নামাজ আদায়ের সময় অনেকগুলো দোয়া এবং তাসবিহ পড়তে হয়।
নামাযের বিভিন্ন স্থানে যেসব আয়াত, দোয়া এবং তাসবীহ আমরা নিয়মিত পাঠ করি সেগুলোর অর্থ না জানার ফলে আমরা অনেকেই নামাযজে সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে পারি না।
এর জন্য এখানে আমরা জানব, সম্পূর্ণ নামাজের বাংলা অর্থ: নামাজে যা পড়ি তার বাংলা অর্থ অর্থ্যাৎ নামাজে কি কি পড়তে হয় তার উচ্চারণ ও অনুবাদ। আমাদের যদি এই নামাজে এগুলো পাঠের সময়, এগুলো অর্থগুলো স্মরণে থাকে তাহলে নামাজের খুশু-খুজু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভাবে কাজ করবে।
যখন আমরা বুঝব যে, নামাজে আমরা কি বলছি। যখন আমরা নামাজে ব্যবহৃত শব্দ বাক্যগুলোর অর্থ বুঝব বা অনুভব করব তখন মনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ঘটবে। যা আমাদের নামাজে মনোযোগ বৃদ্ধি করতে, নামাজ কে আরও বেশি সুন্দর ও আত্নরিক করতে সাহায্য করবে, ইংশাআল্লাহ।
নিম্নে সম্পূর্ণ নামাজের বাংলা অর্থ/নামাজে যা পড়ি তার বাংলা অর্থ্যাৎ নামাজে কি কি পড়তে হয় তার উচ্চারণ ও অনুবাদ ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো-
(১) নামাযের পূর্বপ্রস্তুতির দোয়ার বাংলা অর্থ
ওযু করে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করার সময় আল্লাহ তা‘আলাকে উপস্থিত জেনে পড়তে হয়।
উচ্চারণ: ইন্নী ওয়াজ্জাহতুওয়াজহিয়া লিল্লাযীফাতারাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদাহানীফাওঁ ওয়া মাআনা মিনাল মুশরিকীন।
অর্থ: আমি পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে আমার মুখমণ্ডল সেই সত্তার দিকে ফিরিয়ে নিয়েছি বা নিবদ্ধ করলাম, যিনি আসমান ও যমিন সৃষ্টি করেছেন, আর আমি তাদের মধ্যে নেই যারা তাঁর সঙ্গে অন্যকে শরিক করে।
(২) নামাজের নিয়ত বাংলা অর্থ
‘নিয়্যাত’ আরবি শব্দ। এর অর্থ ইচ্ছা করা, সংকল্প করা ইত্যাদি। কোনো কিছু করার জন্য মনে মনে দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাকেই নিয়ত বলে।
নামাজ রোজা বা অন্যান্য ইবাদতের শুরুতে প্রচলিত গদবাঁধা নিয়ত (নাওয়াইতু আন…) কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয় নি, এটা মানুষর তৈরি করা আমল বা বিদআত।
নির্দিষ্ট কোনো বাক্যের মাধ্যমে নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা আবশ্যক নয়, মনে মনে নিয়ত করলেই হবে। তবে মনসংযোগের জন্য অনুচ্চ আওয়াজে মুখে আওড়ানো যেতে পারে।
আপনি কোন ওয়াক্তের (ফজর,যোহর/আসর/মাগরিব,এশা) কত রাকাত (২/৩/৪), কি নামাজ (ফরয/সুন্নত/নফল) পড়ছেন, অন্তরে শুধুমাত্র এই ধারণা বা ইচ্ছাটুকু থাকলেই আপনার নিয়ত করা হয়ে যাবে। প্রত্যেক কাজের শুরুতে এইরকম অন্তরে নিয়ত করে নেওয়া বাধ্যতামূলক।
উদাহরণস্বরূপ: আমি কেবলামুখী হয়ে (এত) রাকাত (অমুক ওয়াক্তের) (ফরজ বা সুন্নত বা নফল) নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার।
(৩) তাকবিরে তাহরিমা বাংলা অর্থ
উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার।
অর্থ: আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
(৪) সানা বাংলা অর্থ
তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বাধার পর এই সানা পড়তে হয়।
উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তা’আলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুকা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং প্রশংসা করছি, আপনার নাম বরকতময়, আপনার মর্যাদা অতি ঊর্ধ্বে। আপনি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ নেই।
(৫) সূরা ফাতিহা বাংলা অর্থ
উচ্চারণ: আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম। বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন। আর রহমানির রহীম। মালিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকানাছতাঈন। ইহদিনাসসিরাতাল মুছতাকীম। সিরাতাল্লাযীনা আনআম তাআলাইহিম। গাইরিল মাগদূ বিআলাইহীম ওয়ালাদ্দাল্লীন। আমিন।
অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে। সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যে। অনন্ত দয়াময়, অতীব দয়ালু। প্রতিফল দিবসের মালিক। আমরা শুধু আপনারই দাসত্ব করি এবং শুধু আপনারই নিকট সাহায্য কামনা করি। আমাদের সরল পথনির্দেশ দান করুন। তাদের পথে, যাদের আপনি অনুগ্রহ করেছেন। এবং তাদের পথে নয় যারা আপনার ক্রোধের শিকার ও পথভ্রষ্ট। কবুল করুন।
(৬) ফাতিহা ব্যাতিত অন্য কোন সূরা পাঠ
সূরা ফাতিহা এরপর পুরো কুরআনের ভিতর থেকে অন্য যেকোন কোনো সূরার সম্পূর্ণ অংশ বা আংশিক, ইচ্ছামত পরিমাণে পড়া যায়। তবে কমপক্ষে বড় এক আয়াত অথবা ছোট তিন আয়াত পড়তে হয়।
(৭) রুকুর তাসবিহ বাংলা অর্থ
উচ্চারণ: সুবহানা রাব্বিয়্যাল আযীম।
অর্থ: আমি আমার রবের পবিত্রতা ঘোষণা করছি।
(৮) রুকু থেকে উঠার তাসবিহ বাংলা অর্থ
উচ্চারণ: রাব্বানা লাকাল হামদ।
অর্থ: হে আমাদের রব! যাবতীয় প্রশংসা আপনারই জন্য
(৯) রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থার তাসবিহ বাংলা অর্থ
উচ্চারণ: সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ।
অর্থ: যে ব্যক্তি আল্লাহর তা‘আলার প্রশংসা করেন, আল্লাহ তা’আলা (ঐ ব্যক্তির প্রশংসা) শোনেন।
(১০) সিজদাহর তাসবিহ বাংলা অর্থ
উচ্চারণ: সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা।
অর্থ: পবিত্রতা ঘোষণা করছি আমার মহান রবের।
(১১) তাশাহহুদ বাংলা অর্থ
উচ্চারণ: আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্সলাওয়াতু ওয়াত্তাইয়েবাতু, আস্সালামু আলাইকা আইয়ুহান্নাবিয়্যু ওয়া রহ্মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, আস্সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সলেহীন, আশ্হাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ।
অর্থ: সমুদয় প্রশংসা, সব ইবাদাত ও সমস্ত পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নবি! আপনার উপর সালাম আর আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের উপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসুল।
(১২) দরুদে ইব্রাহিম বাংলা অর্থ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁউঅআলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা স্বাল্লাইতা আলা ইবরা-হীমা অ আলা আ-লি ইবরা-হিম, ইন্নাকাহামিদুম মাজিদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিঁউঅ আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বা-রাকতা আলা ইবরা-হিমা অ আলা আ-লি ইবরা-হিম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ ও তার বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ কর, যেমন তুমি হজরত ইব্রাহিম ও তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত। হে আল্লাহ! তুমি হজরত মুহাম্মদ ও তার বংশধরের উপর বর্কত বর্ষণ কর, যেমন তুমি হজরত ইব্রাহিম ও তার বংশধরের উপর বর্কত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত।
(১৩) দোয়া মাসুরা বাংলা অর্থ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাসীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা; ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ’ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রাহীম।
অর্থ: হে আল্লাহ্! আমি আমার নিজ আত্মার ওপর অনেক অত্যাচার করেছি, তুমিই একমাত্র গুনাহ মাফকারী; অতএব তুমি আপনা হতে আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করে দাও। আমার প্রতি দয়া কর। তুমি নিশ্চয়ই ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
(১৪) সালাম ফেরানাে বাংলা অর্থ
উচ্চারণ: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
অৰ্থ: আপনাদের উপর শান্তি এবং আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক।
সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজের শেষ/সমাপ্তি হয়।
(১৫) নামাজ শেষে সম্মিলিত মোনাজাতে করা কমন ৫টি দোয়ার বাংলা অর্থ
নং | উচ্চারণ: | অৰ্থ: |
1. | রাব্বানা আতিনা ফিদদুনয়া হাসনাতাও অফিল আখিরতি হাসনাতাও অকিনা আজাবান নার। | আমাদের প্রভু! আমাদের দুনিয়াতে যা কল্যাণকর, পরকালে যা কল্যাণকর তা দান করুন, আমাদেরকে আগুনের আজাব থেকে রক্ষা করুন! |
2. | রব্বানা তাকব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাস সামিউল আলিম। | আমাদের প্রভু! আমাদের কাছ থেকে (এই সেবা) গ্রহণ করুন, কেননা আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। |
3. | রব্বানা অজ-আলনা মুসলিমাইনি লাকা অমিন যুররিয়য়াতিনা ‘উম্মাতাম মুসলিমাতাল লাকা অআরিনা মানাসিকানা অতুব ‘আলায়না ‘ইন্নাকা’ আনতাত-তাওওয়াবুরহিম। | হে আমাদের পালনকর্তা, এবং আমাদেরকে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরদের থেকে এমন একটি জাতি তৈরি করুন যারা আপনার অনুগত, এবং আমাদের আচার-অনুষ্ঠান দেখান এবং আপনার কাছে তওবা করান। |
4. | রব্বানা আফরিগ আলায়না সবরও অছাব্বিত আকদামানা অনছুরনা আলাল-কওমিল-কাফিরিন। | আমাদের প্রভু! আমাদেরকে ধৈর্য দান করুন, আমাদের পা মজবুত করুন এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন। |
5. | রব্বানা লা তু-আখিযনা ইন-নাসীনা আউ আখতনা রব্বানা অলা তাহমিল আ’লায়না ইস’রন কামা হা’মালতাহু আ’লাল লাযিনা মিন কবলিনা রব্বানা অলা তুহাম্মিলনা মা লা ত-কত লানা বিহ, অয়াফু আ’ন্না অগফিরলানা অরহামনা আনতা মাওলানা ফানসুরনা আ’লাল কওমিল কাফিরিন। | আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের বাইরে ভার দেন না। সে যা অর্জন করেছে তার (ভাল) প্রতিদান পায় এবং সে যা অর্জন করেছে তার (মন্দ) জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। “হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা ভুলে গেলে বা ভুল করলে আমাদেরকে শাস্তি দিও না, হে আমাদের প্রভু! আমাদের উপর এমন বোঝা অর্পণ করবেন না যেটা আপনি আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছিলেন, হে আমাদের প্রভু! আমাদের উপর এমন বোঝা চাপিয়ে দিও না, যার শক্তি আমাদের আছে। সহ্য করুন। আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের ক্ষমা করুন। আমাদের প্রতি রহম করুন। আপনি আমাদের মওলা (অভিভাবক, সাহায্যকারী এবং রক্ষাকর্তা ইত্যাদি) এবং আমাদের কাফের সম্প্রদায়ের উপর বিজয় দান করুন। |
(১৬) নামাজ শেষে পাঠ করা কমন ১০টি তাসবীহ বাংলা অর্থ
নং | উচ্চারণ: | অর্থ: |
1. | আস্তাগফিরুল্লাহ্ | আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। |
2. | আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু, ওয়ামিনকাস্ সালা-মু, তাবা-রাকতা ইয়া-যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম। | হে আল্লাহ্, তুমি প্রশান্তি দাতা, আর তোমার কাছেই শান্তি, তুমি বরকতময়, হে মর্যাদাবান এবং কল্যাণময়। |
3. | সুবহানাল্লাহ্ | আল্লাহ্ পবিত্র। |
4. | আল-হামদুলিল্লাহ্ | সকল প্রশংসা আল্লাহর। |
5. | আল্লাহু আকবার | আল্লাহ্ সবচেয়ে বড়। |
6. | লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারী-কালাহু,লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু,ওয়া হুয়া ‘আলা- কুল্লি শাইইন ক্বাদী-র। | আল্লাহ্ ছাড়া (সত্য) কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনিই সব কিছুর উপর ক্ষমতাশালী। |
7. | লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারী-কালাহু,লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু,ওয়া হুয়া ‘আলা- কুল্লি শাইইন ক্বাদী-র। আল্লা-হুম্মা লা- মা-নি’আ লিমা- আ’তাইতা, ওয়ালা- মু’তিয়া লিমা- মানা’তা, ওয়ালা ইয়ানফা’উ যালজাদ্দি মিনকালজাদ্দু। | হে আল্লাহ্! তুমি যে দান কর তা বন্ধ করার কেউ নেই আর তুমি যা বন্ধ রাখ তা দানকারী কেউ নেই। কোনো সম্মানিত ব্যক্তির সম্মান কাজে আসবে না, তোমার নিকটেই প্রকৃত সম্মান। |
8. | লা- হাওলা ওয়ালা- কুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হি, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়ালা- না’বুদু ইল্লা- ইয়্যা-হু, লাহুন্নি’মাতু ওয়ালাহুল ফাদ্বলু, ওয়ালাহুস্ ছানা-উল হাসানু, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিসী-না লাহুদ্দী-না ওয়ালাউ কারিহাল কা-ফিরূন। | আল্লাহ্ ছাড়া (সত্য) কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সব কিছুর উপরেই ক্ষমতাশালী। হে আল্লাহ! তুমি যা দান করেছো, তার প্রতিরোধকারী কেউ নেই। আর তুমি যা নিষিদ্ধ করেছো তা প্রদানকারীও কেউ নেই। এবং কোন সম্মানী ব্যক্তি তার উচ্চ মর্যাদা দ্বারা তোমার দরবারে উপকৃত হতে পারবে না। তোমার শক্তি ছাড়া অন্য কোন শক্তি নেই। আল্লাহ্ ছাড়া (সত্য) কোন মা’বূদ নেই। আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, নেয়ামতসমূহ তাঁরই, অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ্ ছাড়া কোন (সত্য) মা’বূদ নেই। আমরা তাঁর দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তাঁর জন্যই একনিষ্ঠ ভাবে পালন করি। যদিও কাফেরদের নিকট তা অপছন্দনীয়। |
9. | আল্লাহু লা- ইলাহা ইল্লা- হুওয়া, আল হাইয়্যুল কাইয়্যু-ম, লা-তা’খুযুহু ছিনাতুউঁ- ওয়ালা- নাউ-ম, লাহু- মা- ফিচ্ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা- ফিল ‘আরদি; মান্ যাল্লাযী- ইয়াশফা’উ ‘ইন্দাহু- ইল্লা- বিইয্ নিহি, ই’য়ালামু মা-বাইনা আইদী-হিম ওয়ামা- খালফাহুম, ওয়ালা- ইউহী-তূ-না বিশাইয়িম্ মিন ‘ইলমিহী-, ইল্লা- বিমা-শা-আ, ওয়াছি’আ কুরছিয়্যুহুচ্ছামা-ওয়া-তি, ওয়াল ‘আরদা, ওয়ালা- ইয়াউ-দুহু হিফজুহুমা- ওয়াহুয়াল ‘আলিয়্যুল আযী-ম। | আল্লাহ্; তিনি ছাড়া অন্য কোন (সত্য) মাবূদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব,সবকিছুর ধারক, তাঁকে তন্দ্রা এবং নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর। কে আছে এমন যে,তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত আছেন। যতটুকু তিনি ইচ্ছে করেন,ততটুকু ছাড়া তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর কুরসী সমস্ত আকাশ ও পৃথিবী পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণ করা তাঁকে ক্লান্ত করে না। তিনি মহান শ্রেষ্ঠ। |
10. | আল্লাহুম্মা ইন্নী আসয়ালুকা ইলমান নাফিয়ান ওয়া রিযকান ত্বইয়্যিবান ওয়া আমালান মুতাকাব্বালান। | হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে উপকারী বিদ্যা, পবিত্র রিযিক এবং গ্রহণযোগ্য আমল কামনা করি। |
11. | রব্বি ক্বিনী আযাবাকা ইয়াওমা তুব‘য়াসু ইবাদুকা। (মুসলিম) | হে আল্লাহ! আমাকে তুমি তোমার আযাব হতে বাঁচাও যেদিন তোমার বান্দারা উত্থিত হবে। |
(১৭) নামাজের অর্থ ও নামাজ বুঝে পড়ার গুরুত্ব pdf (সংগ্রহিত)
সম্পূর্ণ নামাজের বাংলা অর্থ/নামাজে যা পড়ি তার বাংলা অর্থ অর্থ্যাৎ নামাজে কি কি পড়তে হয় তার অনুবাদ সমূহ যদি স্মরণে রাখা যায়, আশা করি আমরা মুসলিম ভাই-বোনেরা এ থেকে অনেক উপকৃত হব। আল্লাহ নামাজে আমরা কি পড়ি তার অর্থ বুঝে নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন, আমিন।
[সূত্র: omaralzabir.com]