(১) সূরা ইয়াসিন সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
পবিত্র কুরআনে ১১৪ টি সূরার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা হলো সূরা ইয়াসিন। এটি পবিত্র কোরআনের ৩৬ নং সূরা। এর ৮৩ টি আয়াত ও ৫ টি রুকু আছে। এটি মাক্কী সূরা। এই সুরা ইয়াসিনকে কোরআনের প্রাণ বলা হয়।
সূরার নাম: | ইয়াসিন |
আয়াত সংখ্যা: | ৮৩ |
রুকু: | ৫ |
শ্রেণী: | মাক্কী সুরা |
পারার ক্রম: | ২২-২৩ |
সূরার ক্রম: | ৩৬ |
সূরা ইয়াসিনের আরও বিভিন্ন নাম রয়েছে।
- আয়ীমা
- মুয়িম্মাহ
- মুদাফিয়া ও
- কাযিরা ইত্যাদি।
পূর্ণ্যের দিক থেকেও এটি অনন্য। এ সূরায় মানবজীবনের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়। প্রমাণ স্বরূপ নিচে কয়েকটি হাদিস দেওয়া হলো।
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, নবী (সাঃ) বলেছেন, ‘প্রতিটি বস্তুর একটি হৃদয় আছে এবং কোরআনের হৃদয় হল সূরা ইয়াসিন। যে ব্যক্তি একবার সূরা ইয়াছির তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাকে পুরো কোরআন দশবার পাঠ করার পুরস্কার দান করবেন।’
নবী (সাঃ) আরও বলেছেন, ‘সূরা ইয়াসীন কোরআনের প্রাণ। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের কল্যাণের জন্য সূরা ইয়াছিন তিলাওয়াত করে তার জন্য রয়েছে ক্ষমা।’
তাছাড়া এ সূরাটি আমাদের পরকালের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তিরমিযী শরিফে উল্লেখ আছে যে, ‘একবার সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে দশবার কুরআন খতম করার ফজিলত পাওয়া যায় এবং তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়।’
হাদিসে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, ‘যদি রাতে সুরা ইয়াসিন পাঠ করা হয়, তাহলে সে একজন নির্দোষ হয়ে জেগে ওঠে এবং পূর্বের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করা হয়। যে ব্যক্তি বেশি বেশি সূরা ইয়াসিন পড়বে, এই সূরাটি কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে তার জন্য সুপারিশ করবে।’
নবী (সাঃ) আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ইয়াছিন পড়বে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা থাকবে।’
হযরত আবু যর (রাঃ) তায়ালা আনহু বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, ‘মৃত্যুর সময় কোন ব্যক্তির নিকট সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার মৃত্যুর যন্ত্রণা লাঘব হয়।’
ইয়াহইয়া ইবনে কাথির বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পড়বে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে।’
এগুলো ছাড়াও, সূরা ইয়াসিনের অনেক ফজিলত হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন সূরা ইয়াসিনের অর্থসহ বাংলা উচ্চারণ ও ফজিলত সম্পর্কে জেনে নেই।
(২) সূরা ইয়াসিন অর্সসহ বাংলা উচ্চারণ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
(1)
আরবীঃ يسٓ
উচ্চারণঃ ইয়া-সিন।
অর্থঃ ইয়া সীন।
(2)
আরবীঃ وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ
উচ্চারণঃ ওয়াল কুরআ-নিল হাকীম।
অর্থঃ শপথ জ্ঞানগর্ভ কুরআনের।
(3)
আরবীঃ إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ
উচ্চারণঃ ইইন্নাকা লামিনাল মুরছালীন।
অর্থঃ তুমি অবশ্যই রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত।
(4)
আরবীঃ عَلَىٰ صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
উচ্চারণঃ ‘আলা-সিরাতিম মুছতাকীম।
অর্থঃ তুমি সরল পথে প্রতিষ্ঠিত।
(5)
আরবীঃ تَنْزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণঃ তানঝীলাল ‘আঝীঝির রাহীম।
অর্থঃ কুরআন অবতীর্ণ পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু আল্লাহর নিকট হতে।
(6)
আরবীঃ لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَا أُنْذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
উচ্চারণঃ লিতুনযিরা কাওমাম্মাউনযিরা আ-বাউহুম ফাহুম গা-ফিলূন।
অর্থঃ যাতে তুমি সতর্ক করতে পার এমন এক জাতিকে যাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে সতর্ক করা হয়নি, যার ফলে তারা গাফিল।
(7)
আরবীঃ لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَىٰ أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
উচ্চারণঃ লাকাদ হাক্কাল কাওলু‘আলাআকছারিহিম ফাহুম লা-ইউ’মিনূন।
অর্থঃ তাদের অধিকাংশের জন্য সেই বাণী অবধারিত হয়েছে; সুতরাং তারা ঈমান আনবেনা।
(8)
আরবীঃ إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلَالًا فَهِيَ إِلَى الْأَذْقَانِ فَهُمْ مُقْمَحُونَ
উচ্চারণঃ ইন্না- জা‘আলনা-ফী আ‘না-কিহিম আগলা-লান ফাহিয়া ইলাল আযকা-নি ফাহুম মুকমাহূন।
অর্থঃ আমি তাদের গলদেশে চিবুক পর্যন্ত বেড়ি পরিয়েছি, ফলে তারা উর্ধ্বমুখী হয়ে গেছে।
(9)
আরবীঃ وَجَعَلْنَا مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ
উচ্চারণঃ ওয়া জা‘আল না-মিম বাইনি আইদীহিম ছাদ্দাওঁ ওয়া মিন খালফিহিম ছাদ্দান ফাআগশাইনা-হুম ফাহুম লা-ইউবসিরূন।
অর্থঃ আমি তাদের সম্মুখে প্রাচীর ও পশ্চাতে প্রাচীর স্থাপন করেছি এবং তাদেরকে আবৃত করেছি, ফলে তারা দেখতে পায়না।
(10)
আরবীঃ وَسَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنْذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
উচ্চারণঃ ওয়া ছাওয়াউন ‘আলাইহিম আ আনযারতাহুম আম লাম তুনযিরহুম লা-ইউ’মিনূন।
অর্থঃ তুমি তাদেরকে সতর্ক কর কিংবা না কর তাদের জন্য উভয়ই সমান; তারা ঈমান আনবেনা।
(11)
আরবীঃ إِنَّمَا تُنْذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَٰنَ بِالْغَيْبِ ۖ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍ
উচ্চারণঃ ইন্নামা-তুনযিরু মানিত্তাবা‘আযযিকরা ওয়া খাশিয়াররাহমা-না বিলগাইবি ফাবাশশিরহু বিমাগফিরাতিওঁ ওয়া আজরিন কারীম।
অর্থঃ তুমি শুধু তাদেরকেই সতর্ক করতে পার যারা উপদেশ মেনে চলে এবং না দেখে দয়াময় রাহমানকে ভয় করে। অতএব তুমি তাদেরকে ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের সংবাদ দাও।
(12)
আরবীঃ إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَىٰ وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ ۚ وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ
উচ্চারণঃ ইন্না-নাহনুনুহয়িল মাওতা-ওয়া নাকতুবুমা-কাদ্দামূওয়া আ-ছা-রাহুম ওয়া কুল্লা শাইয়িন আহসাইনা-হু ফীইমা-মিম মুবীন।
অর্থঃ আমিই মৃতকে করি জীবিত এবং লিখে রাখি যা তারা অগ্রে প্রেরণ করে এবং যা তারা পশ্চাতে রেখে যায়, আমি প্রত্যেক বিষয়কে স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।
(13)
আরবীঃ وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءَهَا الْمُرْسَلُونَ
উচ্চারণঃ ওয়াদরিব লাহুম মাছালান আসহা-বাল কারইয়াহ। ইযজাআহাল মুরছালূন।
অর্থঃ তাদের নিকট উপস্থিত কর এক জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত; তাদের নিকট এসেছিল রাসূলগণ।
(14)
আরবীঃ إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُمْ مُرْسَلُونَ
উচ্চারণঃ ইয আরছালনা ইলাইলিমুছনাইনি ফাকাযযাবূহুমা-ফা‘আঝঝাঝনা-বিছা-লিছিন ফাকালূইন্নাইলাউকুম মুরছালূন।
অর্থঃ যখন আমি তাদের নিকট পাঠিয়েছিলাম দু’জন রাসূল, কিন্তু তারা তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলল; তখন আমি তাদেরকে শক্তিশালী করেছিলাম তৃতীয় একজন দ্বারা এবং তারা বলেছিলঃ আমরাতো তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি।
(15)
আরবীঃ قَالُوا مَا أَنْتُمْ إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُنَا وَمَا أَنْزَلَ الرَّحْمَٰنُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا تَكْذِبُونَ
উচ্চারণঃ কা-লূমাআনতুম ইল্লা-বাশারুম মিছলুনা- ওয়ামাআনঝালাররাহমা-নুমিনশাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা-তাকযিবূন।
অর্থঃ তারা বললঃ তোমরাতো আমাদের মত মানুষ, দয়াময় কিছুই অবতীর্ণ করেননি, তোমরা শুধু মিথ্যাই বলছ।
(16)
আরবীঃ قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَ
উচ্চারণঃ কা-লূরাব্বুনা-ইয়া‘লামুইন্না-ইলাইকুম লামুরছালূন।
অর্থঃ তারা বললঃ আমাদের রাব্ব জানেন যে, আমরা অবশ্যই তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি।
(17)
আরবীঃ وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
উচ্চারণঃ ওয়ামা-‘আলাইনাইল্লাল বালা-গুল মুবীন।
অর্থঃ স্পষ্টভাবে প্রচার করাই আমাদের দায়িত্ব।
(18)
আরবীঃ قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ ۖ لَئِنْ لَمْ تَنْتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُمْ مِنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ
উচ্চারণঃ কা-লূরাব্বুনা-ইয়া‘লামুইন্না-ইলাইকুম লামুরছালূন।
অর্থঃ তারা বললঃ আমরা তোমাদেরকে অমঙ্গলের কারণ মনে করি। যদি তোমরা বিরত না হও তাহলে তোমাদেরকে অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ হতে তোমাদের উপর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি অবশ্যই আপতিত হবে।
(19)
আরবীঃ قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ ۚ أَئِنْ ذُكِّرْتُمْ ۚ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ
উচ্চারণঃ কা-লূতাইরুকুম মা‘আকুম আইন যুক্কিরতুম বাল আনতুম কাওমুম মুছরিফূন।
অর্থঃ তারা বললঃ তোমাদের অমঙ্গল তোমাদেরই সাথে, এটা কি এ জন্য যে, আমরা তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছি? বস্তুতঃ তোমরা এক সীমা লংঘনকারী সম্প্রদায়।
(20)
আরবীঃ وَجَاءَ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَىٰ قَالَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ
উচ্চারণঃ ওয়াজাআ মিন আকসাল মাদীনাতি রাজুলুইঁ ইয়াছ‘আ- কা-লা ইয়াকাওমিত্তাবি‘উল মুরছালীন।
অর্থঃ নগরীর প্রান্ত হতে এক ব্যক্তি ছুটে এলো, সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়! রাসূলদের অনুসরণ কর।
(21)
আরবীঃ اتَّبِعُوا مَنْ لَا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُمْ مُهْتَدُونَ
উচ্চারণঃ ইত্তাবি‘ঊ মাল্লা-ইয়াছআলুকুম আজরাওঁ ওয়া হুম মুহতাদূন।
অর্থঃ অনুসরণ কর তাদের যারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চায়না এবং তারা সৎ পথপ্রাপ্ত।
(22)
আরবীঃ وَمَا لِيَ لَا أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
উচ্চারণঃ ওয়া মা-লিয়া লাআ‘বুদুল্লাযী ফাতারানী ওয়া ইলাইহি তুর জা‘উন।
অর্থঃ আমার কি যুক্তি আছে যে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যাঁর নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে আমি তাঁর ইবাদাত করবনা?
(23)
আরবীঃ أَأَتَّخِذُ مِنْ دُونِهِ آلِهَةً إِنْ يُرِدْنِ الرَّحْمَٰنُ بِضُرٍّ لَا تُغْنِ عَنِّي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا وَلَا يُنْقِذُونِ
উচ্চারণঃ আআত্তাখিযুমিন দুনিহীআ-লিহাতান ইয়ঁইউরিদনির রাহমা-নুবিদু ররিল লা-তুগনি ‘আন্নী শাফা-‘আতুহুম শাইআওঁ ওয়ালা-ইউনকিযূন।
অর্থঃ আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্য মা‘বূদ গ্রহণ করব? দয়াময় (আল্লাহ) আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইলে তাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবেনা এবং তারা আমাকে উদ্ধারও করতে পারবেনা।
(24)
আরবীঃ إِنِّي إِذًا لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ
উচ্চারণঃ ইন্নী ইযাল্লাফী দালা-লিম্মুবীন।
অর্থঃ এরূপ করলে আমি অবশ্যই স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত হব।
(25)
আরবীঃ إِنِّي آمَنْتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ
উচ্চারণঃ ইন্নীআ-মানতুবিরাব্বিকুম ফাছমা‘ঊন।
অর্থঃ আমিতো তোমাদের রবের উপর ঈমান এনেছি, অতএব তোমরা আমার কথা শোন।
(26)
আরবীঃ قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ ۖ قَالَ يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ
উচ্চারণঃ কীলাদ খুলিল জান্নাতা কা-লা ইয়া-লাইতা কাওমী ইয়া‘লামূন।
অর্থঃ তাকে বলা হলঃ জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলে উঠলঃ হায়! আমার সম্প্রদায় যদি জানতে পারত –
(27)
আরবীঃ بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ
উচ্চারণঃ বিমা-গাফারালী রাববী ওয়া জা‘আলানী মিনাল মুকরামীন।
অর্থঃ কি কারণে আমার রাবব আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং সম্মানিত করেছেন।
(28)
আরবীঃ وَمَا أَنْزَلْنَا عَلَىٰ قَوْمِهِ مِنْ بَعْدِهِ مِنْ جُنْدٍ مِنَ السَّمَاءِ وَمَا كُنَّا مُنْزِلِينَ
উচ্চারণঃ ওয়ামাআনঝালনা-‘আলা-কাওমিহী মিম বা‘দিহী মিন জুনদিম মিনাছ ছামাইওয়ামা-কুন্নামুনঝিলীন।
অর্থঃ আমি তার মৃত্যুর পর তার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আকাশ হতে কোন বাহিনী প্রেরণ করিনি এবং প্রেরণের প্রয়োজনও ছিলনা।
(29)
আরবীঃ إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ
উচ্চারণঃ ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম খা-মিদূন।
অর্থঃ ওটা ছিল শুধুমাত্র এক মহানাদ। ফলে তারা নিথর নিস্তব্দ হয়ে গেল।
(30)
আরবীঃ يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ ۚ مَا يَأْتِيهِمْ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ
উচ্চারণঃ ইয়া-হাছরাতান ‘আলাল ‘ইবা-দি মা-ইয়া’তীহিম মির রাছূলিন ইল্লা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহঝিউন।
অর্থঃ পরিতাপ বান্দাদের জন্য! তাদের নিকট যখনই কোন রাসূল এসেছে তখনই তারা তাকে ঠাট্টা বিদ্রুপ করেছে।
(31)
আরবীঃ أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِنَ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لَا يَرْجِعُونَ
উচ্চারণঃ আলাম ইয়ারাও কাম আহলাকনা- কাবলাহুম মিনাল কুরূনি আন্নাহুম ইলাইহিম লাইয়ারজি‘উন।
অর্থঃ তারা কি লক্ষ্য করেনা যে, তাদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠীকে আমি ধ্বংস করেছি যারা তাদের মধ্যে ফিরে আসবেনা?
(32)
আরবীঃ وَإِنْ كُلٌّ لَمَّا جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَ
উচ্চারণঃ ওয়া ইন কুল্লুল লাম্মা-জামী‘উল লাদাইনা-মুহদারূন।
অর্থঃ এবং অবশ্যই তাদের সকলকে একত্রে আমার নিকট উপস্থিত করা হবে
(33)
আরবীঃ وَآيَةٌ لَهُمُ الْأَرْضُ الْمَيْتَةُ أَحْيَيْنَاهَا وَأَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ يَأْكُلُونَ
উচ্চারণঃ ওয়া আ-য়াতুল লাহুমুল আরদুল মাইতাতু আহইয়াইনা-হা-ওয়াআখরাজনা-মিনহাহাব্বান ফামিনহু ইয়া’কুলূন।
অর্থঃ তাদের জন্য একটি নিদর্শন মৃত ধরিত্রী, যাকে আমি সঞ্জীবিত করি এবং যা হতে উৎপন্ন করি শস্য, যা তারা আহার করে।
(34)
আরবীঃ وَجَعَلْنَا فِيهَا جَنَّاتٍ مِنْ نَخِيلٍ وَأَعْنَابٍ وَفَجَّرْنَا فِيهَا مِنَ الْعُيُونِ
উচ্চারণঃ ওয়া জা‘আল না-ফীহা-জান্না-তিম মিন নাখীলিওঁ ওয়া আ‘না-বিও ওয়া ফাজ্জারনা-ফীহামিনাল ‘উইঊন।
অর্থঃ তাতে আমি সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের উদ্যান এবং উৎসারিত করি প্রস্রবণ –
(35)
আরবীঃ لِيَأْكُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ وَمَا عَمِلَتْهُ أَيْدِيهِمْ ۖ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
উচ্চারণঃ লিইয়া’কুলূমিন ছামারিহী ওয়ামা-‘আমিলাতহু আইদীহিম আফালা-ইয়াশকুরূন।
অর্থঃ যাতে তারা আহার করতে পারে এর ফলমূল হতে, অথচ তাদের হাত ওটা সৃষ্টি করেনি। তবুও কি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেনা?
(36)
আরবীঃ سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنْفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ
উচ্চারণঃ ছুবহা-নাল্লাযী খালাকাল আঝাওয়া-জা কুল্লাহা- মিম্মা-তুমবিতুলআরদুওয়া মিন আনফুছিহিম ওয়া মিম্মা-লা-ইয়া‘লামূন।
অর্থঃ পবিত্র মহান তিনি, যিনি উদ্ভিদ, মানুষ এবং তারা যাদেরকে জানেনা তাদের প্রত্যেককে সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়।
(37)
আরবীঃ وَآيَةٌ لَهُمُ اللَّيْلُ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَإِذَا هُمْ مُظْلِمُونَ
উচ্চারণঃ ওয়া আ-য়াতুল্লাহুমুল্লাইলু নাছলাখুমিনহুন্নাহা-রা ফাইযা-হুম মুজলিমূন।
অর্থঃ তাদের এক নিদর্শন রাত, ওটা হতে আমি দিবালোক অপসারিত করি, তখন সকলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
(38)
আরবীঃ وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ۚ ذَٰلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
উচ্চারণঃ ওয়াশশামছুতাজরী লিমুছতাকাররিল লাহা- যা-লিকা তাকদীরুল ‘আঝীঝিল ‘আলীম।
অর্থঃ এবং সূর্য ভ্রমণ করে ওর নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ।
(39)
আরবীঃ وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّىٰ عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ
উচ্চারণঃ ওয়াল কামারা কাদ্দারনা-হু মানা-ঝিলা হাত্তা-‘আ-দাকাল ‘উরজুনিল কাদীম।
অর্থঃ এবং চন্দ্রের জন্য আমি নির্দিষ্ট করেছি বিভিন্ন মানযিল, অবশেষে ওটা শুস্ক বক্র পুরাতন খেজুর শাখার আকার ধারণ করে।
(40)
আরবীঃ لَا الشَّمْسُ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ ۚ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
উচ্চারণঃ লাশশামছুইয়ামবাগী লাহাআন তুদরিকাল কামারা ওয়ালাল্লাইলুছা-বিকুন্নাহা-রি ওয়া কুল্লুন ফী ফালাকিইঁ ইয়াছবাহূন।
অর্থঃ সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চাঁদের নাগাল পাওয়া এরং রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা; এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সাতার কাটে।
(41)
আরবীঃ وَآيَةٌ لَهُمْ أَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّيَّتَهُمْ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
উচ্চারণঃ ওয়া আ-য়াতুল লাহুম আন্না-হামালনা-যুররিইয়াতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহূন।
অর্থঃ তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি।
(42)
আরবীঃ وَخَلَقْنَا لَهُمْ مِنْ مِثْلِهِ مَا يَرْكَبُونَ
উচ্চারণঃ ওয়া খালাকনা-লাহুম মিম মিছলিহী মা ইয়ারকাবূন।
অর্থঃ এবং তাদের জন্যে নৌকার অনুরূপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে।
(43)
আরবীঃ وَإِنْ نَشَأْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِيخَ لَهُمْ وَلَا هُمْ يُنْقَذُونَ
উচ্চারণঃ ওয়া ইন নাশা’ নুগরিকহুম ফালা-ছারীখা লাহুম ওয়ালা-হুম ইউনকাযূন।
অর্থঃ আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জত করতে পারি, তখন তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না।
(44)
আরবীঃ إِلَّا رَحْمَةً مِنَّا وَمَتَاعًا إِلَىٰ حِينٍ
উচ্চারণঃ ইল্লা-রাহমাতাম মিন্না -ওয়া মাতা-‘আন ইলা-হীন।
অর্থঃ কিন্তু আমারই পক্ষ থেকে কৃপা এবং তাদেরকে কিছু কাল জীবনোপভোগ করার সুযোগ দেয়ার কারণে তা করি না।
(45)
আরবীঃ وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّقُوا مَا بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَمَا خَلْفَكُمْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
উচ্চারণঃ ওয়া ইযা-কীলা লাহুমুত্তাকূ মা- বাইনা আইদীকুম ওয়ামা- খালফাকুম লা‘আল্লাকুম তুরহামূন।
অর্থঃ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা সামনের আযাব ও পেছনের আযাবকে ভয় কর, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়, তখন তারা তা অগ্রাহ্য করে।
(46)
আরবীঃ وَمَا تَأْتِيهِمْ مِنْ آيَةٍ مِنْ آيَاتِ رَبِّهِمْ إِلَّا كَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَ
উচ্চারণঃ ওয়ামা-তা’তীহিম মিন আ-য়াতিম মিন আ-য়া-তি রাব্বিহিম ইল্লা-কা-নূ‘আনহা-মু‘রিদীন।
অর্থঃ যখনই তাদের পালনকর্তার নির্দেশাবলীর মধ্যে থেকে কোন নির্দেশ তাদের কাছে আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখে ফিরিয়ে নেয়।
(47)
আরবীঃ وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ أَنْفِقُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ قَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنُطْعِمُ مَنْ لَوْ يَشَاءُ اللَّهُ أَطْعَمَهُ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ
উচ্চারণঃ ওয়া ইযা-কীলা লাহুম আনফিকূমিম্মা-রাঝাকাকুমুল্লা-হু কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আমানূ আনুত‘ইমুমাল্লাও ইয়াশাউল্লা-হু আত‘আমাহূ ইন আনতুম ইল্লা-ফী দালা-লিম মুবীন।
অর্থঃ যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় কর। তখন কাফেররা মুমিনগণকে বলে, ইচ্ছা করলেই আল্লাহ যাকে খাওয়াতে পারতেন, আমরা তাকে কেন খাওয়াব? তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত রয়েছ।
(48)
আরবীঃ وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَٰذَا الْوَعْدُ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
উচ্চারণঃ ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কনতুম সা-দিকীন।
অর্থঃ তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বল এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে?
(49)
আরবীঃ مَا يَنْظُرُونَ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً تَأْخُذُهُمْ وَهُمْ يَخِصِّمُونَ
উচ্চারণঃ মা-ইয়ানজু রূনা ইল্লা সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান তা’খুযুহুম ইয়াখিসসিমূন।
অর্থঃ তারা কেবল একটা ভয়াবহ শব্দের অপেক্ষা করছে, যা তাদেরকে আঘাত করবে তাদের পারস্পরিক বাকবিতন্ডাকালে।
(50)
আরবীঃ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ تَوْصِيَةً وَلَا إِلَىٰ أَهْلِهِمْ يَرْجِعُونَ
উচ্চারণঃ ফালা-ইয়াছতাতী‘ঊনা তাওছিয়াতাওঁ ওয়ালাইলাআহলিহিম ইয়ারজি‘ঊন।
অর্থঃ তখন তারা ওছিয়ত করতেও সক্ষম হবে না। এবং তাদের পরিবার-পরিজনের কাছেও ফিরে যেতে পারবে না।
(51)
আরবীঃ وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَإِذَا هُمْ مِنَ الْأَجْدَاثِ إِلَىٰ رَبِّهِمْ يَنْسِلُونَ
উচ্চারণঃ ওয়ানুফিখা ফিসসূরি ফাইযা-হুম মিনাল আজদা-ছিইলা-রাব্বিহিম ইয়ানছিলূন।
অর্থঃ শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে।
(52)
আরবীঃ قَالُوا يَا وَيْلَنَا مَنْ بَعَثَنَا مِنْ مَرْقَدِنَا ۜ ۗ هَٰذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمَٰنُ وَصَدَقَ الْمُرْسَلُونَ
উচ্চারণঃ কা-লূইয়া-ওয়াইলানা-মাম বা‘আছানা-মিম মারকাদিনা-হা-যা-মাওয়া‘আদার রাহমা-নুওয়া সাদাকাল মুরছালূন।
অর্থঃ তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে উখিত করল? রহমান আল্লাহ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রসূলগণ সত্য বলেছিলেন।
(53)
আরবীঃ إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَ
উচ্চারণঃ ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম জামী‘উল লাদাইনা-মুহদারূন।
অর্থঃ এটা তো হবে কেবল এক মহানাদ। সে মুহুর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে।
(54)
আরবীঃ فَالْيَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَلَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
উচ্চারণঃ ফালইয়াওমা লা-তুজলামুনাফছুন শাইয়াওঁ ওয়ালা-তুজঝাওনা ইল্লা-মা-কুনতুম তা‘মালূন।
অর্থঃ আজকের দিনে কারও প্রতি জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করবে কেবল তারই প্রতিদান পাবে।
(55)
আরবীঃ إِنَّ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ الْيَوْمَ فِي شُغُلٍ فَاكِهُونَ
উচ্চারণঃ ইন্না আসহা-বাল জান্নাতিল ইয়াওমা ফী শুগুলিন ফা-কিহূন।
অর্থঃ এদিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল থাকবে।
(56)
আরবীঃ هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِئُونَ
উচ্চারণঃ হুম ওয়া আঝওয়া-জুহুম ফী জিলা-লিন ‘আলাল আরাইকি মুত্তাকিঊন।
অর্থঃ তারা এবং তাদের স্ত্রীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসনে হেলান দিয়ে।
(57)
আরবীঃ لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُمْ مَا يَدَّعُونَ
উচ্চারণঃ লাহুম ফীহা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়া লাহুম মা-ইয়াদ্দা‘ঊন।
অর্থঃ সেখানে তাদের জন্যে থাকবে ফল-মূল এবং যা চাইবে।
(58)
আরবীঃ سَلَامٌ قَوْلًا مِنْ رَبٍّ رَحِيمٍ
উচ্চারণঃ ছালা-মুন কাওলাম মিররাব্বির রাহীম।
অর্থঃ করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম।
(59)
আরবীঃ وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ
উচ্চারণঃ ওয়াম তা-ঝুল ইয়াওমা আইয়ুহাল মুজরিমূন।
অর্থঃ হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও।
(60)
আরবীঃ أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَنْ لَا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ ۖ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
উচ্চারণঃ আলাম আ‘হাদ ইলাইকুম ইয়া-বানীআ-দামা আল্লা-তা‘বুদুশশাইতা-না ইন্নাহূলাকুম ‘আদুওউম মুবীন।
অর্থঃ হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?
(61)
আরবীঃ وَأَنِ اعْبُدُونِي ۚ هَٰذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌ
উচ্চারণঃ ওয়া আনি‘বুদূ নী হা-যা-সিরা-তুম মুছতাকীম।
অর্থঃ এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ।
(62)
আরবীঃ وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنْكُمْ جِبِلًّا كَثِيرًا ۖ أَفَلَمْ تَكُونُوا تَعْقِلُونَ
উচ্চারণঃ ওয়ালাকাদ আদাল্লা মিনকুম জিবিল্লান কাছীরা- আফালাম তাকূনূতা‘কিলূন।
অর্থঃ শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা বুঝনি?
(63)
আরবীঃ هَٰذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي كُنْتُمْ تُوعَدُونَ
উচ্চারণঃ হা-যিহী জাহান্নামুল্লাতী কুনতুম তূ‘আদূন।
অর্থঃ এই সে জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হতো।
(64)
আরবীঃ اصْلَوْهَا الْيَوْمَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُونَ
উচ্চারণঃ ইসলাওহাল ইয়াওমা বিমা-কুনতুম তাকফুরূন।
অর্থঃ তোমাদের কুফরের কারণে আজ এতে প্রবেশ কর।
(65)
আরবীঃ الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَىٰ أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
উচ্চারণঃ আলইয়াওমা নাখতিমু‘আলাআফওয়া-হিহিম ওয়াতুকালিলমুনা আইদীহিম ওয়া তাশহাদু আরজুলুহুম বিমা-কা-নূইয়াকছিবূন।
অর্থঃ আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।
(66)
আরবীঃ وَلَوْ نَشَاءُ لَطَمَسْنَا عَلَىٰ أَعْيُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَأَنَّىٰ يُبْصِرُونَ
উচ্চারণঃ ওয়ালাও নাশাউলাতামাছনা- আলা আ‘ইউনিহিম ফাছতাবাকুসসিরা-তা ফাআন্নাইউবসিরূন।
অর্থঃ আমি ইচ্ছা করলে তাদের দৃষ্টি শক্তি বিলুপ্ত করে দিতে পারতাম, তখন তারা পথের দিকে দৌড়াতে চাইলে কেমন করে দেখতে পেত!
(67)
আরবীঃ وَلَوْ نَشَاءُ لَمَسَخْنَاهُمْ عَلَىٰ مَكَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوا مُضِيًّا وَلَا يَرْجِعُونَ
উচ্চারণঃ ওয়ালাও নাশাউ লামাছাখনা-হুম ‘আলা মাকা-নাতিহিম ফামাছতাতা-‘ঊ মুদিইয়াওঁ ওয়ালাইয়ারজি‘ঊন।
অর্থঃ আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব স্ব স্থানে আকার বিকৃত করতে পারতাম, ফলে তারা আগেও চলতে পারত না এবং পেছনেও ফিরে যেতে পারত না।
(68)
আরবীঃ وَمَنْ نُعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِي الْخَلْقِ ۖ أَفَلَا يَعْقِلُونَ
উচ্চারণঃ ওয়ামান নু‘আম্মির হু নুনাক্কিছহু ফিল খালকি আফালা-ইয়া‘কিলূন।
অর্থঃ আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, তাকে সৃষ্টিগত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেই। তবুও কি তারা বুঝে না?
(69)
আরবীঃ وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنْبَغِي لَهُ ۚ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُبِينٌ
উচ্চারণঃ ওয়ামা-‘আল্লামনা-হুশশি‘রা ওয়ামা-ইয়ামবাগী লাহূ ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরুওঁ ওয়া কুরআ-নুম মুবীন।
অর্থঃ আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।
(70)
আরবীঃ لِيُنْذِرَ مَنْ كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ
উচ্চারণঃ লিইউনযিরা মান কা-না হাইয়াওঁ ওয়া ইয়াহিক্কাল কাওলু‘আলাল কা-ফিরীন।
অর্থঃ যাতে তিনি সতর্ক করেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
(71)
আরবীঃ أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَ
উচ্চারণঃ আওয়ালাম ইয়ারাও আন্না-খালাকনা- লাহুম মিম্মা- ‘আমিলাত আইদীনাআন‘আ-মান ফাহুম লাহা-মা-লিকূন।
অর্থঃ তারা কি দেখে না, তাদের জন্যে আমি আমার নিজ হাতের তৈরী বস্তুর দ্বারা চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই এগুলোর মালিক।
(72)
আরবীঃ وَذَلَّلْنَاهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوبُهُمْ وَمِنْهَا يَأْكُلُونَ
উচ্চারণঃ ওয়া যাল্লালনা-হা-লাহুম ফামিনহা-রাকূবুহুম ওয়া মিনহা-ইয়া’কুলূন।
অর্থঃ আমি এগুলোকে তাদের হাতে অসহায় করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে।
(73)
আরবীঃ وَلَهُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ ۖ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
উচ্চারণঃ ওয়া লাহুম ফীহা-মানা-ফি‘উ ওয়া মাশা-রিবু আফালা-ইয়াশকুরূন।
অর্থঃ তাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পানীয় রয়েছে। তবুও কেন তারা শুকরিয়া আদায় করে না?
(74)
আরবীঃ وَاتَّخَذُوا مِنْ دُونِ اللَّهِ آلِهَةً لَعَلَّهُمْ يُنْصَرُونَ
উচ্চারণঃ ওয়াত্তাখাযূমিন দূনিল্লা-হি আ-লিহাতাল লা‘আল্লাহুম ইউনসারূন।
অর্থঃ তারা আল্লাহর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে যাতে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হতে পারে।
(75)
আরবীঃ لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَهُمْ وَهُمْ لَهُمْ جُنْدٌ مُحْضَرُونَ
উচ্চারণঃ লা-ইয়াছতাতী‘ঊনা নাসরাহুম ওয়াহুম লাহুম জুনদুম মুহদারূন।
অর্থঃ অথচ এসব উপাস্য তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম হবে না এবং এগুলো তাদের বাহিনী রূপে ধৃত হয়ে আসবে।
(76)
আরবীঃ فَلَا يَحْزُنْكَ قَوْلُهُمْ ۘ إِنَّا نَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ
উচ্চারণঃ ফালা-ইয়াহঝুনকা কাওলুহুম। ইন্না-না‘লামুমা-ইউছিররূনা ওয়ামা-ইউ‘লিনূন।
অর্থঃ অতএব তাদের কথা যেন আপনাকে দুঃখিত না করে। আমি জানি যা তারা গোপনে করে এবং যা তারা প্রকাশ্যে করে।
(77)
আরবীঃ أَوَلَمْ يَرَ الْإِنْسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِنْ نُطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُبِينٌ
উচ্চারণঃ আওয়ালাম ইয়ারাল ইনছা-নুআন্না-খালাকনা-হুমিননুতফাতিন ফাইযা-হুওয়া খাসীমুম মুবীন।
অর্থঃ মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি বীর্য থেকে? অতঃপর তখনই সে হয়ে গেল প্রকাশ্য বাকবিতন্ডাকারী।
(78)
আরবীঃ وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ ۖ قَالَ مَنْ يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ
উচ্চারণঃ ওয়া দারাবা লানা-মাছালাওঁ ওয়া নাছিয়া খালকাহূ কা-লা মাইঁ ইউহয়িল ‘ইজা-মা ওয়া হিয়া রামীম।
অর্থঃ সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে?
(79)
আরবীঃ قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنْشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ ۖ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ
উচ্চারণঃ কুল ইউহয়ী হাল্লাযী আনশাআহা আওওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া হুয়া বিকুল্লি খালকিন ‘আলীমু।
অর্থঃ বলুন, যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন। তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত।
(80)
আরবীঃ الَّذِي جَعَلَ لَكُمْ مِنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنْتُمْ مِنْهُ تُوقِدُونَ
উচ্চারণঃ আল্লাযী জা‘আলা লাকুম মিনাশশাজারিল আখদারি না-রান ফাইযা-আনতুম মিনহু তূকিদূন।
অর্থঃ যিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন। তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও।
(81)
আরবীঃ أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَىٰ أَنْ يَخْلُقَ مِثْلَهُمْ ۚ بَلَىٰ وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণঃ আওয়া লাইছাল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়াতি ওয়াল আরদা বিকা-দিরিন ‘আলা আইঁ ইয়াখলুকা মিছলাহুম বালা- ওয়া হুওয়াল খাল্লা-কুল ‘আলীম।
অর্থঃ যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনিই কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।
(82)
আরবীঃ إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ
উচ্চারণঃ ইন্নামাআমরুহূ ইযাআরা-দা শাইআন আইঁ ইয়াকূলা লাহূকুন ফাইয়াকূন।
অর্থঃ তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়।
(83)
আরবীঃ فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
উচ্চারণঃ ফাছুবহা-নাল্লাযী বিয়াদিহী মালাকূতুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া ইলাইহি তুর জা‘ঊন।
অর্থঃ অতএব পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
(৩) সূরা ইয়াসিনের গুরুত্ব ও ফজিলত
আমাদের জন্য আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত হলো পবিত্র আল কোরআন। এখানে অনেক সূরা রয়েছে। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরার (সুরা ইয়াসিন) গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে আলোচনা করব।
নিম্নে সূরা ইয়াসিনের গুরুত্ব ও ফজিলত দেওয়া হলো-
- যদি কোন ব্যক্তি একবার সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তাহলে তাকে দশবার কুরআন খতম করার পুরস্কার দেওয়া হবে।
- যে ব্যক্তি রাতে ঘুমানোর সময় সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে এবং জেগে উঠবে সে নির্দোষভাবে জেগে উঠবে। আল্লাহ তার পাপ ক্ষমা করবেন।
- যে ব্যক্তি নিয়মিত করে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন এ সূরাটি আল্লাহর কাছে সুপারিশ করা হবে।
- যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ইয়াসীন পাঠ করে তবে তার জন্য বেহেশতের ৮টি দরজাই খোলা থাকবে।
- যদি একজন মৃত ব্যক্তিকে সূরা ইয়াসিন পাঠ করা হয়, তাহলে তার মৃত্যুর যন্ত্রণা দূর হবে। কবরে প্রশ্নের উত্তর সহজ হবে।
- কেউ যদি বিপদের সময় সূরা ইয়াছিন পাঠ করে, তাহলে সে বিপদ থেকে রক্ষা পাবে।
- নিয়মিত সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে, মহান আল্লাহ তার মনের বৈধ আশা পূরণ করবেন।
- এই সূরাটি কেউ লিখে রাখলে সাথে রাখে, আল্লাহ তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করবেন।
- যদি কেউ প্রতিদিন সকালে এই সূরাটি পাঠ করে, তাহলে সেই ব্যক্তির সমস্ত কাজ সহজ হবে, আর্থিক সচ্ছলতা আসবে, সে সারাদিন আল্লাহর রহমতে থাকবে। যেকোনো মহামারী থেকে নিরাপদ থাকবে। আল্লাহ তাকে শত্রুর ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করবেন।
- যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন পাঠ করে তাকে আল্লাহ জালিমের অত্যাচার থেকে রক্ষা করবেন।
এগুলো ছাড়াও এ সুরার আরও অনেক অনেক ফজিলত রয়েছে।
তো আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আমার এ পোস্টটি পড়ে ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
[By Israt Jahan]