Skip to content

About Us

ইন বাংলা নেট কৃষিতে আপনাকে স্বাগত জানাই।

বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর দেশ। বাংলাদেশের ৮০% মানুষ গ্রামে বসবাস করে, গ্রামে যারা বাস করে তারা বেশির ভাগ কৃষি কাজের সাথ জড়িত।

আমি শাহরিয়ার হোসেন, আমি একজন বাংলাদেশী নাগরিক, চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার এবং ব্যাচেলর অফ এগ্রিকালচারাল এডুকেশন (B.Ag.Ed) সম্পন্ন করেছি। বর্তমানের নিজেদের একটি কৃষি খামার পরিচালনার কাজে যুক্ত আছি এবং পাশাপাশি আমি ইন বাংলা নেট ব্লগ/ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাটা ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। আমি জানতে, জানাতে, পড়তে ও লেখা-লেখি করতে ভালোবাসি।

আমি প্রথমে ২০২১ সালে খামারিয়ান ডট কম নামে একটি কৃষি বিষয়ক ব্লগ তৈরি করেছিলাম, তাতে নিয়মিত গরু পালন, ছাগল পালন, ঘাস চাষ প্রভৃতি কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে লেখালেখি করতাম, ব্লগটিতে ছয় মাসের মত নিয়মিত লেখালেখি করেছি, পরবর্তীতে আমার পরীক্ষা ও লেখাপড়ার কাজে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকায় ব্লগটি পরিচালনা করতে পারিনি।

২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে আমি ইন বাংলা নেট কৃষি-তে নতুন করে পুনরায় কৃষি বিষয়ে লেখালেখি শুরু করেছি।

আমার কৃষি বিষয়ে একটি ব্লগ তৈরি পরিচালনার প্রতি আগ্রহ হবার কারণ হলো, আমার পরিবারের সুবাদে আমি শৈবশ থেকে কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত।

আমার বাবা একজন খামারী, তিনি মূলত খামারে গরু পালন ও গাভীর দুধ বিক্রি করে জীবন নির্বাহ করেন, এটার তার জীবীকার মূল উৎস। পাশাপাশি ছাগল পালন করেন, ছাগল পালন তার বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করে। এছাড়ার পারাবারিক চাহিদা মেটাতে পুকুরে মাছ ও হাঁসের চাষ করা হয়।

আমার দাদা একজন আজীবন কৃষক, তিনি শৈশব থেকে শুরু করে তার পুরো জীবন শস্য ও সবজি চাষাবাদ করে তা বাজারে বিক্রি করে জীবন-যাপন করেছেন। তিনি দিনের বেশির ভাগ সময় মাঠে কাজ করেন, মৌসুম ভেদে, যেই জমিতে যখন যে সবজির আবাদ করা যায় তাই চাষ করেন। নির্দিষ্ট কিছু জমি রয়েছে সেখানে তিনি শুধু আলু ও ধান উৎপাদন করেন যেখানে সবজি হয়না। আর কিছু জমি আছে সেখানে শুধু সবজি যেবন পটল, শিম, বেগুন, বিভিন্ন শাক চাষ করেন।

আমার মামা তার প্রথম কর্ম জীবনে ওয়েল্ডিং এর কাজ করতেন, পরে তিনি ফার্নিচার এর নকশা তৈরি ও রং করার কাজ করতেন,  পরবর্তীতে বিবাহের পর তার শশুরের পরামর্শে একটি পোল্ট্রি খমার স্থাপন করনে। আমার মামার শুশুর একজন প্রতিষ্ঠিত মুরগির খামারি তাই তিনি মামার নতুন পোল্ট্রি খামারটি পরিচালনা করেতে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। বর্তমানে আমার মামার মোট তিনটি মুরগির শেড রয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর মুরগি বিক্রি করে থাকেন। তিনি এখন প্রতিষ্ঠিত পোলট্রি খামারি। 

এছাড়া আমাদের বাংলাদেশের শিক্ষা কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষায় (৯ম ও ১০ম শ্রেণীতে) বাধ্যতামূলক সাবজেক্ট এর পাশাপিাশি কিছু অতিরিক্ত সাবজেক্ট নির্বাচন করতে হয়, তো আমি ‘কৃষি শিক্ষা’ বিষয়কে আমার অতিরিক্ত সাবজেক্ট হিসেবে নিয়েছিলাম। তাই এই দুই বছরে আমি কৃষি বিষয়ে পড়াশোনা করেছি এবং সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি।

এসএসসি পাস করার পর বর্তমানে আমি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার কোর্স ভর্তি হয়েছিলাম, চার বছরে মোট আটটি সেমিষ্টার ছিল। প্রথম তিনটি সেমিষ্টারের পরীক্ষা কলেজরে অধীনে, পরবর্তী পাঁচটি সেমিষ্টারের পরীক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়, আটটি সেমিষ্টারের জিপিএ গড় করে ফাইনাল সিজিপিএ রোজাল্ট প্রদানের মাধ্যমে কোর্স শেষ হয়। খুব ভালো একটি সিজিপিএ নিয়ে আমার কৃষি ডিপ্লোমা কোর্সটি সমাপ্ত হয়। 

অতঃপর ডিপ্লোমা কোসর্টটি শেষ করে বাংলাদেশে উম্মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালসের অধীনে ব্যাচেলর অফ এগ্রিকালচারাল এডুকেশন (B.Ag.Ed) সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে আমি আমার পিতার সাথে আমাদের নিজেদের একটি কৃষি খামারের কাজের সাথে যুক্ত; পাশাপাশি ‘ইন বাংলা নেট’ ওয়েবসাইটের পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসেব কাজ করছি।। 

আশা করি ‘ইন বাংলা নেট কৃষি’ ব্লগটির মাধ্যমে আমি আপনাদরেকে আমার লেখাপড়া ও বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে কৃষির সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান প্রদান বা সমস্যা সমাধানে সাহায্য করার জন্য তথ্য, ধারণা ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করে করতে পারব।

আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে, পরামর্শ থাকে বা আপনি যদে একজন খামারি হয়ে থাকেন, আপনার কৃষি অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চান, তাহলে নির্দ্বিধায় আমাকে [email protected] ইমেইল ঠিকানায় আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।