Skip to content

 

গাঁদা ফুলের চাষ পদ্ধতি

গাঁদা ফুলের চাষ পদ্ধতি

গাঁদা ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Tagetes erecta। এবং গাঁদা ফুলের ইংরেজি নাম হলো Marigold।

গাঁদা একটি অতিপরিচিত একটি উদ্ভিদ। গাঁদা ফুলকে অনেকে গন্ধা/ গেন্ধা/ গেনদা নামেও ডাকে। গাঁদা ফুলের বিভিন্ন জাত ও রঙ থাকলেও উজ্জ্বল হলুদ ও গাড় কমলা রঙ বেশি লক্ষ্য করা যায়।

গাঁদা ফুলের ব্যবহার-

গাঁদা ফুল বাগানের শোভা বর্ধন ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বন ও গৃ্হসজ্জায় এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। সেই সাথে ফুলটির বেশ কিছু উপকারিতা ও ঔষধি গুণ ও রয়েছে। 

শীতকালের ফুলের মধ্যে গাঁদা অন্যতম। বিবাহ, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, গৃহসজ্জা, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও শহীদ দিবসসহ সব অনুষ্ঠানেই গাঁদা ফুলের বিকল্প নেই। কেটে যাওয়া ত্বকের রক্ত পড়া বন্ধ করতে, কাটা ঘা শুকাতে ও জীবাণুনাশক হিসাবে গাঁদা পাতার রস খুব উপকারী।

গাঁদা ফুলের উপকারিতা-

  1. গাঁদা ফুলের অপরুপ সুগন্ধের জন্য এটি থেকে বিভিন্ন ধরণের সুগন্ধি তৈরী হয়।
  2. গাঁদা ফুলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফ্যাভনয়েড নামক উপাদান মানবদেহের ক্যান্সার কোষ এর বৃদ্বি প্রতিহত করতে সক্ষম।
  3. গাঁদা ফুলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্বিতে ভূমিকা রাখে এবং শরীর কে টিউমার হতে রক্ষা করে।
  4. শরীরের কোথাও কেটে গেলে গাঁদার পাতা পিষে লাগালে রক্ত পড়া ও ক্ষত ভালো হয়।
  5. গাঁদা ফুলের চা নিয়মিত পান করলে মুখের ব্রণ দূর হয়, ত্বক মসৃন হয়, হজম শক্তি বাড়ায়, হাড়ের ক্ষয় রোধ হয়, আর্থাইটিসের সমস্যা ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়।
  6. গাঁদা ফুল বেটে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে মাথায় ১০/১৫ দিন লাগালে মাথার খুশকি দূর হয়, চুল কালো হয়।
  7. গাঁদা ফুল শুকিয়ে পুড়ে ছাই দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়, মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়,মুখের ঘা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

(১) গাঁদা ফুলের বৈশিষ্ট্য ও জাত পরিচিতি

চাইনিজ , রাজগাঁদা, আফ্রিকান ও ফরাসি জাতের গাঁদা আমাদের বাংলাদেশে বেশি চাষ হয়। রঙ ভেদে গাঁদার জাত হচ্ছে হলুদ, লাল, কমলা, গাঢ় খয়েরি, লাল হলুদের মিশ্রণ ইত্যাদি।

ক) কমলা সুন্দরী

  • গাছ খুব শক্ত।
  • ফুল গাঢ় কমলা।
  • শাখা প্রশাখা বেশি হওয়ায় ফুল বেশি ধরে।
  • ফুলের আকার ৪.৫ থেকে ৫ সেমি।
  • অনেক দিন পর্যন্ত ফুল ধরে।
  • প্রতি গাছে ৫৫-৬০ টি ফুল পাওয়া যায়।
  • রোগ সহনশীল।

খ) আফ্রিকান গাঁদা 

  • এই শ্রেণীর গাঁদা হলুদ রঙের, গাছের আকৃতি বেশ বড়।
  • আফ্রিকান জাতের গাছ সোজা ও লম্বা, ৩০-১০০ সেমি লম্বা হয়।
  • ফুল কমলা, হলুদ ও গাঢ় খয়েরি রঙের ছিটা দাগযুক্ত হয়।
  • উল্লেখযোগ্য জাতসমূহ হল- ইনকা, গিনি গোল্ড, ইয়েলা সুপ্রিম, গোল্ডস্মিথ, ম্যান ইন দি মুন, ইত্যাদি।
See also  গাঁদা ফুল গাছের পরিচর্যা সমূহ ও গাঁদা ফুলের চাষ পদ্ধতি

গ) ফরাসি গাঁদা

  • ফরাসি গাঁদার গাছ খাট ও ঝোপালো, ১৫-৩০ সেমি লম্বা হয়।
  • ফুল আকারে ছোট,  প্রচুর ধরে ও রঙ লাল।
  • এই শ্রেণীর গাঁদা কমলা হলুদ হয়ে থাকে। এজন্য এদের রক্তগাঁদাও বলা হয়।
  • এর গাছ ক্ষুদ্রাকৃতির। পাপড়ির গোড়ায় কালো ছোপ থাকে।
  • উল্লেখযোগ্য জাতসমূহ হল- মেরিয়েটা, হারমনি, লিজন অব অনার, ইত্যাদি।
  • এছাড়াও সাদা গাঁদা, জাম্বো গাঁদা, হাইব্রিড এবং রক্ত বা চাইনিজ গাঁদার চাষ হয়ে থাকে।

ঘ) বারি গাঁদা-১

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফুল বিভাগ কর্তৃক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, নার্সারি হতে জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০০৯ সালে ‘বারি গাঁদা-১’ জাতটি উদ্ভাবন করা হয়।

বারি গাঁদা-১
বারি গাঁদা-১
  • জাতটি বাংলাদেশের সর্বত্র চাষাবাদ উপযোগী।
  • আকর্ষণীয় কমলা রঙের ফুল।
  • লুজ ফুল হিসেবে সাধারণত ব্যবহৃত হয়।
  • গাছগুলো ৬০-৯০ সেমি উচ্চতা বিশিষ্ট হয়।
  • হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ৭-৮ টন।

(২) গাঁদা ফুলের চাষ পদ্ধতি

ক) উপযোগী এলাকা

বাংলাদেশের সর্বত্র এটি জনপ্রিয় হলেও নির্দিষ্ট কিছু এলাকায়, যেমন- যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে গাঁদা ফুলের বাণিজ্যিক চাষাবাদ হচ্ছে।

উঁচু, সুনিষ্কাশিত দো আঁশ ও উর্বর মাটি গাঁদা চাষের উপযোগী। চার পাঁচবার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে জমি তৈরি করতে হবে।

টবে বা পাত্রে চাষ করলে তিন ভাগ দো আঁশ এঁটেল বা দো আঁশ মাটির সাথে একভাগ গোবর মিশিয়ে সার মাটির মিশ্রন তৈরি করতে হবে। এই সার মাটি টবে বা পাত্রে বা পলিব্যাগে ভরতে হবে।

খ) বংশ বিস্তার

বীজ এর মাধ্যমে গাঁদা ফুলরে বংশ বিস্তার
বীজ এর মাধ্যমে গাঁদা ফুলরে বংশ বিস্তার
কান্ড কাটিং এর মাধ্যমে গাঁদা ফুলরে বংশ বিস্তার
কান্ড কাটিং এর মাধ্যমে গাঁদা ফুলরে বংশ বিস্তার
  • বীজ এবং কান্ড কাটিং এর মাধ্যমে উৎপাদিত হয়। বীজ হতে উৎপাদিত গাছ স্বাস্থ্যবান, লম্বা ও অধিক ফলনশীল হয়। নভেম্বরে বীজতলায় বীজ বপন করে চারা উৎপাদন করতে হয়।
  • কাটিং এর মাধ্যমে সহজে এবং জাতের গুণাগুণ অক্ষুন্ন রেখে গাঁদার বংশ বিস্তার করা যায়।শাখা কলম ও বীজের মাধ্যমে গাঁদা ফুলের চারা তৈরি করা যায়।
  • সারা বছর চাষ করা গেলেও শীতকালে ফলন ভাল হয়।
  • শাখা দিয়ে কলম করার জন্য গাঁদা গাছের শাখা ৮-১০ সেমি লম্বা করে কাটতে হবে। বীজতলায় শাখা ডালের টুকরাগুলো দু একটি পর্বসহ রোপন করতে হবে। উপযুক্ত সময় হচ্ছে মার্চ মাস। নিয়মিত সেচ দিয়ে বীজতলা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ২০-২৫ দিনের মধ্যে পাতা গজায়।

গ) গাঁদা ফুল চাষের উপযোগী আবহাওয়া

  • গাঁদা ফুল চাষের জন্য মৃদু আবহাওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের আবহাওযায় সারা বছর গাঁদা ফুলের চাষ করা যায়।
  • আফ্রিকান গাঁদা দীর্ঘ দিবস ও স্বল্প তাপমাত্রায় (১৫-২১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) উত্তম ফুল দেয়।
  • তাপমাত্রা খুব বেশি হলে গাছের বৃদ্ধি কমে যায়, ফুলের আকার ছোট হয় এবং উৎপাদন ব্যাহত হয়।
  • আফ্রিকান গাঁদার চেয়ে ফরাসী গাঁদার প্রতিকুল আবহওয়াতে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা বেশি।
  • আবহাওয়া জনিত কারণে শীতকালের চেয়ে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে গাঁদা ফুলের ফলন কম হয়।
See also  গাঁদা ফুল গাছের পরিচর্যা সমূহ ও গাঁদা ফুলের চাষ পদ্ধতি

ঘ) রোপণের সময়

  • জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে বীজ তলায় এ বীজ বপন করতে হয়। সাধারণত ৩-৪ পাতা বিশিষ্ট ২৫-৩০ দিনের চারা ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের মধ্যে মাঠে লাগাতে হয়।
  • বীজ থেকে অথবা শাখা থেকে তৈরি একমাস বয়সের চারা রোপন করতে হয়। ডিসেম্বর মাসে চারা রোপন করতে হয়।
  • সারি থেকে সারির দূরত্ব ৪০-৫০ সেমি এবং চারা থেকে চারার দূরত ৩০-৪০ সেমি হওয়া উচিত।
  • চারা উৎপাদন না করে সরাসরি বীজ থেকেও গাঁদা চাষ করা যায়। এক্ষেত্রে প্রতি শতকে ৫-৬ গ্রাম বীজ জমিতে বপন করতে হবে।

ঙ) সার প্রয়োগ ও ব্যবস্থাপনা

গাঁদার জমি চূড়ান্তভাবে তৈরির সময় হেক্টরপ্রতি ১০ টন পচা গোবর, ১৭৫ কেজি টিএসপি ও ১৫০ কেজি এমওপি সার উত্তমরূপে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর হেক্টরপ্রতি ২০০ কেজি ইউরিয়ার অর্ধেক উপরি প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক ফুল আসার আগে প্রয়োগ করতে হবে।

অথবা, প্রতি শতক জমিতে পঁচা গোবর, ৪০ কেজি ইউরিয়া ২ কেজি, টিএসপি ৩ কেজি এবং এমওপি ২ কেজি সার প্রয়োজন। এ সারগুলো মাটির সাথে মিশাতে হবে।

চ) ফুল সংগ্রহের সময়

ফুল আকারে পূর্ণতা প্রাপ্ত হলে অল্প বোঁটা রেখে কাঁচি দিয়ে ফুল কাটাই উত্তম, এতে ফুল বেশিক্ষণ তাজা থাকে।

ফুল কাঁচি বা ব্লেড দিয়ে বোটাসহ কেটে সংগ্রহ করতে হবে। খুব ভোরে ফুল তুলতে হয়। চারা রোপনের ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে ফুল সংগ্রহ করা যায়। গড়ে একটি গাছে জাত ভেদে ১৫-৪০ টি ফুল ধরে।

(৩) গাঁদা ফুল গাছের পরিচর্যা

ক) সেচ ও অন্যন্য যত্ন

  1. মাটি শুকনোর আগেই সেচ দিতে হয়। গাছের গোড়াই পানি জমলে  নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
  2. আগাছা জন্মালেই নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
  3. গাঁদা ফুলে রোগ বালাই তেমন হয়না। তবে জাব পোকা আক্রমণ করলে ২ মিলি ম্যালাথিয়ন ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
  4. গাছ বড় হলে খুটির সাথে বেধে দিলে গাছ  সোজা থাকে। এতে ফুলের গুনগত মান ভাল হয়।
  5. গাছে ফুলের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য ফুল আসার একমাস আগে গাছের ডগা ভেঙে দিতে হবে।
  6. একটি শাখায় ঘন হয়ে অনেকগুলো ফুল বা কুঁড়ি ধরলে উপরের একটি বা দুইটি রেখে বাকিগুলো ভেঙ্গে দিতে হবে যাতে ফুল বড় হয়।
  7. চারা রোপনের ১৫ দিন পর প্রতি শতাংশে ৫০ গ্রাম ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
  8. চারা মারা গেলে সেখানে চারা রোপন করা উচিত। চারা ঘন হলেও পাতলা করতে হবে।

খ) রোগবালাই ও দমন ব্যবস্থা

i) পাতার দাগ

পাতার দাগ
পাতার দাগ

পাতার উপর বাদামী-ধূসর রঙের দাগ পড়ে। অতি আক্রমণে পাতা শুকিয়ে যেতে পারে, গাছ দুর্বল হয়।

See also  গাঁদা ফুল গাছের পরিচর্যা সমূহ ও গাঁদা ফুলের চাষ পদ্ধতি

দমন ব্যবস্থাপনা: এ রোগ দমনে ৪ গ্রাম ট্রাইকোডারমা/লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর স্প্রে করা যেতে পারে। অটোস্টিন বা বেনলেট (০.১%) রোগ দেখামাত্র ১৫ দিন পর পর তিনবার স্প্রে করতে হবে।

ii) ফুল পচা

ফুল পচা
ফুল পচা

ফুলের পাঁপড়িতে ধূসর রঙের দাগ হয়। ফুল পচে যায়। পাঁপড়ির ভাঁজে ছত্রাকের অসংখ্য স্পোর দেখা যায় ও পুরো ফুলটি কাল হয়ে পচে যায়।

দমন ব্যবস্থাপনা: রুভরাল (০.২%) নামক ছত্রাকনাশক ১০ দিন পর পর স্প্রে করে এ রোগ দমন করা যায়।

iii) গ্রে মোল্ড

এ রোগের আক্রমণে ফুলের পাঁপড়ি, পাতা এমনকি কান্ডেও বাদামী পানি ভেজা দাগ দেখা যায়। আক্রান্ত গাছে ধূসর থেকে বাদামী পাউডারের মতে আস্তরণ পড়ে।

দমন ব্যবস্থাপনা: এ রোগ দমনে যথাযথ রোপণ দুরত্ব অনুসরণ করে গাছকে পর্যাপ্ত আলো বাতাস সরবরাহের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সেই সাথে ক্যাপটান (০.১%) বা থিরাম ৭৫ (০.৩%) স্প্রে করা যেতে পারে।

গ) পোকামাকড় ও দমন ব্যবস্থা

i) লাল মাকড়

লাল মাকড়
লাল মাকড়

শুষ্ক মৌসুমে অর্থাৎ নভেম্বর হতে এপ্রিল মাস পর্যন্ত লাল মাকড়ের আক্রমণ বেশি হয়। বৃষ্টি শুরু হলে লাল মাকড়ের প্রকোপ কমতে থাকে। অতিরিক্ত বৃষ্টির সময় মাকড়ের আক্রমণ খুব কম দেখা যায়। লাল মাকড়ের আক্রমণে পাতা বিবর্ণ হয়। গাছ মাকড়ের জালে ঢেকে যায় এবং শেষে মারা যায়।

দমন ব্যবস্থাপনা: শুকনো মৌসুমে গাছের পাতার নিচের দিকে ৩-৪ দিন পর পর পানি স্প্রে করতে হবে। মাকড়ের আক্রমণ বেশি হলে শুকনো মৌসুমে ভার্টিমেক ১.৮ ইসি (১ মিলি/লিটার পানিতে) অথবা মেজিস্টার ১০ ইসি (২ মিলি/লিটার পানিতে) গাছে ৭-১৫ দিন ছিটাতে হবে।

ii) পাতা খেকো লেদা পোকা

পাতা খেকো লেদা পোকা
পাতা খেকো লেদা পোকা

তাপমাত্রা কম থাকলে ছায়ায় বসে এ পোকার কীড়া কান্ড, পাতা খেয়ে ফেলে। আবহাওয়াজনিত কারণে এ পোকার আক্রমণের তারতম্য ঘটে।

দমন ব্যবস্থাপনা: পাতা খেকো লেদা পোকার কীড়া মেরে ফেলতে হবে। জমিতে ডাল পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হবে। জমিতে পোকার আক্রমণ বেশি হলে স্প্যানোস্যাড ৪৫ এসসি/ট্রেসার (১ মিলি/লিটার) পানিতে পাশিয়ে গাছে ছিটাতে হবে।

iii) মিলি বাগ বা ছাতরা পোকা

মিলি বাগ বা ছাতরা পোকা
মিলি বাগ বা ছাতরা পোকা

এ পোকা গাছের রস চুষে খেয়ে গাছ দুর্বল করে ফেলে। ছত্রাকের আশ্রয় হিসেবে কাজ করে।

দমন ব্যবস্থাপনা: এ পোকার আক্রমণ দেখা গেলে এডমায়ার ২০ এস.এল (১.২ মিলি/লিটার পানিতে) অথবা রগর ৪০ এল (১.২ মিলি/লিটার পানিতে) অথবা ম্যালাটাফ ৫৭ ইসি (২ মিলি/লিটার পানিতে) অথবা ফাইফানন ৫৭ ইসি ২ মিলি/লিটার পানিতে) ৭-১৫ দিন পর পর গাছে স্প্রে করতে হবে।

(৪) গাঁদা ফুলের হাইড্রোপনিক চাষ

হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে গাঁদা চাষ
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে গাঁদা চাষ
  1. গাঁদা চারার বয়স যখন ৪-৫ সপ্তাহ তখন গাঁদা ফুলের চারা রোপণ করার উপযুক্ত সময়।
  2. চারা রোপণের পর দ্রবণের PH মাত্রা ৫.৫-৬.২ এর মধ্যে এবং EC মাত্রা ১.০-১.৫ এর মধ্যে রাখা দরকার।
  3. গাছে ফুল আসা শুরু হলে EC মাত্রা বাড়িয়ে ১.৫-২.০ এর মধ্যে রাখতে হবে।
  4. মাঝে মাঝে গাছের নিচের দিকের বয়স্ক পাতাগুলি কেটে দিতে হবে।
  5. চারা লাগানোর পর গাছ যাতে পর্যাপ্ত আলো পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
  6. গাছে বেশি ফুল পেতে চাইলে পিনচিং পদ্ধতিতে গাছের ডগা কেটে দিতে হবে। এতে গাছে শাখা-প্রশাখার সংখ্যা বাড়ে ও ফুল বেশি হয়।
  7. সাধারণত চারা লাগানোর ৫০-৬০ দিনের মধ্যে ফুল আসে।
  8. প্রতিটি গাছ থেকে ১৫-২০ টি ফুল পাওয়া যায়।

[সূত্র: বিএআরআই]

Leave a Reply

nv-author-image

inbangla.net/krisi

Everything related to animal and plants in the Bangla language!View Author posts

You cannot copy content of this page