(১) সমাজ বিজ্ঞান কাকে বলে?
সমাজ বিজ্ঞানের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Sociology। এটি ল্যাটিন শব্দ Socious এবং logos থেকে এসেছে। Socious শব্দটির অর্থ হলো সমাজ (Society), আর logos অর্থ বিজ্ঞান (Science). সুতরাং Sociology শব্দটির অর্থ হলো সমাজের বিজ্ঞান।
আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে, তাদের সমষ্টিগতভাবে থাকাকে সমাজ বলে। আর এই সমাজ নিয়ে বিশেষ জ্ঞান বিজ্ঞান কে সমাজবিজ্ঞান বলা হয়।
সমাজ বিজ্ঞান হলো মানুষের সমাজ বা দলের বৈজ্ঞানিক আলোচনা শাস্ত্র। এখানে সমাজবদ্ধ মানুষের জীবনের সামাজিক দিক এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার এবং পেজের মতে, “সমাজবিজ্ঞান হলো সামাজিক সম্পর্কের আলোচনা।”
Hob House বলেন, “The subject matter of sociology is the interaction of human mind.”
N.L. Word এর মতে, “সমাজবিজ্ঞান হলো সামাজের বিজ্ঞান এবং অগ্রগতির সামাজিক প্রেক্ষাপট।”
(২) সমাজবিজ্ঞানের জনক কে?
অগাস্ট কোঁৎ কে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তিনি একজন ফরাসী দার্শনিক ছিলেন। তাকে সমাজ বিজ্ঞানের পিতা বলা হয়। ১৮৩৮ সালে সর্বপ্রথম তিনি সমাজবিজ্ঞান শব্দটি ব্যবহার করেন। তবে ইবনে খালদুনকে সমাজবিজ্ঞানের আদি বা প্রাচীন জনক মনে করা হয়।
শিক্ষা ও লেখাপড়া সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট লেখাপড়া’ (inbangla.net/lekhapora) এর সাথেই থাকুন।
অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।