Skip to content

ট্রাইকোডার্মা কি? ট্রাইকোডার্মা অণুজীব সার কাকে বলে? ট্রাইকোর্ডামা অণুজীব সার তৈরীর পদ্ধতি

ট্রাইকোডার্মা কি, ট্রাইকোডার্মা অণুজীব সার কাকে বলে, ট্রাইকোর্ডামা অণুজীব সার তৈরীর পদ্ধতি

এ আর্টিকেলটি পড়লে আপনি- ট্রাইকোডার্মা কি? ট্রাইকোডার্মা অণুজীব সার কাকে বলে? তা জানতে পারবেন। ট্রাইকোর্ডামা অণুজীব সার তৈরীর পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করেতে পারবেন।

(১) ট্রাইকোডার্মা কি? ট্রাইকোডার্মা অণুজীব সার কাকে বলে?

ট্রাইকোডার্মা কি, ট্রাইকোডার্মা অণুজীব সার কাকে বলে

ট্রাইকোডার্মা কি: ট্রাইকোডার্মা এক প্রকার ছত্রাক। ২৫-৩০ সে তাপমাত্রায় এ ছত্রাক বংশবিস্তার করতে পারে। পচনশীল দ্রব্য বিয়োজনের মাধ্যমে এর জীবন চক্র সম্পন্ন হয়। ট্রাইকো কম্পোষ্ট তৈরিতে ট্রাইকোর্ডামা ব্যবহার উপযোগী হয়ে ওঠে।

ট্রাইকোডার্মা অণুজীব সার কাকে বলে: ট্রাইকোডার্মা ছত্রাক বিভিন্ন ময়লা আবর্জনার সাথে ব্যবহার করে যে সার তৈরি করা হয় তাকে ট্রাইকোডার্মা অণুজীব সার বলে।

এই ট্রাইকোডার্মা ছত্রাকের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো যে, এটি অন্যান্য অণুজীবের বা ছত্রাকের চেয়ে কঠিন বস্তু যেমন কাঠের গুড়া গাছের শক্ত অংশ বিয়োজন করতে পারদর্শী। মাটিতে এর কোন নেতিবাচক প্রভাব নেই। তাই এটি পরিবেশ বান্ধব। এ ছত্রাক গাছে রোগ সৃষ্টিকারী অনেক রোগজীবাণু খেয়ে ফেলে এবং গাছের সুরক্ষা দেয়। এজন্য একে ডক্টরস্ ফাংগাস বলা হয়।

(২) ট্রাইকোর্ডামা অণুজীব সার তৈরীর পদ্ধতি

ট্রাইকোর্ডামা অণুজীব সার তৈরীর পদ্ধতি

নিম্নে ধারবাহিভাবে ট্রাইকোর্ডামা অণুজীব সার তৈরীর পদ্ধতি বর্ণানা করা হলো-

  1. প্রথমে মাটিতে ১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১ মিটার প্রস্থ করে কয়েকটি গতর্  তৈরী করতে হবে গর্তের গভীরতা হবে ১ হাত বা ০.৫ মিটার।
  2. অতঃপর বাড়ির ময়লা আবর্জনা, পৌরসভার বর্জ্য ইত্যাদি হতে অপচনশীল দ্রব্য। যেমন- পলিথিন, ইট, পাথর ও লোহার টুকরা ইত্যাদি আলাদা করতে হবে।
  3. বৃষ্টির পানি রোধে গর্তের চারধারে আইল দিতে হয়। রোদের তীব্রতা ও ঝড়বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে গর্তের উপর ঢাকনা দিতে হয়। আবর্জনা গর্তে ফেলার আগে একটু গোবর মেশালে ভাল হয়। শুকনো হলে সামান্য পানি ছিটাতে হয়।
  4. অতঃপর প্রতিটি গর্তের জন্য ১৫০ মি.লি. ট্রাইকো সাসপেনশন তৈরি করতে হবে। গর্তে বর্জ্য তিন ধাপে ঢালতে হবে এবং প্রতিটি ধাপে/স্তরেই ট্রাইকোডার্মা সাসপেনশন স্প্রে করতে হবে। 
  5. গর্ত পরিপূর্ণ হয়ে গেলে সমস্ত গর্তের বর্জ্য ভালভাবে মেশাতে হবে। 
  6. বৃষ্টি বা প্রচন্ড রোদ থেকে রক্ষার জন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
  7. সমভাবে পচনের জন্য ৭ দিন অন্তর অন্তর আবর্জনা উল্টে-পাল্টে দিতে হবে।
  8. ৫-৬ সপ্তাহ পর আবর্জনা চা পাতার মত ঝরঝরে ও গন্ধহীন হয়ে ব্যবহার উপযোগী হয়।
See also  সার কি? সার কত প্রকার কি কি? ও সার প্রয়োগ পদ্ধতি

প্রিয় পাঠক বন্ধু, উপরোক্ত আলেচনার মাধ্যমে আমরা ট্রাইকোডার্মা কি? ট্রাইকোডার্মা অণুজীব সার কাকে বলে? ট্রাইকোর্ডামা অণুজীব সার তৈরীর পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারলাম।

ট্রাইকোডার্মা নামক ছত্রাক ময়লা আবর্জনার সাথে ব্যবহার করে ট্রাইকোর্ডার্মা সার তৈরি করে। এটি পরিবেশ বান্ধব এবং অন্য ক্ষতিকর ছত্রাক এবং রোগ জীবাণু ধ্বংস করে।

নিবিড় পরিচর্যা ও আধুনিক কলাকৌশল ব্যবহার করে বর্ধিত জনসংখ্যার অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। এর ফলে মানুষের দারিদ্রতা ও বেকারত্ব দূর হবে। কৃষি উৎপাদন প্রযুক্তি কঠিন কিছু নয়, তবে এর মাঝে রয়েছে নতুনত্ব ও বৈচিত্র্যতা। বিশেষ উৎপাদন সম্পর্কিত কৃষি প্রযুক্তির কথা বিবেচনা করেই এখানে আমরা ট্রাইকোডার্মা অণুজীব সার সম্পর্কে একটা সংক্ষিপ্ত আলোচনা তুলে ধরলাম।

আর্টিকেলটি ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

nv-author-image

inbangla.net/krisi

Everything related to animal and plants in the Bangla language!View Author posts