পশুদের ঠিকমতো খাওয়ানোর পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে যে ফিডটি সঠিকভাবে মেশানো হয়েছে কি না।
কারণ, আজ অনেক সস্তা খাদ্য কোম্পানি কৃষকদের কাছে নিম্নমানের মিশ্র ফিড বিক্রি করছে।
বড় বাজেটের বিজ্ঞাপন দেখার পর, দুগ্ধ খামারিরা তাদের পশুদের খাওয়ানোর জন্য ওইসব কোম্পানির কাছ থেকে ফিড কিনলেও দুধ উৎপাদন ও স্বাস্থ্যের মাত্রা আগের মতোই থাকে এবং কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যায় না।
কিভাবে গরুর ফিডে ভেজাল হতে পারে?
১. গোটা শস্যে ভেজালের সম্ভাবনা কম। ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত পুরানো শস্যের টুকরোগুলি তাজা দানার সাথে মিশ্রিত হয়, যা সনাক্ত করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
২. এছাড়াও নুড়ি থাকে এবং অনেক উচ্চ আর্দ্রতা থাকে।
৩. পুঁচকে (শক্ত খোলাযুক্ত ছোট পোকাবিশেষ) আক্রান্ত শস্যে পুষ্টিকর উপাদান কম এবং ফাইবার বেশি থাকে।
৪. ফাঙ্গাস শস্য উপাদান ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট পয়জনিং এর কারণে প্রাণীর অনেক ক্ষতি হয়।
৫. রাইসরিষা খৈলের সাথে সাধারন সরিষার খৈল মেশানো খুবই সাধারণ ব্যাপার যার কারণে সরিষার খৈলের স্বাদ তিক্ত হয়।
৬. কার্ডবোর্ড তুলার বীজ খৈলের সাথে মিশ্রিত করা হয় এবং তারপরে ইউরিয়া স্প্রে করা হয়, যা প্রোটিনের পরিমাণ পূরণ করে কিন্তু এটি গবাদি পশুদের উপকার করে না।
৭. এ ছাড়া অনেক সময় নিম্নমানের কেক যেমন ক্যাস্টর খৈল এমনকি বালিও মেশানো হয়।
তাই, শেষ পর্যন্ত ঘরে বসেই ফিড তৈরি করার চেষ্টা করুন এবং ফিড প্রক্রিয়াকরণটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত বা আপনার নিজস্ব উপাদানগুলিকে ফিড প্রসেসর প্ল্যান্টে নিয়ে যেতে হবে, তবেই দুগ্ধ চাষ ব্যবসা আপনাকে লাভ দেবে।
বিভিন্ন গবাদি পশু যেমন- গরু পালন, ছাগল পালন, মহিষ পালন, ভেড়া পালন ইত্যাদি সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট গবাদি পশু’ (inbangla.net/gobadi) এর সাথেই থাকুন।