Skip to content

 

রোজা সম্পর্কে আলোচনা (a to z)

রোজা সম্পর্কে আলোচনা (a to z)

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের প্রতিটিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবার এগুলোর প্রত্যেকটির কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সাওম/রোজা ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। রোজাও রয়েছে কিছু স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য।

তাই রোজা কি, কাকে বলে, কখন, কেন, কত প্রকার, কারণ, কয়টি ও কি কি, করণীয়, সেহরি, ইফতার, কাযা, কাফফারা, ফজিলত, গুরুত্ব ও ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে রোজা সম্পর্কে আলোচনা করা ও জানা থাকা আবশ্যিক।

প্রিয় পাঠক, আজকের এই রোজা সম্পর্কে আলোচনাটি থেকে আমরা রোজা মানে কি, রোজা কখন ফরজ হয়, কাদের জন্য রোযা রাখা ফরজ বা বাধ্যতামূলক নয়, রোজা কেন ফরজ করা হয়েছে, রোজা বা সাওম কত প্রকার, রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি, রোজা পালনে সাহরি গ্রহণ, রোজা পালনে ইফতার গ্রহণ, রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণ, রোজা হালকা হওয়ার কারণ, রোজা ভাঙার কারণ, রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ, রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি, রোজা ভঙ্গ হলে করনীয়, রোজার কাযা ও কাফফারা, রোজার ফযিলত, মানবতার গুণাবলি বিকাশে রোজার গুরুত্ব ও ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পারব। অধিকন্তু আমরা রোজা সম্পর্কে আলোচনা থেকে মানবতার গুণাবলি বিকাশে সাওমের ভূমিকা জেনে সে অনুসারে জীবন গঠন করতে পারব।

তাহলে শুরু করা যাক আমাদের রোজা সম্পর্কে আলোচনা-

(১) রোজা কাকে বলে? রোজা মানে কি?

‘সাওম’ আরবি শব্দ। এর ফার্সি প্রতিশব্দ হলো রোযা। এর আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা।

ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিয়তের সাথে পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকাকে সাওম বা রোযা বলে।

রমযান মাসের রোযা পালন করা প্রত্যেক প্ৰাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের উপর ফরয। এটি ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি। যে তা অস্বীকার করবে সে কাফির হবে। বস্তুত রোযা পালনের বিধান পূর্ববর্তী সকল উম্মতের জন্য অপরিহার্য ইবাদাত ছিল।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেছেন,

“হে ইমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হলো, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।”

(সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৩)

সিয়াম সাধনার ফলে সমাজের লোকদের মাঝে পারস্পরিক সহানুভূতি ও সহমর্মিতা সৃষ্টি হয়। ধনীরা গরিবদের অনাহারে, অর্ধাহারে জীবনযাপনের কষ্ট অনুধাবন করতে পারে। ক্ষুধা ও পিপাসার যন্ত্রণা যে কীরূপ পীড়াদায়ক হতে পারে তা তারা উপলব্ধি করতে পারে। ফলে তাদের মাঝে অসহায় নিরন্ন মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতার ভাব জাগ্রত হয়। এ কারণে তারা দান-খয়রাতে উৎসাহিত হয়।

রমযান মাসে রাসুলুল্লাহ (সা.) অন্যদের দান-সাদকা করতে যেমন উদ্বুদ্ধ করেছেন, তিনি নিজেও তেমনিভাবে খুব দান-সাদকা করতেন।

হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,

“রাসুলুল্লাহ (সা.) লোকদের মধ্যে অধিক দানশীল ছিলেন। বিশেষ করে রমযান এলে তাঁর দানশীলতা আরও বেড়ে যেত।”

(বুখারি ও মুসলিম)

রোযার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেন,

“রমযান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে, তারা যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে।”

(সূরা আল বাকারা, আয়াত ১৮৫)

এতে এ কথা প্রতীয়মান হয় যে, রমযান মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে বলে এটি একটি অতি পবিত্র মাস।

হাদিসে কুদসিতে আছে,

“রোযা কেবল আমারই জন্য। আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো।”

(বুখারি)

অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

“জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। কিয়ামতের দিন সিয়াম পালনকারী ব্যতীত অন্য কেউ এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না।”

(বুখারি)

রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন,

“যে ব্যক্তি ইমানের সাথে এবং আখিরাতে সাওয়াবের আশায় সাওম পালন করে, তার অতীত জীবনের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।”

(বুখারি ও মুসলিম)

রমাযান মাস ধৈর্যের মাস। আর ধৈর্যের বিনিময় হচ্ছে জান্নাত। এ মাসে মুমিনের রিযিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি কোনো রোযা পালনকারীকে ইফতার করাবে, সে তার রোযার সমান সাওয়াব পাবে। অথচ রোযা পালনকারী ব্যক্তির সাওয়াবের বিন্দুমাত্র ঘাটতি হবে না। ফযিলতের দিক দিয়ে রমযান মাসকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশ রহমতের, দ্বিতীয় অংশ মাগফিরাতের এবং শেষ অংশ জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার।

রোযা পালনের মাধ্যমে মানুষ হিংসা, বিদ্বেষ, পরনিন্দা, ধূমপানে আসক্তি ইত্যাদি বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে পারে। কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে আত্মরক্ষার হাতিয়ার হলো রোযা। রোযা পালনের মাধ্যমে পানাহারে নিয়মানুবর্তিতার অভ্যাস গড়ে ওঠে। এতে অনেক রোগ দূর হয়। স্বাস্থ্য ভালো থাকে, ফলে মনও ভালো থাকে।

সুতরাং আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবং এর নানাবিধ গুরুত্ব বিবেচনা করে আমাদের সাওম পালন করা উচিত। আমরা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সাওম পালন করব।

(২) রোজা কখন ফরজ হয়?

মদিনায় দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসের ১০ তারিখে (ইংরেজি ৬২৩ সাল) মুমিন মুসলমানের ওপর রমজানের রোজা ফরজ হয়।

See also  সাওম শব্দের অর্থ কী, কাকে বলে? সাওমের শিক্ষা ও গুরুত্ব

আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন,

“রমজান মাস, এ মাসেই নাজিল করা হয়েছে কুরআন। মানুষের জন্য হেদায়েত, সৎপথের সুস্পষ্ট নিদর্শন এবং হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোজা পালন করে। তবে কেউ রোগাক্রান্ত হলে অথবা সফরে থাকলে এ সংখ্যা অন্য সময় পূরণ করবে। আল্লাহ চান তোমাদের জন্য যা সহজ তা, আর তিনি চান না তোমাদের জন্য যা কষ্টকর তা, যেন তোমরা সংখ্যা পূর্ণ করো এবং আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করো, তোমাদের সৎপথে পরিচালিত করার জন্য এবং যেন তোমরা শুকরিয়া আদায় করতে পার।”

(সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৫)

এরপর থেকেই মুসলিম উম্মাহর ওপর পুরো রমজান মাস রোজ রাখা ফরজ হয়ে যায়। সে থেকে মুমিন মুসলমানগণ মাসব্যাপী রোজা পালন করে আসছেন।

  • প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য রমযান মাসের প্রতি দিন রোজা রাখা ফরজ বা অবশ্য পালনীয়।
  • ছোট ছেলে মেয়ে বালেগ হলে (বয়ঃসন্ধিতে প্রবেশ করলে) তখন থেকে তাদের জন্যও রোজা রাখা ফরজ হয়ে যায়। দেখা যায়, ছেলেদের ক্ষেত্রে ১০-১৩ বছর আর মেয়েদের ক্ষেত্রে ৮-১২ বছর বয়সের মধ্যে তারা বয়ঃসন্ধিতে প্রবেশ করে।

(৩) কাদের জন্য রোযা রাখা ফরজ বা বাধ্যতামূলক নয়?

  1. অপ্রাপ্তবয়স্ক: নাবালগের ওপর রোজা ফরজ নয়। (দেখা যায়, বালেগ হতে ছেলেদের ক্ষেত্রে ১০-১৩ বছর আর মেয়েদের ক্ষেত্রে ৮-১২ বছর সময় লাগে।)
  2. সুস্থ মস্তিস্কসম্পন্ন নয়: মানসিক ভারসাম্যহীন/পাগল এমন কারও জন্যই রোযা ফরয বা বাধ্যতামূলক নয়।

(৪) রোজা কেন ফরজ করা হয়েছে?

রোজা ফরজ করা হয়েছে যাতে মানুষ তাকওয়া অর্জন করতে পারে।

‘তাকওয়া’ শব্দটির মূল অর্থ ‘রক্ষা করা’। এর ব্যবহারিক অর্থ হলো- পরহেজগারি, আল্লাহর ভয়/আল্লাহভীতি, দ্বীনদারি, সৎ কর্মশীলতা, সতর্কতা প্রভৃতি।

রোজা রাখার উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নিজেদের কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরহেজগারি বা তাকওয়া বৃদ্ধি করা।

কুরআনে বলা হয়েছে,

“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।”

(সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)

ইসলামি পরিভাষায়, সর্বাবস্থায় আল্লাহ তাআলাকে ভয় করে হারাম থেকে বেঁচে থাকা এবং তাঁর হুকুম-আহকাম মেনে চলাই হল তাকওয়া। অন্যকথায় সকল প্রকার হারাম থেকে নিজেকে রক্ষা করে কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করাকে তাকওয়া বলা হয়।

তাকওয়া শব্দাটি প্রায়শই কুরআনে পাওয়া যায়। যারা তাকওয়া অনুশীলন করে (ইবনে আব্বাসের ভাষায়, আল্লাহর সাথে কোন শিরক বা অংশীদারস্থাপন করা পরিহার করে এবং তাঁর আনুগত্যে কাজ করে এমন বিশ্বাসী) তাদের বলা হয় মুত্তাকি।

(৫) রোজা/সাওম কত প্রকার?

রোজা ৬ (ছয়) প্রকার।

  1. ফরয,
  2. ওয়াজিব,
  3. সুন্নত,
  4. মুস্তাহাব,
  5. নফল ও
  6. মাকরুহ।

ক) ফরয রোযা

রমযান মাসের রোযা রাখা ফরয। এর অস্বীকারকারী কাফির। রমযানের কাযা রোযা এবং সকল প্রকার কাফফারার রোযাও ফরয।

খ) ওয়াজিব রোজা

কোনো নির্দিষ্ট দিনে রোযা রাখার মানত করলে সেই দিনের রোযা রাখা ওয়াজিব। যেমন- কেউ মানত করল যে, বৃহস্পতিবার রোযা রাখবে। অনুরুপভাবে নির্দিষ্ট দিনের উল্লেখ না করে রোযা রাখার মানত করলে সেই রোযা রাখাও ওয়াজিব। এমনকি নফল রোযা রেখে ভেঙ্গে ফেললে তা কাযা করা ওয়াজিব।

গ) সুন্নত রোজা

মহানবি (সা.) যে সকল রোযা পালন করেছেন এবং অন্যদের পালন করতে উৎসাহিত করেছেন, সেগুলো সুন্নত রোযা। যেমন— আশুরার দিন ও আরাফার দিনে রোযা পালন করা সুন্নত।

ঘ) মুস্তাহাব রোজা

প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোযা পালন করা মুস্তাহাব। এগুলোকে আইয়ামে বীযের রোযা বলা হয়। এ ছাড়া সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার এবং শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা পালন করাও মুস্তাহাব।

ঙ) নফল রোজা

ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত ও মুস্তাহাব ছাড়া সকল প্রকার রোযা নফল। নফল অর্থ অতিরিক্ত। যে সকল দিনে রোযা পালন করা শরীয়তে হারাম ও মাকরুহ ঐ সকল দিন ব্যতীত বছরের অন্য যেকোনো দিন রোযা পালন করা নফল।

চ) মাকরুহ রোজা

মাকরুহ দুই প্রকার।

  • মাকরুহ তাহরিমি: যা মূলত হারাম রোযা। যেমন- দুই ঈদের দিনে ও আইয়ামে তাশরিকের অর্থাৎ জিলহজ্জ মাসের ১১,   ১২ ও ১৩ তারিখে রোযা পালন করা হারাম।
  • মাকরুহ তানযিহি: মুহাররম মাসের ৯ বা ১১ তারিখে রোযা না রেখে শুধু আশুরার দিন আর্থাৎ ১০ তারিখে রোযা পালন করা মাকরুহ তানযিহি। কারণ, এতে ইয়াহুদিদের সাথে সামঞ্জস্য হয়। অনুরূপভাবে শুধু শনিবার রোযা রাখা। কারণ, এতেও ইয়াহুদিদের সাথে মিল হয়ে যায়। মাকরুহ তানযিহি অর্থ চলনসই অপছন্দনীয় কাজ, যা করলে গুণাহ নেই।

(৬) রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি?

রোজার ফরজ ৩টি-

  • নিয়ত করা;
  • সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকা;
  • যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকা।

রোজা রাখার শর্ত ৪টি-

  • মুসলিম হওয়া;
  • বালেগ হওয়া;
  • অক্ষম না হওয়া;
  • ঋতুস্রাব থেকে বিরত থাকা নারী।

(৭) রোজা পালনে সাহরি গ্রহণ

‘সাহরি’ আরবি শব্দ। এর অর্থ ভোর রাতের খাবার।

ইসলামের পরিভাষায়, রোজা পালন করার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিকের পূর্বে যে খাবার ও পানীয় গ্রহণ করা হয়, তাকে সাহরি বলে।

সাহরি খাওয়া সুন্নাত। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে সাহরি খেতেন এবং অন্যদেরকেও সাহরি খাওয়ার জন্য তাগিদ করতেন।

মহানবি (সা.) বলেছেন,

“তোমরা সাহরি খাও। কেননা এতে তোমাদের জন্য বরকত রয়েছে।”

(বুখারি)

সুবহে সাদিকের আগেই সাহরি খাওয়া শেষ করতে হবে। কোনো কোনো মানুষ মনে করে— আযান না হওয়া পর্যন্ত খাওয়া জায়েয, এটি একটি মারাত্মক ভুল ধারণা। তবে এত আগেও সাহরি খাওয়া উচিত নয় যে, সাহরি খাওয়ার পর সুবহে সাদিকের অনেক সময় বাকি থাকে। ফলে অনেকে বিশ্রামের জন্য বিছানায় যায় এবং ঘুমিয়ে পড়ে। এতে ফজরের সালাত কাযা হয়ে যায়।

See also  সাওম শব্দের অর্থ কী, কাকে বলে? সাওমের শিক্ষা ও গুরুত্ব

(৮) রোজা পালনে ইফতার গ্রহণ

ইফতার আরবি শব্দ। এর অর্থ ভঙ্গ করা, ছিঁড়ে ফেলা, রোযা ভঙ্গকরণ। ইসলামি পরিভাষায় নিয়ত সহকারে সূর্যাস্তের পর হালাল বস্তু পানাহারের মাধ্যমে রোযা ভঙ্গ করাকে ইফতার বলা হয়।

রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হলো ইফতার। এতে অনেক সাওয়াব পাওয়া যায়।

ইফতারের সময় হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করা উত্তম। হাদিসে কুদসিতে আছে মহান আল্লাহ বলেন– আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় ঐ বান্দাগণ যারা বিলম্ব না করে ইফতার করে।

ইফতারের সময় বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা এবং আলহামদুলিল্লাহ বলে শেষ করা উত্তম।

তবে নিম্নোক্ত দোয়াটিও পড়া যায়,

বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আলা রিযক্বিকা আফত্বারতু।

“হে আল্লাহ ! আপনার জন্য সাওম পালন করেছি এবং আপনার দেওয়া রিযিক দ্বারাই ইফতার করলাম।”

(আবু দাউদ)

অন্যকে ইফতার করানো অনেক সাওয়াবের কাজ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

“যে ব্যক্তি কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে। রোযাদারের সমপরিমাণ সাওয়াব লাভ করবে তবে রোযাদারের সাওয়াবের কোন কম করা হবে না।”

(তিরমিযি)

তিনি আরও বলেছেন,

“সামান্য এক চুমুক দুধ বা একটি শুকনা খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দ্বারাও যে ব্যক্তি কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে আল্লাহ তাকে রোযাদারের সমপরিমাণ সাওয়াব দান করবেন, আর যে ব্যক্তি কোনো রোযাদারকে পরিতৃপ্তভাবে পানি পান করাবে আল্লাহ তাকে আমার হাওযে কাওসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশের পূর্বে তৃষ্ণার্ত হবে না।”

(তিরমিযি)

আমরা অধিক সাওয়াব ও আল্লাহর রহমতের আশায় সময়মতো ইফতার করব এবং অন্যকে ইফতার করাব।

(১০) রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণ/রোজা হালকা হওয়ার কারণ

সাওম মাকরুহ হওয়ার (রোজা হালকা হওয়ার) অনেক কারণ রয়েছে। নিচে কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো- 

  1. গিবত বা পরনিন্দা করলে; 
  2. মিথ্যা কথা বললে, অশ্লীল আচরণ কিংবা গালমন্দ করলে; 
  3. গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে বারবার কুলি করলে; 
  4. কুলি করার সময় গড়গড়া করলে। কারণ, এতে পানি গলার ভিতরে প্রবেশ করে রোযা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা থাকে; 
  5. সন্দেহের সময় পর্যন্ত বিলম্ব করে সাহরি খেলে; 
  6. সময়মত ইফতার না করে বিলম্বে ইফতার করলে।

(৯) রোজা ভাঙার কারণ/রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ/রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি?

যেসব কারণে সাওম বা রোজা ভেঙে যায় সেগুলো হলো-

  1. ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে বা কেউ জোরপূর্বক কোনো কিছু খাওয়ালে 
  2. ধোঁয়া, ধূপ ইত্যাদি নাক বা মুখ দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করালে; 
  3. ধূমপান বা হুক্কা পান করলে; 
  4. ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু দাঁতের ফাঁক থেকে বের করে গিলে ফেললে; 
  5. ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করলে; 
  6. কোনো অখাদ্যবস্তু গিলে ফেললে; 
  7. ইচ্ছাকৃতভাবে ওষুধ সেবন করলে; খেলে বা পান করলে; 
  8. রাত বাকি আছে ভেবে নির্দিষ্ট সময়ের পর সাহরি খেলে; 
  9. ইফতারের সময় হয়ে গেছে মনে করে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে; 
  10. কুলি করার সময় হঠাৎ করে পেটের ভিতর পানি প্রবেশ করলে; 
  11. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর পান করলে; 
  12. ভুলক্রমে পানাহার করে সাওম নষ্ট হয়ে গেছে মনে করে আবার পানাহার করলে।

(১১) রোজা ভঙ্গ হলে করনীয়

বিনা কারণে রোজা ভঙ্গ করলে তাকে অবশ্যই কাজা-কাফফারা উভয়ই আদায় করা ওয়াজিব। যতটি রোজা ভঙ্গ হবে, ততটি রোজা আদায় করতে হবে। কাজা রোজা একটির পরিবর্তে একটি অর্থাৎ রোজার কাজা হিসেবে শুধু একটি রোজাই যথেষ্ট। কাফফারা আদায় করার তিনটি বিধান রয়েছে।

  • একটি রোজা ভঙ্গের জন্য একাধারে ৬০টি রোজা রাখতে হবে। কাফফারা ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজার মাঝে কোনো একটি ভঙ্গ হলে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।
  • যদি কারও জন্য ৬০টি রোজা পালন সম্ভব না হয় তবে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে। কেউ অসুস্থতাজনিত কারণে রোজা রাখার ক্ষমতা না থাকলে ৬০ জন ফকির, মিসকিন, গরিব বা অসহায়কে প্রতিদিন দুই বেলা করে পেটভরে খাওয়াতে হবে।
  • গোলাম বা দাসী আজাদ করে দিতে হবে।

যেসব কারণে রমজান মাসে রোজা ভঙ্গ করা যাবে কিন্তু পরে কাজা করতে হয় তা হচ্ছে-

  1. মুসাফির অবস্থায়
  2. রোগ-ব্যাধি বৃদ্ধির বেশি আশঙ্কা থাকলে
  3. মাতৃগর্ভে সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে
  4. এমন ক্ষুধা বা তৃষ্ণা হয়, যাতে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকতে পারে
  5. শক্তিহীন বৃদ্ধ হলে
  6. কোনো রোজাদারকে সাপে দংশন করলে
  7. মহিলাদের মাসিক হায়েজ-নেফাসকালীন রোজা ভঙ্গ করা যায়।

যেসব কারণে শুধু কাজা আদায় করতে হয়-

  1. স্ত্রীকে চুম্বন বা স্পর্শ করার কারণে যদি বীর্যপাত হয়
  2. ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে
  3. পাথরের কণা, লোহার টুকরা, ফলের বিচি গিলে ফেললে
  4. ডুশ গ্রহণ করলে
  5. বিন্দু পরিমাণ কোন খাবার খেলে তবে অনিচ্ছাকৃত ভাবে বা মনের ভুলে খেলেও রোজা ভাংবে না তবে মনে আসা মাত্রই খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে
  6. নাকে বা কানে ওষুধ দিলে (যদি তা পেটে পৌঁছে)
  7. মাথার ক্ষতস্থানে ওষুধ দেওয়ার পর তা যদি মস্তিষ্কে বা পেটে পৌঁছে
  8. যোনিপথ ব্যতীত অন্য কোনোভাবে সহবাস করার ফলে বীর্য নির্গত হলে
  9. স্ত্রী লোকের ওষুধ দিলে।

(১২) রোজার কাযা ও কাফফারা

ক) কাযা

আরবিতে কাযা অর্থ কোনো কর্তব্য যথাসময়ের পরে পালন করা। কোনো অনিচ্ছাকৃত কারণে যদি সাওম ভেঙে যায় কিংবা অসুস্থতা বা কোনো ওজরের কারণে সাওম পালন করা না হয়, এসব ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে একটি সাওমের পরিবর্তে একটি সাওমই পালন করতে হয়। একে কাযা সাওম বলে।

See also  সাওম শব্দের অর্থ কী, কাকে বলে? সাওমের শিক্ষা ও গুরুত্ব

রোজা কাযা করার কারণসমূহ-

  1. সাওম পালনকারী রমযান মাসে অসুস্থ হলে, সফরে থাকলে, নারীদের ক্ষেত্রে ‘মাসিক চক্র’ শুরু হলে অথবা অন্য কোনো ওজরের কারণে সাওম পালনে অপারগ হলে।
  2. রাত আছে মনে করে সুবহি সাদিকের পরে পানাহার করলে। অনুরূপভাবে সূর্যাস্ত হয়ে গেছে মনে করে সূর্যাস্তের পূর্বে ইফতার করলে।
  3. ইচ্ছাকৃতভাবে মুখভরে বমি করলে।
  4. জোরপূর্বক রোযাদারকে কেউ কিছু খাওয়ালে।
  5. কুলি করার সময় কিংবা গোসলের সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে পানি পেটে চলে গেলে।
  6. ভুলক্রমে কোনো কিছু খেয়ে ফেললে রোযা ভঙ্গ হয়ে গেছে মনে করে পুনরায় খেলে।
  7. দাঁতের ভিতরে আটকে থাকা ছোলা বুট পরিমাণ কোনো বস্তু বের করে খেয়ে ফেললে।

খ) কাফফারা

ইচ্ছাকৃতভাবে সাওম পালন না করলে বা সাওম রেখে বিনা কারণে ভেঙ্গে ফেললে কাযা ও কাফফারা উভয়ই ফরজ হয়।

রোজার জন্য কাফফারা হলো নিম্নরূপ-

  1. একাধারে দুই মাস সাওম পালন করা। একাধারে কাফফারার সাওম আদায়কালে যদি কোনো কারণে দুই-একদিন বাদ পড়ে যায়, তাহলে পূর্বের সাওম বাতিল হয়ে যাবে। পুনরায় প্রথম থেকে শুরু করে দুই মাস বিরতিহীনভাবে সাওম পালন করতে হবে।
  2. একাধারে দুই মাস সাওম পালনে অক্ষম হলে ষাটজন মিসকিনকে পরিতৃপ্তির সাথে দুই বেলা খাওয়ানো। অথবা আহার না করিয়ে ষাটজন মিসকিনকে সদাকায়ে ফিতর সমপরিমাণ খাদ্যদ্রব্য দিয়ে দেওয়া যাবে। এমনিভাবে এর সমপরিমাণ মূল্য দিয়ে দেওয়াও জায়িয। অথবা
  3. একজন দাস/দাসীকে স্বাধীন করে দেওয়া।

(১৩) রোজার ফযিলত

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

“ঈমানের সাথে ছাওয়াবের আশায় যে ব্যক্তি রোযা পালন করে তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়।”

(সহীহ বুখারী, হাদিস নং: ১৯০১)

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

“শাইতান ও দুষ্ট জিনদেরকে রামাযান মাসের প্রথম রাতেই শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করা হয় এবং এর দরজাও তখন আর খোলা হয় না, খুলে দেওয়া হয় জান্নাতের দরজাগুলো এবং এর একটি দরজাও তখন আর বন্ধ করা হয় না। (এ মাসে) একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকেনঃ হে কল্যাণ অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে পাপাসক্ত! বিরত হও। আর বহু লোককে আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ হতে এ মাসে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে।”

(সুনান আত তিরমিজী, হাদিস নং: ৬৮২)

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

“আল্লাহর মর্জি হলে আদম সন্তানের প্রতিটি সৎকাজের প্রতিদান দশ গুণ থেকে সাত শত গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। আল্লাহ্ বলেনঃ তবে রোযা ব্যতীত, তা আমার জন্যই (রাখা হয়) এবং আমিই তার প্রতিদান দিবো। সে তার প্রবৃত্তি ও পানাহার আমার জন্যই ত্যাগ করে। রোযাদারের জন্য দু’টি আনন্দঃ একটি আনন্দ তার ইফতারের সময় এবং আরেকটি আনন্দ রয়েছে তার প্রভু আল্লাহর সাথে তার সাক্ষাতের সময়। রোযাদার ব্যক্তির মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট কস্তুরীর ঘ্রাণের চেয়েও অধিক সুগন্ধময়।”

(সুনান ইবনু মাজাহ, হাদিস নং: ১৬৩৮)

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

“সিয়াম এবং কুরআন বান্দার জন্য শাফা‘আত করবে। সিয়াম বলবে, হে রব! আমি তাকে দিনে খাবার গ্রহণ করতে ও প্রবৃত্তির তাড়না মিটাতে বাধা দিয়েছি। অতএব তার ব্যাপারে এখন আমার শাফা‘আত কবূল করো। কুরআন বলবে, হে রব! আমি তাকে রাতে ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে এখন আমার সুপারিশ গ্রহণ করো। অতঃপর উভয়ের সুপারিশই কবূল করা হবে।”

(মিশকাত শরীফ, হাদিস নং: ১৯৬৩)

রমজানের একটি বিশেষ ফজিলত বা মাহাত্ম্য হচ্ছে, এই পবিত্র রমজান মাসে আল কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। রমজান মাসের রোজা মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি দেয়,মানুষের কুপ্রবৃত্তি ধুয়ে মুছে দেয় এবং আত্মাকে দহন করে ঈমানের শাখা প্রশাখা সঞ্জিবীত করে। সর্বোপরি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভ করা যায়।

এই মর্মে মহানবী ইরশাদ করেছেন,

“রোজাদারের জন্য দুটি খুশি। একটি হলো তার ইফতারের সময়, আর অপরটি হলো আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।”

(বুখারী ও মুসলিম)

(১৪) মানবতার গুণাবলি বিকাশে রোজার গুরুত্ব ও ভূমিকা

  • সিয়াম মানুষের মাঝে মানবতাবোধ বৃদ্ধি করে। রোযার প্রকৃত শিক্ষা গরিব ও দুঃখী মানুষের কষ্ট বুঝতে পারা। গরিব ও অসহায় মানুষ না খেয়ে থাকে ও অনেক কষ্ট করে থাকে। ক্ষুধার্ত অবস্থায় মানুষের কেমন কষ্ট হয় তা অনুধাবন করতে পারে একজন রোযাদার ব্যক্তি। যার ফলে সে দানশীল হবে ও অভাবী মানুষকে সাহায্য- সহযোগিতা করবে।
  • রোযার মাসে ধনী-দরিদ্র একত্র হয়ে তারাবীর নামায আদায় করে। কোনো কোনো সময় একত্রে ইফতার করে যার মধ্য দিয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়। এক মানুষ অপর মানুষের প্রতি দয়া, মায়া, উদারতা, সেবা ও ভালোবাসার শিক্ষা পেয়ে থাকে।
  • মানুষ রোযা রেখে কম কথা বলে। যার ফলে অশালীন কথা-বার্তা কম হয়ে থাকে। রোযার মাসে ঝগড়া-বিবাদ ও কলহ কম হয়ে থাকে।
  • রোযা মানুষের কুপ্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে সামাজিক অপরাধ কম হয়।
  • রোযার মাসে মানুষ ভালো কাজের চর্চা করে থাকে। এর ফলে সমাজে ভালো কাজের পরিধি বৃদ্ধি পায়।
  • সহনশীলতা রোযার অন্যতম শিক্ষা। রোযার মাসে একে অপরের প্রতি সহনশীল আচরণ করে থাকে। সাওম যে কোনো কাজে সহনশীল হওয়ার শিক্ষা দেয়।

আজকের এই বিস্তারিত রোজা সম্পর্কে আলোচনাটি এখানেই সমাপ্ত হচ্ছে। আশা করি আমার অনেক দ্বীনী ভাই-বোন এ থেকে উপকৃত হবেন। পরবর্তীতে পোষ্টে রোজা সম্পর্কে কোন নিার্দষ্ট বিষয়ে আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করব, ইংশাআল্লাহ। এ ধরণের আরও তথ্য পেতে আশা করি আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করবেন। জাজাকাল্লাহ খায়রান।

Queries discussed: বিস্তারিতভাবে রোজা সম্পর্কে আলোচনা, রোজা মানে কি, রোজা কখন ফরজ হয়, কাদের জন্য রোযা রাখা ফরজ বা বাধ্যতামূলক নয়, রোজা কেন ফরজ করা হয়েছে, রোজা বা সাওম কত প্রকার, রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি, রোজা পালনে সাহরি গ্রহণ, রোজা পালনে ইফতার গ্রহণ, রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণ, রোজা হালকা হওয়ার কারণ, রোজা ভাঙার কারণ, রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ, রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি, রোজা ভঙ্গ হলে করনীয়, রোজার কাযা ও কাফফারা, রোজার ফযিলত, মানবতার গুণাবলি বিকাশে রোজার গুরুত্ব ও ভূমিকা।

Leave a Reply

nv-author-image

inbangla.net/islam

Islamic information to the point!View Author posts

You cannot copy content of this page