Skip to content

ট্রান্সফরমার কি? ট্রান্সফরমারের গঠন এবং প্রকারভেদ

ট্রান্সফরমার কি, ট্রান্সফরমারের গঠন এবং প্রকারভেদ

(১) ট্রান্সফরমার কি?

ট্রান্সফরমার

ট্রান্সফরমার: ট্রান্সফরমার হলো এমন একটি স্থির ইলেকট্রোমেগনেটিক ডিভাইস যার সাহায্যে পাওয়ার এবং ফ্রিকুয়েন্সি অপরিবর্তিত রেখে ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মান প্রয়োজন অনুযায়ী কমিয়ে বা বাড়িয়ে কোন রকম বৈদ্যুতিক সংযোগ ছাড়াই ইলেকট্রোমেগনেটিক ইন্ডাকশনের (আবেশ) মাধ্যমে এক কয়েল থেকে অন্য কয়েলে স্থানান্তর করা যায়।

ট্রান্সফরমারে সাধারণত দুইটি উইন্ডিং থাকে। যথা-

  1. প্রাইমারি উইন্ডিং
  2. সেকেন্ডারি উইন্ডিং

ট্রান্সফরমারের ক্ষেত্রে-

  1. পাওয়ার সবসময় একই থাকে
  2. ফ্রিকুয়েন্সি সবসময় একই থাকে
  3. ভোল্টেজ এবং কারেন্ট পরিবর্তিত হয়

তাহলে এখানে মজার বিষয় হচ্ছে Transformer দিয়ে আপনি যত দুরেই কারেন্ট সাপ্লাই করুন না কেন আপনার পাওয়ার একই থাকবে এবং একই মানের ফ্রিকুয়েন্সি পাবেন

ট্রান্সফরমারের উভয় কয়েল বা সার্কিট এর জন্য একটি সাধারণ মেগনেটিক সার্কিট থাকে। ট্রান্সফরমারের যে সার্কিট সাপ্লাইয়ের সাথে সংযুক্ত থাকে তাকে প্রাইমারি এবং যেটি থেকে লোডে পাওয়ার সাপ্লাই হয় তাকে সেকেন্ডারি বলা হয়।

প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি সার্কিট হল সুপার এনামেল ইনসুলেশনযুক্ত তামার তারের কয়েল বিশেষ। এই দুইটি সার্কিটের কয়েলের মাঝখানে একটি কমন ম্যাগনেটিক সার্কিট সার্কিট তৈরির জন্য এদেরকে একটি স্টিলের (ইস্পাত) ফ্রেমে জড়ানো থাকে।

(২) ট্রান্সফরমার এর গঠন

ট্রান্সফরমারে প্রধানত দুইটি অংশ থাকে। যথা-

  1. ট্রান্সফরমার কোর (Core)
  2. ট্রান্সফরমার কয়েল (Coil)

ট্রান্সফরমার কোর (Core): সিলিকন স্টিলের পাতলা শিট বা পাত কেটে কোর তৈরি করা হয়। প্রত্যেকটি কোর ভালভাবে বার্নিশ করা হয় যাতে তারা পরস্পর থেকে ইলেকট্রিক্যালি আইসোলেট (বিচ্ছিন্ন) থাকে। অনেকগুলো কোর একসাথে স্থাপন করে একটি ফ্রেম তৈরি করা হয়। এই ফ্রেমটিই প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি কয়েলের মধ্যে ম্যাগনেটিক সার্কিট হিসেবে কাজ করে।

ট্রান্সফরমার কয়েল (Coil): সুপার এনামেল তার দ্বারা কয়েল তৈরি করে কোরের উপর বসিয়ে প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি উইন্ডিং করা হয়।প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি কয়েলের মাঝখানে ইলেকট্রিক্যাল কোন সংযোগ নেই। তবে কোরের মাধ্যমে মেকানিক্যালি সংযোগ করা থাকে।

বড় বড় ট্রান্সফরমারগুলাতে কোর ,কয়েল ছাড়াও বিভিন্ন অংশ থাকে। যেমন-

  1. ট্রান্সফরমার ট্যাংক
  2. কনজারভেটর
  3. বুশিং
  4. ব্রিদার
  5. টেপ চেঞ্জিং গিয়ার
  6. বিস্ফোরণ বা এক্সপ্লোশন ব্যান্ড

(৩) ট্রান্সফরমারের প্রকারভেদ

Transformar এর বিভিন্ন ধরনের শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। নিম্নে তিন ধরনের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

ক) কার্যপ্রণালি অনুসারে ট্রান্সফরমার ২ প্রকার। যথা-

  1. স্টেপ-আপ Transformer
  2. স্টেপ ডাউন Transformer

খ) ফেজ সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ট্রান্সফরমার ২ প্রকার। যথা-

  1. সিঙ্গেল ফেজ Transformer
  2. থ্রি ফেজ Transformer

গ) ব্যবহার বা প্রয়োগের দিক থেকে ট্রান্সফরমারকে আবার ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

  1. পাওয়ার Transformer
  2. ডিস্ট্রিবিউশন Transformer
  3. ইন্সট্রুমেন্ট Transformer
  4. অটো Transformer

স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার (Step-Up Transformer): যে ট্রান্সফরমারের প্রাইমারিতে কম ভোল্টেজ সাপ্লাই দিয়ে সেকেন্ডারিতে বেশি ভোল্টেজ পাওয়া যায় তাকে স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার বলে। এ ধরনের Transformar এ প্রাইমারির চেয়ে সেকেন্ডারিতে পাক সংখ্যা বেশি থাকে। ট্রান্সমিশন লাইনের শুরুর দিকে এই ধরনের Transformer বসানো হয়।

স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার (Step-Down Transformer): যে ট্রান্সফরমারের প্রাইমারিতে বেশি ভোল্টেজ সাপ্লাই দিয়ে সেকেন্ডারিতে কম ভোল্টেজ পাওয়া যায় তাকে স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমার বলে। এ ধরনের Transformar এ সেকেন্ডারির চেয়ে প্রাইমারিতে পাক সংখ্যা বেশি থাকে। ট্রান্সমিশন লাইনের শেষ প্রান্তে এই ধরনের Transformar বসানো হয়।


তো আজ এ পর্যন্তই। সামনে আবারো নতুন কোন টপিক নিয়ে লিখবো ইনশাআল্লাহ। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্টে লিখুন আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আর পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

প্রকৌশল বিদ্যা বা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট ইঞ্জিনিয়ারিং’ (inbangla.net/eng) এর সাথেই থাকুন।

Leave a Reply

nv-author-image

ইন বাংলা নেট ইঞ্জিঃ

ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রকৌশল বিদ্যা সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট ইঞ্জিনিয়ারিং’ (inbangla.net/engr) এর সাথেই থাকুন।View Author posts