নবজাতক জন্মের পর মায়ের স্তন থেকে নিঃসৃত প্রথম দুধকে শাল দুধ বলে। এটি ঘন ও হলুদ বর্ণের হয়। শাল দুধকে শিশুর জীবনের প্রথম টিকা বলা হয়। শাল দুধকে ইংরেজিতে ‘কোলোস্ট্রাম’ (colostrum) বলা হয়ে থাকে।
অনেকেই এটা জানতে যে, শাল দুধ দেখতে কেমন?
শাল দুধ সাধারণ দুধের তুলনায় কিছুটা আলাদা এবং বেশি ঘন এবং ফ্যাটি। শাল দুধের রঙ দেখতে সাধারণত ‘হালকা হলুদ’ হয়। এটি ঘন এবং ক্রিমি ধরনের হয়, কারণ এতে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। শাল দুধে প্রোটিন, ভিটামিন, এবং মিনারেলস বেশি থাকে।

শাল দুধ বাচ্চার স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। যেমন-
- শাল দুধে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে, যা হাড় এবং দাঁতের গঠনে সহায়তা করে। এছাড়াও, এতে থাকা ও এবং অন্যান্য উপাদান শরীরে শক্তি যোগায় এবং বাচ্চার বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- শাল দুধে থাকা প্রোটিন এবং ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
- শাল দুধ নবজাতকের জন্য সহজে হজমযোগ্য, যা তাদের দুর্বল পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী। শাল দুধ নবজাতকের অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, যা জন্ডিসের ঝুঁকি কমায়।
- শাল দুধে প্রচুর পরিমাণে ইমিউনোগ্লোবুলিন থাকে, যা নবজাতককে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
শাল দুধ নবজাতকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি জন্মের পর মায়ের স্তন থেকে নিঃসৃত প্রথম দুধ। শাল দুধ নবজাতকের জন্য একটি অপরিহার্য খাদ্য। তাই, জন্মের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নবজাতককে শাল দুধ খাওয়ানো উচিত।
মানব শরীর ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট স্বাস্থ্য’ (inbangla.net/sastho) এর সাথেই থাকুন।
অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।