বন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। মানব সভ্যতার উন্মেষ, ক্রমবিকাশ ও উন্নয়নের জন্য বনের অবদান অনস্বীকার্য। বন মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসার মত মৌলিক চাহিদা পূরণে যথেষ্ঠ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া বন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ঝড়, বন্যা, প্লাবন ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস থেকে মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রাখে।
অন্যভাবে বলা যায় যে, প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে বনসম্পদ আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে তথা জীববৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে চাক্ষুষ ভূমিকা পালন করে।
এই পাঠ শেষে আপনি- বন কি, বনভূমি কাকে বলে, বনায়ন কাকে বলে, তা জানতে পারবেন। বনের বৈশিষ্ট্য, বন কত প্রকার ও বনাঞ্চলের ধরন সম্পর্কে ধারণা পাবেন। বনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পারবেন। বাংলাদেশে উপকূলীয় বনায়নের ধারণা ও উপকূলীয় বনায়নে জন্য ব্যবহৃত গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। বাংলাদেশের উপকূলীয় বনায়নের উপযোগিতা বিশ্লেষণ করতে পারবেন।
(১) বন কি? বনভূমি কাকে বলে? বনায়ন কাকে বলে?
বন কি: লোকালয় থেকে দূরে যখন অনেক গাছপালা একত্রে জন্মায় এবং যেখানে বন্য পশুপাখি একত্রে বসবাস করে তখন তাকে বন বলা হয়।
বনভূমি কাকে বলে: প্রাকৃতিক উপায়ে আপনা হতে যখন ছোট-বড় বৃক্ষলতা ও গাছপালা জন্মে বিস্তীর্ণ এলাকা আচ্ছাদিত করে ফেলে, তখন সে বিস্তীর্ণ এলাকাকে বনভূমি বলে।
অরণ্য অর্থ কি: অরণ্য বা বন হল ঘন বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদের দ্বারা ঘেরা একটি এলাকা।
বনায়ন কাকে বলে: বনায়ন হলো বনভূমিতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে গাছ লাগানো, পরিচর্যা ও সংরক্ষণ করা।
সঠিকভাবে বনায়ন করা সম্ভব হলে, সর্বাধিক বনজ দ্রব্য উৎপাদিত হয়। এসব বনজদ্রব্য হলো কাঠ, জ্বালানি, বনৌষধি, ফল, মধু, মোম প্রভূতি। বনায়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন প্রকার বনজ বৃক্ষ, ফলজ বৃক্ষ, নির্মাণ সামগ্রী ও ঔষধি উদ্ভিদ সম্পর্কে ভালোভাবে জানা দরকার।
(২) বনের বৈশিষ্ট্য
প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম যেভাবেই বন সৃষ্টি হউক না কেন, একটি বনের কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকে যা নিম্নরূপ-
- প্রাকৃতিকভাবে গঠিত এবং বিস্তীর্ণ এলাকায় আচ্ছাদিত বৃক্ষরাজির সমষ্টিই হল বন।
- বনের আয়তন বিশাল হবে এবং যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির বৃহদাকার বৃক্ষরাজি থাকবে।
- বড় বৃক্ষের পাশাপাশি ছোট-বড় ঝোপঝাড় থাকবে।
- বনে বৃক্ষরাজির স্তরবিন্যাস থাকবে অর্থাৎ গাছপালা উঁচু, নিচু ও মাঝারি স্তরে বিন্যস্ত থাকবে।
- বিভিন্ন বৈচিত্র্যের বন্য প্রাণী, পাখি ও কীট-পতঙ্গ থাকবে।
- বনের গাছপালা ও পশু পাখির খাদ্যস্তর ও খাদ্য শিকলের মধ্যে আন্তঃক্রিয়া থাকবে।
(৩) বন কত প্রকার?
বন সাধারনত দুই প্রকার। সেগুলো হলো–
- প্রাকৃতিক বন: যেমন– সুন্দরবন।
- কৃত্রিম বন: যেমন- উপকূলীয় এলাকার কেওড়াবন।
বিভিন্নভাবে এবং বিশেষত্বের বিভিন্ন মাপকাঠিতে বনগুলিকে শ্রেণীভুক্ত করা হয়। তারই একটির পরিভাষা হলো- ‘বায়োম’। প্রজাতির অধিকাংশের পাতার দীর্ঘজীবনের সঙ্গে কীভাবে গাছপালা টিকে থাকে তাকেই প্রকাশ করা হয় এ বায়োম শব্দ দিয়ে। আরেকটা স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের বন রয়েছে, যেখানে বনগুলি বড় পাতার গাছ, সরলবর্গীয় (সুঁচালো পাতা) গাছ অথবা মিশ্র ধরনের গাছ দিয়ে সাজানো থাকে।
- উপমেরু অঞ্চলে অরণ্য রয়েছে। এগুলি সাধারণত চির হরিৎ ও সরলবর্গীয় ধরনের হয়।
- শীতপ্রধান এলাকায় বড় পাতার পর্ণমোচী গাছের বন (যথা- শীতপ্রধান পর্ণমোচী বন) এবং চির হরিৎ সরলবর্গীয় বন (যথা- শীতপ্রধান সরলবর্গীয় বন ও শীতপ্রধান বৃষ্টি অরণ্য), আবার উভয় ধরনের বনই হতে পারে। গ্রীষ্মপ্রধান এলাকায় আবার জলপাই জাতীয় বৃক্ষের চিরসবুজ পাতাওয়ালা গাছের বনসহ বড় পাতার চিরহরিৎ অরণ্য টিকে থাকতে পারে।
- ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় বনের অন্তর্ভূক্ত হলো ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় আর্দ্র বন, ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় শুষ্ক বন এবং ক্রান্তীয় ও প্রায় ক্রান্তীয় সরলবর্গীয় বন।
কোনো জঙ্গলের সাধারণ বৈশিষ্ট্য তাদের সামাগ্রিক প্রাকৃতিক কাঠামো অথবা উন্নয়েনের বিভিন্ন পর্যায়ের অবস্থার ভিত্তিতে শ্রেণী বিন্যস্ত হয়। জলবায়ু ও কোন প্রজাতির গাছ বেশি রয়েছে, তার ভিত্তিতেও বনগুলিকে আরো নির্দিষ্টভাবে শ্রেণী বিন্যস্ত করা যায়, ফলস্বরূপ বহু ধরনের বনের ধরন পাওয়া যায়, যেমন- পোন্দেরোসা পাইন/ডগলাস ফার বন।
বৈশিষ্ট্যসূচক বাহ্যিক চেহারা ও গঠনসহ গাছপালার একককে বন বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়। গোটা বিশ্বে বহু সংখ্যক বন প্রকারভেদ ব্যবস্থার প্রস্তাব করা হয়েছে, কিন্তু কোনাটাই সর্বজনীন স্বীকৃত নয়। অন্যান্য জটিল ব্যবস্থার থেকে বন প্রকারভেদ ব্যবস্থা একটা সরলীকৃত ব্যবস্থা। বিশ্বজুড়ে এ ব্যবস্থাটি বনগুলিকে ২৬টি মূল শ্রেণীতে ভাগ করেছে, যাতে জলবায়ু এলাকার পাশাপাশি প্রধান গাছপালার চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
(৪) বাংলাদেশের উপকূলীয় বনায়ন
ক) বাংলাদেশে উপকূলীয় বনায়নের ধারণা
বাংলাদেশ বিশ্বেও সর্বপ্রথম সফল উপকূলীয় বনায়নকারী দেশ। উপকূলীয় জনগণের আরও অধিক সুরক্ষা প্রদানে জন্য বাংলাদেশ বন বিভাগ উপকূলীয় অঞ্চলে জেগে ওঠা নতুন চরে ১৯৬৬ সাল থেকে ম্যানগ্রোভ বনায়ন শুরু করে।
বাংলাদেশের বন বিভাগ কর্তৃক উপকূলীয় বনায়ণের সফলতা প্রত্যক্ষ করে সরকার উপকূলীয় ১২ লক্ষ ৩৬ হাজার একর (প্রায় ৫ লক্ষ হেক্টর) এলাকা বনায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এর নিকট হস্তান্তর ও বন আইনের ৪ ধারায় সংরক্ষিত ঘোষণা করেছেন। বন বিভাগ ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ হেক্টর (প্রায় ৫ লক্ষ একর) চরাঞ্চলে বনায়নের মাধ্যমে নয়নাভিরাম উপকূলীয় বন প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ উপকূলীয় বনায়ন কার্যক্রম।
উপকূলীয় বনায়নের ফলে, হাজার হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ এবং বসবাসের জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে।
সাল ২০২০ এর তথ্য অনুসারে, ইতিমধ্যে ১১২০৬৩ একর (প্রায় ৪৫,৩৭০ হেক্টর) জমি ফসল উৎপাদনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও প্রায় ৫০ হাজার এক (প্রায় ২০২৪৩০ হেক্টর) বনায়নকৃত ভূমি, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করার অপেক্ষায় আছে। তাছাড়াও ম্যানগ্রোভ বনায়নের পাশাপাশি উপকূলীয় জেলাসমূহে নন-ম্যানগ্রোভ ৮৮৬০ হেক্টর, গোলপাতা ৩১৯০ হেক্টর, নারিকেল ১০ হেক্টর, এরিকা ৪০ হেক্টর, বাঁশ ও বেত ২৮০ হেক্টর, রাস্তার ধারে ৪৮৫০ হেক্টর (রূপান্তরিত) বনায়ন করা হয়েছে।
সর্বোপরি, সবুজ বেষ্টনী হিসাবে, উপকূলীয় বন প্রত্যক্ষভাবে ঘুর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লক্ষ লক্ষ জীবন এবং সম্পদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। এছাড়াও, উপকূলীয় বনায়ন নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পটুয়াখালী ও ভোলা উপকূলীয় জেলায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
অবস্থান: নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকা। উপকূলীয় এলাকায় জেগে উঠা চর ভূমিতে ১৯৬৫ সাল থেকে এ বন সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বনকে প্যারা বনও বলা হয়। এ বন ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতা হতে উপকূলীয় এলাকার জান-মাল রক্ষা করে। বাংলাদেশের উপকূলীয় বণাঞ্চল আছে এমন জেলার সংখ্যা ১৯টি।
পরিমাণ: প্রায় ১,৯৬,০০০ হেক্টর যা দেশের আয়তনের ১.৩৬% এবং বন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত বনভূমির ১২.৫০%। উদ্ভিদ প্রজাতি: কেওড়া, ছৈলা, বাইন, গোলপাতা ইত্যাদি। প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বনের মত এ বন জোয়ার-ভাটায় প্লাবিত হয়।
বন্যপ্রাণী: হরিণ, মেছোবাঘ, শিয়াল ইত্যাদি।
বনের পাখি: কালালেজ জৌরালী, দেশি গাঙচষা, কালামাথা কাস্তেচরা, খয়রাপাখ মাছরাঙা ইত্যাদি।
মাছ: এ বন উপকূলীয় মৎস্য ভান্ডারেরও একটি বিরাট উৎস। ভেটকি, পারসে, গলদা, বাগদা ইত্যাদি।
খ) বাংলাদেশে উপকূলীয় বনায়নের উপযোগিতা
উপকূলীয় বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী তৈরি ও তা সংরক্ষণ করা গেলে বহুবিধ উপকার সাধিত হবে। উপকূলীয় পরিবেশ রক্ষা ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন ও টর্নেডোর প্রকোপ থেকে উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষা করা। জ্বালানি ও খাদ্যের চাহিদা মোটানো, অর্থ উপার্জন, ভূমিক্ষয় রোধ ইত্যাদি প্রয়োজনের উপকূলীয় বনায়ন সৃষ্টি ও তা রক্ষণাবেক্ষণ করা একান্ত অপিহার্য।
পৃথিবী বিখ্যাত ম্যানগ্রোভ বন হিসাবে খ্যাত এ সুন্দরবনকে রক্ষা করতে উপকূলীয় সাভানা বেষ্টনী সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই।উপকূলীয় বনাঞ্চলের উপযোগিতা সমূহ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নিম্নরূপ উপায়ে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে।
i) পরিবেশগত উপযোগিতা
- ভূমির লবণাক্ততা হ্রাস করে পরিবেশ জীবকলের বাস উপযোগী করতে সাহায্য করে।
- এ বনাঞ্চলের বৃক্ষরাজি উপকূল অঞ্চলের ভূমিক্ষয় রোধ করে। ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। ভূ-নিম্নস্থ পানির স্তরবৃদ্ধি করে।
- উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী উপকূলীয় অঞ্চলে সৃষ্টি সামুদ্রিক ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও সাইক্লোনের কবল থেকে মানুষ ও জীবজন্তুকে রক্ষ করে।
- এ বনাঞ্চলে মানুষ, পাখি, জীবজন্তু ও পোকা-মাকড়ের নিরাপদ আবাস তৈরি ও রক্ষা করে এবং খাদ্যের যোগান দেয়। ফলে অত্র এলাকার পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় থাকে।
- ভূমিধস ও ঝড়রোধ করে এবং বৃষ্টিপাত হতে সহায়তা করে।
- উকূলীয় বনায়ন আমাদের মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদক সুন্দরবন ও এর জীবজন্তুতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- পরিবেশের অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ভারসাম্য বজায় রাখে, উত্তাপ সৃষ্টি রোধ করে এবং বাতাস পরিশোধন করে।
ii) নান্দনিক উপযোগিতা
উপকূলীয় বনায়নের ফলে যে নির্মল সবুজ বেষ্টনী তৈরি হয় তার নান্দনিক সৌন্দর্য অভূতপূর্ব। এ সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে দেশ-বিদেশের বহু ভ্রমণ বিলাসী মানুষের সমাগম ঘটে। হরেক রকম পশুপাখির আবাসস্থল তৈরি হয় যা পরিবেশের অসীম উপকার সাধন করে এবং নান্দনিকতায় নবতর সংযোজন ঘটায়।
iii) অর্থনৈতিক উপযোগিতা
- উপকূলীয় বনাঞ্চলে বৃক্ষরাজির অর্থনৈতিক উপযোগিতা অপরিসীম। এ বনাঞ্চলে ভ্রমনকারী দেশে-বিদেশের পর্যটকদের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের পথ সম্প্রসারিত হয়। যার ফলে জাতীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসে।
- ফলজ উদ্ভিদ যেমন- নারকেল, খেজুর, তাল, কলা, আম প্রভৃতি থেকে উৎপাদিত ফসল উপকূলীয় মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে এবং অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটায়।
- বনাঞ্চলে উৎপাদিত মধু ও মোম থেকে অর্থ উপার্জিত হয়। ফল, ফল ও পল-বগুচ্ছ থেকে খাদ্যশস্য, শাকসবজি, পাখির খাদ্য, পশুখাদ্য পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলার মধ্যে সাধারণত উকূলীয় বনাঞ্চল রয়েছে। এটি দেশের দক্ষিনাঞ্চলে, দক্ষিণপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।
প্রিয় পাঠক বন্ধু, উপরোক্ত আলেচনার মাধ্যমে আমরা বন কি? বনভূমি কাকে বলে? বন কত প্রকার? বনায়ন কাকে বলে? বাংলাদেশেল উপকূলীয় বনায়ন সম্পর্কে জানতে পারলাম।
বনায়ন বর্তমান বিশ্বের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা আর শিল্প বিপ্লবের বেগবান গতিতে আমাদের চিরচেনা প্রকৃতি আজ তার রুপ-যৌবন হারাতে বসেছে। আমরা হারাতে বসেছি বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন নির্মল পরিবেশ। তাই সুস্থ-সুন্দর জীবনের জন্য সবুজ প্রকৃতি রক্ষার্থে গাছ লাগানোর মাধ্যমে বনায়ন ব্যতীত বিকল্প কোন পথ আমাদের সামনে খোলা নেই।
কৃষি সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট কৃষি’ (inbangla.net/krisi) এর সাথেই থাকুন।