Skip to content

লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা

লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা

রান্নায় গরমমশলা হিসেবে লবঙ্গ দেওয়ার চল বহু প্রাচীন কাল থেকেই। আমাদের দাদি-নানির পানের বাটাতেও উঁকি মারে এই মশলা। মুখশুদ্ধি হিসেবে জোয়ান কিংবা মৌরির মতো ঘুরতে-ফিরতে মুখে লবঙ্গ দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। আগে তো মাউথ ফ্রেশনারের চলন ছিল না, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টোটকাই ছিল লবঙ্গ। আবার, মারাত্মক কাশি থেকে রেহাই পেতেও লবঙ্গের চা দারুণ উপকারী। স্বাস্থ্যের উপকারিতার দিক থেকেও লবঙ্গের অবদান অনেক। তো চলুর আমরা এই লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে আসি।

(১) লবঙ্গ কি?

লবঙ্গ কি: বঙ্গ গাছের ফুলের শুকনো কুঁড়িই হলো লবঙ্গ।

রান্নাঘরের পরিচিত উপাদান লবঙ্গ। মসলা হিসেবে লবঙ্গ সকলের পরিচিত। লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা ইংরেজি নাম হলো- Clove (ক্লোভ) এবং এর বোটানিকাল নাম হলো- Syzygiumaromaticum (সিজিজিয়াম অ্যারোমাটিকাম)।

‘লবঙ্গ’ গাছের ফুলের কুড়িকে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। ‘লবঙ্গ’কে লং বলেও ডাকা হয়।

লবঙ্গের সুগন্ধের মূলকারণ হচ্ছে- ‘ইউজেনল’ নামের যৌগ। এটি লবঙ্গ থেকে প্রাপ্ত তেলের মূল উপাদান, এবং এই তেলের প্রায় ৭২-৯০% অংশ জুড়ে ইউজেনল বিদ্যমান। এই যৌগটির জীবাণু নাশক এবং বেদনা নাশক গুণ রয়েছে।

লবঙ্গের তেলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো- অ্যাসিটাইল ইউজেনল, বেটা-ক্যারোফাইলিন, ভ্যানিলিন, ক্র্যাটেগলিকঅ্যাসিড, ট্যানিন, গ্যালোট্যানিক অ্যাসিড, মিথাইল স্যালিসাইলেট, ফ্ল্যাভানয়েড, ইউজেনিন, র্যাম্নেটিন, ইউজেনটিন, ট্রি-টেরপেনয়েড, ক্লিনোলিক অ্যাসিড, স্টিগ্মাস্টেরল, সেস্কুইটার্পিন।

USDA এর তথ্য অনুসারে, ১০০ গ্রাম লবঙ্গে রয়েছে- ৬৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম টোটাললিপিড, ২ গ্রাম সুগার, ২৭৪ কিলো-ক্যালোরি শক্তি ও ৩৩ গ্রাম ডায়েটারিফাইবার।

লবঙ্গের খনিজের মধ্যে- ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক কমবেশি সবই আছে। আর ভিটামিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বি-৬, বি-১২, সি, এ, ই, ডি, কে, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ফোলেট রয়েছে। এই সব যৌগের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে।

লবঙ্গ সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। শরীরের যত্নের পাশাপাশি রান্নায়ও স্বাদ বৃদ্ধিতে লবঙ্গের জুড়ি নেই। তবে মাত্রাতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়াতেও রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। চলুন, জেনে নিই লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার নানা দিক।

See also
পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

(২) লবঙ্গের উপকারিতা

প্রতিদিন সকালে ও রাতে ২-৩টি করে লংবা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে নিম্নলিখিত উপকার পাওয়া যায়। লবঙ্গের উপকারিতা হলো-

১। দাঁতের ব্যথা কমায়: লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা দূরকরে। মাড়ির ক্ষয় নিরাময় করে। লবঙ্গতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু বিক্রিয়া করে যে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যায়। প্রায় সব টুথপেস্টের কমন উপকরণ এই লবঙ্গ।

২। বমি বমি ভাব দূর করে: ট্রেনে বা বাসে যাওয়ার সময় যদি মাথা ঘুরতে থাকে ও বমি এসে যায়, তাহলে মুখে একটি লবঙ্গ রেখে সেই রস চুষলে বমি ভাব ও মাথা ঘোরা কমে যাবে। গর্ভবতী মায়েরা সকালের বমিবমি ভাব দূর করতে লবঙ্গ চুষতে পারেন। লবঙ্গের সুগণ্ধ বমিবমি ভাবদূর করে।

৩। সর্দি–কাশি ও ঠাণ্ডা লাগা কমায়: সর্দিকাশির মহৌষধ হিসেবে লবঙ্গ বহু বছর ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবঙ্গ চিবিয়ে রস গিলে খেলে বা লবঙ্গ মুখে রেখে চুষলে সর্দি, কফ, ঠাণ্ডা লাগা, অ্যাজমা, গলাফুলে ওঠা, রক্ত পিত্ত আর শ্বাস কষ্টে সুফল পাওয়া যায়।

৪। সাইনাস ইনফেকশনের প্রকোপ কমায়: সাইনোসাইটিস রোগে লবঙ্গ খুব উপকারি। সাইনোসাইটিসের রোগীদের চিকিৎসায় লবঙ্গ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। লবঙ্গে বিদ্যমান ইগুয়েনাল নামে একটি উপাদান আছে, যা সাইনাসের কষ্ট কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫। মাথা ব্যথা ও মাথা যন্ত্রণা কমায়: ধোঁয়া, রোদ এবং ঠান্ডার জন্য শ্লেষ্মা বেড়ে নানা ধরনের মাথা ব্যথা বা মাথার রোগ দেখা দিতে পারে। মাথা ব্যথা কমাতে লবঙ্গের উপকারিতা অপরিসীম।

৬। পেট ফাঁপা ও পেটের অসুখ উপসম করে: পেট ফাঁপা রোগ নিরাময়ে লবঙ্গ ব্যবহার হয়। লবঙ্গ এনজাইম বৃদ্ধি করে বদ হজম, অগ্নি মান্দ্য (খিদে না হওয়া), পেটের গ্যাস ও বায়ু, পেট ব্যথা, অজীর্ণ, এমনকি কলেরা বা আন্ত্রিক রোগের উপকার করে।

৭। কামোদ্দীপক ও যৌন রোগে উপকারি: লবঙ্গ কামোদ্দীপক। এর সুবাস অবসাদ দূর করে, শরীর ও মনের ক্লান্তি ঝরিয়ে দেয়। যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।

৮। প্রচণ্ড স্ট্রেস ও উৎকণ্ঠা কমায়: এক টুকরো লবঙ্গ মুখে ফেলে চুষে চুষে খেয়ে ফেলুন। পান করতে পারেন লবঙ্গের চাও। মেজাজ ফুরফুরে হয়ে উঠবে।

৯। ব্রণের চিকিৎসায়: লবঙ্গ ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ব্রণের দাগ দূর করতে লবঙ্গের পেস্ট ব্রণের ওপরে দিয়ে রাখুন। লবঙ্গ খেলেও ব্রণ হবে না।

See also
কুমড়া বীজের উপকারিতা ও কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম

১০। রক্ত পরিশোধন করে: লবঙ্গ শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদানগুলো সরিয়ে রক্তকে পরিশোধন করতে ভূমিকা রাখে। রক্তকে পরিস্কার করে।

১১। পিপাসা রোগে উপকারি: যারা পিপাসা রোগে প্রায়ই আক্রান্ত হন; বারবার পানি পান করতে হয়। তাদের সকালে ও বিকালে লবঙ্গ খেলে-পিপাসা চলে যাবে।

১২। খাবারে রুচি বৃদ্ধি করে: বিভিন্ন রোগ বিশেষ করে পেটের রোগে এবং জ্বরে ভোগার পরে খাবারে অরুচি দেখা দেয়। ভাত-রুটি, মাছ-মাংস, মিষ্টান্ন বা যে কোন উপাদেয় খাবারে পর্যন্ত রুচি হয় না সেক্ষেত্রে লবঙ্গ চুর্ণ সকালে খালি পেটে দুপুরে খাবারের পরে খেলে খাবারে রুচি ফিরে আসবে।

১৩। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: হজমে সহায়তা করে এমন এনজাইমনিঃসরণের মাধ্যমে এবং অ্যাসিড ক্ষরণের মাধ্যমে লবঙ্গ আমাদের হজম ক্ষমতা সক্রিয় করে তোলে। এরাফ্লাটুলেন্স, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, ডিসপেপসিয়া এবং নসিয়া কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের রক্ত প্রবাহেরও উন্নতি ঘটায়।

১৪। বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান বিদ্যমান: লং এর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিকারসিনোজেনিক, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়া, অ্যান্টিইনফ্লেমেটোরি, হেপাটো-প্রোটেক্টিভসহ আরো অনেক বায়ো অ্যাক্টিভ উপাদান পাওয়া যায়। লবঙ্গ কলেরা, যকৃতের সমস্যা, ক্যান্সার, শরীরে ব্যথা ইত্যাদি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ যে কোনও ধরনের জীবাণুকে মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১৫। ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন তৈরি হতে পারে না। গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, লং এর রস শরীরের ভিতরে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে ও কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, এবং রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শকর্রার মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা কমে যায়। নিয়মিত লবঙ্গ খেয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সহজ।

১৬। মুখের রোগ সারিয়ে তুলে ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: মাড়ির সমস্যা, যেমনঃ জিনজিভাইটিস ও পেরিওডনটাইটিস হলে লং ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। লং এর মুকুল (মাথার অংশ) ওরালপ্যাথোজেনের বৃদ্ধিরোধ করে আপনার মুখটি কেসকল রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।

মাড়ির ক্ষয় বা দাঁতের ব্যথা রোধেও এরা সাহায্য করে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লবঙ্গ তুলনাহীন। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমাবার সময় ২টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চিবিয়ে ঘুমাতেহবে। কয়েকটি মুখে রেখে চিবালেই আপনার নিঃশ্বাস হয়ে উঠবে তরতাজা।

See also
মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

১৭। আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমায়: লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আর্থ্রাইটিসের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, জয়েন্টপেইন কমানোর পাশাপাশি পেশির ব্যথা, হাঁটুতে, পিঠে বা হাড়ের ব্যথা এবং ফোলা ভাব কমাতেও এই ঘরোয়া ঔষধিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১৮। জ্বরের প্রকোপ কমায়: লবঙ্গে থাকা ভিটামিনকে এবং ই, রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাসে রাসব মারা পরে। ফলে ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

১৯। ত্বকের সংক্রমণ সারাতে কাজে আসে: আসলে লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে জীবাণুদেরও মেরে ফেলে। ফলে সংক্রমণ জনিত কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগে না। ঘা পচড়া হতে পারবে না।

২০। লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের মধ্যে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুধু লিভার নয়, শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে একাধিক হেপাটোপ্রটেকটিভ প্রপার্টিজও রয়েছে, যা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২১। শরীর ফোলা কমায়: লবঙ্গ খেলে ঠাণ্ডার জন্যে শরীরের কোনো অংশ ফুলে ওঠা কমে যায়। 

২২। শ্বাস কষ্ট কমায়: লবঙ্গ চিবিয়ে রস গিলে খেলে শ্বাস কষ্ট ও হাঁপানিতে আরাম পাওয়া যায়।

২৩। হাড় শক্ত করে: লবঙ্গে উপস্থিত ফেনোলিক কম্পাউন্ড-ইউজিনল এবং ইউজিনল ডেরিভাটিভস শরীরে প্রবেশ করার পর বোন ডেনসিটির (হাড়েঘনত্ব) উন্নতি ঘটে। এটি হাড়ের ভেতরের নানাবিধ মিনারেলের ঘাটতিও পুরণ করে। ফলে হাড়ের সমস্যা জনিত যে কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। নারীরা এবং বয়স্ক মানুষদের নিয়মিত লবঙ্গ খেলে হাড়ের সমস্যা অনেকটা কমে যায়।

২৪। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: লবঙ্গ ব্রেস্টক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধকরে থাকে।

২৫। শুক্রাণু উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে: লবঙ্গ সব বয়সের মানুষের জন্য ভালো হলেও পুরুষদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। পুরুষদের জন্যও লবঙ্গের উপকারিতা রয়েছে।

জীবনযাত্রার অনেক কারণ যেমন বয়স, ধূমপান, খারাপ খাদ্য, মদ্যপান এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ পুরুষদের খারাপভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে শুক্রাণুর সংখ্যা কম হয়। পুরুষের উর্বরতা বজায় রাখতে ডায়েট একটি বড় ভূমিকা পালন করে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, লবঙ্গে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকলাপ রয়েছে, যা ফ্রি রেডিক্যালের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রজনন অঙ্গের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায় এবং শুক্রাণুর গুণমান এবং গতিশীলতা উন্নত করে।

See also
রসুন খেলে কি হয়?

(৩) লবঙ্গের অপকারিতা

লবঙ্গের অপকারিতাগুলো হলো-

চিরসবুজ লবঙ্গগাছের ফুলের কুঁড়িই হলো লবঙ্গ বা লং। এতে থাকা ‘ইউজেনল’ নামের উপাদানের জন্য লবঙ্গ থেকে মিষ্টি সুগন্ধ পাওয়া যায়। এই মসলাটি ঔষধি হিসেবে বেশ উপকারী হলেও কখনো কখনো এটিই বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

শরীরের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি রান্নায়ও স্বাদ বাড়াতে পারে লবঙ্গ। কিন্তু বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খেলে আপনার হতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

উপকারিতা পেতে বেশি বেশি লবঙ্গ খাওয়া অনুচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকেই অকারণে মুখে লবঙ্গ দিয়ে রাখেন, যা উপকারের চেয়ে অপকারই ডেকে আনতে পারে। যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম, তারা কখনোই বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খাবেন না। কেননা, এটি হাইপারগ্লাইসিমিয়ার কারণ হতে পারে।

তাই, যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম, তাদের কখনোই বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খেতে নেই। কেননা, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত লবঙ্গ সেবন হাইপারগ্লাইসিমিয়ার কারণ হতে পারে।

আবার যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও লবঙ্গ খাওয়ায় রেশ বা চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে লবঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকাই মঙ্গলজনক।

(৪) লবঙ্গ খেলে কি হয়?

লবঙ্গ খেলে কি হয়, লবঙ্গ খেলে-

  • লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির ক্ষয় নিরাময়ে বেশ কার্যকর। লবঙ্গের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে কিছু বিক্রিয়া করে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমিয়ে দেয়।
  • যাত্রাপথে বমি বমি ভাব দূর করতে মুখে লবঙ্গ দিয়ে রাখা যেতে পারে। এটি মুখে সুগন্ধি তৈরি করে বমি বন্ধে বেশ কাজ করে। বমির ভাব দূর করতে মুখে লবঙ্গ নিয়ে চুষতে পারেন অন্তঃসত্ত্বা নারীরাও।
  • সর্দি-কাশি ও ঠান্ডা প্রতিরোধে লবঙ্গকে মহৌষধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এটি চিবিয়ে রস গিলে খেলে বা লবঙ্গ মুখে রেখে চুষলে ঠান্ডা লাগা, অ্যাজমা, সর্দি, কফ, গলা ফুলে ওঠা আর শ্বাসকষ্টে বেশ সুফল পাওয়া যায়।
  • সাইনোসাইটিস রোগীদের চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবে লবঙ্গ ব্যবহার করেন অনেকে। সাইনাসের কষ্ট কমাতে লবঙ্গের বিশেষ উপাদান ইগুয়েনাল সাহায্য করে।
  • মাথাব্যথা ও মাথা যন্ত্রণা কমাতে লবঙ্গের জুড়ি নেই।
  • পেট ফাঁপা ও পেটের অসুখ নিরাময়ে লবঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ উপাদান এনজাইম বৃদ্ধি করে পেটব্যথা, অজীর্ণ, বদহজম, খিদে না হওয়া, পেটের গ্যাস ও বায়ু এমনকি কলেরা বা আন্ত্রিক রোগ নিরাময় করে।
  • প্রচণ্ড স্ট্রেস ও উৎকণ্ঠা কমাতে এক টুকরো লবঙ্গ মুখে ফেলে চুষে খেয়ে ফেলুন। এমনকি লবঙ্গের চা পানেও মেজাজ ফুরফুরে হয়ে উঠবে।
  • ব্রণের চিকিৎসায় লবঙ্গের ব্যবহার বেশ পুরোনো। লবঙ্গের পেস্ট ব্রণের ওপর দিয়ে রাখলে দাগ চলে যায়।
  • লবঙ্গ শরীরের ক্ষতিকর উপাদানগুলো বের করে রক্তকে পরিশোধন করতে বেশ ভূমিকা রাখে।
  • পিপাসায় বারবার পানি পানের বিড়ম্বনা এড়াতে সকালে ও বিকেলে লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। এতে পিপাসাজনিত রোগ দূর হবে।
  • পেটের রোগ বা জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্তের ফলে খাবারে অরুচি দেখা দিলে লবঙ্গ গুঁড়া করে সকালে খালি পেটে এবং দুপুরে খাবারের পরে খেলে রুচি ফিরে আসবে।
  • লবঙ্গ খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রক্তপ্রবাহেরও উন্নতি ঘটে।
  • লবঙ্গ ক্যান্সার, কলেরা, শরীর ব্যথা ও যকৃতের সমস্যা থেকে শরীরকে রক্ষা করে। লবঙ্গের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ যে কোনো জীবাণুকে মারতে ভূমিকা রাখে।
  • নিয়মিত লবঙ্গ খেলে সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। লংয়ের রস শরীরে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে এবং কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শকর্রার মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা কমে যায়।
  • মাড়ির সমস্যা ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লবঙ্গ বেশ কার্যকর। লংয়ের মুকুল (মাথার অংশ) ওরালপ্যাথোজেনের বৃদ্ধি রোধ করে মুখকে কেসকল রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। দুর্গন্ধ দূর করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় দুটি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চিবিয়ে ঘুমাতে হবে।
  • লবঙ্গে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা আর্থ্রাইটিসের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, জয়েন্টপেইন কমানোর পাশাপাশি হাঁটুতে, পেশির ব্যথা, পিঠে বা হাড়ের ব্যথা কমাতে এই ঘরোয়া ওষুধ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • লবঙ্গে থাকা ভিটামিন কে এবং ই, রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাস সব মারা যায়। ফলে ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
  • আসলে লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। সেই সঙ্গে জীবাণুও মেরে ফেলে। ফলে সংক্রমণজনিত কষ্ট কমতে মোটেও সময় লাগে না।
  • লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের মধ্যে উপস্থিত টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুধু লিভার নয়, শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • ঠান্ডায় শরীরের কোনো অংশ ফুলে উঠলে লবঙ্গ খেতে পারেন। এতে শরীরের ফোলা কমে যাবে।
  • শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীরাও লবঙ্গ চিবিয়ে রস খেলে আরাম পাবেন।
  • লবঙ্গে উপস্থিত ফেনোলিক কম্পাউন্ড-ইউজিনল এবং ইউজিনল ডেরিভাটিভস শরীরে প্রবেশ করার পর বোন ডেনসিটির (হাড়ে ঘনত্ব) উন্নতি ঘটে। এটি হাড়ের ভেতরের নানাবিধ মিনারেলের ঘাটতিও পূরণ করে। ফলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
  • লবঙ্গ ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
See also
পুঁই শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

(৫) কাদের লবঙ্গ খাওয়া উচিত?

কাদের লবঙ্গ খাওয়া উচিত, তারা হলেন-

  • যাদের সবসময় সর্দি-ঠান্ডা-কাশি লেগে থাকে তারা লবঙ্গ চিবিয়ে খান। এতে ঠান্ডা লাগা, অ্যাজমা, সর্দি, কফ, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় উপকার মিলবে। কেননা লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে সাহায্য করে। 
  • যাদের ঘন ঘন মাথাব্যথা হয়, যাদের সাইনোসাইটিসের সমস্যা আছে তারা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে উপকার মিলবে। এছাড়া লবঙ্গের চাও পান করতে পারেন। 
  • কিছুক্ষণ পর পর যাদের পিপাসা লাগে, গলা শুকিয়ে যায়, তারা লবঙ্গ খেয়ে দেখুন। সকালে ও বিকেলে একটি করে খেতে হবে। 
  • মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা, বিক্ষিপ্ততা কমাতে লবঙ্গ চুষে খান। এতে মেজাজ চাঙা হবে। 
  • বদহজম, পেট ফাঁপা, খেতে ইচ্ছে না করা, মুখের অরুচি দূর করতে লবঙ্গ কার্যকরী। লবঙ্গে থাকা বিভিন্ন এনজাইম আন্ত্রিক রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে। মুখের অরুচি দূর করতে লবঙ্গের গুঁড়া সকালে খালি পেটে খেতে হবে। 
  • লবঙ্গে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের ক্ষতিকর উপাদান দূর করে। রক্তকে পরিশোধন করতেও ভূমিকা রাখে এটি। এজন্য লিভারের সুস্থতায় লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। 
  • শরীরে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে লবঙ্গ। এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কর্মক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা লবঙ্গ খেলে মিলবে উপকার। 

(৬) লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম

রান্নার মসলা হিসেবে আমরা লবঙ্গ ব্যবহার করে থাকি। তবে রান্নার মসলা ছাড়াও আর কি কি ভাবে লবঙ্গ খাওয়া যায় তার কিছু বিবরণ নিম্নে দেওয়া হল।

আসুন এক নজরে দেখে নিন লবঙ্গ খাওয়ার নিয়মগুলি-

  • সর্দি-কাশি লাগলে লবঙ্গ চায়ের সঙ্গে খাওয়া যায়।
  • গরম জলে ফুটিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
  • মধুর সঙ্গে লবঙ্গ খাওয়া যায়।
  • সকাল বেলায় খালি পেটে লবঙ্গ খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়।
  • ৫-৬ টি লবঙ্গ গরম জলে ফুটিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন, এতে সর্দি কাশি থেকে নিরাময়ের পাবেন।
  • উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা থেকে থাকলে লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন।
See also
মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

(৬) লবঙ্গের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া

লবঙ্গের অনেক উপকার থাকা সত্ত্বেও এ উপাদানটি একসাথে বেশি খাওয়া যাবে না। খেলে পেটের সমস্যা, অ্যালার্জি, চুলকানি দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয়, লিভার ও কিডনির সমস্যাও হতে পারে।

লবঙ্গের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলো হলো-

  • অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে লবঙ্গ খেলে অ্যালার্জি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে অনেক সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যেতে পারে যা শরীরে মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে।
  • অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে এতে থাকা ইউজেনল রক্তকে পাতলা করে ফেলে।
  • বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খেলে মাথা ঘোরা, বমি বমিভাব সমস্যা দেখা দিতে পারে।

(৭) কোন কোন ক্ষেত্রে লবঙ্গ ঝুঁকিপূর্ণ

কোন কোন ক্ষেত্রে লবঙ্গ ঝুঁকিপূর্ণ, তা হলো-

লবঙ্গ তেল ত্বক, চোখ এবং শ্বাসযন্ত্রের জ্বালা বা ত্বকে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। শুধু একটি লবঙ্গ গিলে ফেললে অনেক সময় শ্বাসনালীতে চলে যায় এবং অনেক জ্বালা সৃষ্টি করে।

লবঙ্গ রক্তপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে বা ওয়ারফারিনে শরীরের প্রতিক্রিয়া বাড়াতে পারে।

বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে লবঙ্গ তেল সরাসরি খাওয়ার অনিরাপদ। এতে খিঁচুনি, যকৃতের ক্ষতি এবং তরল ভারসাম্যহীনতার মতো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

লবঙ্গ তেলে ইউজেনল নামক যে রাসায়নিক পদার্থটি থাকে তা রক্ত জমাট বাঁধাকে ধীর করে দিতে পারে। ফলে এই তেল রক্তপাতজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অনেক মারাত্মক।

একই কারণে সার্জারির রোগীদের লবঙ্গ তেল খাওয়া ঠিক নয়। এটি অস্ত্রোপচারের সময় বা পরে অত্যধিক রক্তপাত ঘটাতে পারে। একটি নির্ধারিত অস্ত্রোপচারের কমপক্ষে দু’সপ্তাহ আগে লবঙ্গ ব্যবহার বন্ধ করা উচিত।

পরিশেষে, কোন শারীরিক জটিলতার সময় পথ্য হিসেবে যেকোনো ভেষজ পণ্যের ব্যবহারের পূর্বে একজন পেশাদার চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করতে পারে। এছাড়া স্বাভাবিক সময়গুলোতে অন্যান্য খাবারের সাথে পরিমিত পরিমাণে লবঙ্গ গ্রহণ উত্তম। অনেক পুষ্টি ধারণ করলেও, খুব বেশি পরিমাণে লবঙ্গ গ্রহণ উচিত নয়।

See also
পুঁই শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক বন্ধু, উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা লবঙ্গ কি? লবঙ্গের উপকারিতা, লবঙ্গের অপকারিতা, লবঙ্গ খেলে কি হয়? কাদের লবঙ্গ খাওয়া উচিত? লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম, লবঙ্গের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া, কোন কোন ক্ষেত্রে লবঙ্গ ঝুঁকিপূর্ণ প্রভৃতি বিষয়াদি সম্পর্কে জানলাম।

‘লবঙ্গ’ গাছের ফুলের কুড়িকে শুকিয়ে লবঙ্গ তৈরি করা হয়। একে লং বলেও ডাকা হয়। লবঙ্গের সুগন্ধের মূল কারণ “ইউজেনল”নামক যৌগ।

লবঙ্গ হচ্ছে এর গাছের শুকিয়ে যাওয়া ফুল, যা কথ্য ভাষায় লং নামেও পরিচিত। এটি মূলত একটি মসলা, যা খাবারের স্বাদ ও ফ্লেভার বাড়ানোর জন্য রোজ ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া মসলাটির রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ।

এশিয়ান, আফ্রিকান, ভূমধ্যসাগরীয় এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির লবঙ্গ রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। এর ভেষজ ও নানাবিধ পুষ্টিগুণের কারণে প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার, পানীয়, সাবান, টুথপেস্ট, ওষুধ, সুগন্ধী ইত্যাদিতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

মানব শরীর ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট স্বাস্থ্য’ (inbangla.net/sastho) এর সাথেই থাকুন।

[সূত্র: ড. কে, এম, খালেকুজ্জামান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব), মসলা গবেষণা কেন্দ্র, শিবগঞ্জ, বগুড়া]

Leave a Reply

nv-author-image

ইন বাংলা নেট স্বাস্থ্য

মানব স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যা কিছু বাংলাতে।View Author posts