নিম্নে পবিত্র কুরআনের মোট ১১৪টি সুরা সমুহের তালিকা বাংলা অর্থসহ তালিকা আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে।
কুরআন হলো একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
কুরআন দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ফেরেশতা জিবরাইল এর মাধ্যমে নবি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নিকট অবতীর্ণ হয়।
কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা বা অধ্যায় আছে। আয়াত বা বাক্য সংখ্যা ৬,২৩৬ টি; মতান্তরে ৬,৬৬৬ টি।
কুরআনের প্রথম সূরা হলো “আল ফাতিহা” এবং শেষ সূরার নাম “আন-নাস্”। দীর্ঘতম সূরা হলো “আল বাকারা” যেখানে ২৮৬ টি আয়াত রয়েছে এবং ক্ষুদ্রতম সুরা সুরা আল কাউসার।
সূরা “তাওবা” ব্যতীত সকল সূরা শুরু হয়েছে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম দিয়ে এবং সুরা আন নামলে মোট দু’বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আছে । একটি সূরা বা এর অংশবিশেষ অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট বা কারণকে বলা হয় শানে নুযূল।
আল কুরআনের সুরা সমুহের তালিকা:
- ১. আল ফাতিহা (সূচনা),
- ২. আল বাকারা (বকনা-বাছুর),
- ৩. আল ইমরান (ইমরানের পরিবার),
- ৪. আন নিসা (নারী),
- ৫. আল মায়িদাহ (খাদ্য পরিবেশিত টেবিল),
- ৬. আল আনআম (গৃহপালিত পশু),
- ৭. আল আরাফ (উচু স্থানসমূহ),
- ৮. আল আনফাল (যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ),
- ৯. আত তাওবাহ্ (অনুশোচনা),
- ১০. ইউনুস (নবী ইউনুস),
- ১১. হুদ (নবী হুদ),
- ১২. ইউসুফ (নবী ইউসুফ),
- ১৩. আর রা’দ (বজ্রপাত),
- ১৪. ইব্রাহীম (নবী ইব্রাহিম),
- ১৫. আল হিজর (পাথুরে পাহাড়),
- ১৬. আন নাহল (মৌমাছি),
- ১৭. বনী-ইসরাঈল (ইহুদী জাতি),
- ১৮. আল কাহফ (গুহা),
- ১৯. মারইয়াম (মারইয়াম (ঈসা নবীর মা),
- ২০. ত্বোয়া-হা (ত্বোয়া-হা),
- ২১. আল আম্বিয়া (নবীগণ),
- ২২. আল হাজ্জ্ব (হজ্জ),
- ২৩. আল মু’মিনূন (মুমিনগণ),
- ২৪. আন নূর (আলো),
- ২৫. আল ফুরকান (সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রন্থ),
- ২৬. আশ শুআরা (কবিগণ),
- ২৭. আন নামল (পিপীলিকা),
- ২৮. আল কাসাস (কাহিনী),
- ২৯. আল আনকাবূত (মাকড়শা),
- ৩০. আর রুম (রোমান জাতি),
- ৩১. লোক্মান (একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি),
- ৩২. আস সেজদাহ্ (সিজদা),
- ৩৩. আল আহযাব (জোট),
- ৩৪. সাবা (রানী সাবা/শেবা),
- ৩৫. ফাতির (আদি স্রষ্টা),
- ৩৬. ইয়াসীন (ইয়াসীন),
- ৩৭. আস ছাফ্ফাত (সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো),
- ৩৮. ছোয়াদ (আরবি বর্ণ),
- ৩৯. আয্-যুমার (দলবদ্ধ জনতা),
- ৪০. আল মু’মিন (বিশ্বাসী),
- ৪১. হা-মীম সেজদাহ্ (সুস্পষ্ট বিবরণ),
- ৪২. আশ্-শূরা (পরামর্শ),
- ৪৩. আয্-যুখরুফ (সোনাদানা),
- ৪৪. আদ-দোখান (ধোঁয়া),
- ৪৫. আল জাসিয়াহ (নতজানু),
- ৪৬. আল আহ্ক্বাফ (বালুর পাহাড়),
- ৪৭. মুহাম্মদ (নবী মুহাম্মদ),
- ৪৮. আল ফাৎহ (বিজয়, মক্কা বিজয়),
- ৪৯. আল হুজুরাত (বাসগৃহসমুহ),
- ৫০. ক্বাফ (ক্বাফ),
- ৫১. আয-যারিয়াত (বিক্ষেপকারী বাতাস),
- ৫২. আত্ব তূর (পাহাড়),
- ৫৩. আন-নাজম (তারা),
- ৫৪. আল ক্বামার (চন্দ্র),
- ৫৫. আর রাহমান (পরম করুণাময়),
- ৫৬. আল ওয়াক্বিয়াহ্ (নিশ্চিত ঘটনা),
- ৫৭. আল হাদীদ (লোহা),
- ৫৮. আল মুজাদালাহ্ (অনুযোগকারিণী),
- ৫৯. আল হাশর (সমাবেশ),
- ৬০. আল মুমতাহিনা (নারী, যাকে পরীক্ষা করা হবে),
- ৬১. আস সাফ (সারবন্দী সৈন্যদল),
- ৬২. আল জুমুআহ (সম্মেলন/শুক্রবার),
- ৬৩. আল মুনাফিকূন (কপট বিশ্বাসীগণ),
- ৬৪. আত তাগাবুন (মোহ অপসারণ),
- ৬৫. আত ত্বালাক (তালাক),
- ৬৬. আত তাহরিম (নিষিদ্ধকরণ),
- ৬৭. আল মুল্ক (সার্বভৌম কতৃত্ব)
- ৬৮. আল ক্বলম (কলম),
- ৬৯. আল হাক্কাহ (নিশ্চিত সত্য),
- ৭০. আল মাআরিজ (উন্নয়নের সোপান),
- ৭১. নূহ (নবী নূহ),
- ৭২. আল জ্বিন (জ্বিন সম্প্রদায়),
- ৭৩. আল মুয্যাম্মিল (বস্ত্রাচ্ছাদনকারী),
- ৭৪. আল মুদ্দাস্সির (পোশাক পরিহিত),
- ৭৫. আল ক্বিয়ামাহ্ (পুনর্ত্তুান),
- ৭৬. আদ দাহর (মানুষ),
- ৭৭. আল মুরসালাত (প্রেরিত পুরুষগণ),
- ৭৮. আন্ নাবা (মহাসংবাদ),
- ৭৯. আন নাযিয়াত (প্রচেষ্টাকারী),
- ৮০. আবাসা (তিনি ভ্রুকুটি করলেন)
- ৮১. আত তাক্ভীর (অন্ধকারাচ্ছন্ন),
- ৮২. আল ইনফিতার (বিদীর্ণ করা),
- ৮৩. আত মুত্বাফ্ফিফীন (প্রতারণা করা),
- ৮৪. আল ইনশিকাক (খন্ড-বিখন্ড করণ),
- ৮৫. আল বুরুজ (নক্ষত্রপুন্জ),
- ৮৬. আত তারিক্ব (রাতের আগন্তুক),
- ৮৭. আল আ’লা (সর্বোন্নত),
- ৮৮. আল গাশিয়াহ্ (বিহ্বলকর ঘটনা),
- ৮৯. আল ফাজর (ভোরবেলা),
- ৯০. আল বালাদ (নগর),
- ৯১. আশ শামস (সূর্য),
- ৯২. আল লাইল (রাত্রি),
- ৯৩. আদ দুহা (পূর্বান্হের সুর্যকিরণ)
- ৯৪. আল ইনশিরাহ (বক্ষ প্রশস্থকরণ),
- ৯৫. আত ত্বীন (ডুমুর),
- ৯৬. আল আলাক (রক্তপিন্ড),
- ৯৭. আল ক্বাদর (মহিমান্বিত),
- ৯৮. আল বাইয়্যিনাহ (সুস্পষ্ট প্রমাণ),
- ৯৯. আল যিলযাল (ভূমিকম্প),
- ১০০. আল আদিয়াত (অভিযানকারী),
- ১০১. আল ক্বারিয়াহ (মহাসংকট),
- ১০২. আত তাকাসুর (প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা),
- ১০৩. আল আছর (সময়),
- ১০৪. আল হুমাযাহ (পরনিন্দাকারী),
- ১০৫. আল ফীল (হাতি),
- ১০৬. কুরাইশ (কুরাইশ গোত্র),
- ১০৭. আল মাউন (সাহায্য-সহায়তা),
- ১০৮. আল কাওসার (প্রাচুর্য),
- ১০৯. আল কাফিরুন (অবিশ্বাসী গোষ্ঠী),
- ১১০. আন নাসর (স্বর্গীয় সাহায্য),
- ১১১. আল লাহাব (জ্বলন্ত অংগার),
- ১১২. আল ইখলাস (একত্ব),
- ১১৩. আল ফালাক (নিশিভোর),
- ১১৪. আন নাস (মানবজাতি)।
কুরআন মজিদ সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব। এটি কোনো নির্দিষ্ট এলাকা বা নির্দিষ্ট জাতির জন্য নাজিল হয় নি। বরং এটি সর্বজনীন ও সর্বকালীন মহাগ্রন্থ। কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ আসবে সকলের হিদায়াতের জন্য এ কুরআন নাজিল হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে আল-কুরআন মানবজাতির মহামুক্তির সনদ। এটি মানুষকে আলোর দিকে পরিচালনা করে। শান্তি ও কল্যাণের পথ দেখায়।
সুতরাং আমরা আল-কুরআন পড়ব। এর অর্থ জানব এবং তদনুযায়ী আমল করব। আল-কুরআনের জ্ঞান শিক্ষা করে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করব।
[তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট]