(১) ইসলামে দাড়ির গুরুত্ব কেমন?
প্রথমে আমরা ইসলামে দাড়ি রাখা বিধান সম্পর্কে জানব-
ইসলামে দাড়ির গুরুত্ব অপরিসীম, দাড়ি রাখকে ওয়াজিব বলেছেন অধিকাংশ ফুকাহে কেরাম। ইসলামে একজন পুরুষ তার জন্য দাড়ি লম্বা করা ওয়াজিব, এক মুষ্টির নিচে দাড়ি কাটাকে প্রায় সব ওলামে কেরাম নাজায়েজ এবং গুনাহের কাজ বলেছেন। অর্থ্যাৎ এটি করা মানে ওয়াজিব তরফ করা।
(২) বিপদ থেকে বাঁচার জন্য দাড়ি চেঁচে ফেলা যাবে কিনা?
এবার আমরা, কোন মানুষ যদি কোন বিশেষ বিপদে পড়েন, সে অবস্থায় তিনি দাড়ি ছোট করা চেঁচে ফেলতে পারেন কিনা? এ বিষয়ে জানব-
এর উত্তর হলো যে, যদি কারোর অসুস্থতার কারণে দাড়ি চেঁচে ফেলতে হয়, না হলে তার মৃত্যু মুখোমুখি হওয়ার আশংকা থাকে কিংবা দূরারোগ্য ব্যাধিতে তার কষ্টে নিপতিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে তিনি এটি করতে পারেন।
যেমন- এমন হলো যে এক্সিডেন্টের কারণে সেলাই করতে হবে, তাতে ঐ জায়গার দাড়িগুলো চাঁচতে হবে বা বড় কোন দূর্ঘটনা হলো বা এমন কোন অসুস্থ হলো যে দাড়ি তার রাখা যাচ্ছে না, দাড়ি রাখতে গেলে তার ট্রিটমেন্ট হবেনা, দূরারোগ্য ব্যাধিতে তিনি অনেক কষ্ট পাবেন অথবা মৃত্যুর মুখে পতিত হবেন এই পর্যায়ে চলে গেলে তখন তিনি দাড়ি চেঁচে ফেলতে বা ছোট করতে পারেন।
এর বাইরে যদি দাঁড়ি থাকার কারণে কারও মৃত্যুর মুখে পতিতে হতে পারেন, ভয়াবহ বিপদ হতে পারে, জীবন হুমকির মধ্যে পড়তে পারে বা বর্ণনাতীত কষ্ট হবে, এরকম কোন পরিস্থিতির মধ্যে কেউ পড়েন, তাহলে সেই পরিস্থিতিতে তার জন্য দাড়ি চাঁচা বা ছোট করা জায়েজ হবে। কিন্তু এটা ইন্ডিভিজুয়াল কেইস স্টাডি করে মুফতি সাহেব বলতে পারবেন।
আমরা সামান্য একটু ঠুনকো অজুহাত দিয়ে, সামান্য একটু বিপদের ভয়ে আপনার কোন ওয়াজিব লঙ্ঘন করে ফেলব ব্যাপারটা এতটা সহজ নয় করা। অতএব পরিস্থিতিটা কিরকম ঐ পরিস্থিতিতি তার কি করা উচিত না, কোন জায়েজ, কোনটা জায়েজ না এ বিষয়টা সংশ্লিষ্ট বিষয়কে পুরোপুরি খোলাখুলি কোন মুফতির কাছে উল্লেখ করে তারপর সমাধান নিতে হবে।
তো এক কথায়, দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে বাঁচার জন্য, মরণব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বা ট্রিটমেন্টের অংশ হিসেবে যদি কারো দাড়ি চাঁচতে হয় কিংবা এমন কোন বিপদে পড়ান যে বিপদ থেকে রক্ষার জন্য দাড়ি চাঁচা ছাড়া কোন উপায় নাই, জীবন রক্ষার প্রশ্ন আসছে বা এ জাতীয় কোন জটিলতা তৈরি হয়েছে, তাহলে সে ক্ষেত্রে দাড়ি চাঁচা জায়েজ হতে পারে। কিন্তু পুরো বিষয়টা নির্ভর করে যে পরিস্থিতি কেমন কোন পর্যায়ে তার উপরে।
[সূত্র: Shaikh Ahmadullah]