ছাগল পালন বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ছাগল পালন করে অনেক মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। ছাগল মাংস ও দুধের অন্যতম উৎস। ছাগল পালন করার জন্য ছাগলের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। ছাগলের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল সরবরাহ করা জরুরি। ছাগলের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের অভাবে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। এই নিবন্ধে, ছাগলের ভিটামিন ও মিনারেলের অভাবজনিত রোগ এবং ছাগলের ভিটামিন ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
(১) ৩টি ছাগলের ভিটামিন অভাব জনিত রোগ

ক) অপুষ্টি জনিত রক্তশূন্যতা
- শরীরে আয়রনের অভাব হলে রক্তশূন্যতা দেখা যায়।
- কপার, কোবাল্ট ও ভিটামিন-বি এর অভাব হলেও রক্তশূন্যতা হয়ে থাকে।
- পরজীবির আক্রমনেও ছাগলে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
- এ রোগে ছাগল ফ্যাকাশে হয়ে যায়, ক্ষুধামন্দা দেখা যায়, পর্যায়ক্রমে শুকিয়ে যায় এমনকি মৃত্যুবরণ করতে পারে।
- সুষম খাদ্য প্রদানের মাধ্যমে রক্তশূন্যতা এড়ানো সম্ভব।
খ) গলগন্ড বা গয়টার
- শরীর আয়োডিনের অভাব হলে এ রোগ দেখা যায়।
- এ রোগে গলা ফুলে যায়।
- প্রজনন অক্ষমতা দেখা দেয় এবং দূর্বল বাচ্চা জন্ম হয়।
- ছাগলের খাদ্যে আয়োডিনযুক্ত লবন যোগ করে ছাগলকে খাওয়ালে এই রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়।
গ) অস্টিওম্যালাসিয়া
- শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে অস্টিওম্যালাসিয়া রোগ হয়।
- ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অভাব হলে বা খাদ্যে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অনুপাত ঠিক না থাকলে অস্টিওম্যালাসিয়া রোগ হয়।
- এ রোগে ছাগলের ক্ষুধামন্দা দেখা যায়, পায়ের গিড়া ও জয়েন্ট ফুলে যায়, দুধ উৎপাদন কমে যায়।
- ক্রনিক অবস্থায় ছাগল চলাফেরা করতেএমনকি দাড়াতে অক্ষম হয়ে পড়ে।
- অস্টিওম্যালাসিয়া রোগে আক্রান্ত পাঁঠাকে প্রজনন কর্মকান্ডে ব্যবহার করা যায় না।
(২) ৭টি ছাগলের মিনারেল এর অভাব জনিত রোগ
ক) সেলেনিয়াম
পৃথিবীতে অনেক স্থানে সেলেনিয়াম এর পরিমান কম এ জাতীয় মাটি আছে যেখানে ঘাস চাষ করলে সেই ঘাসে ও ভিটামিন ই এর অভাব থাকে। যার ফলে ওই স্থানের গবাদি পশুর ভিটামিন ই অভাব জনিত রোগ দেখা যায়। ভিটামিন ই অভাব জনিত রোগ হলো- white muscle disease (nutritional muscular dystrophy), বাচ্চা জন্মানোর পর পিছনের পায় দাঁড়াতে না পারা বা দুর্বল হওয়া, বাচ্চা জন্মানোর পর দুর্বল মাংস পেশীর কারণে নিউমোনিয়া হওয়া জোরে জোরে শ্বাসপ্রস্বাস করা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে বাচ্চা হওয়ার পরপর সেলেনিয়াম ভিটামিন E ইনজেকশন দিতে হবে।
খ) জিঙ্ক
জিঙ্ক এর অভাব জনিত রোগ এবং লক্ষণ মুখ থেকে লালা পড়া, খুড়ার আকৃতি অস্বাভাবিক হওয়া, পায়ের গিট এ ব্যাথা হওয়া, চামড়া বিভিন্ন ধরণের রোগ, পাঠার অন্ডকোষ ছোট আকৃতির হওয়া, ক্রস করতে আগ্রহী না হওয়া ইত্যাদি।
গ) কপার
কপার ছাগলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল। কপার অভাব জনিত রোগ পশম এর রং ফ্যাকাশে হওয়া, বাচ্চা পরে যাওয়া, মরা বাচ্চা হওয়া, রক্ত শূন্যতা, হাড় ভেঙ্গে যাওয়া, ক্ষুদা মন্দা, ওজন কমে যাওয়া, দুধ উৎপাদন কমে যাওয়া। কপার ভেড়ার জন্য খুবই ক্ষতিকর কিন্তু ছাগলের জন্য অত্তন্ত গুরুত্বপূর্ণ, পর্যাপ্ত না হলে উপরোক্ত রোগ গুলি হতে পারে। তাই উন্নত দেশে ছাগলকে বছরে একবার কপার বোলাস দেয়া হয় যা কিনা পেটে গিয়ে ছড়িয়ে পরে এবং কপার গুঁড়া গুলো আস্তে আস্তে গলতে থাকে। এধরণের একটি বোলাস এক বছর পর্যন্ত কাজ করে।
ঘ) আয়রন
আয়রন খুব একটা দরকার হয়না কিন্তু যদি ক্রেমি আক্রম করে তবে আয়রন খুবই জরুরি মিনারেল। যাকিনা রক্ত শূন্যতা থেকে রক্ষা করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আয়রন ইনজেকশন ও দিতে হতে পারে।
ঙ) আয়োডিন
এর অভাবে গলগন্ড রোগ হতে পারে। প্রতিদিন খাবারে ১% আয়োডিন যুক্ত লবন থাকা জরুরি।
চ) ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস
ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস অনুপাত ২ঃ১ হওয়া খুব জরুরি, এর কম বেশি হলে পাঠার প্রস্রাবের রাস্তা বাধা গ্রস্থ হবে (urinary calculi)। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছাগল মারা পর্যন্ত যায়। তাছাড়া বাচ্চা জন্মের সময় বিভিন্ন সমেস্যা দেখাযায়, হাড়ের গঠন সুগঠিত হতেপারে না। দানাদার খাবারে ফসফরাস এর পরিমান অনেক বেশি তাই দানাদার খাবার বেশি দিলে অবশ্যই ক্যালসিয়াম এর মাত্রা বাড়াতে হবে। যারা ঘাস চাষ করতে মুরগির লিটার ব্যবহার করেন তাদের ও এই ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি কারণ মুরগির লিটার এ ফসফরাস বেশি থাকে যা ফসলের ফসফরাস এর পরিমান বাড়িয়ে দেয়।
ছ) ম্যাঙ্গানিজ
ম্যাঙ্গানিজ এর অভাব এ বাচ্চার গ্রোথ কমে যায়, কনসিভ % কমে যায়, বাচ্চা সময়ের আগে পরে যায় বা এবরশন হয়। পায়ের গঠন ত্রুটিপূর্ণ হয় এবং হাটতে সমস্যা হয়। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ম্যাঙ্গানিজকে শরীরে শোষণ করতে বাধা দেয়।
(৩) ছাগলকে কেন ভিটামিন ঔষধ খাওয়াতে হবে?
আমরা যারা ছাগল পালন করি প্রত্যেকে আমরা ভাবি ছাগল কম সময়ে কিভাবে বড় করা যায় এবং কম সময়ে ছাগল কিভাবে আমরা বিক্রি করব তাকে যত ছাগল আমরা বিক্রি করতে পারবো তত বেশি আমাদের থেকে ইনকাম হবে।
তো ফার্মে ছাগল যদি কম সময়ে বড় করতে হয় তাহলে আমাদেরকে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে, খাবার এর দিকে ভালো করে নজর রাখতে হবে, ছাগল জন্য পুষ্টিকর খাবার পায় সেদিকে আমাদেরকে চিন্তা ভাবনা করতে হবে এবং খাবারের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকে কিছু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ঔষধ এবং লিভার টনিক সঠিক সময়ে খাওয়াতে হবে।
যদি আমরা সঠিক সময়ে ভিটামিন ক্যালসিয়াম ঔষধ লিভার টনিক না খাওয়াই তাহলে ছাগল বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়বে এবং ছাগল রোগে আক্রান্ত হয়ে যাবে। ছাগল যেন রোগ আক্রান্ত না হয় সেদিকে নজর রেখে আমরা ছাগলকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ক্যালসিয়াম ঔষধ এবং সঠিক সময়ে ছাগলকে কৃমিমুক্ত করতে হবে। ছাগলকে নির্ধারিত মাত্রায় বছরে দুইবার কৃমিনাশক ঔষধ প্রদান করতে হবে।
তো ছাগলকে কখন কোন ভিটামিন ঔষধ খাওয়াবেন-
● বাছুর গরু ও ছাগল এর ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারক ওষুধ। প্রতি ১০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১-৩ গ্রাম ‘লাইসোভিট’। এটি সকল ধরেণের রোগ প্রতিরোধে বা এন্টিবায়োটিক এর সাথে সহযোগী চিকিৎসা হিসেবে। এছাড়াও লাইসোভিট ভ্যাক্সিন দেওয়ার পাশাপাশি এটি ব্যাবহার করা যায়। টিকা দেয়ার ১ম, ৩য় ও ৫ম দিন পর উপরে বর্ণিত মাত্রায় ব্যাবহার করা যাবে।

● ভিটামিন A এর অভাবে নাক দিয়ে ঘন সর্দি বের হবে, শ্বাস প্রশ্বাসে প্রব্লেম হবে, ডায়রিয়া, লোম অগুছালো, চোখে কম দেখা, বন্ধা বা গাভিন না হওয়া, খুব সহজে রোগাক্রন্ত হওয়া ইত্যাদি।
● যে সময় একটি ফিমেল ছাগল তার বাচ্চা প্রসব করবে, প্রসব করার পর তাকে যদি আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন A দিতে পারি সেটা হোক খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে বা ইনজেকশন ফর্মে হোক। সে ক্ষেত্রে ভিটামিন A এর ডেফিশিয়েন্সিকে আমরা ঠিকঠাক রাখতে পারব এবং কন্ট্রোলে রাখতে পারব।

● যেকোনো গরু ছাগল ভেড়া অসুস্ত হওয়ার পর দুর্বলতা কাটাতে ভিটামিন B1 (thiamine) খুব জরুরি। বাজারে অনেক ভিটামিন B জাতীয় ছাগলের ভিটামিন ঔষধ পাওয়া যায় সেগুলেঅ মাঝে যেকোন একটি খাওয়াতে পারেন। খাওয়া কমে গেলে, ঘাড় বাঁকা, পায়ে সমস্যা পোলিও , চোখের মনি ঘুরতে থাকা, অরুচি, লিভার ইত্যাদি সমস্যা জন্য ভিটামিন B1 (thiamine) খুব উপকারী।

● জয়েন্ট এ ব্যাথা, বাঁকা পা (bowed legs/rickets) হলে সেই তখন ক্যালসিয়াম দেয়া ও ভিটামিন D ব্যবহার করা উচিৎ। ষ্টল ফিডিং ছাগলকে নিয়মিত ভিটামিন D দেয়া উচিৎ। ছাগল গাভীন অবস্থায় থাকলে ভিটামিন D দেওয়া খুবই জরুরি। গাভীন অবস্থায় ভিটামিন D প্রয়োগে বাচ্চার বৃদ্ধি হয়, বাচ্চার শক্ত হয় এবং মায়ের শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস সংরক্ষণ থাকে।

● যারা নিয়মিত সাইলেজ (silage) এবং খড় খাওয়ান তাদের নিয়মিত ভিটামিন E খাবারের সাথে দিতে হবে। যেমন- ‘সেল-ই’ যেটি একধরণের ভিটামিন ই জাতীয় ঔষধ।

● কোন পশু যদি রোগে আক্রান্ত হয় সে সময় তার মাংস বেশি কমজোর হয়ে যায়। তার নার্ভ কমজোর হয়ে যায়, পাচন শক্তি কমে যায়। তখন কিন্তু সে সময় যদি আমরা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স প্রয়োগ করে তার পাচন ক্রিয়াকে সক্রিয় করে তুলবে, মাংসপেশিকে মজবুত করবে এবং তার নার্ভ কে মজবুত করে তুলবে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স হিসেবে ‘বি 50-ভেট’ ইনজেকশনটি টি দিতে পারেন। ‘বি 50-ভেট’ ইনজেকশনটি অন্তঃসত্ত্বিক বা ইন্টারমাস্কুলার ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ছাগলকে এক সপ্তাহে প্রতিদিন তিনবার ১-২ মিলি করে।
(৪) ছাগলের ২টি ভিটামিন ঔষধ এর নাম
● Rena-Breeder ভিটামিন প্রিমিক্সঃ এত রয়েছে ভিটামিন A ,ভিটামিন D3, ভিটামিন E, ভিটামিন K3, ভিটামিন B1, ভিটামিন B2, ভিটামিন B6, ভিটামিন B12, নিকোটিনিক অ্যাসিড ,ক্যালসিয়াম D প্যান্টোথিনেট ,ফলিক এসিড ,বায়োটিন, কোবাল্ট, তামা, আয়রন, আয়োডিন, ম্যাঙ্গানিজ, দস্তা, সেলেনিয়াম, ডিএল-মেথিওনিন, এল-লাইসাইন ও ক্যালসিয়াম।

● Becevit-Vet ছাগলের পাউডার ভিটামিনঃ এটি স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস তরি একটি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এই ভিটামিন পাউডারটিতে ভিটামিন B-Complex ও ভিটামিন C রয়েছে। অর্থ্যাৎ, এতে ভিটামিন বি এর B1, B2, B6, B12 এই চারটি উপাদানই রয়েছে। এর সাথে রয়েছে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভিটামিন C।

(৫) ছাগলের ২টি ভিটামিন ইনজেকশনের নাম
● বি 50-ভেট ইনজেকশনঃ এতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আছে। এটা এক সপ্তাহে প্রতিদিন তিনবার ১-২ মিলি করে দিতে হয়।ইন্টারমাস্কুলার ভাবে প্রয়োগ করতে হয়।

● এস-এডিই ইনজেকশনঃ ভিটামিন A, D3 এবং E ভিটামিন এবং খনিজ পরিপূরক। ইন্ট্রামাসকুলার বা সাবকুটেনিয়াস ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ছাগলকে ২-৪ মিলি করে দিতে হয় বা নিবন্ধিত ভেটেরিনারি ডাক্তার দ্বারা নির্ধারিত হিসাবে দিতে হবে।

(৬) ছাগলের ভিটামিন ঔষধ সম্পর্কিত আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্নঃ ভিটামিন এ ছাগলের শরীরের কোন কোন কাজে ভূমিকা পালন করে থাকে?
উত্তরঃ ভিটামিন এ ছাগলের শরীরের অনেক ভূমিকা পালন করে।
- শরীরের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- ভিটামিন এ প্রজনন ক্ষমতা কে বাড়িয়ে তোলে।
- ভিটামিন এ ছাগলের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়ক।
- ভিটামিন এ খাওয়ালে মায়ের দুধ বৃদ্ধি হয় ও বাচ্চা সুস্থ থাকে এবং বাচ্চা হওয়ার পরেও এই ভিটামিন প্রয়োগ করলে পারে দুধ বৃদ্ধি করবে এবং ছাগল খুব তাড়াতাড়ি তার শরীরে ডেফিসিয়েন্সি সেটাকে রিকভার করে নেবে।
প্রশ্নঃ ছাগলের শরীরে ভিটামিন ডি এর গুরুত্ব কি?
উত্তরঃ ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির মধ্যে একটি হ’ল ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে যা শরীরের দ্বারা শোষিত হয়। আর এজন্যই ছাগল গাভীন অবস্থায় থাকলে ভিটামিন খুবই জরুরি। ভিটামিন এ ভিটামিন এ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- ভিটামিন এ পায়ের ক্ষুর বৃদ্ধি করে।
- প্রজনন ক্ষমতা কে বাড়িয়ে তোলে।
- শরীরের মাংসপেশি কে মজবুত করে।
- ভিটামিন বি টুয়েলভ একটা ছাগলের কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে?
- ভিটামিন বি টুয়েলভ পাচনতন্ত্র এবং শরীরের মাংসগুলোকে মজবুত করে তোলে এবং শরীরে রক্ত কণিকা তৈরিতে সহায়ক।
প্রশ্নঃ ভিটামিন প্রয়োগের পূর্ব লক্ষণীয় বিষয়গুলো কি?
উত্তরঃ যে কোন ভিটামিন যখন কোন ছাগলকে দেবেন সেটা যেন রাত্রেবেলা দেওয়া হয় রাত্রি দিলে খুবই ভাল কাজ করে যে কোন ভিটামিন প্রয়োগের আগে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা মনে রাখতে হবে আর সেটা হচ্ছে যে কোন ভিটামিন প্রয়োগের আগে ডিওয়ার্মিং করা এবং লিভার টনিক দেওয়া উচিত এর পরে কিন্তু যে কোন ভিটামিন আপনারা করতে পারেন।
বন্ধুরা, আমরা উপরোক্ত আলেচনার মাধ্যমে- ছাগলের ভিটামিন অভাব জনিত রোগ, ছাগলের মিনারেল এর অভাব জনিত রোগ, ছাগলকে কেন ভিটামিন ঔষধ খাওয়াতে হবে, ভিটামিন ঔষধ এর নাম, ভিটামিন ইনজেকশনের নাম, এছাড়াও ছাগলের ভিটামিন ঔষধ সম্পর্কিত আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর জানলাম।
ছাগল পালন করার জন্য ছাগলের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। ছাগলের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল সরবরাহ করা জরুরি। ছাগলের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের অভাবে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। ছাগল পালনকারীদের উচিত ছাগলের ভিটামিন ও মিনারেলের অভাবজনিত রোগ সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং ছাগলকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল সরবরাহ করা।
তো আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
বিভিন্ন গবাদি পশু যেমন- গরু পালন, ছাগল পালন, মহিষ পালন, ভেড়া পালন ইত্যাদি সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট গবাদি পশু’ (inbangla.net/gobadi) এর সাথেই থাকুন।
অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।