Skip to content

সদ্য জন্ম নেওয়া ছাগলের বাচ্চার পরির্চযা কিভবে করতে হয়? ছাগলের বাচ্চার যত্ন

সদ্য জন্ম নেওয়া ছাগলের বাচ্চার পরির্চযা কিভবে করতে হয়

নিম্নে সদ্য জন্ম নেওয়া ছাগলের বাচ্চার পরির্চযা কিভবে করতে হয়, তা তুলে ধরা হলো-

ছাগলের বাচ্চার যত্ন

১। প্রসবের সাথে সাথে বাচ্চাকে মায়ের সামনে দিতে হবে যাতে ছাগী বাচ্চার শরীর চেটে পরিস্কার করতে পারে। বাচ্চার নাক শ্লেষ্মাতে আটকে থাকার কারণে দম বন্ধ হয়ে বাচ্চা মারা যেতে পারে তাই প্রসবের সাথে সাথে বাচ্চার সমস্ত শরীর ও নাকের শ্লেষ্মা সরিয়ে নাকের মধ্যে ফুঁ দিয়ে বাচ্চার শ্বাস প্রশ্বাসে সহযোগীতা করতে হবে।

২। শীতের সময় দ্রুত বাচ্চার শরীর মুছে না দিলে শীতে বাচ্চার শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা দ্রুত হারাতে থাকে এবং বাচ্চা কাঁপতে কাঁপতে মারা যায় | এজন্য বাচ্চাকে উঃ স্থানে অর্থ্যাৎ খড় বা চটের উপর রেখে চারদিক চট দিয়ে ঘিরে দিতে হবে অথবা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩। সদ্য প্রসূত ছাগল ছানাকে পরিস্কার পরিচ্ছন ও শুদ্ধ জায়গা (ক্রুডিং পেন) তে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪। বাচ্চা প্রসবের পরপরই বাচ্চার নাভি ২-৩ সে.মি. রেখে বাকী অংশ কেটে দিতে হবে এবং উক্ত স্থানে টিংচার অব আয়োডিন লাগিয়ে দিতে হবে।

৫। সদ্য প্রসূত বাচ্চার বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন শক্তি। নবজাত ছাগল ছানা শক্তি পায় মায়ের দুধ হতে। তাই প্রসবের ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে ছাগল ছানাকে মায়ের শাল দুধ খেতে সাহায্য করতে হবে। প্রয়োজনে শাল দুধ দোহন করে বোতলে খাওয়ানো যেতে পারে ৷

৬। খেয়াল রাখতে হবে যে সকল বাচ্চা যেন সমভাবে দুধ পায়। অপেক্ষাকৃত দূর্বল বাচ্চাকে নিজের হাতে ধরে মায়ের দুধ খাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে | জন্মের পর ১ম ৪-৫ দিন বাচ্চাকে শাল দুধ খাওয়াতে হবে।

৭। জন্মের সময় বাচ্চার ওজন ১ কোজর কম হলে মায়ের দুধের পাশাপাঁশ এক সপ্তাহ পর্যন্ত চিনির সিরা/ডেকসট্রোজ দিনে ৩-৪ বার খাওয়ানো যেতে পারে | এতে বাচ্চার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং বাচ্চা মৃত্যুর হার কমে যায়।

পড়ুন
দেশি ছাগলের খামার এর জন্য ভালো ছাগী ও পাঁঠা কিভাবে চিনবেন?

৮। ছাগীর দুধ উৎপাদন কম কিন্তু বাচ্চার সংখ্যা যদি বেশী হয় তাহলে তিন মাস বয়স পর্যন্ত বাচ্চাকে মায়ের দুধের পাশাপাশি কৃত্রিম উপায়ে গাভীর দুধ, বার্লি, পাউডার মিক্ক, ভাতের মাড় প্রভৃতি খাওয়ানো যেতে পারে।

৯। গরুর দুধ পাওয়া না গেলে প্রয়োজনে ছাগল ছানাকে মিল্ক রিপ্লেসার তৈরী করে দিনে ৩-৪ বার খাওয়ানো যেতে পারে। এতে ননীমুক্ত গুড়া দুধ (ক্ষিম মিন্ক) ৭০ ভাগ; চাল.গম বা ভুট্টার গুড়া ২০ ভাগ, সয়াবিন তেল ৭ ভাগ, লবন ১ ভাগ, ডাইক্যালসিয়াম ফসফেট ১.৫ ভাগ এবং ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স ০.৫ ভাগ থাকে। উক্ত মিশ্রণের একভাগ, নয়ভাগ পানির সাথে মিশিয়ে ভালমত ফুটানোর পর ঠান্ডা করে ছাগল ছানাকে খাওয়াতে হবে।

অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।

Leave a Reply

nv-author-image

ইন বাংলা নেট গবাদি

বিভিন্ন গবাদি পশু যেমন- গরু পালন, ছাগল পালন, মহিষ পালন, ভেড়া পালন ইত্যাদি সম্পর্কিত যা কিছু বাংলাতে।View Author posts