যে সকল বন্ধুরা ডেইরি ফার্মিং এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তারা গাভীর গর্ভফুল না পড়লে, গর্ভফুল নিচে থাকলে করনীয় কি, এই বিষয়গুলো নিয়ে সমস্যায় পড়ে যান। তাই গাভীর গর্ভফুল বের করার নিয়ম সম্পর্কে আজকের এই পোষ্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো।
(১) গাভীর গর্ভফুল কি, কেন, কিভাবে?

গাভীর গর্ভফুল (placenta) হলো এমন একটি অঙ্গ, যা মায়ের জরায়ুতে থাকে এবং ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাভীর ক্ষেত্রে, গর্ভফুল একটি সাকরের মাধ্যমে ভ্রূণকে পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং ভ্রূণের বর্জ্য পদার্থ মা’র রক্তে স্থানান্তরিত করে।
এই অঙ্গটি গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে গাভী বাচ্চা প্রসব করার পরে স্বাভাবিকভাবে প্রস্থাহিত হয়। এটি সাধারণত গাভীর প্রসবের পরে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বেরিয়ে আসে। গর্ভফুলের অবস্থান ও স্বাস্থ্য গাভীর গর্ভাবস্থার অবস্থা পর্যালোচনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
- গাভী কন্সিভ হওয়ার পরে ভ্রূণ কে সুরক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য গাভীর শরীরে কিছু জৈবিক প্রক্রিয়ার পরিবর্তন ঘটে।
- প্রথমত জরায়ুর মুখে সার্ভিক্যাল প্লাগ তৈরি হয়ে ভ্রুন কে বাহিরের যাবতীয় জীবাণু ও বিপদ আপদ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
- দ্বিতীয়ত কর্পাস লুটিয়াম অটুট অবস্থায় থেকে ওভারীতে এই সিগন্যাল প্রদান করে যে জরায়ু তে বাচ্চা রয়েছে।
- এছাড়া প্রোজেষ্টারন হরমোন নিঃসৃত হয়। এর ফলে গাভীর ওভারী( ডিম্বকোষ) থেকে আর কোন ফলিকল বা ডিম্বাণু ওভুলেশন করে না।
- এইভাবে গর্ভবতী গাভীর ইস্ট্রাস সাইকেল বন্ধ থাকে।
- গাভী সিমেন গ্রহণের প্রায় দুই সপ্তাহ পরে ভ্রূণের থেকে পার্টিশন হয়ে প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল তৈরি হয়।
- তখন থেকে ভ্রুন টি প্লাসেন্টার মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি গ্রহণ করে থাকে।প্লাসেন্টার ভিতরে গাভীর শরীর থেকে রক্ত প্রবাহিত হয়।
- এই রক্তের সাথে মিশ্রিত থাকে অক্সিজেন গ্লুকোজ, এমাইনো এসিড এবং বিভিন্ন ধরনের মিনারেল।
- ভ্রুন তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি আম্বিলিক্যাল কর্ড (নাড়ি) এর মাধ্যমে প্লাসেন্টা থেকে গ্রহণ করে এবং দেহে উৎপাদিত সকল বর্জ্য পদার্থ উক্ত নাড়ীর মাধ্যমে প্লাসেনটা তে জমা করে।
- বাছুরের লাংস বা ফুসফুস আস্তে আস্তে গঠিত হয় কিন্তু এটা শ্বাস প্রশ্বাসের কোন কাজ করে না।
- এর বদলে গর্ভ ফুল থেকে পাওয়া অক্সিজেন বাছুর ব্যবহার করে।
- তাই বাছুর জন্মের সাথে সাথে নাক মুখের আঠালো পদার্থ পরিষ্কার করে শ্বাস প্রশ্বাস চালু করতে হয়।
- এছাড়া বাছূর যে প্রস্রাব করে পানি পাতা (amniotic fluid ) এর ভিতরে জমা থাকে। কিন্তু ইহা সাধারণত পানি ছাড়া আর তেমন কিছু থাকে না।
- গরুতে বাচ্চা প্রসবের পর ৬–১২ ঘন্টার মধ্যে গর্ভ ফুল পড়ে যায়। এর চেয়ে বেশী সময় লাগলে তখন তাকে গর্ভ ফুল আটকে যাওয়া বলে।
এই গর্ভফুল যদি ভিতরেই থেকে যায় তবে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গাভীর জরায়ূর অভ্যন্তরে ইনফেকশনের সৃষ্টি হয়। এই ইনফেকশন বা প্রদাহের কারণে গাভীর দেহে নানান শরীরবৃত্তীয় জটিলতা দেখা দেয়। প্রদাহজনিত কারণে গাভী খাদ্যগ্রহন কমিয়ে দেয় এবং তার দুগ্ধ উৎপাদন কমে যায় এবং পরবর্তীতে তার প্রজনন হ্রাস পাওয়ার ফলে প্রজননে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
(২) গাভীর গর্ভফুল বের করার নিয়ম কি?
১। প্রথমত এটাকে টেনে বের করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকবেন।এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি চিকিৎসকের সহায়তায় আটকে যাওয়া গর্ভফুল অপসারণ করে গাভীকে তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দিবেন। কোন ভাবেই হাত দিয়ে টানাটানি করা যাবে না, কারন এতে গাভী বন্ব্যা হয়ে যেতে পারে।
২। গর্ভফুল হাত দিয়ে টেনে বের করা যাবে না। এতে গর্ভফুলের ১০০% বের করা সম্ভব হয় না বরং হাত দিয়ে বের করলে জরায়ুতে ক্ষতের সৃষ্টি সহ সেপ্টিক ম্যাট্রাইটিস, পায়োমেট্রা, রক্তক্ষরন, স্থায়ীভাবে গর্ভধারন করতে না পারা এমনকি জরায়ু প্রদাহে আক্রান্ত হয়ে গাভীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যদি হাত দিয়েই গর্ভফুল বের করার একান্ত প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই বাচ্চা প্রসবের কমপক্ষে তিন দিন পর অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি ডাক্তার দ্বারা বের করা উচিত।
৩। প্রসবের তিন দিন পর গর্ভফুল খুব সহজে বের করা যায়। কারন জরায়ুর মাংশপেশীর সঙ্কোচন হতেই সময় লাগে ৪৮ ঘন্টা। গর্ভফুল বের করার পর Oxytetracyclin অথবা Penicillin গ্রুপের ঔষধ এ.আই টিউবের মাধ্যমে জরায়ুতে প্রয়োগ করতে হবে ৩-৫ দিন। দশ-পনেরো দিন পর পুনরায় ডাক্তার দ্বারা জরায়ু পরীক্ষা করতে হবে জরায়ু প্রদাহ হয়েছে কিনা! আর যদি গর্ভফুল আটকে যাওয়ার পরেও গাভীর খাওয়া দাওয়া, চলাফেরা, তাপমাত্রা সব কিছুই স্বাভাবিক থাকে তাহলে হাত দিয়ে বের করার দরকার নেই।
৪। যেহেতু গর্ভফুল পড়ার স্বাভাবিক সময় ২৪ ঘন্টা, অতএব ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে তারপর চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে। বাহিরের ঝুলন্ত অংশ যতদুর সম্ভব টেনে ধরে কেটে দিন।
প্রসবের ২৪ ঘন্টার মধ্যে–
ইঞ্জেঃ পিটোন–এস, মাএাঃ ১০–২০ আই ইউ/মাংসে দিতে হবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফুল না পড়লে আবার পিটোন –এস একই মাএায় মাংসে দিতে হবে। সাথে ইঞ্জেঃ মিথার স্পেন, মাএা–১-৫ গ্রাম/গাভীর মাংসে যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে গর্ভফুল না পরে তাহলে বাহিরের ঝুলন্ত অংশ যতদুর সম্ভব টেনে ধরে কেটে দিতে হবে এবং জীবাণুনাশক ও গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
অথবা, অক্সিটোসিন বা প্রোস্টাগ্লাডিন হরমোন ইনজেকশন (PG) মাংসে দিলে দ্রুত গর্ভফুল পড়ে যায়। অক্সিটেট্টাসাইক্লিন টাবঃ ও মেট্রোনিডাজল টাবঃ দুটি করে একত্রে গুড়া করে Uto-pessury হিসাবে জরায়ুতে প্রয়োগ করতে হবে পরপর ২-৩ দিন। কয়েক দিনের মধ্যেই গর্ভফুল আপনা আপনি পঁচে পঁচে বের হয়ে যাবে জরায়ুর কোনরুপ ক্ষতি ছাড়াই। তবে এক্ষেত্রে ইউট্রোকেয়ার সিরাপ খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।
অথবা, inj: Renamycin-100 এ আই টিউবের মাধ্যমে ৪০ সিঃসিঃ করে ৩/৪ দিন দিতে হবে। সাথে syr: UTROCARE 450ml করে দিনে ২ বার খাওয়াতে হবে ২/৩ দিন।
৪। U-Flash/Super Womb বা গাভীর গর্ভফুল বের হতে কার্যকরী আরো অনেক ওরাল সাসপেনশন/লিকুইড ফিড প্রিমিক্স বাজারে আছে সেগুলোও খাওয়ানো যেতে পারে।
৫। জরায়ুতে সংক্রমন থাকলে ট্রাইজেক্ট ভেট/ট্রাইজেক্ট ভেট ইনজেকশন অথবা মারবো ভেট ইনজেকশন গাভীর মাংশপেশীতে প্রয়োগ করতে হবে।
৬। গাভীকে ক্যালসিয়াম ইনজেকশন শিরায় প্রয়োগ করতে হবে।
৭। ভেজাইনার চারিদিকে জীবাণুমুক্ত করে তারপিন তেল লাগিয়ে দিতে হবে এতে মাছির উপদ্রব কম হয়।
৮। শরীরের তাপমাএা স্বাভাবিক থাকলে ক্যালসিয়াম ফোর্ট এম ২৫০ মিলি মাএাঃ ১০০–২০০ মিলি ধীরে ধীরে শিরায় দিতে হবে।
৯। গাভীকে পরিমাণমত স্যালাইন দিতে হবে।
(৩) গাভীর গর্ভফুল বের করার সতর্কতাগুলো কি?
১। গর্ভ ফুল ঝুলে থাকলে, ৪–৫ ইঞ্চি রেখে কেটে দিতে হবে।
২। যৌনীদ্বারের চর্তূদিকে তার পিন তৈল বা সরিষার তৈলে ৩–৪টি রসুনের কোয়া ছেঁচে একটু গরম করে লাগাতে হবে
৩। ৪–৫ দিনের আগে হাত দিয়ে ফুল বের করা যাবে না। এক্ষেএে ভেটেরিনারি সার্জনের সহায়তা নিতে হবে।
৪। জ্বর থাকলে জরায়ুতে হাত দেয়া যাবে না।
(৪) গর্ভফুল আটকে থাকা প্রতিরোধের জন্য করনীয়?
১। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে, কোন সমস্যা না হলেও , লক্ষ্য রাখতে হবে যে, গাভীর মেট্রাইটিস বা, টক্সেমিয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কী না। কারণ, এ দুটি অবস্থাতেই, গাভীর জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
২। গাভী গর্ভবতী থাকা অবস্থায় তার খাদ্যে নিয়ম অনুযায়ী ভিটামিন এ,ই এবং সেলেনিয়াম সরবরাহ করলে এই গর্ভফুল আটকে যাওয়ার সমস্যাটি অনেকাংশেই কমে যায়। আর যে সব গাভী পর্যাপ্ত কাঁচা ঘাস খায় সেই সমস্ত গাভীর এই সমস্যাটি খুব একটা দেখা যায় না।
৩। গাভীর দুগ্ধ বিহীন সময় বা dry cow management নিশ্চিত করতে হবে।
৪। পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
৫। গাভীর বাসস্থান সবসময় শুষ্ক ও পরিষ্কার রাখতে হবে।
৬। গর্ভাবস্থায় গাভীকে দৈনিক ১০-২০ কেজি কাচা ঘাস ও প্রয়োজনীয় মাত্রায় সুষম দানাদার খাবার এবং দৈনিক ০.১ পিপিএম সেলিনিয়াম+ ভিটামিন এডি৩ই খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি দৈনিক কমপক্ষে ১ ঘন্টা ব্যায়াম (হাটা চলা) ব্যবস্থা করতে হবে এবং নিয়মানুযায়ী কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে।
৭। প্রসবের পর বাচ্চাকে সরাসরি বাট থেকে শাল দুধ চুষে খাওয়াতে হবে। তাহলে গাভীর রক্তে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং গর্ভফুল পড়তে সহজ হয়।
৮। বাচ্চা প্রসবের আধা ঘন্টার মধ্যে ১০-১৫ লিঃ কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে আধা কেজি পুরাতন আখের গুড় মিশিয়ে খাওয়াতে হবে এবং অক্সিটোসিন জাতীয় ঔষধ যেমন inj: Oxcin 5ml. মাংশে দিলে দ্রুত গর্ভফুল পরে যায়।
৯। এছাড়াও পাশাপাশি গর্ভফুলের বাহিরের ঝুলন্ত অংশের সাথে আধা কেজি ওজনের ইট বা কাঠের টুকরা বেধে দিলে গর্ভফুল পরতে সহজ হয় এবং প্রসবের ৪ ঘন্টা পর Syr: Utrocare or Utroclean 500ml. খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
১০। এক কথায় বলা যেতে পারে ভিটামিন, ক্ষনিজ এবং হরমোনের তারতম্য জনিত সমস্যার কারণে এটা হয়ে থাকে। তাহলে গাভী পালন করার সময় গাভীর জন্য যে খাদ্য সরবরাহ করা হয় তাতে যথাযথ পরিমাণে ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ এবং মিনারেলস বা ক্ষনিজের উপস্থিতি নিশ্চিত করা খামারীদের জন্য আবশ্যক। এছাড়া গাভীর স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনার প্রতি নিয়মিত খেয়াল রাখতে হবে।
(৫) গাভীর গর্ভফুল না পড়া প্রতিকার পাবার উপায় কি?
১। রিটেইন্ড ফিটাল মেমব্রেন যা তে না হয় সেজন্য আগে থেকেই গাভীর ভিটামিন ই, সেলেনিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দুর করতে হবে। রিটেইন্ড ফিটাল মেমব্রেন হয়ে গেলে, ক্যালসিয়াম-ভিটামিন দিয়ে, কোন লাভ নেই।
২। অনেক খামারী এবং ডাক্তার গাভীর জরায়ুতে পেসারী এবং অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে থাকেন। এতে কোন লাভই হয় না বরং গর্ভফুল পড়তে আরও বেশী সময় লাগে ( কারণ রিটেইন্ড ফিটাল মেমব্রেনটি পচে বের হয়ে আসতে হবে আর জরায়ুতে দেওয়া অ্যানটিবায়োটিক এই পচন প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়।
৩। আগে হাত দিয়ে গর্ভফুল বের করার কথা বলা হলেও, এখন বলা হচ্ছে যে এতে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশী হয়। অর্থাৎ মেট্রাইটিস এবং টক্সেমিয়া গর্ভফুল পচার কারণে নিঃসৃত টকসিনের রক্তে মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। কেবলমাত্র পচা গর্ভফুলের দুর্গন্ধ থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়ার জন্য গাভীর জরায়ুর ভেতর থেকে বের হয়ে থাকান গর্ভফুলের অংশটুকু কেটে ফেলতে বলা হয়।
৪। প্রতিকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো গাভীকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা এবং মেটরাইটিস বা টক্সেমিয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পেনিসিলিন বা অক্সিটেট্রাসাইক্লিন এবং মেট্রোনিডাজল এর কোর্স শুরু করা।
৫। একটা বিষয় মনে রাখা জরুরী। তা হলো মেট্রাইটিস বা টক্সেমিয়া না হলে ২ থেকে ১১ দিনের মধ্যে গর্ভফুল পচে পড়ে যাবে এবং কোন অ্যানটিবায়োটিক ব্যবহারের এর প্রয়োজন নেই। খামারীকে আরও মনে রাখতে হবে যে এই ২ থেকে ১১ দিন দুর্গন্ধের কারণে গাভীর কাছে যাওয়াটাও অনেক কষ্টকর হয়ে পড়তে পারে। এসময় খামারীর করণীয় কেবল দুটি কাজধর্য্য ধারণ এবং পর্যবেক্ষণ করা।
বর্তমান সময়ে সদ্য প্রসব করা গাভীর একটি নিত্য সমস্যা। পরবর্তীতে এই বিষয়ে আরো আলোচনা নিয়ে আসব। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ততদিন ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
বিভিন্ন গবাদি পশু যেমন- গরু পালন, ছাগল পালন, মহিষ পালন, ভেড়া পালন ইত্যাদি সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট গবাদি’ (inbangla.net/gobadi) এর সাথেই থাকুন।