Skip to content

 

কোন মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়?

কোন মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়

আলোচ্য বিষয়:

বাংলাদেশে প্রায় ৬০ ধরনেরও বেশি শাকসবজি পাওয়া যায়। কিন্তু সবগুলো চাষাবাদ করা যায় না। আদিকালে যখন মাঠে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থার প্রচলন হয়নি, তখন মানুষ জঙ্গল হতে বিভিন্ন গাছের লতাপাতা, কাণ্ড, ফুল, মূল ইত্যাদি সবজি হিসেবে আহরণ করে জীবন ধারণ করতো।

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ দৈহিক ও মেধা সম্পর্কিত বহুবিধ অসুখ বিসুখে ভূগছে। খাদ্যে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, লৌহ, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থের অভাবেও মানুষ নানাবিধ রোগ আক্রান্ত হচ্ছে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। এর মধ্যে শুধু ভিটামিন ‘এ’র অভাবে প্রতিবছর অনেক শিশু অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রায় সব ধরনের সবজিতেই সব ধরনের কম বেশি ভিটামিন ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ বিদ্যমান, যা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

তাই আমাদেরঅোরও বেশি বেশি পরিমাণে সবজি উৎপাদন ও গ্রণের মাত্রা বৃদ্ধি করা উচিত। এক্ষেত্রে কোন মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়, তা জানা একান্তই জরুরি।

(১) সবজি চাষের মৌসুম কয়টি ও কী কী?

আমরা জানি ফসল/সবজি চাষের মৌসুম মোট ৩টি। যথা: ১. রবি ২. খরিপ-১ ৩. খরিপ-২।

আশ্বিন মাস থেকে ফল্গুন মাস (মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য মার্চ) পর্যন্ত সময় কালকে রবি মৌসুম বলে।

এ মৌসুমে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা কম থাকে। বৃষ্টিপাতও কম হয়। এ সময় শীতকালীন শাকসবজি যেমন-ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, গাজর, লাউ, সীম, টমেটো, আলু ইত্যাদির চাষ করা হয়। এ ছাড়া বোরো ধান, গম, ডাল ও সরিষা রবি মৌসুমের ফসল।

ফাল্গুন মাস হতে আষাঢ় মাস (মার্চ মাস থেকে জুলাই মাস) পর্যন্ত সময় খরিপ-১ এর অন্তর্ভুক্ত। এ সময়কালকে গ্রীষ্মকালও বলা হয়।

এ সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে। মাঝে মাঝে ঝড় বৃষ্টি হয়। এ মৌসুমে আউশ ধান, পাট, ঢ়েঁড়শ, করলা, পটল, কাঁকরোল, বরবটি ইত্যাদি ফসলের চাষ হয়। আম, জাম, কাঠাল, লিচু, পেঁপে ইত্যাদি এ মৌসুমের প্রধান ফল।

See also  কোন মাসে কী সবজি লাগাতে হয়?

আষাঢ় মাস থেকে ভাদ্র মাস (মধ্য জুলাই থেকে মধ্য অক্টোবর) পর্যন্ত সময়কাল খরিপ-২ এর অন্তর্ভুক্ত।

এ মৌসুমে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এ মৌসুমকে তাই বর্ষাকাল বলে। আমন ধান ও বর্ষাকালীন শাকসবজি এ মৌসুমের প্রধান ফসল। প্রধান ফলের মধ্যে : জাম্বুরা, তাল, আমলকি, কাঁঠাল, জলপাই উল্লেখযোগ্য।

(২) কোন মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়?

ক) ‘মধ্য এপ্রিল’ থেকে ‘মধ্য মে’ মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়?

(মধ্য এপ্রিল → মধ্য মে = বৈশাখ।)

  • লালশাক, গিমাকলমি, ডাটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপনের উত্তম সময়।
  • সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করা যায়।
  • মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে।
  • কুমড়া জাতীয় সবজির পোকা মাকড় দমনের ব্যবস্থা ও সেচ প্রদান করতে হবে।
  • খরিফ-১ মৌসুমের সবজির বীজবপন, চারা রোপণ করতে হবে, ডাটা, পুঁইশাক, লালশাক, বরবটি ফসল সংগ্রহ করতে হবে।
  • খরিফ-২ সবজির বেড ও চারা তৈরি করতে হবে। কচি শজিনা, তরমুজ, বাঙ্গি সংগ্রহ করতে হবে।
  • ফল চাষের স্থান নির্বাচন, উন্নতজাতের ফলের চারা বা কলম সংগ্রহ, পুরনো ফলগাছে সুষম সার প্রয়োগ ও ফলন্ত গাছে সেচ প্রদান করতে হবে।

খ) ‘মধ্য মে’ থেকে ‘মধ্য জুন’ মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়?

(মধ্য মে → মধ্য জুন = জ্যৈষ্ঠ।)

  • আগে বীজতলায় বপনকৃত খরিফ-২ এর সবজির চারা রোপণ, সেচ ও সার প্রয়োগ ও পরিচর্যা করতে হবে।
  • শজিনা সংগ্রহ করতে হবে এবং গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চারা রোপণ ও পরিচর্যা করতে হবে।
  • ঝিঙা, চিচিংগা, ধুন্দুল, পটল, কাকরোল সংগ্রহ ও পোকামাকড় দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • নাবীকুমড়া জাতীয় ফসলের মাচা তৈরি, সেচ ও সার প্রয়োগ করতে হবে।
  • ফলের চারা রোপণের গর্ত প্রস্তুত ও বয়স্ক ফল গাছে সুষম সার প্রয়োগ, ফলন্ত গাছের ফল সংগ্রহ এবং বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

গ) ‘মধ্য জুন’ থেকে ‘মধ্য জুলাই’ মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়?

(মধ্য জুন → মধ্য জুলাই = আষাঢ়।)

  • গ্রীষ্মকালীন বেগুন, টমেটো, কঁাচা মরিচের পরিচর্যা, শিমের বীজবপন, কুমড়া জাতীয় সবজির পোকামাকড়, রোগবালাই দমন করতে হবে।
  • আগে লাগানো বেগুন, টমেটো ও ঢেঁড়সের বাগান থেকে ফসল সংগ্রহ করতে হবে।
  • খরিফ-২ সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যা, সেচ, সার প্রয়োগ করতে হবে।
  • ফলসহ ওষুধি গাছের চারা বা কলম রোপণ, খুঁটি দিয়ে চারা বেঁধে দেয়া, খাঁচা বা বেড়া দেয়া ও ফলগাছে সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে।

ঘ) ‘মধ্য জুলাই’ থেকে ‘মধ্য আগস্ট’ মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়?

(মধ্য জুলাই → মধ্য আগস্ট = শ্রাবণ।)

  • আগাম রবি সবজি যেমন বাঁধাকপি, ফলকপি, লাউ, টমেটো, বেগুনের বীজতলা তৈরি, বীজবপন শুরু করা যেতে পারে।
  • খরিফ-২ এর সবজি উঠানো ও পোকামাকড় দমন করতে হবে।
  • শিমের বীজবপন, লালশাক ও পালংশাকের বীজবপন করতে হবে।
  • রোপণকৃত ফলের চারার পরিচর্যা, উন্নত চারা/কলম রোপণ, খুঁটি দেয়া, খাঁচি বা বেড়া দেয়া, ফলন্ত গাছের ফল সংগ্রহ করতে হবে।
See also  কোন মাসে কী সবজি লাগাতে হয়?

ঙ) ‘মধ্য আগস্ট’ থেকে ‘মধ্য সেপ্টেম্বর’ মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়?

(মধ্য আগস্ট → মধ্য সেপ্টেম্বর = ভাদ্র।)

  • আগাম রবি সবজি বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি, ফুলকপি, টমাটো, বেগুন, কুমড়া, লাউয়ের জমি তৈরি, চারা রোপণ, সার প্রয়োগ ইত্যাদি করতে হবে।
  • মধ্যম ও নাবী রবি সবজির বীজতলা তৈরি, বীজবপন করতে হবে।
  • নাবী খরিফ-২ সবজি সংগ্রহ, বীজ সংরক্ষণ করতে হবে।
  • আগে লাগানো ফলের চারার পরিচর্যাসহ ফলের উন্নত চারা বা কলম লাগানো, খুঁটি দেয়া, বেড়া দিয়ে চারাগাছ সংরক্ষণ, ফল সংগ্রহের পর গাছের অঙ্গ ছাটাই করতে হবে।

চ) ‘মধ্য সেপ্টেম্বর’ থেকে ‘মধ্য অক্টোবর’ মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়?

(মধ্য সেপ্টেম্বর → মধ্য অক্টোবর = আশ্বিন।)

  • আগাম রবি সবজির চারা রোপণ, চারার যত্ন, সেচ, সার প্রয়োগ, বালাই দমনসহ নাবী রবি সবজির বীজতলা তৈরি, বীজবপন, আগাম টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপির আগাছা দমন করতে হবে।
  • শিম, লাউ, বরবটির মাচা তৈরি ও পরিচর্যা করতে হবে।
  • রসুন, পেঁয়াজের বীজবপন, আলু লাগাতে হবে।
  • ফল গাছের গোড়ায় মাটি দেয়া, আগাছা পরিষ্কার ও সার প্রয়োগ করতে হবে।

ছ) ‘মধ্য অক্টোবর’ থেকে ‘মধ্য নভেম্বর’ মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়?

(মধ্য অক্টোবর → মধ্য নভেম্বর = কার্তিক।)

  • আলুর কেইল বাঁধা ও আগাম রবি সবজির পরিচর্যা ও সংগ্রহ করতে হবে।
  • মধ্যম রবি সবজি পরিচর্যা, সার প্রয়োগ ও সেচ প্রদান করতে হবে।
  • নাবী রবি সবজির চারা উৎপাদন, জমি তৈরি এবং চারা লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
  • বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপির গোড়া বাঁধা ও আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
  • মরিচের বীজবপন ও চারা রোপণ করতে হবে।
  • ফলগাছের পরিচর্যা, সার প্রয়োগ না করে থাকলে সার ব্যবহার ও মালচিং করে মাটিতে রস সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

জ) ‘মধ্য নভেম্বর’ থেক ‘মধ্য ডিসেম্বর’ মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়?

(মধ্য নভেম্বর → মধ্য ডিসেম্বর = অগ্রহায়ণ।)

  • মিষ্টি আলুর লতা রোপণ, পূর্বে রোপণকৃত লতার পরিচর্যা, পেঁয়াজ, রসুন ও মরিচের চারা রোপণ, আলুর জমিতে সার প্রয়োগ, সেচ প্রদান ইত্যাদি করতে হবে।
  • অন্যান্য রবি ফসল যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন, ওলকপি, শালগমের চারার যত্ন, সার প্রয়োগ, সেচ প্রদান, আগাছা পরিষ্কার ও সবজি সংগ্রহ করতে হবে।
  • ফল গাছের মালচিং এবং পরিমিত সার প্রয়োগ করতে হবে।

ঝ) ‘মধ্য ডিসেম্বর’ থেকে ‘মধ্য জানুয়ারি’ মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়?

(মধ্য ডিসেম্বর → মধ্য জানুয়ারি = পৌষ।)

  • আগাম ও মধ্যম রবি সবজির পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন এবং সবজি সংগ্রহ করতে হবে।
  • নাবী রবি সবজির পরিচর্যা, ফলগাছের পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন এবং অন্যান্য পরিচর্যা করতে হবে।
  • যারা বাণিজ্যিকভাবে মৌসুমি ফুলে চাষ করতে চান তাদের এ সময় ফুলগাছের বেশি করে যত্ন নিতে হবে বিশেষ করে সারের উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
See also  কোন মাসে কী সবজি লাগাতে হয়?

ঞ) ‘মধ্য জানুয়ারি’ থেকে মধ্য ‘ফেব্রম্নয়ারি মাসে’ কোন সবজি চাষ করতে হয়?

(মধ্য জানুয়ারি → মধ্য ফেব্রুয়ারি = মাঘ।)

  • আলু, পেঁয়াজ, রসুনের গোড়ায় মাটি তুলে দেয়া, সেচ, সার প্রয়োগ, টমেটোর ডাল ও ফল ছাটা, মধ্যম ও নাবী রবি সবজির সেচ, সার, গোড়াবাঁধা, মাচা দেয়া এবং আগাম খরিফ-১ সবজির বীজতলা তৈরি বা মাদা তৈরি বা বীজবপন করতে হবে।
  • বীজতলায় চারা উৎপাদনে বেশি সচেতন হতে হবে। কেননা, সুস্থ-সবল রোগমুক্ত চারা রোপণ করতে পারলে পরবর্তী সময়ে অনায়াসে ভালো ফসল বা ফলন আশা করা যায়।
  • ফলগাছের পোকামাকড়, রোগাবালাই দমন ও অন্যান্য পরিচর্যা করতে হবে।

ট) ‘মধ্য ফেব্রম্নয়ারি’ থেকে ‘মধ্য মার্চ’ মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়?

(মধ্য ফেব্রুয়ারি → মধ্য মার্চ = ফাল্গুন।)

  • নাবী খরিফ-১ সবজির বীজতলা তৈরি, মাদা তৈরি, বীজবপন, ঢেঁড়স, ডাটা লালশাকের বীজবপন করতে হবে।
  • আগাম খরিফ-১ সবজির চারা উৎপাদন ও মূল জমি তৈরি, সার প্রয়োগ ও রোপণ করতে হবে।
  • আলু, মিষ্টিআলু সংগ্রহ, রবি সবজির বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বাগানের অন্যান্য ফসলের পরিচর্যা করতে হবে।
  • আলু সংরক্ষণে বেশি যত্নবান হোন। এ ক্ষেত্রে জমিতে আলু গাছের বয়স ৯০ দিন হলে মাটির সমান করে সমুদয় গাছ কেটে গর্তে আবর্জনা সার তৈরি করুন।
  • এভাবে মাটির নিচে ১০ দিন আলু রাখার পর অর্থাৎ রোপণের ১০০ দিন পর আলু তুলতে হবে। এতে চামড়া শক্ত হবে ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়বে।
  • ফলগাছের গোড়ায় রস কম থাকলে মাঝে মধ্যে সেচ প্রদান, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন করা দরকার।

ড) ‘মধ্য মাৰ্চ’ থেকে ‘মধ্য এপ্রিল’ মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়?

(মধ্য মার্চ → মধ্য এপ্রিল = চৈত্র।)

  • গ্রীষ্মকালীন বেগুন, টমেটো, মরিচের বীজবপন বা চারা রোপণ করা দরকার।
  • নাবী জাতের বীজতলা তৈরি ও বীজবপন করতে হবে।
  • যে সব সবজির চারা তৈরি হয়েছে সেগুলো মূল জমিতে রোপণ করতে হবে।
  • সবজি ক্ষেতের আগাছা দমন, সেচ ও সার প্রয়োগ, কুমড়া জাতীয় সবজির পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • নাবী রবি সবজি উঠানো, বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে।
  • মাটিতে রসের ঘাটতি হলে ফলের গুটি বা কড়া ঝরে যায়। তাই এ সময় প্রয়োজনীয় সেচ প্রদান, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন করা জরুরি।

(৩) খাদ্য হিসেবে সবজির গুরুত্ব কতটুকু?

জনসংখ্যা বৃদ্ধি, সভ্যতার বিকাশ, মানুষের চাহিদা, রুচির পরিবর্তন, আবহাওয়ার বৈচিত্রতা, সবজি উৎপাদন, সংরক্ষণ ও পরিবহন ইত্যাদির ধরন ক্রমাগত পাল্টাচ্ছে।

বিজ্ঞানের উন্নতি, প্রতিযোগিতা ও টেকসই প্রযুক্তির কারণে শাক-সবজি, ফলমূলের উৎপাদন মৌসুম, চাষের ধরন, একক জমিতে ফলন বৃদ্ধি, আকার, রং, পুষ্টির পরিমাণ ইত্যাদির উৎকর্ষ সাধন হচ্ছে। এর ফলে অনেক পুরাতন শাক-সবজির চাষ কমে যাচ্ছে এবং নতুন ধরনের শাক সবজির প্রবর্তন হচ্ছে।

যেমন: দেশি সবুজ বেগুন, কাটুয়া ডাটা, দেশি লাল মূলা, দেশি পেঁপে, বথুয়া ও কাটানটে শাক, দেশি কচুশাক ইত্যাদি পর্যায়ক্রমে কমে যাচ্ছে। অপরদিকে গাজর, গিমা কলমী, গ্রীষ্মকালীন পিয়াজ ও বাঁধাকপি, হাইব্রিড করলা, লাউ ও শশা ইত্যাদির প্রবর্তন হচ্ছে।

মানুষ সবজিকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করলেও খাদ্য হিসেবে এর গুরুত্ব সর্বাধিক, কারণ সবজিতে খাদ্যমান বেশি এবং সহজে আহরণ উপযোগী হয়।

খাদ্য হিসেবে সবজির গুরুত্ব বেশি হওয়ার কারণগুলো হলো-

  • খাদ্যমান: শাকসবজিতে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বিদ্যমান। 
  • প্রোটিনের উৎস হিসেবে শাক সবজি: সবজিতে প্রোটিনের পরিমাণ সাধারণত শতকরা ২ ভাগের মতো। কিন্তু শিমজাতীয় সবজিতে এর পরিমাণ বেশি। 
  • পানি ও আঁশের উৎস হিসেবে শাক-সবজি: বাঁশ, ঢেঁড়শ, মিষ্টিআলু শাকে আঁশ আছে এবং ফল ও পাতা জাতীয় সবজিতে প্রচুর পানি থাকে। 
  • ক্যালোরির উৎস্য হিসেবে সবজি: দানা ফসলের তুলনায় একক জমিতে শ্বেতসার সমৃদ্ধ সবজি বেশি উৎপাদন সম্ভব। সবজির মধ্যে শিম, মটরশুটি, কাঠালের বীজ ইত্যাদি যথেষ্ট ক্যালরি সমৃদ্ধ। 
  • ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের উৎস পত্রবহুল সবজি: এ জাতীয় সবজি ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ। মানুষের দেহের বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ, শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।

তাই এজন্য প্রত্যক ব্যক্তিকে কোন মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয় তা জানতে হবে ও যথা সাধ্য বেশি বেশি সবজি উৎপাদনের চেষ্টা করতে হবে।

[সূত্র: ইন্টানেট]

Leave a Reply

nv-author-image

inbangla.net/krisi

Everything related to animal and plants in the Bangla language!View Author posts

You cannot copy content of this page