Skip to content

ভেড়ার খামারঃ লাভজনকভাবে ভেড়া পালন করতে ভেড়ার যত্নে ১৬টি বিষয়

ভেড়ার খামারঃ লাভজনকভাবে ভেড়া পালন করতে ভেড়ার যত্নে ১৬টি বিষয়

আপনার ভেড়ার খামারকে লসের হাত থেকে বাঁচিয়ে খামারকে লাভজনকভাবে করে ভেড়া পালন করতে ভেড়ার যত্নে নিম্নেক্ত ১৬টি বিষয় লক্ষ্য করা উচিত। যথা-

১। ভেড়ার পশমের ভেতরে উকুন, আঠালি ও মাইট জাতীয় পোকার আক্রমন হয়ে থাকে, এসব পোকা রক্ত চুষে খায় বলে ভেড়ার উৎপাদন ক্ষমতা বাধাগ্রস্থ হয়।

ইনসেন্টিসাইড প্রয়োগ করে যেমন- টক্সাফেন, ম্যালাথিয়ন প্রভৃতি, ভেড়াকে পরজীবী পোকার আক্রমন হতে মুক্ত রাখা যায়।

ইনসেক্টিসাইড পানিতে গুলে ভেড়ার শরীরে স্প্রে করতে হবে। কিংবা পানিতে মিশিয়ে উক্ত পানিতে ভেড়াকে চুবাতে হবে। ইনসেক্টিসাইড উঁষধ খুবই বিষাক্ত বিধায় খেয়াল রাখতে হবে যেন ওঁষধ মিশানো পানি ভেড়ার মুখের ভিতরে, চোখে বা নাকে প্রবেশ না করে।

২। অন্তঃপরজীবি হতে মুক্ত রাখার জন্য ভেড়াকে নিয়মিত কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে।

৩। ভেড়ার রোগ ব্যাধির মধ্যে কয়েকটি মারাত্নক সংক্রামক ব্যাধি রয়েছে | ক্ষুরারোগ, তড়কা, গলাফুলা, জলাতংক, বসন্ত, ধনুষ্টংকার ইত্যাদি | নিয়মিত প্রতিষেধক টিকা প্রদান করে এসব রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

৪। সারা বছর শেলটার এর ব্যবস্থা রাখুন।

৫। পশম কাটা/ছাটার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ যাতে চামড়া্/মাংস কাটা না পড়ে | কেটে গেলে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা উচিৎ এবং এন্টি সেপটিক ব্যবহার করা উচিৎ যাতে সংক্রমন না হয়।

৬। বাচ্চা প্রসবের পূর্বে ও পরে প্রসূতি ও নবজাতক ছানার বিশেষ পরিচর্যা করতে হবে।

৭। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বাচ্চা প্রসব করালে প্রসবকালীন রোগ-ব্যাধি হতে ভেড়াকে মুক্ত রাখা সম্ভব হয় | এ সময় মায়ের জন্য ও বাচ্চার জন্য বিশেষ খাদ্যের ব্যবস্থা করা উচিৎ।

৮। তাদের খড়ের বিছানা করে দিন, বিশেষ করে শীতে।

৯। বায়ু প্রবাহ চলমান রাখুন। একটি ফ্যান ইনস্টল করুন এবং বাতাস চলাচলের জায়গা রাখুন রাখুন।

১০। বেড়া সেট করুন।

১১। ভেড়াকে অতিরিক্ত শস্য খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।

পড়ুন
গরুর পাতাকৃমির ঔষধের নাম? ভেড়ার পাতাকৃমির ঔষধের নাম?

১২। আপনার ভেড়াকে লবণ দিন, ভেড়ার জন্য লবণযুক্ত খনিজ উপাদান দরকার।

১৩। তাদের টাটকা, পরিষ্কার জল সরবরাহ করুন।

১৪। খড় বৃষ্টিপাত থেকে দূরে সংরক্ষণের করুন এবং খড় মাটি ছাড়ানোর আগে শুকানো উচিত। যদি খড় স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায় তবে এটি আবার শুকিয়ে এবং বিছানায় ব্যবহার করতে হবে।

১৫। বছরে কমপক্ষে একবার ভেড়ার পশম বড় হলে কাঁচি বা মেশিন দিয়ে ছোট করে ফেলা উচিৎ। এতে ভেড়া যেমন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে তেমনি উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়।

বিভিন্ন গবাদি পশু যেমন- গরু পালন, ছাগল পালন, মহিষ পালন, ভেড়া পালন ইত্যাদি সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট গবাদি পশু’ (inbangla.net/gobadi) এর সাথেই থাকুন।

অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।

Leave a Reply

nv-author-image

ইন বাংলা নেট গবাদি

বিভিন্ন গবাদি পশু যেমন- গরু পালন, ছাগল পালন, মহিষ পালন, ভেড়া পালন ইত্যাদি সম্পর্কিত যা কিছু বাংলাতে।View Author posts