প্রিয় পাঠক, আমি আজকের এই পোষ্টটিতে-
ইতিকাফ কি/ইতিকাফ কী/এতেকাফ কি? ইতিকাফের সময়সীমা, ইতিকাফের ফজিলত/ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত ইতিকাফের প্রকারভেদ, ইতিকাফের নিয়ম/এতেকাফ করার নিয়ম/ইতিকাফ করার নিয়ম ইত্যাদি।
বিষয় সমূহকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে ও স্পষ্টভাবে তুলে ধরার যথা সাধ্য চেষ্টা করেছি।
আপনি যদি ইতিকাফের নিয়ম এবং ইতিকাফের ফজিলতসমূহ জানতে সত্যই আগ্রহী হন, আপনি সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়বেন। আশা করি পোষ্টটি পড়ে আপনি অবশ্য উপকৃত হবেন।
চলুন শুরু থেকে শুরু করা যাক।
(১) ইতিকাফ কি? ইতিকাফ কী? এতেকাফ কি?
‘ইতিকাফ’ আরবি শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ হলো আটকে থাকা, কোথাও অবস্থান করা।
ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জাগতিক কাজকর্ম ও পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ২০ রমজানের সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠা পর্যন্ত, পুরুষের ক্ষেত্রে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে, আর মহিলাদের নিয়তসহ ঘরের ভেতর ‘ইবাদত/নামাজের জন্য নির্দিষ্ট’ কোনো স্থানে অবস্থান করাকে ইতেকাফ বলে। যিনি ইতিকাফ পালন করেন তাকে ‘মুতাকিফ’ বলে।
যিনি ইতিকাফে বসেন, ইবাদতের জন্য তিনি দুনিয়াবি সব কিছু থেকে ওই সময় নিজেকে আলাদা করে নেন। সাংসারিক প্রয়োজন, দুনিয়াবি মোহ-মায়া ও ব্যস্ততা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে, আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত করেন।
রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। সাধারণত রমজান মাসে ইতিকাফ করা হলেও বিশেষ উদ্দেশ্য বা মানত নিয়ে অন্য সময়ও তা করা যায়।
ইতিকাফের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে নির্দেশনা রয়েছে যেমন মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“এবং ইবরাহিম ও ইসমাইলকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী, রুকু ও সিজদাকারীদের জন্য আমার গৃহকে পবিত্র রাখতে আদেশ দিয়েছিলাম।”
(সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১২৫)
ইতিকাফ একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ইবাদত। ইতিকাফের মাধ্যমে মানুষ দুনিয়ার সবকিছু ছেড়ে আক্ষরিক অর্থেই বাহ্যত আল্লাহর সন্নিধানে চলে যায়। সেজন্য এ সময় বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করার পাশাপাশি নফল নামাজ, তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আসকার, দোয়া-দরুদ, দান-সদকার মত বিভিন্ন নফল এবাদতে মনোযোগী হতে হয়।
ইতিকাফের লক্ষ্য হচ্ছে দুনিয়াদারির কোলাহল মুক্ত থেকে নিবিড়ভাবে ধ্যান অনুধ্যান করে মহান আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভ করা।
ইতিকাফের উদ্দেশ্য সম্পর্কে একজন বিদ্বান বলেছেন,
“আল্লাহর প্রতি মন নিবিষ্ট করা, তাঁর সাথে নির্জনে বাস করা এবং স্রষ্টার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি থেকে দূরে অবস্থান করা, যাতে তার চিন্তা ও ভালোবাসা মনে স্থান করে নিতে পারে।”
(আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেম র:)
(২) ইতিকাফের সময়সীমা
মহানবি হযরত মুহাম্মাদ (সা.) রমযানের শেষ দশ দিন সবর্দা ইতিকাফ করতেন।
হজরত ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন,
“হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন।”
(বোখারি)
ইতিকাফ করার জন্য মসজিদে যেতে হবে রমজানের ২০ রোজার সূর্যাস্তের আগে এবং শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার পর মসজিদ থেকে বের হতে হবে।
সাধারণত রোজার মাসে ইতিকাফ করা হলেও বিশেষ উদ্দেশ্য বা মানত নিয়ে অন্য সময়ও তা করা যায়।
(৩) ইতিকাফের ফজিলত, ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত
ক) ইতিকাফের গুরুত্ব
রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফ হল সুন্নতে মুয়াককাদা আলাল কেফায়া। এটি মহল্লার যে কেউ একজন মসজিসে বসে করতে হয়। একজন করলে মহল্লার সবার হয়ে যায়। কেউ না করলে সবাই গুনাহগার হবেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তার স্ত্রীগণ যথেষ্ঠ গুরুত্বের সাথে ইতিকাফ পালন করতেন।
হজরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা.) বর্ণনা করেন,
“নবী করিম (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ পালন করতেন। তার ওফাতের আগ পর্যন্ত তিনি ইতিকাফ পালন করে গেছেন। তারপর তার স্ত্রীরাও তা পালন করেছেন।”
(তিরমিজি)
আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
“যখন রমাযানের শেষ দশক আসত তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত্র জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন।”
(মুসলিম)
খ) ইতিকাফের ফজিলত
ইতেকাফ অবস্থায় ইতেকাফকারী সার্বক্ষণিক সওয়াব পেয়ে থাকেন ও সগীর গুনাহসমূহ থেকে মুক্ত হতে থাকেন। যেহেতু মসজিদ আল্লাহর ঘর, সেহেতু ইতেকাফকারী আল্লাহর প্রতিবেশী বা আল্লাহর ঘরের মেহমান হয়ে যান।
ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন,
“ইতিকাফকারী ইতিকাফের কারণে গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে যায় এবং সব নেকির সওয়াব অর্জন করে।”
(আল মুগনি)
ইতিকাফের সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো-
রমজানের শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে শবে কদরের রাত নিহিত। এই রাত রাতের এবাদত, হাজার বছর রাতের এবাদতের চেয়ে উত্তম। ইতিকাফ করলে নিশ্চিত ভাবে এই রাতে ইবাদতের সুযোগ ও সন্ধান মেলে।
এককথায়, কেহ যদি নিশ্চিতভাবে শবে কদরের রাতে ইবাদতের সুযোগ পেতে চায়, তার জন্য ইতকাফ বরলের সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা পেয়ে যাবে।
এছাড়া ইতিকাফকারী জন্য আরও কিছু ফজিলত রয়েছে-
হজরত আয়শা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন,
“যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করবে, সে দুটি ওমরাহ ও দুটি হজ আদায় করার সওয়াব পাবে।”
(বায়হাকি)
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, মহানবী (সা.) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইতিকাফ করবে, আল্লাহতায়ালা তার এবং জাহান্নামের আগুনের মধ্যে তিনটি পরিখার দূরত্ব সৃষ্টি করবেন, প্রত্যেক পরিখার প্রশস্ততা দুই দিগন্তের চেয়েও বেশি।”
(শোয়াবুল ঈমান)
সবশেষে বলা যায়, শবে কদর প্রাপ্তির সুনিশ্চিত প্রত্যাশায় মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নৈকট্য লাভে রোজার শেষ দশকে ইতিফাক ইবাদত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ।
বান্দার নিকট লাইলাতুল কদর প্রাপ্তি ও এ রাতের ঘোষিত ফজিলত লাভে ইতেকাফের চেয়ে উত্তম কোনো আমল নেই। তাই এই সুযোগকে মূল্যায়ন করে যথাযথ কল্যাণ লাভের চেষ্টা করা উচিত।
(৪) ইতিকাফের প্রকারভেদ
- সুন্নাত ইতিকাফ: রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ। অর্থাৎ ২০ রমজানের সূর্য ডোবার আগ মুহূর্ত থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠা পর্যন্ত মসজিদে ইতিকাফ করা। এ ধরনের ইতিকাফকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া বলা হয়। গ্রাম বা মহল্লাবাসীর পক্ষে কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তি এই ইতিকাফ করলে সবার পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে।
- ওয়াজিব ইতিকাফ: নজর বা মানতের ইতিকাফ ওয়াজিব। যেমন কেউ বলল যে, আমার অমুক কাজ সমাধা হলে আমি এত দিন ইতিকাফ করব অথবা কোনো কাজের শর্ত উল্লেখ না করেই বলল, আমি এত দিন অবশ্যই ইতিকাফ করব। যত দিন শর্ত করা হবে তত দিন ইতিকাফ করা ওয়াজিব। ওয়াজিব ইতিকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত। সুন্নাত ইতিকাফ ভঙ্গ করলে তা পালন করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
- নফল ইতিকাফ: সাধারণভাবে যেকোনো সময় ইতিকাফ করা নফল। এর কোনো দিন কিংবা সময়ের পরিমাপ নেই। অল্প সময়ের জন্যও ইতিকাফ করা যেতে পারে। এ জন্য মসজিদে প্রবেশের আগে ইতিকাফের নিয়ত করে প্রবেশ করা ভালো।
(৫) ইতিকাফের নিয়ম, এতেকাফ করার নিয়ম, ইতিকাফ করার নিয়ম
ইতিকাফ শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হলো, মুসলমান হওয়া, জ্ঞানবান হওয়া, জানাবাত এবং হায়িজ ও নিফাস থেকে পবিত্র হওয়া।
ইতিকাফকারী ব্যক্তি আল্লার নৈকট্য লাভের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণরূপে তার ইবাদতে নিয়োজিত রাখবেন। দুনিয়াদারি কাজকর্ম থেকে দূরে থাকবেন। এ সময় স্ত্রী-সংস্রবও নিষিদ্ধ। যাতে করে পরিপূর্ণভাবে এই সময়ে নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করা যায়।
নিম্নে ইতিকাফের ১০টি নিয়ম তুলে ধরা হলো-
- ইতিকাফের জন্য নিয়ত করা ইতিকাফের শর্ত। বিনা নিয়তে ইতিকাফ করলে সহিহ হবে না।
আরবিতে নিয়ত: ‘نَوَيْتُ الاعْتِكَافَ للهِ تَعَالَى’
(নাওয়াইতুওয়া ইতিকাফি লিল্লাহি তায়ালা।)
বাংলাতে নিয়ত: ‘আমি আল্লাহর জন্য ইতিকাফে নিয়ত করলাম।’
(আরবি অথবা বাংলা যেকোন একটা ভাষায় নিয়ত করবে।) - ইতিকাফের নিয়তে রমযান মাসের ২০ তারিখ আসরের পরে সূর্যাস্তের আগে মসজিদে প্রবেশ করতে হয় আর ২৯ বা ৩০ তারিখে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে ইতিকাফ শেষ করতে হয়।
- শরিয়ত সম্মত প্রয়োজন অথবা মানবীয় প্রয়োজন ছাড়া মসজিদ থেকে বের হলে ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে যায়।
- শরিয়ত সম্মত প্রয়োজন বলতে- প্রয়োজনে জুমার নামাজের জন্য এতটুকু সময় নিয়ে বের হওয়া যাতে নিকটবর্তী জামে মসজিদে গিয়ে খুতবার পূর্বে ২/৪ রাকাত সুন্নাত আদায় করা যায়, আজান দেওয়া জন্য বাহিরে যাওয়া ইত্যাদি বৈধ।
- আর মানবীয় প্রয়োজন বলতে- পায়খানা বা প্রস্রাব করার জন্য বের হওয়া, ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদে আহার করা বা মাঝের সময়টায় খাবার আনতে বাইরে যাওয়া, গোসলের জন্য বাহিরে যাওয়া ইত্যাদি বৈধ।
- ইতিকাফের স্থানেই ঘুম ও পানাহার করা বৈধ।
- ইতিকাফ অবস্থায় চুপচাপ বসে থাকা, গীবত বা পরনিন্দা করা, জিনিসপত্র মসজিদে এনে বেচাকেনা করা, ঝগড়া করা, অনর্থক কথাবার্তা বলা, অপ্রয়োজনীয় গল্প জুড়ে দেওয়া, এই কাজগুলো বর্জণীয়, এগুলো করা যাবে না। (তবে, মসজিদের ভেতরে দ্বীনী বিষয়ে কারো সাথে কথা বলা, তালিম দেওয়া বৈধ। প্রয়োজনীয় সাংসারিক কথাবার্তা বলতেও নিষেধ নেই; তবে অহেতুক অযথা বেহুদা অনর্থক কথাবার্তা দ্বারা ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না।)
- প্রাকৃতিক ও শরিয়ত সমর্থিত প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হয়ে যদি প্রয়োজন শেষে দেরি করা হয়, বিনা কারণে মসজিদের বাহিরে যাওয়া, স্ত্রী সহবাস করা ও ভয়ের কারণে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়ার কারণে ইতেকাফ ভেঙে যায়, নষ্ট হয়ে যায়, এতে ইতেকাফ পালন হবে না।
- ইতিকাফ অবস্থায় অধিক পরিমাণে নফল নামাজ আদায় করা, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করা, জিকির আজকার করা, দোয়া করা, ইস্তেগফার ও হাদিসে বর্ণিত সকাল-সন্ধ্যার দোয়াগুলো পাঠ করা, বিশেষ করে কদরের রাত্রিগুলোতে অর্থাৎ বিজোড় রাত্রিগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সব ধরনের নফল আমল করার চেষ্টা করা উচিত।
- নারীদের ক্ষেত্রে ইতিকাফে বসার জন্য মসজিদে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাসায় কোনো নিদিষ্ট জায়গায় পর্দার আড়ালে ইতিকাফে বসতে পারেন।
- নারীরা নির্দিষ্ট ঘরে বা নির্ধারিত কক্ষে ইতিকাফ করবেন। প্রাকৃতিক প্রয়োজন ও একান্ত ঠেকা ছাড়া ওই ঘর বা কক্ষ থেকে বের হবেন না। অজু ইস্তিঞ্জা বা পাক পবিত্রতার জন্য বাইরে বের হলে কারও সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন না বা সালাম বিনিময় করবেন না। তবে দরকার হলে ওই কক্ষের ভেতর থেকে বাইরের কাউকে ডাকতে পারবেন এবং কেউ ভেতরে এলে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারবেন। ইতিকাফ কক্ষে এমন কেউও অবস্থান করতে পারবেন, যাঁরা ইতিকাফ করছেন না। ইতিকাফ কক্ষটি যদি শয়নকক্ষ হয় এবং একই কক্ষে বা একই বিছানায় অন্য যে কেউ অবস্থান করেন, তাতেও কোনো ক্ষতি নেই; এমনকি স্বামীও পাশে থাকতে পারবেন; তবে স্বামী-স্ত্রীসুলভ আচরণ ইতিকাফ অবস্থায় নিষিদ্ধ; এর দ্বারা ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
- ইতিকাফকারীকে ইতিকাফ স্বেচ্ছায় পালন করতে হবে। শরিয়তে বিনিময় দিয়ে ভাড়া করে ইবাদত পালন করার সুযোগ নেই। তাই কাউকে টাকার বিনিময়ে ইতিকাফ করা এবং করানো সম্পূর্ণ নাজায়েজ, এভাবে ইতিকাফ করানোর দ্বারা মহল্লাবাসী দায়মুক্ত হতে পারবে না। (দেখুন- (রদ্দুল মুহতার ২/৫৯৫, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া ১৭/১৭১)
আজরে আলোচনাটি এখানেই শেষ করছি। আশা করি এই পোষ্টটি থেকে আমারা ইতিকাফের নিয়ম এবং ইতিকাফের ফজিলতসমূহ জানতে পেরেছি।
মহান রব্বলু আলামিন আমাদের ভুলগুলো ক্ষমা করুন, আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন, আমাদেরকে ইতিকাফের নিয়ম আমল করার ও ইতিকাফের ফজিলতসমূহ অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
Queries discussed: ইতিকাফের ফজিলত, ইতিকাফ কি, ইতিকাফের নিয়ম, এতেকাফ কি, এতেকাফ করার নিয়ম, ইতিকাফ করার নিয়ম, ইতিকাফ শব্দের অর্থ কি, ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইতেকাফ অর্থ কি, ইতিকাফ কী, ইতেকাদ শব্দের অর্থ কি, ইতিকাফের সময়সীমা, এতেকাফ অর্থ কি, ইতিকাফের নিয়ত।
[সূত্র: এনসিটিবি]