(১) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি পেতে সময় লাগে কতদিন?

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি পেতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১৫ কর্ম দিবস। কর্ম দিবস মানে যেসব দিন অফিস খোলা থাকে কোন প্রকার সরকারি ছুটি থাকে না।
আমি নিজে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে একবার ও ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে একবার, মোট ২টা পুলিক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট করেছি। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি পেতে সময় কত লাগে ও কিভাবে আবেদন করতে হয় তা আমার ভালো ভাবেই জানা আছে।
(২) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ কতদিন?

পুলিশ ক্লিয়ান্সে এর মেয়াদ থাকে ৬ মাস, যেই তারিখ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটে মুদ্রিত রয়েছে সেই তারিখ থেকে মাস গণনা হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন প্রক্রিয়া এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি পেতে কোন ধাপে কত সময় লাগে তা আমি নিচে খুব সহজ ও সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরলাম।
(৩) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কিভাবে পাবো, ধাপ কয়টি? পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি পেতে সময় কোন ধাপে কিরকম লাগে?

পুলিশ ক্লিায়ারেন্স এর ১০টি ধাপ রয়েছে, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি পেতে সময় কোন ধাপে কিরকম লাগে তা তুলে ধরা হলো-
১. Submitted: আপনার আবেদন সফলভাবে জমা হয়েছে।
সময়ঃ আবেদন করার সাথে সাথেই হবে।
৩. Under Verification: আবেদন যাচাই প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
সময়ঃ এই পর্যায়ে ১-২ দিনে মাঝে আপনার নিকটস্থ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার আপনাকে কল করবেন।
২. Payment Received: ফি পরিশোধ নিশ্চিত হয়েছে।
সময়ঃ ১ দিন সময় লাগেব।
(থানা থেকে কল না করলে বা কল না করলেও, আপনি নিজে থেকেই আবেদনের সময় যেসকল ডকুমেন্টস এর স্ক্যন কপি বা ছবি আপলোড করে আপেলোড করছেন, ঐ সময় ডমুমেন্ট হাতে নিয়ে থানায় চলে যাবেন। যেই অফিসার বা এ.এস.আই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর দায়িত্ব রয়েছে তার কাছে জমা দিবেন। যাচাই-বাছাই শেষে তিনি আবেদনটি পরবর্তী ধাপে পাঠাবেন।)
৪. Ready for Print: আবেদনটি প্রিন্টের জন্য প্রস্তুত।
সময়ঃ এখানে ১ দিন সময় লাগবে।
৫. Certificate Printed: সার্টিফিকেট প্রিন্ট করা হয়েছে।
সময়ঃ এখানে ১ দিন সময় লাগবে।
৬. Signed by OC: ওসি (Officer-in-Charge) স্বাক্ষর করেছেন।
সময়ঃ এখানে ১ দিন সময় লাগবে।
৭. Signed by DC/SP: ডেপুটি কমিশনার বা পুলিশ সুপার স্বাক্ষর করেছেন।
সময়ঃ এখানে ১-২ দিন সময় লাগবে।
৮. MOFA Verification: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফিকেশন।
সময়ঃ ২-৩ দিন লাগবে।
৯. Ready for Delivery: সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত।
সময়ঃ পুলিশ সুপারের অফিস বা এসপি অফিস গেলেই সাথে সাথেই আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি হাতে পেয়ে যাবেন। সাথে অবশ্য আবেদনপত্রটি নিয়ে যাবে, প্রথম দিন আবেদন করার পর যেটি পেয়েছিন।
১০. Delivered: মানে আপনি আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি পেয়ে গেছেন।
সময়ঃ এতে কোন সময় লাগে না।
অর্থ্যাৎ, আপনার আবেদন টি ৯ নাম্বার এ আসলে আপনি সার্টিফিকেট টি সংগ্রহ করতে পারবেন।
আমি ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ এর আবেদন করে ০২ জানুয়ারিতে আমার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হাতে পেয়েছি।
(৪) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে?

পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন-
১. ছবি
২. পাসপোর্ট
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
৪. জন্মনিবন্ধন সনদ
৫. পৌরসভা/ইউনিয়ন চেয়ারম্যান/কাউন্সিলর থেকে প্রাপ্ত চারিত্রিক সনদ অথবা নাগরিক সনদ
(ছবি বাদে উপরোক্ত কাগজপত্র সত্যায়িত করে করতে হবে। প্রথম প্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বার সত্যায়িত করে দিতে হয়। সরকারি কলেজের শিক্ষক, সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার, সরকারি কোন অফিসের প্রধান কর্মকর্তা এদের থেকে সত্যায়িত করে নেওয়া যায়। উল্লিখিত পাঁচটি ডকুমেন্ট স্ক্যান কপির ছবি আবেদনের সময় আপলোড করতে হবে।)
(কিছু কিছু থানাতে ডকুমেন্টগুলো সত্যায়িত না করলেও হয়। আমার এক বন্ধু ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ এ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ডেলিভারি পেয়েচে। সে সত্যায়িত ছাড়াই অরিজিনাল ডকুমেন্টন এর স্ক্যান কপি আপলোড করে ও থানাতে সত্যায়িত ছাড়াই শুধু ফটোকপি জমা দিয়ে ১০ কর্ম দিবসের মধ্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হাতে পেয়েছে। থানাতে কোন ঘুষ দিতে হয়নি।)
(তবে আমি ২বার পুলিক্লিয়ান্সে নিয়েছি উভয় সময় সত্যায়িত করে দিতে হয়েছেও। মার্চ-২৪ এ থানায় পুলিশ কে ঘুষ দিয়ে হয়েছে। তবে ডিসেম্বর-২৪ জুলািই গণঅভ্যাথানের পর পুলিশ আর ঘুষ নিতে সাহস করেনি, তার আমরা শুধু ৫০৩ টাকা খরচ হয়েছে। নিজেই আবেদন করেছি তাই কাউকে খরচ দিতে হয়নি।)
(৫) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগে?

সরকারি ফি ভ্যাটসহ মোট ৫০৩ টাকা, যা বিকাশ, রকেট বা নগদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
পরশোধ করার পর চালান কপির একটা পিডিএফ পেয়ে যাবেন। চালান কপিটি আবেদনের শেষ ধাপে এসে আপলোড দিতে হয়।
এটা গেল সরকারি খরচ।
এপর যার মাধ্যমে বা যেই কম্পিউটারের দোকান থেকে কাজ করাবেন সে ১৫০/২০০/২৫০ টাকা খরচ নিবে।
এরপর যখন থানাতে যাবেন তখন পুলিশ সৎ হলে একটাও ঘুষ নিবে না। অসৎ হলে ৩০০/৫০০ টাকা ঘুষ নিতে পারে।
মোটা দাগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে সর্মনিম্ন ৫০৩ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ বা ১২০০ টাকা লাগতে পারে।
(৬) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে কোথায় যোগাযোগ করতে হয়?

প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হয়, পরে থানাতে যোগাযোগ করতে হয়।
প্রথমে নিজে নিজে বা যেকোন কম্পিউটারের দোকন থেকে PCC ওয়েবসাইট থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন অঅবেদন সম্পন্ন করতে হয়। আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন ও পেমেন্ট পরিশোধ হলে, পরে আপনি যেই থানায় অধিনে আবেদন করছেন, সেই থানা থকে আপনাকে কল করে ডেকে নিবে অথবা আপনি নিজে আপনার থানাতে গিয়ে আপনার সময় কাগজপতত্রে ফটোকপি জমা দিয়ে আসবেন।
এরপর পুলিশ ক্লিঢারেন্স রেডি হয়ে গেলে, আপনার থানা থেকে বা SP অফিস থেকে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ডেলিোরি পাবেন। বেশিরভাগ সময় SP অফিস থেকে ডেলিভারি পাওয়া যায়।
এখানে SP অফিস বলেতে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় বুঝানো হয়।
(৭) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আবেদনের সময় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

অনলাইনে আবেদন করার সময় পাসপোর্টের তথ্যের সঙ্গে ১০০% মিল রেখে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে। আবেদন সাবমিট করার পর আপনি কিছু ধাপ দেখতে পাবেন, যা প্রতিটি ধাপ কমপ্লিট হলে আপডেট হবে।
যদি কোন কারণে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন বাতিল হয়, তাহেল কি কারণে বাতিল হয়েছে তা, যেই ওয়ৈবসাইটে থেকে যেই একাইন্ট থেকে আবাদেন করা হয়েছে সেখানে লগিন করছে, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স স্ট্যাটাস পেইজে গেলে, সেখানের মন্তবযর কলামে লেখা থাকেব কি কারণে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেওয়া যাচ্ছেনা এবং কিভাবে আপনি তা সমাধান করতে পারবেন।
এবেরা আমি আমার যে ৫০৩ টাকা পেমেন্ট এর চালান কপির পিডিএফ আপলোড না করে এটার ছবি আপলোড করেছিলাম, তাই আমার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদনটি ১-২ দিন পর রিজেক্ট করে দিয়েছিল।
আমি এক সপ্তাহ পরে PCC ওয়েবসাইটে লগিত করে দচেক করে বুঝতে পারি। আবার নতুন করে আবেনদ করি, আগের চালানটারই পিডিএফ কপি আপলোড করি, তার পর আবেদন গ্রহণ করা হয়।
(৮) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স স্ট্যাটাস চেক

আপনি যদি অন্য কারোর মাধ্যমে আবেদন কর থাকেন তখন ঘরে বসে, আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদনটি কোন ধাপে রয়েছে তা জানেতে হলো-
আপনার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে মোবাইলের মধ্যমে এসএমএস করুন PCC S XXXXXXXXX লিখে এবং পাঠিয়ে দিন 26969 নম্বরে (এখানে XXXXXXXXX আবেদনের রেফারেন্স নং উদাঃ 170002255)। ফিরতি এসএমএস এ পেয়ে যাবেন সর্বশেষ স্ট্যাটাস।
অথবা, যার মাধ্যমে বা যেই কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করছেন, সে তার লগিন পারওয়ার্ড দিয়ে PCC ওয়েবসাইট থেকে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স স্ট্যাটাস সরাসরি দেখিয়ে দিতে পারবে।
আর, আপনি যদি নিজেই আবেদন করে থাকন তাহেলে আপনি নিজেই যেই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করছেন সেখানে লগিল করেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
(৯) আসল/নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সিার্টিফিকেটের প্রথম দিকে একটা QR কোড থাকে। গুলো প্লেস্টোর থেকে যে কোন QR CODE SCANNER APPডাইলোড করে নিয়ে নেটা দিয়ে কোডটা স্যান্স করলে যদি সঠিক তথ্য দেখায় তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি অরিজিনাল।
(১০) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদনের প্রয়োজনীয় শর্তাবলী

১. আবেদনকারীর কমপক্ষে ৩ মাস মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট থাকতে হবে।
২. আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা হিসেবে পাসপোর্টে উল্লিখিত স্থায়ী কিংবা জরুরী ঠিকানার যে কোন একটি ব্যবহার করতে হবে এবং আবেদনকারীকে অবশ্যই ঐ ঠিকানার বাসিন্দা হতে হবে।
৩. মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এম আর পি) এর ক্ষেত্রে যদি পাসপোর্টে ঠিকানা উল্লেখ না থাকে তবে ঠিকানার প্রমাণ স্বরূপ জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র/স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর সনদপত্রের ফটোকপি ১ম শ্রেণীর সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে দাখিল করতে হবে ।
৪. বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী কোন ব্যক্তির পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য তিনি যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশন কর্তৃক পাসপোর্টের তথ্য পাতার সত্যায়িত কপি তার পক্ষে করা আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে ।
৫. বিদেশগামী কিংবা প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক এবং বাংলাদেশে বসবাস করে স্বদেশে/বিদেশে প্রত্যাবর্তনকারী বিদেশী নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এই অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়।
৬. বিদেশগামী কিংবা প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক যারা বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য কোন দেশ থেকে পাসপোর্ট ইস্যু/ রি-ইস্যু করিয়েছেন তাদেরকে বাংলাদেশে আসার পর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে চাইলে সর্বশেষ এরাইভেল (Arrival) সিল সম্বলিত পৃষ্ঠাটির স্ক্যান কপি আবেদনের সাথে আপলোড করতে হবে।
৭. প্রবাসী আবেদনকারীগণ যার মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ করতে চান তার নাম এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর উল্লেখ করে তাকে সত্যায়ন পূর্বক একটি অনুমতি পত্র (Authorization Letter) আবেদনের সাথে আপলোড করতে হবে। স্থানীয় আবেদনকারীর ক্ষেত্রেও সনদ গ্রহণের সময় সংগ্রহকারীকে অনুরূপ অনুমতি পত্রসহ প্রেরণ করতে হবে।
৮. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চাকুরী কিংবা অন্য কোন কাজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন হলে আপনি যে জেলার বাসিন্দা উক্ত জেলা ডিএসবি অফিস অথবা আপনার ঠিকানা যদি মেট্রোপলিটন এলাকায় হয় তাহলে উক্ত মেট্রোপলিটন এলাকার সিটি এসবি অফিসে যোগাযোগ করুন।
(১১) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করার নিয়ম

ধাপ-১: অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে যে কেউ নিজের জন্য অথবা অন্যের পক্ষে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করতে পারবে। নিবন্ধন করার জন্য pcc.police.gov.bd গিয়ে রিজিস্ট্রেশন ও লগিন করার পর আবেদন করতে হয়।

ধাপ-২: নিবন্ধিত ব্যবহারকারী অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সাইটে লগ-ইন করার পর Apply মেনুতে ক্লিক করে আবেদনপত্রটি যথাযথভাবে পূরণ করুতে হয়।
ধাপ-৩: আবেদন ফরমের প্রথম ধাপে ব্যক্তিগত বিস্তারিত তথ্য, দ্বিতীয় ধাপে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করুন। আপনার বর্তমান ঠিকানা যে জেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত সেই ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবে।
ধাপ-৪: আবেদন ফরমের তৃতীয় ধাপে প্রয়োজনীয় ডকুমেণ্টসমূহের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হয়।
ধাপ-৫: আবেদন ফরমের চতুর্থ ধাপে আপনার এন্ট্রিকৃত সকল তথ্য দেখানো হবে। আবেদনে কোন ভুল থাকলে তা পূর্ববর্তী ধাপসমূহে ফেরত গিয়ে পরিবর্তন করা যাবে। তবে চতুর্থ ধাপে আবেদনটি সাবমিট করার পর আর কোন পরিবর্তন করার সুযোগ থাকবে না।
ধাপ-৬: চালানের মাধ্যেমে ফি পরিশোধের উপায় এবং পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
প্রিয় পাঠক বন্ধু, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করা হয়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হাতে পাওয়া খুব জটিল কিছু নয়। ৫০০-৭০০ টাকা খরচ হয় আর ১০-১৫ কর্ম দিবস সময় লাগে। সঠিকভাবে আবেদন করলে ও উল্লিখিত ডুমেন্টস প্রদান করলে এবং আপনার নামে বড় ধরণের কোন ফৌদারি মামলা না থাকলে খুব সহজেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি পেয়ে যাবেন।
নিজে নিজে আবেদন করেতে যামেলা মনে হলে, যেকোন কম্পিইটারের দোকান থেকে যারা প্রতিদির এরকম অসংখ্য পুলিশ ক্লিায়ারেন্স এর কাজ করে দিয়ে থাকে তাদের মাধ্যমে করে নিতে পারে। তারা ১৫০/২০০/২৫০ টাকার বিনিময়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন করে দিয়ে থাকে।

আজকের এই পোষ্টটির মূল উদ্দেশ্য ছিল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি পেতে সময় কিরকম লাগে এই বিষয়টা শুধু ধারণা দেওয়া। আবেদনে পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ম ও উপায়সহ আলোচনা নিয়ে হাজির হবে অন্য কোন দিন।
নাগরিক সেবা সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট সেবা’ (inbangla.net/seba) এর সাথেই থাকুন।
[সংগ্রহিত]