প্রিয় পাঠক বন্ধু, আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই?
তো আপনার একটা ঘটনা সবাই লক্ষ্য করে থাকবেন যে, বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মৃত ব্যক্তির স্মরণে এক মিনিট কিংবা কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়। তো কিভাবে আসলে এই প্রথা সেটা নিয়ে আজকে আলোচনা করব।
মৃত ব্যক্তির স্মরণে কিছু সময় নিরবতা পালনের ঘটনা প্রথম লক্ষ্য করা যায়- পর্তুগালে ব্রাজিলের নাগরিক এবং শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ‘হোসে মারিয়া দা সিলভা প্যারানহোস জুনিয়র’ ১৯১২ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন তো তাকে সম্মান জানানোর জন্য পর্তুগিজ সিনেটর সিদ্ধান্ত নেয় যে ১৯১২ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি ১০ মিনিট নীরবতা পালন করা হবে।
যেহেতু হোসে মারিয়া দা সিলভা প্যারানহোস জুনিয়র ১০ ফেব্রুয়ারীর মৃত্যুবরণ করেন এই জন্য তাকে সম্মান জানানোর জন্য ১৩ই ফেব্রুয়ারি ১০ মিনিট নিরবতা পালন করা হয় তো এটাই হচ্ছে প্রথম ঘটনা যেটা রেকর্ডেড যে মৃত ব্যক্তির স্মরণে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়েছে।
মৃত ব্যক্তির স্মরণে কিছু সময় নীরবতা পালন কিভাবে সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠলো? সেটাই এখন আলোচনা করব।
তো আপনার অনেকেই হয়তো জানেন যে ১৯১৮ সালের ১১ই নভেম্বর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটে, তো এই ১১ই নভেম্বরকে বলা হয় ‘আর্মিস্টিক ডে’ পরের বছর ১৯১৯ সালের ১১ই নভেম্বর ‘আর্মিস্টিক ডে ’ এর আগে সাউথ আফ্রিকার লেখক এবং পলিটিশিয়ান ‘সার্জেন্টস পার্সি’ তৎকালীন ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম জর্জকে সুপারিশ করেন যে ‘আর্মিস্টিক ডে’ তে যেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মৃত ব্যক্তিদের স্মরণে কিছু সময় নিরবতা পালন করা হয় তো তার এই সুপারিশ ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম জর্জ এর পছন্দ হয় এই কারণেই সে ১৯১৯ সালের ১১ই নভেম্বর লন্ডনে অনুষ্ঠিত ‘আর্মিস্টিক ডে’ তে ১৯১৯ সালের ১১ই নভেম্বর সকাল ১১ টায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মৃতদের স্মরণে ২ মিনিট নীরবতা পালন করেন। তো এই ঘটনার পরে সারা পৃথিবীতে মৃত ব্যক্তির স্মরণে কিছু সময় নীরবতা পালনের প্রথা চালু হয় বাংলাদেশও মৃত ব্যাক্তির স্মরণে ১ মিনিট বা কিছু সময় নিরবতা পালনের প্রথা চালু আছে।
তো আশা করি এক মিনিট নিরবতা পালনের প্রথা কিভাবে আসলো, বিষয়টা আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়েছে। আজকের আলোচনাটি এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন আবার কথা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।