধ ও সর্বোপরি জীবন ধারনের জন্য খাদ্য অপরিহার্য বাড়ন্ত অবস্থায় পশুর সুষ্ঠভাবে দৈহিক বৃদ্ধির জন্য খাদ্য আবশ্যক।

২. পশুর সময়মত গরম হওয়া, গর্ভধারন, বাচ্চা প্রসব তথা পশুর উর্বরতা রক্ষার জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়ােজন। এছাড়া গর্ভবতী পশুর গর্ভস্থ বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধির জন্য খাদ্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

৩. পশুর দুধ উৎপাদনের পরিমানের উপর পশু খাদ্যের উৎপাদন ও পরিমান বৃদ্ধি আবশ্যক। অর্থাৎ গাভীকে খাদ্য সরবরাহের উপর তার দুধের পরিমান ও মান নির্ভর করে।

৪. পশুর কাজের ধরন ও পরিশ্রমের উপর পশু খাদ্য সরবরাহ প্রয়ােজন। অর্থাৎ পশু শক্তি ব্যবহারের প্রয়ােজন অনুযায়ী উপযুক্ত পরিমান খাদ্যের দরকার পড়ে।

৫. পশুর মাংস প্রােটিনযুক্ত। তাই উৎকৃষ্ট মানের মাংসের জন্য উপযুক্ত খাদ্য সরবরাহ প্রয়ােজন। সুষম পশু খাদ্য পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্যের সকল উপাদান থাকে।

(২) গবাদি পশুর খাদ্য কত প্রকার? গবাদি পশুর খাদ্য উপাদান

গবাদি পশুর খাদ্য কত প্রকার, গবাদি পশুর খাদ্য তালিকা, গরুর খাদ্য, গরু পালন

প্রধানত ৬ প্রকার খাদ্য উপাদান আছে যথা-

১. পানি

  • উৎস: স্বাভাবিক পানি।
  • অত্যাবশ্যকীয় কাজ: দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য পরিমাপক।
  • অভাব জনিত উপসর্গ: হজমে ব্যাঘাত, দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, দুধ উৎপাদত হ্রাস।

২. শর্করা

  • উৎস: চিনি, লালীগুড়, গম, চাল, ভুট্টা, ঘাস, খড়।
  • অত্যাবশ্যকীয় কাজ:  দেহের তাপ ও শক্তির উৎস।
  • অভাব জনিত উপসর্গ: পশুর ওজন হ্রাস, দুধ উৎপাদন কমে যাওয়িা, গাভীর কিটোসিস রোগ।

৩. আমিষ

  • উৎস: শুটকি মাছের গুড়া, খৈল, ডাল ইত্যাদি।
  • অত্যাবশ্যকীয় কাজ: শরীরের বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বজায় রাখে।
  • অভাব জনিত উপসর্গ: বাড়ন ব্যাহত, দূর্বলতা, দৈহিক ওজন হ্রাস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, দৈহিক বৃদ্ধি হ্রাস।

৪. চর্বি

  • উৎস: উদ্ভিজ্জ তৈল।
  • অত্যাবশ্যকীয় কাজ: দেহের তাপ ও শক্তি উৎপাদন।
  • অভাব জনিত উপসর্গ: পানি পান বৃদ্ধি ও দেহে পানি ধরা, দেহের ওজন হ্রাস ও বাড়ন ব্যাহত।

৫. খনিজ।

৬. ভিটামিন।

See also  সাইলেজ কি? সাইলেজ কোন ধরনের খাদ্য? সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি ও সাইলেজ তৈরিতে সাবধানতা

(৩) দুগ্ধবতী গবাদি পশুর খাদ্য তালিকা

৫ কেজি দুধের জন্য-

১. কাঁচা (সবুজ) ঘাস ⇒ ১৪-১৫ কেজি।

২. দানাদার খাদ্য মিশ্রন ⇒ ৩ কেজি।

৩. আয়ােডিন লবন ⇒ ১০০ গ্রাম।

৪. পরিস্কার পানি ⇒ যথেষ্ট পরিমান।

৫. ইউরিয়া মিস্রিত ⇒ ০.৫ কেজি।

(৪) গবাদি পশুর দানাদার খাদ্য মিশ্রন তৈরি

উদাহরণস্বরূপ ৩ কেজি মিশ্রণের জন্য-

১. গমের ভুষি ⇒ ১ কেজি

. চালের কুঁড়া ⇒ ১ কেজি

৩. খেসারি ভাংগা ⇒ ৫০০ গ্রাম

৪. তিল/বাদামের খৈল ⇒ ৩০০ গ্রাম

৫. ভিটামিন প্রিমিক্স ⇒ ১০০ গ্রাম

৬. লবন ⇒ ১০০ গ্রাম

এভাবে মিশ্রিত খাদ্য প্রতিদিন ৩-৪ বারে খাওয়াতে হবে এবং পাশাপাশি ১৪-১৫ কেজি সবুজ কাঁচা ঘাস দিতে হবে। পরবর্তী অতিরিক্ত ৩ কেজি দুধের জন্য অতিরিক্ত আরও ১ কেজি দানাদার খাদ্য খাওয়াতে হবে।

(৫) ইউরিয়া এর মাধ্যমে খড় প্রক্রিয়াজাতকরণ

ইউরিয়া এর মাধ্যমে খড় প্রক্রিয়াজাতকরণ

এলাকায় পুষ্টিকর সবুজ গো খাদ্যের অভাব রয়েছে, ফলে গবাদি পশু হতে দুধ ও মাংসের উৎপাদন খুবই কম এবং প্রতিটি গাভীর গড় বাচ্চাদানের সংখ্যাও আশংকাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে প্রচলিত প্রধান গো-খাদ্য খাদ্যমান বৃদ্ধি ও সহজ পাচ্য করার উদ্দেশ্যে সহজ খড় প্রক্রিয়াজাত করে খাওয়ানো দরকার।

পদ্ধতি:

⇒ মোট খড়ের ওজনের শতকরা ৫ ভাগ ইউরিয়া, খড়ের ওজনের সমপরিমাণ পানির সাথে ভালভাবে গুলানোর পর ইউরিয়া মিশ্রিত পানি কড়ের সাথে সমভাবে ছিটিয়ে মেশাতে হবে। (অর্থাৎ প্রতি ১০০ কেজি খড়ের ৫ কেজি ইউরিয়া সার ও ১০০লিটার পানি)।

⇒ ইউরিয়া পানি মিশ্রিত খড় সম্পূর্ণ আবদ্ধ অবস্থায় কোন পাত্রে অথবা মাটির গর্তে ৭-১০ দিন পলিথিন, চট, ইত্যাদি দিয়ে ঢেকে চাপা দিয়ে রাখতে হয়। যাতে কোন ক্রমেই বাইরের বাতাস বা বৃষ্টির পানির সংস্পর্শে না আসে। ইউরিয়া খড়ের মিশ্রণ এভাবে ৭-১০দিন সম্পূর্ণ আবদ্ধ অবস্থায় রাখার পর গবাদি পশুকে খাওয়ানোর উপযোগী হয়।

⇒ পশু প্রাথমিকভাবে প্রক্রিয়াজাত খড় খেতে সামান্য আপত্তি করতে পারে। কিন্তু ২-১ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ অভ্যস্ত হয়ে যায়।

⇒ ৭-১০ দিন সম্পূর্ণ আবদ্ধ অবস্থায় থাকলে খড় নরম ও সহজ পাচ্য এবং ইউরিয়া হতে এ্যামোনিয়া নির্গত হয়ে খড়ের সাথে মিশে যায়। এই এ্যামোনিয়া গবাদি পশুর পাকস্থরীতে বসবাসকারী কীট বা মাইক্রোফ্লোরা আমিষ জাতীয় খাদ্যে রূপান্তরিত করে পশুর আমিষ জাতীয় কাদ্য ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে।

⇒ বন্যা মুক্ত স্থানে পাশাপাশি ২টি ১মিটার ব্যাস (৩ ফুট ৩ ইঞ্চি) ও ১ মিটার গভীর (সামান্য চালু রেখে) মাটিতে গর্ত করে নীচের দিকটা ভাল করে পিটিয়ে দরমুজ করে সমান করে নিয়ে ২ ইঞ্চি (বালি খােয়া ও সিমেন্টের মিশ্রণ দিয়ে) ঢালাই করে নিতে হবে এবং গর্তের পার্শ্বে ১ ইঞ্চি প্লাষ্টার ও উপরের অংশে ১ মিটার ব্যাসের রিং ফরমা বসিয়ে মাটির উপরে জেগে থাকা অংশ (৪ ইঞ্চি-৬ ইঞ্চি) সিমেন্ট,বালি ও খােয়র মিশ্রন দিয়ে নকশা অনুযায়ী ঢালাই করে শক্তিশালী করতে হবে যাতে কাজের সময় গর্তে ওঠানামা করাতে ভেঙ্গে না যায়।

See also  সাইলেজ ও হে তৈরির পদ্ধতির ব্যবহার করে ঘাস সংরক্ষণ
ইউরিয়া খড় প্রক্রিয়াজাতকরণ গরুর খাদ্য তৈরি

⇒ পরিশেষে গর্তের ভিতরের অংশের দেওয়াল ও মেঝে প্রতিবারে আনুমানিক ৬০-৭০ কেজি খড় প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব, সাধারণত এরূপ ২টি গর্তের প্রয়ােজন হয়। বেশী সংখ্যক গবাদি পশু থাকলে প্রয়ােজন অনুসারে গর্তের আকার ও গভীরতা বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত পরিমাণ খড় প্রক্রিয়াজাত করা যেতে পারে।

(৬) ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউএমএস) প্রস্তুত ও গবাদি পশুকে খাওয়ানো

ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউএমএস) প্রস্তুত ও গবাদি পশুকে খাওয়ানো

আমিষের উৎস হিসেবে ইউরিয়া, শর্করা ও খনিজের উৎস হিসেবে মোলাসেসের (চিটা গুড়) জুরি মেলা ভার! 

ইউরিয়া ও নালীগুড় মিশ্রিত প্রক্রিয়াজাত খড় কে ইউএমএস বলে। ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র গরু সাধারণত আগ্রহের সাথে খেয়ে থাকে। এতে ওজন ও উৎপাদন উভয়ই বৃদ্ধি পায়। সর্বোপরি এটি একটি লাভজনক ও সহজ প্রযুক্তি।

ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউএমএস) তৈরির পদ্ধতি:

⇒ ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র তৈরীর জন্য শতকরা ৮২ভাগ খড়, ১৫ভাগ মোলাসেস (লালী/ঝােলাগুড়) এবং ৩ ভাগ ইউরিয়া সার প্রয়ােজন।

⇒ প্রথমে সুনির্দিষ্ট পরিমাণ খড়, ঝােলাগুড় ও ইউরিয়া মেপে নিতে হবে।

⇒ উদাহরণঃ ১০কেজি ইউরিয়া মিশ্রিত খড় তৈরীর জন্য ২কেজি লালী,৩০০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৬-৭ লিটার টিউবওয়েলের পানি প্রয়ােজন।

⇒ শুকনো খড়কে (১০কেজি) পলিথিন বিছানো বা পাকা মেঝেতে সমভাবে বিছিয়ে রাখতে হবে। এর পর নির্দিষ্ট পরিমাপের ইউরিয়া (৩০০গ্রাম) ও ঝােলা গুড় (২কেজি) নির্দিষ্ট পরিমাণ পানিতে (৬লিটার) ভালভাবে মিশিয়ে আস্তে আস্তে ঝরনা বা হাত দিয়ে খড়ের উপর ছিটিয়ে দিতে হবে।

⇒ ইউরিয়া মোলাসেস সলুশন ছিটানোর সাথে সাথে খড়কে উল্টিয়ে দিতে হবে যাতে খড় সলুশনের পানি সম্পূর্ণ চুষে নেয়। এভাবে স্তরে স্তরে খড় সাজাতে হবে ও ইউরিয়া মোলাসেসের সলুশন ছিটিয়ে সমভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।

⇒ ওজন করা সম্পূর্ণ খড়ের সাথে সম্পূর্ণ ইউরিয়া মোলাসেস মিশ্রিত সলুশন নিলেই ইউরিয়া মোলাসেস প্রস্তুত করা সম্পন্ন হবে এবং গরুকে এই প্রক্রিয়াজাত খড় খাওয়ানোর উপযোগী হবে।

গরুকে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউএমএস) খাওয়ানোর সুবিধাসমূহ:

⇒ এই পদ্ধতিতে ইউরিয়া প্রক্রিয়াজাত খড়কে পলিথিন ব্যাগে ৭-১০দিন আবদ্ধ অবস্থায় রেখে রৌদ্রে শুকানো প্রয়ােজন হয়না।

⇒ এই পদ্ধতিতে ইউরিয়া পক্রিয়াজাত করার সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের (বাড়ন্ত, দুগ্ধবর্তী, গর্ভবতী ইত্যাদি) গরুমহিষকে তাদের চাহিদামত খাওয়ানো যায়।

See also  গর্ভবতী গাভীর খাদ্য তালিকা, গর্ভবতী গাভীর যত্ন, গাভীর বাচ্চা প্রসবের লক্ষণ, বাচ্চা প্রসবকালীন সময়ে গাভীর যত্ন এবং গাভীর বাচ্চা হওয়ার পর করণীয়

⇒ এই ইউরিয়া মিশ্রিত খড়ের পাশাপাশি অন্যান্য খাদ্য পশুকে খাওয়ানো যায়। যেমন- কাঁচাঘাস, ভুষি, খৈল ইত্যাদি৷ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে এমন হাড্ডিসার গরুকে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র নিয়মিত খাওয়ালে গরু মোটাতাজা হয়।

গরুকে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউএমএস) খাওয়ানোর সাবধানতা:

⇒ একটি প্রাপ্ত বয়স্ক গরুকে প্রত্যহ ৫০ গ্রামের অধিক ইউরিয়া মিশ্রিত খড় (১.৬৭ কেজি) খাওয়ানো উচিত নয়। *

⇒ ইউরিয়া,মোলাসেস, খড় ও পানি অনুপাত ঠিক রাখতে হবে। ইউরিয়ার মাত্রা কোন অবস্থাতেই বাড়ানো যাবে না। ইউরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করলে বিষক্রিয়ায় পশু মারা যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

⇒ এই পদ্ধতিতে খড় বানিয়ে তিন দিনের বেশী রাখা বা খাওয়ানো যাবেনা। কারণ এসময়ের পর খড়ে ইউরিয়া ও লালি গুড়ের পরিমাণ কমে যায়।

⇒ ছয় মাসের কম বয়সী গরু-মহিষ এবং গর্ভাবস্থায় শেষ পর্যায়েইউরিয়া মোলাসেস খাওয়ানো যাবেনা।

ইউরিয়া বিষক্রিয়া:

⇒ সাধারণত খড়কে শতকরা ৪ ভাগ ইউরিয়া পক্রিয়াজাত করে রোমন্থক পশুকে মোটাতাজাকরণের জন্য খাওয়ানো হয়। তবে অনভ্যস্ত পশুর খাদ্যে হঠাৎ করে ইউরিয়া সংযোগ করলে বা খাদ্যে আকস্মিক অতিরিক্ত ইউরিয়া অথবা ত্রুটিপূর্ণভাবে ইউরিয়া মিশ্রিত হলে পশুর বিষক্রিয়া হয়।

গরুর ইউরিয়া বিষক্রিয়ার লক্ষণ:

⇒ গরুকে সাধারণত এইরূপ ইউরিয়া মিশ্রিত খড় খাওয়ানোর ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে উপসর্গ প্রকাশ পায়।

⇒ পেটে ব্যথা, ফেণাযুক্ত লালা ঝরা,মাংসপেশীর কম্পন, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, পেটফাঁপা ও হাটতে অসম্মতি উপসর্গ দেখা দেয়।

গরুর ইউরিয়া বিষক্রিয়া নির্ণয়:

⇒ ইউরিয়া প্রক্রিয়াজাত খাদ্য খাওয়ানোর ইতিহাস এবং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ উপসর্গ দেখে ইউরিয়া বিষক্রিয়া নির্ণয় করা যায়।

⇒ ইউরিয়া বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত পশুর শ্বাস-প্রশ্বাসে এ্যামোনিয়ার গন্ধ থাকবে।

গরুর ইউরিয়া বিষক্রিয়ার চিকিৎসা:

⇒ অ্যাসেটিক অ্যাসিড ৫% বা ভিনেগার ০.৫-১.০ লিটার মেষ ও ছাগল এবং ২-৪ লিটার গরু ও মহিষকে খাওয়াতে হবে।

⇒ চিকিৎসার পর পুনরায় উপসর্গ দেখা দিলে চিকিত্সার ২০ মিনিট পর পুনরায় এই ঔষধ খাওয়াতে হবে।

⇒ ডিহাইড্রেশনের জন্য ২-৪ লিটার ৫% ডেক্সট্রোজ-স্যালাইন শিরায় উনজেকশন দেয়া যায়।


প্রিয় খামারি বন্ধু, উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা গরুর খাদ্য কি, গবাদি পশুর খাদ্য কত প্রকার ও একটি গবাদি পশুর খাদ্য তালিকা জানতে পারলাম। এছাড়াও “ইউরিয়া+খড়” এবং “ইউরিয়া+মোলাসেস+খড়” এই দুটি উপায়ে গরুর খাদ্য তৈরি করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানলাম।

বিভিন্ন গবাদি পশু যেমন- গরু পালন, ছাগল পালন, মহিষ পালন, ভেড়া পালন ইত্যাদি সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট গবাদি পশু’ (inbangla.net/gobadi) এর সাথেই থাকুন।

Leave a Reply

nv-author-image

ইন বাংলা নেট গবাদি

বিভিন্ন গবাদি পশু যেমন- গরু পালন, ছাগল পালন, মহিষ পালন, ভেড়া পালন ইত্যাদি সম্পর্কিত যা কিছু বাংলাতে।View Author posts