Skip to content

 

শানে নুযুল অর্থ, কী, কাকে বলে? শানে নুযুল, ব্যাখ্যা, শিক্ষা, উচ্চারণ ও অর্থ সহ ৫টি সূরা

শানে নুযুল অর্থ, কী, কাকে বলে শানে নুযুল, ব্যাখ্যা, শিক্ষা, উচ্চারণ ও অর্থ সহ ৫টি সূরা

আলোচ্য বিষয়:

(১) শানে নুযুল অর্থ কী?

‘শান’ শব্দের অর্থ অবস্থা, মর্যাদা, কারণ, ঘটনা, পটভূমি। আর নুযুল অর্থ অবতরণ। অতএব, শানে নুযুল অর্থ অবতরণের কারণ বা পটভূমি।

(২) শানে নুযুল কাকে বলে?

ইসলামি পরিভাষায়, আল-কুরআনের সূরা বা আয়াত নাজিলের কারণ বা পটভূমিকে ‘শানে নুযুল’ বলা হয়। একে ‘সববে নুযুল’ও বলা হয়।

(৩) শানে নুযুল কী?

আল-কুরআন মহানবি (সাঃ)-এর প্রতি একসাথে নাজিল হয়নি। বরং নানা প্রয়োজন উপলক্ষে সুদীর্ঘ ২৩ বছরে অল্প অল্প করে নাজিল হয়েছে। কোনো ঘটনার বিধান বর্ণনায় কিংবা কোনো সমস্যার সমাধানে কুরআনের অংশবিশেষ নাজিল হতো।

যে ঘটনা বা অবস্থাকে কেন্দ্র করে আল-কুরআনের আয়াত বা সূরা নাজিল হতো সে ঘটনা বা অবস্থাকে ঐ সূরা বা আয়াতের শানে নুযুল বলা হয়।

যেমন: রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর শিশুপুত্র ইন্তিকাল করলে কাফিররা তাঁকে আবতার বা নির্বংশ বলে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতে লাগল। এ পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালা মহানবি (সাঃ)-কে সান্ত্বনা দিয়ে সূরা আল-কাওসার নাজিল করেন। অতএব, মহানবি (সাঃ)-এর প্রতি কাফিরদের উপহাস করার ঘটনাটি সূরা আল-কাওসারের শানে নুযুল হিসেবে পরিচিত।

শানে নুযুল জানার উপকারিতা অনেক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

  1. এর দ্বারা শরিয়তের বিধান প্রবর্তনের রহস্য জানা যায়।
  2. আয়াতের অর্থ, উদ্দেশ্য ও সঠিক মর্মার্থ অবগত হওয়া যায়।

(৪) শানে নুযুল, ব্যাখ্যা, শিক্ষা, উচ্চারণ ও অর্থ সহ কুরআনের ৫টি সূরা

ক) সূরা আশ-শাম্স

পরিচয়:

সূরা আশ-শামস মক্কি সূরার অন্তর্গত। এর আয়াত সংখ্যা ১৫টি। এ সূরার প্রথম শব্দ শামস থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে আশ-শামস। এটি আল-কুরআনের ৯১তম সূরা।

সূরা আশ-শাম্স এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

১) ওয়াশ শামছি ওয়াদু হা-হা-।

শপথ সূর্যের ও তার কিরণের,

২) ওয়ালকমারি ইযা তালা-হা-।

শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে,

৩) ওয়ান্নাহা-রি ইযা জাল্লা-হা-।

শপথ দিবসের যখন সে সূর্যকে প্রখরভাবে প্রকাশ করে,

৪) ওয়াল্লাইলি ইযা-ইয়াগশা-হা-।

শপথ রাত্রির যখন সে সূর্যকে আচ্ছাদিত করে,

৫) ওয়াছ ছামাই ওয়ামা-বানা-হা-।

শপথ আকাশের এবং যিনি তা নির্মাণ করেছেন, তাঁর।

৬) ওয়াল আরদিওয়ামা-তাহা-হা-।

শপথ পৃথিবীর এবং যিনি তা বিস্তৃত করেছেন, তাঁর,

৭) ওয়া নাফছিওঁ ওয়া মা-ছাওওয়া-হা-।

শপথ প্রাণের এবং যিনি তা সুবিন্যস্ত করেছেন, তাঁর,

৮) ফাআলহামাহা-ফুজূরাহা-ওয়া তাকওয়া-হা-।

অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন,

৯) কাদ আফলাহা মান ঝাক্কা-হা-।

যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়।

১০) ওয়া কাদ খা-বা মান দাছ ছা-হা-।

এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।

১১) কাযযাবাত ছামূদুবিতাগওয়া-হা।

সামুদ সম্প্রদায় অবাধ্যতা বশতঃ মিথ্যারোপ করেছিল।

১২) ইযিম বা‘আছা আশকা-হা-।

যখন তাদের সর্বাধিক হতভাগ্য ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠেছিল।

১৩) ফাকা-লা লাহুম রাছূলুল্লা-হি না-কাতাল্লা-হি ওয়া ছুকইয়া-হা-।

অতঃপর আল্লাহর রসূল তাদেরকে বলেছিলেনঃ আল্লাহর উষ্ট্রী ও তাকে পানি পান করানোর ব্যাপারে সতর্ক থাক।

১৪) ফাকাযযাবূহু ফা‘আকারূহা- ফাদামদামা ‘আলাইহিম রাব্বুহুম বিযামবিহিম ফাছাওওয়াহা-।

অতঃপর ওরা তার প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল এবং উষ্ট্রীর পা কর্তন করেছিল। তাদের পাপের কারণে তাদের পালনকর্তা তাদের উপর ধ্বংস নাযিল করে একাকার করে দিলেন।

১৫) ওয়ালা-ইয়াখা-ফু‘উকবা-হা-।

আল্লাহ তা’আলা এই ধ্বংসের কোন বিরূপ পরিণতির আশংকা করেন না।

(সূরা আশ-শাম্স, আয়াত ১-১৫)

সূরা আশ-শাম্স এর শানে নুযুল:

সূরার শেষভাগে আল্লাহ তায়ালা ছামুদ সম্প্রদায়ের উদাহরণের মাধ্যমে মানুষের ব্যর্থতার বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। ছামুদ সম্প্রদায় ছিল খুবই উন্নত-সমৃদ্ধ একটি জাতি। কিন্তু তারা আল্লাহর প্রেরিত রাসুলকে অবিশ্বাস করে এবং তাঁর নির্দেশ অমান্য করে। তাদের এ অবাধ্যতার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদের শাস্তি প্রদান করেন এবং তাদের ধ্বংস করে দেন।

সূরা আশ-শাম্স এর ব্যাখ্যা:

  • সুরা আশ-শামস-এ বর্ণিত আয়াতসমূহ তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগ হলো সুরার প্রথম সাত আরতি। এ আবাসমূহে আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর কতিপয় সৃষ্টবন্ধ, এসের অবস্থা ও এদের এটা সম্পর্কে শপথ করেছেন। মানুষের শপথ করেছেন। এসব জিনিসের শপথ করার দ্বারা আল্লাহ্ তায়ালা পরবর্তী আয়াতগুলোতে বর্ণিত বিষয়ের তাগিদ করেছেন।
  • সূরার দ্বিতীয় ভাগে আল্লাহ তায়ালা মানুষের অবস্থা বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাকে সৎকর্ম ও অসৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন। এতদসত্ত্বেও যে ব্যক্তি নিজেকে পাপের দ্বারা কলুষিত করে তার জন্য ধ্বংস অনিবার্য। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি নিজেকে পরিশুদ্ধ করে, সৎকর্ম করে তার জন্য রয়েছে সফলতা।

সূরা আশ-শাম্স এর শিক্ষা:

  1. আল্লাহ তায়ালাই আসমান, জমিন ও মানুষের স্রষ্টা।
  2. তিনিই সূর্য, চন্দ্র, রাত, দিনের আবর্তন ঘটান।
  3. তিনিই মানুষের ভালো-মন্দ, সৎকর্ম-অসৎকর্মের জ্ঞান দান করেন।
  4. যে ব্যক্তি সৎকর্ম করবে সে সার্বিক সফলতা লাভ করবে।
  5. আর যে ব্যক্তি নিজেকে পাপ পংকিলতায় জড়িয়ে ফেলবে সে ব্যর্থ ও ধ্বংস হবে।
  6. আমাদের পূর্ববর্তী জাতিসমূহের মধ্যে যারা অবাধ্য ছিল আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতেই তাদের শাস্তি প্ৰদান করেন। বস্তুত আল্লাহ তায়ালার শাস্তি অত্যন্ত কঠোর।

সুতরাং আমরা আল্লাহ তায়ালার শাস্তি সম্পর্কে সচেতন থাকব। তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলব। সৎ ও পুণ্যকর্মের মাধ্যমে আমরা নিজেদের পূত-পবিত্র রাখব। তাহলেই আমরা ইহকালীন ও পরকালীন সফলতা লাভ করতে পারব।

খ) সূরা আদ-দুহা

পরিচয়:

সূরা আদ-দুহা আল-কুরআনের ৯৩তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ১১। এটি পবিত্র মক্কা নগরীতে নাজিল হয়। সূরাটির প্রথম শব্দ দুহা থেকে এ সূরার নামকরণ করা হয়েছে আদ-দুহা।

সূরা আদ-দুহা এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

১) ওয়াদদু হা-।

শপথ পূর্বাহ্নের,

২) ওয়াল্লাইলি ইযা-ছাজা-।

শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়,

৩) মা-ওয়াদ্দা‘আকা রাব্বুকা ওয়ামা-কালা-।

আপনার পালনকর্তা আপনাকে ত্যাগ করেনি এবং আপনার প্রতি বিরূপও হননি।

৪) ওয়ালাল আ-খিরাতুখাইরুল্লাকা মিনাল ঊলা-।

আপনার জন্যে পরকাল ইহকাল অপেক্ষা শ্রেয়

৫) ওয়া লাছাওফা ইউ‘তীকা রাব্বুকা ফাতারদা-।

আপনার পালনকর্তা সত্বরই আপনাকে দান করবেন, অতঃপর আপনি সন্তুষ্ট হবেন।

৬) আলাম ইয়াজিদকা ইয়াতীমান ফাআ-ওয়া-।

তিনি কী আপনাকে এতীমরূপে পাননি? অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন।

৭) ওয়া ওয়াজাদাকা দাল্লান ফাহাদা-।

তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন।

৮) ওয়া ওয়াজাদাকা ‘আইলান ফাআগনা-।

তিনি আপনাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, অতঃপর অভাবমুক্ত করেছেন।

৯) ফাআম্মাল ইয়াতীমা ফালা-তাকহার।

সুতরাং আপনি এতীমের প্রতি কঠোর হবেন না।

১০) ওয়া আম্মাছ ছাইলা ফালা-তানহার।

সওয়ালকারীকে ধমক দেবেন না।

১১) ওয়া আম্মা-বিনি‘মাতি রাব্বিকা ফাহাদ্দিছ।

এবং আপনার পালনকর্তার নেয়ামতের কথা প্রকাশ করুন।

(সূরা আদ-দুহা, আয়াত ১-১১)

সূরা আদ-দুহা এর শানে নুযুল:

হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে যে, একবার রাসুলুল্লাহ (সাঃ) অসুস্থ থাকার কারণে দুই-তিন রাত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতে পারেননি। এ সময় জিবরাইল (আঃ) আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তাঁর নিকট ওহি নিয়ে আগমন করেননি। এতে মক্কার কাফির-মুশরিকরা বলতে লাগল যে, মুহাম্মদ (সাঃ)-কে তাঁর প্রতিপালক পরিত্যাগ করেছে এবং তাঁর প্রতি বিরূপ হয়েছে। অন্যদিকে আবু লাহাবের স্ত্রী উম্মে জামিল মহানবি (সাঃ)-এর নিকট এসে বলতে লাগল, “হে মুহাম্মদ! আমার মনে হয় তোমার নিকট যে শয়তান আসত সে তোমাকে পরিত্যাগ করে চলে গেছে। দুই-তিন রাত যাবৎ আমি তাকে তোমার নিকট আসতে দেখছি না।” কাফিরদের এসব কথায় ও ঠাট্টা-বিদ্রূপে মহানবি (সাঃ) মর্মাহত হন। তখন আল্লাহ তায়ালা প্রিয়নবি (সাঃ)-কে সান্ত্বনা প্রদান করে এ সূরা নাজিল করেন। এ সূরার মাধ্যমে কাফিরদের প্রচারিত গুজবের প্রতিবাদও জানানো হয়।

সূরা আদ-দুহা এর ব্যাখ্যা:

  • এ সূরায় আল্লাহ তা’আলা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রদত্ত নানা নিয়ামতের কথা বর্ণনা করেছেন। নবী-রাসুলগণ আল্লাহ তায়ালার মনোনীত ব্যক্তি। তারা আল্লাহতালার প্রিয় বান্দা। মহান আল্লাহ তাদের অজস্র নেয়ামত দান করেন। তাদের সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করেন। আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ নবি ও রাসূল। তিনি ছিলেন আল্লাহ তায়ালার হাবিব অর্থাৎ প্রিয়তম বা বন্ধু আল্লাহ তাকে সর্বাবস্থায় সাহায্য ও নিয়ামত দান করেন।
  • আমরা জানি, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্মের পূর্বেই তাঁর পিতা ইন্তিকাল করেন। এরপর তাঁর ছয় বছর বয়সে তাঁর মাতা ইন্তিকাল করেন। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা স্বীয় অসীম রহমতে তাঁকে সুন্দরভাবে লালনপালন করেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মানবজাতির দুঃখকষ্ট লাঘবের জন্য ও পরকালীন মুক্তির জন্য চিন্তাক্লিষ্ট হয়ে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে হিদায়াত দান করেন, সত্য ও সুন্দর পথের নির্দেশনা প্রদান করেন। মহানবি (সাঃ) দরিদ্র ছিলেন। আল্লাহ তায়ালাই তাঁকে অভাবমুক্ত করেন। সচ্ছলতা দান করেন। এভাবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে দুনিয়ার জীবনে আল্লাহ তায়ালা বহু নিয়ামত দান করেন।
  • পাশাপাশি পরকালেও আল্লাহ তায়ালা রাসুল (সাঃ)-কে নানা নিয়ামত দান করার সুসংবাদ দান করেছেন এ সূরায়। আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন যে, মহানবি (সাঃ)-এর আখিরাতের জীবন দুনিয়ার জীবন অপেক্ষা বহুগুণে উত্তম হবে। সেখানে তিনি উত্তম প্রতিদান লাভ করবেন এবং আল্লাহ তায়ালার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবেন।
  • এ সমস্ত নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আল্লাহ তায়ালা রাসুল (সাঃ)-কে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নির্দেশ দেন। রাসুল (সাঃ)-কে ইয়াতীম ও ভিক্ষুকদের সাথে কঠোর ব্যবহার না করার আদেশ দেন। পরিশেষে আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও প্রচার করার দায়িত্ব প্রদান করেন।

সূরা আদ-দুহা এর শিক্ষা:

এ সূরা থেকে আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের শিক্ষা লাভ করি। যেমন:

  1. আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের কখনোই পরিত্যাগ করেন না।
  2. তিনিই তাঁদের সকল বিপদাপদ থেকে রক্ষা করেন।
  3. পরকালে তিনি তাঁদের কল্যাণময় জীবন দান করবেন।
  4. ধনী ও সচ্ছল ব্যক্তিদের উচিত গরিব-দুঃখী, ইয়াতীম ও ভিক্ষুকদের কল্যাণ করা।
  5. অভাবী, সাহায্যপ্রার্থী, ইয়াতীমদের প্রতি কঠোর হওয়া যাবে না, তাদের গালমন্দ কিংবা মারধর করা যাবে না এবং তাঁদের ধমকও দেওয়া যাবে না। বরং তাদের সাথে সদাচরণ করতে হবে।
  6. দুনিয়ার সকল কল্যাণ ও নিয়ামত আল্লাহ তায়ালার দান। এসব নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা সকলের কর্তব্য। যেমন আল্লাহ তায়ালা আমাদের ইমান, কুরআন, ধন-দৌলত, জ্ঞান-বুদ্ধি ইত্যাদি নিয়ামত দান করেছেন। সুতরাং এসবের জন্য আল্লাহ তায়ালার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। এসব নিয়ামতের কথা মানুষের মাঝে প্রচার করতে হবে।

গ) সূরা আল-ইনশিরাহ

পরিচয়:

সূরা আল-ইনশিরাহ মক্কি সূরাসমূহের অন্যতম। এর আয়াত সংখ্যা মোট ৮টি। এটি আল-কুরআনের ৯৪তম সূরা। সূরার প্রথম আয়াতে “নাশরাহ” শব্দের ক্রিয়ামূল বিবেচনায় এ সূরার নাম রাখা হয়েছে আল-ইনশিরাহ।

সূরা আল ইনশিরাহ এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

১) আলাম নাশরাহলাকা সাদরাক।

আমি কী আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি?

২) ওয়া ওয়াদা‘না-‘আনকা বিঝরাক

আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা,

৩) আল্লাযীআনকাদা জাহরাক।

যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃসহ।

৪) ওয়া রাফা‘না-লাকা যিকরাক।

আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।

৫) ফাইন্না মা‘আল ‘উছরি ইউছরা-।

নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।

৬) ইন্না মা‘আল ‘উছরি ইউছরা-।

নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।

৭) ফাইযা-ফারাগতা ফানসাব।

অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।

৮) ওয়া ইলা- রাব্বিকা ফারগাব।

এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।

(সূরা আল ইনশিরাহ, আয়াত ১-৮)

সূরা আল ইনশিরাহ এর শানে নুযূল ও ব্যাখ্যা:

মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নবুয়ত লাভের পূর্বেও মক্কা নগরীর অত্যন্ত সম্মানিত মানুষ ছিলেন। সারা আরবের লোক তাঁকে ভালোবাসত, শ্রদ্ধা করত, সম্মান দেখাত। তাঁকে আল-আমিন বলে ডাকত। নির্দ্বিধায় তাঁর নিকট মূল্যবান ধন-সম্পদ গচ্ছিত রাখত। সর্বোপরি মহানবি (সাঃ) ছিলেন সকলের প্রিয় ও শ্রদ্ধার পাত্র। কিন্তু নবুয়ত লাভের পর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকলে মক্কাবাসীরা তার বিরোধিতা শুরু করে। তারা তাঁকে নানাভাবে ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও উপহাস করতে থাকে। তাঁকে কবি, গণক, যাদুকর, পাগল ইত্যাদি বলে কষ্ট দিতে থাকে। মহানবি (সাঃ) ও নওমুসলিম সাহাবিগণের উপর নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন চালাতে থাকে। এমনকি নামাযরত অবস্থায় মহানবি (সাঃ)-এর উপর উটের নাড়িভুঁড়ি চাপিয়ে দিত, তাঁর চলার পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখত, তাঁর কথা না শোনার জন্য কানে আঙ্গুল দিত। এরকম নানাভাবে কাফিররা মহানবি (সাঃ)-কে কষ্ট দিচ্ছিল। কাফিরদের এরূপ ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও অন্যায় অত্যাচারে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) উদ্বিগ্ন ও হতাশ হয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে আল্লাহ তায়ালা এ সূরা নাজিল করে মহানবি (সাঃ)-কে সান্ত্বনা প্রদান করেন। বলেন যে, দুঃখের পরই সুখ আসে। কাফিরদের এসব অত্যাচার নির্যাতন দীর্ঘস্থায়ী হবে না। বরং তিনি মুসলমানদের বিজয় দান করবেন। এসব দুঃখকষ্টের পর তারা শান্তি ও স্বস্তি লাভ করবে। এরপর আল্লাহ তায়ালা মহানবি (সাঃ)-কে বিশেষ নির্দেশ দিয়ে বলেন যে, যখনই ইসলাম প্রচার, সাথিদের প্রশিক্ষণ, পারিবারিক দায়-দায়িত্ব ইত্যাদি থেকে তিনি অবসর হন তখনই তিনি যেন আল্লাহর ইবাদতে আত্মনিয়োগ করেন।

সূরা আল ইনশিরাহ এর শিক্ষা:

  1. যে ব্যক্তি সত্য ও ন্যায়ের জন্য চেষ্টা-সাধনা করে আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরকে খুলে দেন। তাকে সৎ পথ প্রদর্শন করেন।
  2. আল্লাহ তায়ালাই মানুষের কষ্ট-যাতনা দূর করেন। ৩. মানুষের মান-সম্মান, খ্যাতি-মর্যাদা সবকিছুই আল্লাহ তায়ালার হাতে। তিনি যাকে ইচ্ছা সম্মান মর্যাদা দান করেন।
  3. মানব জীবনে সুখ-দুঃখ থাকবেই। সুতরাং দুঃখ ও কষ্টে হতাশ হওয়া চলবে না। বরং ধৈর্যসহকারে এর মোকাবিলা করতে হবে।
  4. জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত মূল্যবান। অতএব, এ সময়কে কাজে লাগাতে হবে। দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
  5. পার্থিব প্রয়োজনীয় কাজ সমাধানের পর আল্লাহ তায়ালার ইবাদত ও স্মরণে আত্মনিয়োগ করতে হবে। সকল কিছুতেই আল্লাহ তায়ালার প্রতি মনোনিবেশ করা তাঁর প্রিয় বান্দার বৈশিষ্ট্য।

ঘ) সূরা আত-তীন:

পরিচয়:

সূরা আত-তীন আল-কুরআনের ৯৫তম সূরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ এবং এর আয়াত সংখ্যা ৮। সূরার প্রথম শব্দ তীন থেকে এ সূরার নাম আত-তীন রাখা হয়েছে।

সূরা আত-তীন এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

১) ওয়াততীন ওয়াঝঝাইতূন।

শপথ আঞ্জীর (ডুমুর) ও যয়তুনের,

২) ওয়া তূরি ছীনীন।

এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তূর পর্বতের,

৩) ওয়া হা-যাল বালাদিল আমীন।

এবং এই নিরাপদ নগরীর।

৪) লাক্বদ খলাকনাল ইং-ছা-না ফী-আহছানি তাক্বয়্যুইম।

আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে।

৫) ছু ম্মা রাদাদ না-হু আছফালা ছা-ফিলীন।

অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে।

৬) ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূওয়া’আমিলুসসা-লিহা-তি ফালাহুম আজরুন গাইরু মামনূন।

কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে অশেষ পুরস্কার।

৭) ফামা-ইউকাযযি বুকা বা‘দুবিদ্দীন।

অতঃপর কেন তুমি অবিশ্বাস করছ কেয়ামতকে?

৮) আলাইছাল্লা-হু বিআহকামিল হা-কিমীন।

আল্লাহ কী বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?

(সূরা আত-তীন, আয়াত ১-৮)

সূরা আত-তীন এর শানে নুযুল:

বিশেষ কোনো ঘটনা বা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ সূরাটি নাজিল করা হয়নি। বরং মানবজাতির জন্য পরিপূর্ণ সফলতা লাভের দিকনির্দেশনা ও পরকালের জবাবদিহির কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা এ সূরা নাজিল করেন। মানুষের প্রতি আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত কতিপয় নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পর আল্লাহ্ তায়ালা এতে মানবজাতির উৎপত্তি ও পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এ সূরা নাজিল করেন।

সূরা আত-তীন এর ব্যাখ্যা:

  • সূরা আত-তীনের প্রথম তিন আয়াতে আল্লাহ তায়ালা চারটি বস্তুর শপথ করেছেন। তন্মধ্যে প্রথম দুটি হলো আঞ্চির (ডুমুর জাতীয় ফল) ও যায়তুন। আজির হলো একটি উপাদের ফল। আর যায়তুনের ফল অভ্যন্ত বরকতময় ও এর ভৈল খুবই উপকারী। এ দুটি বৃক্ষ সিরিয়া ও ফিলিস্তিন অঞ্চলে বেশি উৎপন্ন হয়। আর সিরিয়া ও ফিলিস্তিনে অগণিত নবি রাসূল আগমন করেছিলেন। দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা দূর পর্বতের শপথ করেছেন। এ পর্বত অত্যন্ত বরকতময় স্থান। এ পর্বতে হযরত মুসা (আঃ) মহান আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথন করেন। আর সেখানেই তাওরাত কিতাব নাজিল হয়। তৃতীয় আয়াতে নিরাপদ নগরীর শপথ করা হয়েছে। আর এটা হলো মক্কা নগরী। এ নগরীতে মহানবি (সাঃ) জন্মগ্রহণ করেন। এতে পবিত্র বায়তুল্লাহ বা কাবা শরিফ অবস্থিত, সেখানে রক্তপাত ও মারামারি নিষিদ্ধ।
  • এ সূরায় প্রথম তিনটি আয়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের শপথ করে আল্লাহ তায়ালা মানুষের আকৃতি ও প্রকৃতি সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে অত্যন্ত সুন্দর সৃষ্টি হিসেবে ঘোষণা করেন। সৃষ্টিজগতের মধ্যে মানুষের আকৃতিই সবচেয়ে সুন্দর। তবে মানুষ যদি ভালো কাজ না করে অসৎ কাজে লিপ্ত হয় তাহলে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখিরাতে ডাকে লাঞ্ছিত-অপমানিত করেন। তাকে শাস্তি প্রদান করেন।
  • এ সূরার শেষাংশে আল্লাহ তায়ালা পরকাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। এ সুরায় সৎকর্মশীল ও পুণ্যবানগণের জন্য পরকালে জান্নাতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পরকালে আল্লাহ তায়ালা মানুষের সকল কাজের হিসাব নেওয়ার জন্য একত্র করবেন। এদিন হবে প্রতিফল দিবস বা শেষ বিচারের দিন। আল্লাহ তায়ালা হবেন সেদিনের একমাত্র বিচারক। তিনিই সর্বোত্তম ন্যায়বিচারক। মানুষের দুনিয়ার কৃতকর্মের জন্য তিনি পুরস্কার ও শাস্তি প্রদান করবেন।

সূরা আত-তীন এর শিক্ষা:

  1. মানুষ সৃষ্টিজগতের শ্রেষ্ঠ ও সুদরতম সৃষ্টি।
  2. মানুষের সম্মান ও মর্যাদা সৎকর্মের উপর নির্ভরশীল। অসৎকর্ম করলে মানুষ মনুষ্যত্বের স্তর থেকে পশুত্বের স্তরে নেমে যায়।
  3. সৎকর্মশীলগণ পরকালে অশেষ ও অফুরন্ত পুরস্কার লাভ করবেন। 
  4. আল্লাহ তায়ালা সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক। শেষ বিচারের দিন তিনি সকল মানুষের কৃতকর্মের হিসাব নেবেন। মহান আল্লাহ আখিরাত সম্পর্কে পুরোপুরি সাবধান ও সতর্ক করেছেন। সুতরাং কোন সুস্থ বিবেকবান মানুষের এটি অবিশ্বাস করা উচিত হয়।

ঙ) সুরা আল-মাঊন

পরিচয়:

সূরা আল মাঊন আল কুরআনের ১০৭ তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ৭টি। এটি মাক্কি সূরা গুলোর অন্তর্গত। সূরার শেষ শব্দ মাঊন থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে।

সুরা আল-মাঊন এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

১) আরাআইতাল্লাযী ইউকাযযি বুবিদ্দীন।

আপনি কী দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?

২) ফাযা-লিকাল্লাযী ইয়াদু‘‘উল ইয়াতীম।

সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়

৩) ওয়ালা-ইয়াহুদ্দু‘আলা-ত‘আ-মিল মিছকীন।

এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।

৪) ফাওয়াইঁলুললিল মুসাল্লীন।

অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,

৫) আল্লাযীনাহুম ‘আন সালা-তিহিম ছা-হূন।

যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;

৬) আল্লাযীনা হুম ইউরাঊনা।

যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে

৭) ওয়া ইয়ামনা‘ঊনাল মা‘ঊন।

এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।

(সুরা আল-মাঊন, আয়াত ১-৭)

সুরা আল-মাঊন এর শানে নুযুল:

আল্লাহ তায়ালা মক্কাবাসীর হেদায়েত এর জন্য সুরা মাঊন নাজিল করেন। যে সব ব্যক্তিগণ সালাত এর ব্যাপারে উদাসীন এবং যারা ইয়াতিম ও অভাবগ্রস্তকে সাহায্য করে না তাদের প্রতি ধ্বংসের বার্তা দিয়ে দিয়েছেন।

সুরা আল-মাঊন এর ব্যাখ্যা:

  • এই সুরায় কাফির ও মুনাফিকদের কতিপয় বৈশিষ্ট্য ও কাজের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা সূরার প্রথম আয়াতে কিয়ামত দিবস ও বিচার দিবস অস্বীকারকারীদের কথা বলেছেন। আর কাফির মুনাফিকরাই মূলত বিচার দিবসের অস্বীকারকারী। তারা তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতকে অস্বীকার করে।
  • অতঃপর সূরার শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা তাদের কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। যেমন, তারা ইয়াতীমদের প্রতি কঠোর, ইয়াতীমদের ধন-সম্পদ তারা জোর করে দখল করে। ইয়াতীমদের কোনোরূপ সাহায্য-সহযোগিতার পরিবর্তে তাদের রূঢ় ও নিষ্ঠুরভাবে তাড়িয়ে দেয়। এমনকি ইয়াতীম, দুঃস্থ, দরিদ্র ও অভাকান্তকে নিজেরা তো সাহায্য করেই না বরং অন্যকেও একাজে উৎসাহ দেয় না।
  • মুনাফিকদের আরও একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তারা ঠিকমতো সালাত আদায় করে না। বরং তারা সালাত সম্পর্কে উদাসীন। শুধু মুসলমানদের দেখানোর জন্য সালাত আদায় করে। সালাতের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে তারা কোনো খবর রাখে না। অথচ সালাতে অবহেলার জন্য দুর্নিয়া ও আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে মহাখধ্বংস।

সুরা আল-মাঊন এর শিক্ষা:

  1. বিচার দিবসকে অস্বীকার করা খুবই জঘন্য কাজ। এটি কাফির-মুনাফিকদের কাজ।
  2. ইয়াতীম ও দুঃস্থদের তাড়িয়ে দেওয়া নয়, বরং তাদের যথাসম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে।
  3. ইয়াতীম, নিঃস্বদের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী সকলকে উৎসাহ দিতে হবে।
  4. কোনোক্রমেই সালাতে অবহেলা করা চলবে না। লোক দেখানোর জন্য সালাত আদায় করা যাবে না। বরং বিশুদ্ধ নিয়তে সঠিকভাবে আল্লাহ্ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সালাত আদার করতে হবে।
  5. সালাতে উদাসীন ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে মহাখধ্বংস।

Leave a Reply

nv-author-image

inbangla.net/islam

Islamic information to the point!View Author posts

You cannot copy content of this page