নিম্নে আল্লাহর পথে জিহাদের গুরুত্ব সংক্রান্ত ১টি বিষয়ভিত্তিক হাদিসের অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও শিক্ষা তুলে ধরা হলো-
অনুবাদ
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
“বলাহলোঃ হে রাসূল! কোন্ ধরণের মানুষ সর্বোত্তম? তখন রাসূলুল্লাহ (স) বলেনঃ এমন মুমিন যে নিজের জীবন ও ধন-সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে।”
(বুখারি)
ব্যাখ্যা
মানুষ মহান আল্লাহ তা‘আলার খলিফা হিসেবে পৃথিবীতে দ্বীনকে কায়েম রাখার জন্য জিহাদে অংশগ্রহণ করবে এবং জীবন ও ধন-সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। সুতরাং যারা জিহাদে অংশগ্রহণ করবে এবং নিজের ধন-সম্পদকেও আল্লাহর পথে বিলিয়ে দেবে মহান আল্লাহ ও রাসূলের নিকট ঐ ব্যক্তিই সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তি।
শিক্ষা
আলোচ্য হাদিস থেকে আমরা বাস্তব জীবনে নিম্নোক্ত শিক্ষাগ্রহণ করতে পারি-
১. যে ব্যক্তি কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চায় তার উচিত ঐ বিষয় সম্পর্কে জানেন এমন ব্যক্তিকে বিনয়ের সাথে প্রশ্ন করা।
২. মানুষে মানুষে কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু জ্ঞান গরিমায় ও আমলের কারণে মর্যাদায় পার্থক্য আছে।
যেমন কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,
“নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সেই ব্যক্তিই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকী।”
(সূরা হুজুরাত, আয়াত নং ১৩)
৪. মানুষের মধ্যে তারাই শ্রেষ্ঠ, যারা ইসলামের জন্য নিজেদের জীবন ও সম্পদ উৎসর্গ করে।
৫. জিহাদ বিভিন্ন রকমে হতে পারে- জীবন দিয়ে, ধন-সম্পদ দিয়ে, জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে কিংবা শিল্প সাহিত্য ও বুদ্ধিমত্তাকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার মাধ্যমে।
৬. মুমিনের আদর্শ হলো সত্য প্রতিষ্ঠা করা। কোন অন্যায় তাকে আদর্শচ্যুত করতে পারবে না।
৭. অন্যায় বিদূরিত করার জন্য প্রয়োজনে জানমাল বাজী রাখতে হবে।
সারসংক্ষেপ
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর পথে জিহাদের গুরুত্ব সংক্রান্ত ১টি বিষয়ভিত্তিক হাদিস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করলাম।
একজন মুসলমানের প্রত্যাশা হলো সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বোচ্চ মুমিন হওয়া। এ প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে আমাদেরকে মুমিন ও আল্লাহর পথের সৈনিক হতে হবে। একজন মুমিনের পরম প্রত্যাশা হলো আল্লাহ তা‘আলার দীদার লাভ করা। মহান প্রতিপালকের সান্নিধ্য লাভ করার জন্যই আমাদের জীবন ও সম্পদ তাঁর পথে উৎসর্গ করতে হবে।
[সূত্র: ওপেন স্কুল]