Skip to content

গর্জন তিলের জাত ও এর চাষ পদ্ধতি

গর্জন তিলের জাত ও এর চাষের পদ্ধতি

গর্জন তিল বা গুজি তিল বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় তেল ফসল। গর্জন তিলের তেল গুণাগুণের দিক থেকে ভাল। এ তেলে অত্যাবশ্যকীয় লিনোলিক ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ প্রায় ৫০%।

গর্জন তিলের ফসল
গর্জন তিলের ফসল

(১) গর্জন তিলের জাত

শোভা:

সংগৃহীত জার্মপ্লাজম থেকে বাছাইয়ের মাধ্যমে গর্জন তিলের শোভা জাতটি উদ্ভাবন করা হয় এবং ১৯৮৮ সালে জাতটি অনুমোদন দেয়া হয়।

  • গাছের উচ্চতা ৬৫-৯৫ সেমি।
  • বীজ চিকন ও লম্বা। হাজার বীজের ওজন ৩-৪ গ্রাম।
  • ফুলের রং গাঢ় ধূসর।
  • এ ফসলটি অপেক্ষাকৃত অনুর্বর মাটিতেও আবাদ করা যায়। বিশেষ করে নদীর চরের বেলে মাটিতে আবাদ সম্ভব।
  • ফসল বোনা থেকে পাকা পর্যন্ত ১০৫-১১০ দিন সময় লাগে।
  • উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টরপ্রতি ১.০৫-১.১৫ টন ফলন পাওয়া যায়।
  • বীজে ৩৮-৪২% তেল থাকে। তেলে আমিষের পরিমাণ ২০-২৫%।

(২) গর্জন তিল চাষ পদ্ধতি

ক) মাটি

অধিকাংশ মাটিতেই গর্জন তিল চাষ করা যায়, তবে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভাল।

খ) জমি তৈরি

৪-৫টি চাষ ও মই দিয়ে ভালভাবে জমি তৈরি করতে হয়। চর এলাকায় কম চাষে অথবা বিনা চাষে আবাদ করা হয়।

গ) বপনের সময়

কার্তিক মাস (মধ্য-অক্টোবর হতে মধ্য-নভেম্বর)।

ঘ) বপন পদ্ধতি

সারিতে বপন করলে সারির দূরত্ব ৩০ সেমি রাখতে হবে। ছিটিয়েও বীজ বপন করা যায়।

ঙ) সারের পরিমাণ

নিম্নরূপ হারে সার ব্যবহার করলে অধিক ফলন পাওয়া যায়।

সারের নামসারের পরিমাণ/হেক্টর
ইউরিয়া৭০-৮০ কেজি
টিএসপি১১০-১৩০ কেজি
এমওপি৪৫-৫৫ কেজি

চ) সার প্রয়োগ পদ্ধতি

  • ইউরিয়া সার অর্ধেক ও বাকি অন্য সব সার শেষ চাষের সময় জমিতে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
  • বাকি অর্ধেক ইউরিয়া বীজ বপনের ২৫-৩০ দিন পর কুঁড়ি আসার সময় উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
পড়ুন
তিলের জাতের নাম ও চাষ করার পদ্ধতি এবং তিল গাছের বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিকার

ছ) পরিচর্যা

জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে। জমিতে রস কম হলে পানি সেচ দিতে হবে।

জ) ফসল সংগ্রহ

ফসল পরিপক্ক হওয়ার সময় পাতা হলদে হয়ে গাছ শুকিয়ে যায়।

ঝ) অন্যান্য পরিচর্যা

  • তিলের সারিতে ৩ সেমি পর পর ১ টি গাছ এবং চীনাবাদামের সারিতে ১০ সেমি পর পর ১ টি করে গাছ রেখে অতিরিক্ত গাছ তুলে ফেলতে হবে।
  • বৃষ্টি না হলে ১/২ বার সেচ দিতে হবে এবং অতিরিক্ত পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য নালার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ঞ) পোকা ও রোগ দমন

  • তিলের গোড়া পচা রোগ হলে জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • অটোস্টিন, ক্যাপটান বা ভিটাভেক্স-২০০ ছত্রাকনাশক দ্বারা প্রতি কেজি শুকনা বীজে ২-৩ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।
  • তিলে বিছা পোকা দমনের জন্য রিপকর্ড ১০ ইসি ১ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

বিভিন্ন উদ্ভিদ, গাছ ও ফসল যেমন- বিভিন্ন শস্য, সবজি, ফুল, ফল ইত্যাদি চাষাবাদ সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট চাষাবাদ’ (inbangla.net/casabad) এর সাথেই থাকুন।

অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।

Tags:

Join the conversation!

Leave a Reply

nv-author-image

ইন বাংলা নেট চাষাবাদ

বিভিন্ন উদ্ভিদ, গাছ ও ফসল যেমন- বিভিন্ন শস্য, সবজি, ফুল, ফল ইত্যাদি চাষাবাদ সম্পর্কিত যা কিছু বাংলাতে।View Author posts