Skip to content
যোনির গভীরতা কত ইঞ্চি

যোনির গভীরতা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে এবং এটি শারীরিক অবস্থা ও উত্তেজনার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।

ছেলে-মেয়ে নির্বশেষে, অনেকেই যোনির গভীরতা কত ইঞ্চি? বা মেয়েদের যোনি কত ইঞ্চি হয়ে থাকে? তা জানতে চান। যৌন বিষয়ে জানার আগ্রহ সবাররই একটু বেশিই থাকে। বিশেষ করে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আরও বেশি, যা স্বাভাবিক। যাইহোক।

সাধারণত, একটি অনুত্তেজিত যোনির গভীরতা গড়ে প্রায় ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি (৭.৬ থেকে ১০.২ সেন্টিমিটার) হয়। তবে, যৌন উত্তেজনার সময় যোনি প্রসারিত হয়ে এর গভীরতা বৃদ্ধি পেতে পারে, যা ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি (১২.৭ থেকে ১৭.৮ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত হতে পারে। এই নমনীয়তার কারণে যোনি যৌনমিলন বা সন্তান জন্মদানের সময় আরও প্রসারিত হতে সক্ষম। তবে, এটি একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে।

যোনির গভীরতা

যৌন উত্তেজনার সময় যোনির গভীরতা কিছুটা বাড়তে পারে। যৌন উত্তেজনার ফলে যোনির পেশী প্রসারিত হয়, যার কারণে গভীরতা বৃদ্ধি পায়।

বয়সের সাথে যোনির গভীরতা কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। বিশেষ করে, প্রসবের পর বা মেনোপজের সময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে যোনির স্থিতিস্থাপকতা এবং গভীরতা পরিবর্তিত হতে পারে।

বিভিন্ন নারীর যোনির গভীরতার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এটি শারীরিক গঠন, বয়স, হরমোনের মাত্রা এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে।

যৌন সন্তুষ্টি অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে গভীরতা একটি বিষয়। তবে, গভীরতার চেয়ে যৌন উত্তেজনার সময় যোনির স্থিতিস্থাপকতা, পিচ্ছিলতা এবং অন্যান্য শারীরিক ও মানসিক বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

সন্তান প্রসবের পরে যোনির গভীরতা এবং স্থিতিস্থাপকতা কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। তবে, এটি সাধারণত সময়ের সাথে সাথে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

অনেকের ধারণা, যোনির গভীরতা যৌন সন্তুষ্টির প্রধান নির্ধারক। এটি একটি ভুল ধারণা। যৌন সন্তুষ্টি শারীরিক ও মানসিক ঘনিষ্ঠতার উপর নির্ভরশীল।

কিছু নারীর ক্ষেত্রে, যোনির পেশী অতিরিক্ত সংকুচিত হতে পারে, যা যৌন মিলনের সময় ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এটি ভ্যাজাইনিসমাস নামে পরিচিত।

পড়ুন
কোন খাবার পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে?

ভ্যাজাইনিসমাস (Vaginismus) হলো একটি শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, যেখানে যোনির পেশীগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে সংকুচিত হয়ে যায়। এর ফলে যোনিতে কোনো কিছু প্রবেশ করানো কঠিন বা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এটি যৌনমিলনের সময় ব্যথা, অস্বস্তি বা ভয়ের কারণ হতে পারে।

ভ্যাজাইনিসমাসের মতো সমস্যার জন্য চিকিৎসা রয়েছে। পেলভিক ফ্লোর থেরাপি এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

মানব শরীর ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট স্বাস্থ্য’ (inbangla.net/sastho) এর সাথেই থাকুন।

অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।

Leave a Reply

nv-author-image

ইন বাংলা নেট স্বাস্থ্য

মানব শরীর ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যা কিছু বাংলাতে।View Author posts