আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাতুহ।
প্রিয় পাঠক, সুফি শাস্ত্রে কথিত আছে যে, ইসলামের যেমন একটি বাহ্যিক দিক রয়েছে, তেমনি এর একটি অন্তর্নিহিত দিকও রয়েছে। ইসলামের বাহ্যিক দিককে বলা হয় শরী‘আত এবং অভ্যন্তরীণ দিক হচ্ছে তাসাউফ বা সুফিবাদ। আসলে বিষটা কতটুকু সত্য তা আজকের এই আলোচনাতে আলোকপাত করা হবে।
এ পাঠটি শেষ অবধি অধ্যয়ন করলে আপনি- সুফিবাদ কি, এর পরিচয় জানতে পারবেন; সুফিবাদ কি ইসলাম সমর্থন করে, এর উত্তর পাবেন। সুফিবাদ ও ইসলাম এর সম্পর্ক বুঝতে পারবেন। তাসাউফ কাকে বলে, এর সাথে পরিচিত হতে পারবেন; তাসাউফ এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবেন।
চলুন শুরু থেকে শুরু করি।
(১) সুফিবাদ কি?
সুফিবাদ কি: সুফিবাদ হলো ইসলামের ও তাসাউফের খোলসে প্রচলিত একটি পথভ্রষ্ট্য মতবাদ, এটি ইসলামের মূল কাঠামোর মাঝে পরেনা। বিশ্ব নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন ইসলাম ও মুসলিমদের একমাত্র আদর্শ রোল মডেল। তার জীবনাদর্শের চেয়ে উত্তম জীবনাদর্শ কিছু হতে পারে না। কুরআন ও সুন্নাহর বাহিরের সকল মতবাদ পরিত্যাজ্য।
সাহাবী ও তাবেঈদের যুগ থেকে খালেস ইসলামী তাসাউফের একটি ধারা চলে আসছিল। এবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনই ছিল এর একমাত্র লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। কিন্তু পরবর্তীতে এর কর্মধারায় নানা আবর্জনা এমনভাবে মিশ্রিত হয়ে গেল যে, মুসলিমদের এক বিরাট গোষ্ঠিও এই আবর্জনা ধোয়া পানি পান করেই আত্মতৃপ্তি লাভ করতে লাগল। হিজরী অষ্টম শতকে এসে সুফীবাদ এক গোমরাহী ও ভ্রান্ত মতবাদে পরিণত হয়। তাসাউফের লেবাস ধরে নির্ভেজাল ইসলামী আকীদাহর বিভিন্ন পর্যায়ে গ্রীক দর্শন, সর্বেশ্বরবাদ, অদ্বৈত্ববাদ ইত্যাদির অনুপ্রবেশ ঘটেছিল।
আবর্জনা মিশ্রিত সুফীবাদের দাবীদাররা ইলমকে যাহেরী-বাতেনীতে বিভক্ত করতে থাকে, একজনের বক্ষদেশ থেকে অন্যজনের বক্ষদেশে জ্ঞানের গোপন বিস্তার হয় বলে প্রচার করতে থাকে এবং কামেল পীর-মুরশিদ ও আল্লাহর প্রেমে পাগল ভক্তের জন্য শরীয়তের বিধি-বিধান মেনে চলার প্রয়োজন নেই ইত্যাদি ভ্রান্ত চিন্তা-বিশ্বাস তাসাউফের নামে মুসলিমদের বিরাট এক অংশের উপর চেপে বসে।
আল্লাহর অলী ও তাঁর নেক বান্দাদের ব্যাপারে অমুসলিমদের ন্যায় মুসলিমরাও বাড়াবাড়ি শুরু করে। তাদের কাছে ফরিয়াদ জানাতে এবং নিজেদের দিলের মাকসুদ পূরা করতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আলেমগণও অলীদের কবরে ধরণা দিত।
ইসলামের নামে এই সব জাহেলীয়াতের অন্ধকারের বিরুদ্ধে জিহাদ করে খালেস তাওহীদের দিকে মুসলিমদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য এমন একজন মর্দে মুজাহিদের প্রয়োজন ছিল, যিনি তাওহীদ ও শির্কের পার্থক্য সম্পর্কে সুস্পষ্টরূপে অবগত, জাহেলীয়াতের সকল চেহারা সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে যিনি ওয়াকিফহাল এবং যিনি জাহেলীয়াতের মূলোৎপাটন করে মুসলিমদের জন্য সরাসরি কুরআন, সুন্নাহ এবং সাহাবী ও তাবেঈদের আমল থেকে নির্ভেজাল আকীদাহ ও আমল তুলে ধরবেন। এই গুরু দায়িত্বটি পালন করার জন্য হিজরী অষ্টম শতকে আল্লাহ তাআলা ইমাম ইবনে তাইমীয়া রাহিমাহুল্লাহকে চয়ন করেন। তিনি মুসলিমদের সামনে ইসলামের পরিচ্ছন্ন আকীদাহ্ বিশ্বাস তুলে ধরেন এবং সকল প্রকার শির্ক-বিদআত থেকে ইসলামকে পরিশুদ্ধ করেন।
(২) সুফিবাদ কি ইসলাম সমর্থন করে? সুফিবাদ ও ইসলাম
সুফিবাদ কি ইসলাম সমর্থন করে: না, সুফিবাদ ইসলাম সমর্থন করেনা, এটি কুরআন ও সহিহ হাদিসের নির্দেশনার বিপরীত মতবাদ। মূলত কুরআন ও সুন্নাহ তথা রাসূল (সা.) জীবনাদার্শের বাহিরে এসে নতুন সুফিবাদ মতবাদ তৈরি করে ইসলামের নামে চালিয়ে হয়েছে।
সুফিবাদ ও ইসলাম: সুফি একটা আরবি শব্দ। এই মতবাদটা আসলে পথভ্রষ্ট। আমাদের কুরআন এবং সুন্নাহ মানা উচিত। কেউ যদি এমন কিছু মানেন যেটা কুরআন এবং সুন্নাহ তে উল্লেখ করো নাই সেটা আসলে পথভ্রষ্ট। সুফিবাদে যেসব মতবাদগুলো দেখা যায়, এর বেশির ভাগই পথভ্রষ্ট। এই সুফিবাদ এই মতবাদটা পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহ মেনে চলে না। কোন বিশেষজ্ঞ যদি এখানে কিছু বলেন, সেটা কোরান আর সুন্নাহর সাথে মেলাবেন, অন্য কোন উৎস নেই, সঠিক উৎস হলো কোরআন আর সহি হাদিস।
তথাকথিত সুফিবাদ ও তাসাউফ সাধনা বলতে ইসলোমে কিছু নেই। তবে মনের পবিত্রতার বিষয়ে নিম্নক্তো কিছু আয়াত পাওয়া যায়। যেমন-
আত্মাকে পূত-পবিত্র ও কলুষমুক্ত রাখার মাধ্যমে জীবনে সফলতা লাভ করা যায়। মহান আল্লাহ বলেন,
“যে ব্যক্তি আত্মাকে পূত-পবিত্র রাখল, সে সাফল্য লাভ করল। আর যে ব্যক্তি আত্মাকে কলুষিত করল সে ধ্বংস হয়ে গেল।”
(সূরা আশ-শামস, ৯১:৯-১০)
আল্লাহ পাক অন্যত্র বলেন,
“সেই ব্যক্তিই সফল, যে পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধি অর্জন করে এবং তার প্রভুর স্মরণ করে ও সালাত আদায় করে।”
(সূরা আল-আলা, ৮৭:১৪-১৫)
লোভ, হিংসা-বিদ্বেষ ইত্যাদি মানুষকে কলুষিত করে। এতে আত্মা অপবিত্র হয়ে পড়ে। সৎ চিন্তা, সৎ কর্ম, আল্লাহর যিকর ইত্যাদি মানুষের আত্মাকে পবিত্র রাখে।
সুতরাং আত্মার শুদ্ধতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে রাসূল (স) বলেন,
“সাবধান ! নিশ্চয় মানুষের দেহের মধ্যে একখন্ড গোশত আছে, যখন তা সুস্থ থাকে, তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা দূষিত হয়ে পড়ে তখন সমস্ত দেহই অসুস্থ হয়ে পড়ে। জেনে রেখো, তা হচ্ছে অন্তকরণ।”
(বুখারী ও মুসলিম)
আত্মাকে পূত-পবিত্র ও কলুষমুক্ত রাখার আরও মহান আল্লাহ বলেন,
“সে কল্যাণ লাভ করেছে, যে নিজেকে পবিত্র করেছে। আর ধ্বংস হয়েছে সে, যে নিজের আত্মাকে অপবিত্র করেছে।”
(আশ্-শাম্স-৯১:৯-১০)
সকল প্রকার মন্দ এক হয়ে অন্তরে মরিচা পড়ে। অন্তরে যাতে কোন ধরনের মরিচা পড়তে না পারে। সেই ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন,
“কখনো নয়, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের হৃদয়ে জং ধরিয়েছে।”
(সূরা মুতাফফিফীন, ৮৩:১৪)
কাজেই সবসময় আত্মাকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করতে হবে। তবে তা ইসলামের মমূল উৎস কুরআন-সুন্নাহের বাহিরে গিয়ে, আলাদা সুফিবাদ মতবাদ বা তথাকথিত তাসাউফের সাধনার মাধ্যমে অর্জন করা যায় না। তা অর্জন করা যায় রাসূল (সা.) শেখানো পদ্ধতিতে।
মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নির্দেশনা ও তার দেখানো পথে চললেই একমাত্র আত্মাকে সুস্থ রাখা ও ইহকাল ও পরকালের যাবতীয় কল্যাণ লাভ করা যাবে।
কাজেই আমাদের মানবিক গুণাবলি ও অন্তরের পবিত্রতা আনয়নের জন্য একমাত্র রাসূল (সা.) এর দেখানো পথে সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে, রাসূলের জীবনকে উপক্ষা করে মানব সৃষ্ট ভিন্ন কোন মতবাদে নয়।
সহিহ হাদিস থেকে আমরা রাসূলে দেখানো জীবন পদ্ধতি জানতে ও শিখতে পারি।
(৩) তাসাউফ শব্দের উৎস ও অর্থ কি?
তাসাউফ শব্দের উৎস ও অর্থ কি: তাসাউফ শব্দটি ‘সুফুন’ শব্দ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘সুফ’ শব্দের অর্থ পশম। সাদাসিধে জীবন যাপনের জন্য সূফিগণ পশমী পোশাক পরিধান করতেন। এ থেকেই ‘সুফি’ ও তাসাউফ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। এ মতটিই বেশি গ্রহণযোগ্য।
মোল্লা জামি বলেন, তাসাউফ শব্দটি সাফা (صفاء) থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। ‘সাফা’ শব্দের অর্থ পবিত্রতা।
সামআনীর মতে, তাসাউফ শব্দটি ‘বনু সাফা’ শব্দ থেকে এসেছে। আত্মার পবিত্রতার জন্য তারাই বেশি অগ্রণী ছিলেন।
কারো মতে তাসউফ শব্দটি ‘আসসাফফুল আউয়াল’ (الصف اول) থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এর অর্থ হলো ‘প্রথম সারি’।
আবার কারো কারো মতে তাসাউফ শব্দটি আহলুস সুফ্ফা (اھل الصفة) থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। আহলুস সুফ্ফা হলো রাসূল (স) এর একদল বিশিষ্ট সাহাবী, যারা আত্মার শুদ্ধি-জ্ঞান অর্জনের জন্য মসজিদে জীবন কাটিয়েছিলেন।
পশ্চিমা পন্ডিতদের মতে- সূফি শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘সাফি’ থেকে এসেছে। সাফিয়া শব্দের অর্থ জ্ঞান।
বলা হয়ে থাকে, সূফিরা আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন বলে তাদেরকে ‘সূফি’ বলা হয়। আর তাদের শাস্ত্রকে ‘তাসাউফ’ বলা হয়।
(৪) তাসাউফ কাকে বলে?
বিভিন্ন সূফি-সাধক ও ইসলামি চিন্তাবিদগণ তাসাউফ বা সূফিবাদের বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। যেমন-
বিশ্ববিখ্যাত সূফি যুননুন মিসরি (র) বলেন, “আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া আর সব কিছু বর্জন করাই হলো তাসাউফ।”
জুনায়েদ বাগদাদি (র) বলেন, “তাসাউফ হলো জীবন মৃত্যুসহ সকল বিষয়ে আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ নির্ভরশীল হওয়া।”
বায়েজিদ বোস্তামি (র) বলেন, “আল্লাহর ইবাদতে পরিপূর্ণভাবে নিয়োজিত হওয়া এবং নৈকট্য লাভের উদ্দেশে পৃথিবীর সকল দুঃখন্ডকষ্ট সানন্দে গ্রহণ করার নাম তাসাউফ।
তাসাউফ কাকে বলে: কথিত আছে, তাসাউফ বা সূফিবাদ হলো অন্তরের বিভিন্ন পাশবিক প্রবৃত্তি তথা কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, হিংসা, পরশ্রিকাতরতা প্রভৃতি থেকে মুক্ত হয়ে এক আল্লাহর পরিচয়, তাঁর প্রেম ও নৈকট্য লাভ করার চেষ্টা করা। আর এ চেষ্টা করার সাধনাকেই তাসাউফ বা সূফিবাদ বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি ইসলামের নামে দিয়ে, কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনা, মুহাম্মদ (সা.) জীবনার্শের বিপরীতে তৈরি করা একটি পথভ্রষ্ট মতবাদ।
সুফি কারা: যদিও বলা হয়ে থাকে, যে সব ব্যক্তি নিরন্তর চেষ্টা সাধনার মধ্য দিয়ে ইসলামের গভীর জ্ঞান লাভ করার চেষ্টা করেন, নিজের পাপের অনুশোচনা করে আত্মাকে পবিত্র করেন এবং নিজের জীবন উৎসর্গ করে আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করেন তাকে সুফি বলা যায়। কিন্তু বাস্ততা বেশিরভাই সময়ই বিপরীত।
(৫) তাসাউফ এর গুরুত্ব
সুফিবাদ মতবাদে চালিত লোকরা তাসাউফ এর গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে তারা বলো থাকে-
মানবজীবনের দুটি দিক রয়েছে, একটি বাহ্যিক বা প্রকাশ্য দিক এবং অপরটি আত্মিক বা অপ্রকাশ্য দিক।
ইসলাম মানুষের বাহ্যিক জীবনব্যবস্থা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বিধান দিয়েছে। এর নাম শরী‘আত। অপরদিকে মানুষের আত্মিক বা অদৃশ্য দিক নিয়ন্ত্রণের জন্যও নীতি-আদর্শ রয়েছে-এর নাম তাসাউফ।
তাসাউফ চর্চার উদ্দেশ্য হলো অন্তরকে সকল প্রকার পাপপংকিলতা হতে মুক্ত করে এক আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উপযোগী করে তোলা। ক্ষণস্থায়ী পার্থিব জগতের মায়া-মোহ ত্যাগ করে আধ্যাত্মিক জীবনের উন্নতির সন্ধানই হলো তাসাউফ।
আল্লাহ তা‘আলার নিগূঢ় রহস্য তালাশ, আত্মার পবিত্রতা এবং মানবাত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন সাধনের ওপর ভিত্তি করেই সূফিবাদের উৎপত্তি। সূফিগণ সাদা-সিধা অনাড়ম্বর জীবনযাপন করেন এবং সর্বদা আল্লাহর ধ্যান ও ইবাদতে মগ্ন থাকেন। আল্লাহর প্রেমের অনুসন্ধান তথা পরম সত্তাকে জানার প্রয়াসই তাসাউফ শাস্ত্রের মূল উদ্দেশ্য।
মানুষের কেবল বাহ্যিক দিক পরিচালিত হবে ইসলামী জীবন বিধানের আলোকে, আর অন্তর পরিচালিত হবে নিজের ইচ্ছা মাফিক, তা কখনো হতে পারে না। মানুষের অন্তর নিয়ন্ত্রণ, পরিচালন ও পরিশোধনের জন্য ইসলামে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা রয়েছে। এর প্রচলিত নাম হচ্ছে তাসাউফ।
যদিও তাসাউফ এর গুরুত্ব হিসেবে উপরোক্তভাবে ব্যখ্যা করা হলেও, এ সুফিবাদ মতবাদে চালিত লোকরা ইসলামি জীবন ব্যবস্থার একমাত্র গ্রহণ যোগ্য উৎস কুরআন ও সুন্নাহকে মেনে চলে না। তারা মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে ইসলামে আদর্শ মডেল হিসেবে তাকে অনুসরণ করে না।
প্রিয় পাঠক, উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা সুফিবাদ কি? সুফিবাদ কি ইসলাম সমর্থন করে? সুফিবাদ ও ইসলাম; তাসাউফ শব্দের উৎস ও অর্থ কি? তাসাউফ কাকে বলে? তাসাউফ এর গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম।
মহান আল্লাহ আমানের সুফিবাদ/তাসাউফ সাধনা নামক এক গোমরাহী ও ভ্রান্ত মতবাদ থেকে রক্ষা করুন। সবাইসে কুরআন ও রাসূলের সুন্নাহ মোতাবেক চলার তৈৗফিক দ্বান করুন। আমিন।
[সূত্র: ওপেস স্কুল ও হাদিস বিডি]