সদ্য মাড়াইকৃত বীজের মধ্যে খড়-কুটা, ভাংগা দানা, অন্য জাতের বীজ, আগাছা বীজ এবং পোকামাকড় থাকতে পারে। বীজের সাথে থেকে যাওয়া খড়-কুটা আবর্জনা, পোকামাকড় ও রোগ-জীবাণুর আবাসের ব্যবস্থা করে।
এছাড়াও বীজের মধ্যে পানি থাকে। বীজের পানির পরিমাণ ১২% বেশি হলে বীজ পোকা-মাকড় ও ছত্রাকের আক্রমণ ঘটে।
এসব মিলিয়ে বীজের তাপ বেড়ে যায় এবং এভাবে কিছুদিন থাকলে বীজ জীবনশক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে।
বীজের ভিতর থেকে খড়কুটা, আবর্জনা, অন্য বীজ, পোকামাকড় ইত্যাদি পরিষ্কার করে বেছে ফেলে বীজকে উত্তমরূপে শুকিয়ে সংরক্ষণ করলে বীজ ভাল থাকবে।
ধান ও গমবীজের ক্ষেত্রে ১২% এবং অন্যান্য বীজের ক্ষেত্রে ১০% জলীয় ভাগের নিচে বীজ সংরক্ষণ করা উচিত।
এ পাঠ শেষে আপনি- কীভাবে বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয় অর্থ্যাৎ বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। কী কী পদ্ধতিতে বীজ সংরক্ষণ করা যায় অর্থ্যাৎ বীজ সংরক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
(১) বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি
বীজ শুকানো, পরিষ্কারকরণ, বিভিন্ন আকারে শ্রেণীবিন্যাসকরণ এবং ওষুধ প্রয়োগ করে শোধন ইত্যাদি কার্যাদির মাধ্যমে বীজকে প্রক্রিয়াজাতকরণ করার পর বস্তাবন্দি করে বাজারজাতকরণ ও বিতরণ করা হয়।
বীজ জমিতে পূনরায় বপন করার পূর্বে উক্ত কার্যাদি সম্পন্ন করতে হয়। বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণের বিভিন্ন প্রক্রিয়া কত নিপুণ ও কার্যকরভাবে করা হলো তার উপর নির্ভর করে বীজ বাজারজাতকরণ।
ক) বীজ পরিষ্কারকরণ
- বীজ মাড়াই করার সাথে সাথে কুলা দিয়ে ঝেড়ে খড়-কুটা, ছোট দানা ইত্যাদি আলাদা করা হয়। তারপর চালুনি দিয়ে চেলে ছোট দানা, আগাছা ইত্যাদি চেলে ফেলে দেয়া হয়। প্রয়োজন হলে হাত দিয়ে বেছে বড় বড় খড়-কুটা বেছে ফেলে দেয়া হয়।
- বীজের মধ্যে যদি দাগ, ফ্যাকাশে রঙ বা কালচে রঙ থাকে তবে সেগুলোকেও বেছে ফেলা উচিত।
- বীজ পরিষ্কার করা এবং গ্রেডিং করার জন্য ইঞ্জিনচালিত বা হস্তচালিত যন্ত্র পাওয়া যায়।
খ) বীজের আর্দ্রতা
- বীজের মধ্যে প্রধানত শুকনো পদার্থ ও পানি থাকে। যদি বাতাস শুষ্ক হয় তাহলে বীজ থেকে পানি বাতাসে চলে আসে। আবার বীজ শুকনা হলে বাতাস থেকে পানি বীজে ঢুকে পড়ে। বাতাস ও বীজ একই মাত্রায় শুকনা হলে বাতাস থেকে বীজে বা বীজ থেকে বাতাসে পানি চলাচল করে না।
- অন্যদিকে, বীজ ভেজা হলে পোকা মাকড় দিয়ে আক্রান্ত হয়, ছত্রাকের আক্রমণ ঘটে এবং বীজের তাপ বেড়ে গিয়ে বীজ মরে যায়।
- বীজ ভেজা হলে বীজকে উত্তমরূপে শুকাতে হবে। শুকনা বীজ এমন পাত্রে রাখতে হবে যাতে বাতাসের সংস্পর্শে আসতে না পারে।
গ) বীজ শুকানো
- রোদে পলিথিন সিট, মাদুর বা চাটাই বিছিয়ে অথবা পাকা মেঝেতে বীজ শুকানো যেতে পারে। বীজ কখনোও মাটির উপর শুকাতে দেয়া উচিত নয়।
- খুব সকালে এবং পড়ন্ত বিকালে বীজ শুকানো উচিত নয়। সাধারণত সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত বীজ শুকানো ভাল।
- বীজ উত্তমরূপে শুকিয়ে ঠান্ডা করে গুদামজাত করতে হবে।
- বীজ শুকানো কি না তা দাঁত দিয়ে চেপে দেখতে হবে। কটকট শব্দ হলে সাধারণত ধারণা করা যায় যে, বীজ শুকিয়েছে। তবে সব থেকে ভালো উপায় আর্দ্রতামাপক যন্ত্র দিয়ে বীজের আর্দ্রতা মাপা হলো উত্তম পন্থা।
ঘ) বীজ সংরক্ষণ
- শুকনো বীজ টিনের পাত্রে বা ড্রামে রাখলে ভাল থাকে। এছাড়া মোটা পলিথিন ব্যাগে বীজ রাখলেও বীজ ভালো থাকে। অন্যান্য পাত্র যেমন: মাটির পাত্র, বাঁশের ডোল ইত্যাদি বীজ সংরক্ষণের জন্য ভাল নয়, কারণ এগুলো বায়ু নিরোধী নয়। মোট কথা যে পাত্রে বীজ রাখা হবে তা অবশ্যই বায়ু নিরোধক হতে হবে।
- বায়ু নিরোধ পাত্রে রক্ষিত বীজ মাঝে মাঝে খুলে দেখতে হবে যে পোকার আক্রমণ হয়েছে কিনা এবং বীজের মধ্যে হাত দিয়ে দেখতে হবে গরম লাগে কিনা। যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে পূর্বে বর্ণিত পদ্ধতিতে বীজ শুকাতে হবে।
- যদি পোকা থাকে তাহলে বীজ চেলে পোকামুক্ত করতে হবে। যদি এভাবে পোকামুক্ত না হয় তবে বীজের সঙ্গে ঔষধ মিশিয়ে পোকা মেরে ফেলে বীজ ঠান্ডা করে পুনরায় গুদামজাত করতে হবে। ফসফিন ঔষধ মিশিয়েও পোকা মারা যায়, তবে ঔষধ মিশ্রিত বীজ কোন ক্রমেই খাওয়া যাবে না।
ঙ) বীজ প্যাকিং
উপরে বর্ণিত পদ্ধতিসমূহ অনুসরণ করে সংরক্ষিত বীজ বিক্রয়ের জন্য ছোট ছোট প্যাকেট ভরে প্যাকেট এর গায়ে বীজের নাম, জাত, গুণগত মান ইত্যাদি লিখে প্রয়োজন মোতাবেক বাজারে সরবরাহ করা যেতে পারে। নিজে ব্যবহারের জন্য বীজ প্যাকিং করার প্রয়োজন নেই।
(২) বীজ সংরক্ষণ পদ্ধতি
বীজ সংরক্ষণের অর্থ জীবনের সংরক্ষণ। অনুপযুক্ত অবস্থায় সংরক্ষণের ফলে বীজের তেজ ও মানের অবনতি ঘটে থাকে। এমনকি বীজের জীবন অবসানও ঘটাতে পারে।
- অল্প সময়ের জন্য বস্তায় বীজ সংরক্ষনই উপযুক্ত পদ্ধতি। তবে বীজের বস্তা অবশ্যই পরিষ্কার, শুষ্ক এবং পোকামাকড় মুক্ত হতে হবে। বীজ ভর্তি প্রতিটি বস্তা যথাযথভাবে চিহ্নিত হতে হবে (যেমন: বীজের নাম, জাতের নাম, উৎপাদনের উৎস) ইত্যাদি।
- সংরক্ষিত বীজের বস্তাগুলো সরাসরি মেঝের উপর না রেখে কাঠের মাচার উপর রাখা উচিত।
- গাদা বস্তাগুলো রাখলে (tacking) করে গাদার উচ্চতা দানা শস্য বীজের বেলায় ৩-৪ মিটারের বেশি হওয়া উচিত নয়।
- বীজের বস্তা খুব সাবধানের নাড়াচাড়া করা উচিত যাতে কোন যান্ত্রিক ক্ষতের (Mechanical Damage) সৃষ্টি না হয়।
- বীজের বস্তার উপর হাঁটা বা বীজের বস্তার উপর বসে থাকা মোটেও উচিত নয়।
- সাময়িক সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত গুদাম অবশ্যই পরিচ্ছন্ন, শুষ্ক, শীতল হতে হবে এবং ম্যালথিয়ন দ্বারা স্প্রে করে নিতে হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে ফিউমিগেট (Fumigate) করে নিতে পারলে ভাল হয়। ফসটকসিন প্যালেটস ফিউমিগেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
- আর্দ্রতা প্রতিরোধক যে কোন পাত্র যেমন: ধাতব টিন, ড্রাম ইত্যাদি বীজ সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে বীজের আর্দ্রতা অবশ্যই নির্ধারিত মাত্রায় থাকতে হবে এবং পাত্রটি বায়ুরোধক (air tight) হতে হবে।
নির্দিষ্ট সংরক্ষণ কালের পর বীজের তেজ ও মান নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহের পারস্পরিক ক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। যথা-
- সংগ্রহকালে বীজের তেজ ও মান।
- বীজের জাত।
- সংরক্ষণাগারে পারিপাশ্বিক অবস্থা বিশেষ করে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা।
- বীজের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার হার।
বীজ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। সংরক্ষণকালে বীজের পারিপাশ্বিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে বর্ণিত চার পদ্ধতিতে বীজ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
ক) তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই খোলা অবস্থায় বীজ সংরক্ষণ
- এ পদ্ধতিতে বীজ সংরক্ষণের জন্য ডোল, বস্তা, গোলা, টিন কিংবা মাটির পাত্র, কাঁচের বোতল ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- শুষ্ক ও ঠান্ডা মৌসূমে বীজ সংরক্ষণের জন্য এ পদ্ধতি বেশ কার্যকর। কিন্তু উষ্ণ ও আর্দ্র মৌসুমে অধিকাংশ সবজি বীজের জন্য এ সংরক্ষণ পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়।
- এ পদ্ধতিতে বীজ সংরক্ষণ করতে হলে পোকা দমন করার জন্য ফিউমিগেশন করা অথবা কীটনাশক ঔষধ ব্যবহার করা একান্ত প্রয়োজন। আমাদের দেশে সাধারণত সবজি বীজ এ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে।
- বীজকে রোদে শুকিয়ে উপরোল্লিখিত যেকোন পাত্রে রেখে দেয়া হয়। এ পদ্ধতিতে বীজের জলীয় ভাগ ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয় না।
- কুমড়া জাতীয় সবজি, ডাটা, লালশাক, পালংশাক, বেগুন, টমেটো ইত্যাদি বীজ এ পদ্ধতিতে অন্ততঃ ১ (এক) বৎসর সংরক্ষণ করা যায়।
- অল্প পরিমাণ গম বীজ তেলের ড্রাম কিংবা কেরোসিন বা বিস্কুটের টিনে সংরক্ষণ করা যায়। তবে নিশ্চিত হতে হবে যে, পাত্রটি সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার, পাত্রের গায়ে কোন প্রকার ছিদ্র নেই এবং পাত্রের মুখ বন্ধ করে দিলে ভিতরে বাতাস প্রবেশ করতে না পারে অথাৎ পাত্রটি সম্পূর্ণরূপে বায়ুরোধক হতে হবে।
- ব্যবসায়িক ভিত্তিতে অধিক পরিমাণ বীজ সংরক্ষণ করতে হলে কীটপতঙ্গমুক্ত পরিষ্কার ও শুকনা চটের বস্তায় এবং বীজ সংরক্ষণের উপযুক্ত গুদামে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
- প্রতি তিন দিন পর হিমাগারের দরজা খুলে খুব সকালে মুক্তবাতাস দিতে হবে। সংরক্ষণ কালে অন্তত:পক্ষে দু’বার বস্তা উল্টিয়ে দিলে বীজ ভালো থাকে এবং অপ্রত্যাশিত ভাবে অঙ্কুরিত হয় না।
- আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রনবিহীন হিমাগারে কোনক্রমেই সবজি বীজ খোলা অবস্থায় রাখা উচিত নয়। তবে বায়ুরোধক পাত্রে বীজ রেখে তা অনায়াসে এ জাতীয় হিমাগারে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
খ) আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পন্ন হিমাগারে বীজ সংরক্ষণ
- এ ধরনের হিমাগারকে ডি-হিউমিডিফাইড কোল্ড স্টোরেজ বলে। উদ্ভিদতাত্ত্বিক বীজ সংরক্ষনের জন্য এ হিমাগার অত্যন্ত উপযোগী।
- এ হিমাগারের তাপমাত্রা সাধারণত ১০ সে. ও আপেক্ষিক আদ্রতা ৫০% এর উপর রাখা হয় না। এ অবস্থায় রাখা বীজ ৩-৮ বৎসর পর্যন্ত সজীব ও সতেজ থাকে।
- অবশ্য এই ধরনের হিমাগার স্থাপন ও পরিকল্পনা ব্যয়বহুল। এ ক্ষেত্রে বীজ গুদামের অভ্যন্তরে বাতাসের আদ্রতা ও তাপমাত্রা বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
গ) আদ্রতা নিয়ন্ত্রণবিহীন হিমাগারে বীজ সংরক্ষণ:
- অধিকাংশ হিমাগারে সাধারণতঃ ৮০% এর উপর আদ্রতা রাখা হয়। এসব হিমাগার আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদি উচ্চ জলীয়ভাগ সম্পন্ন কৃষিজাত দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
- বীজ আলু হিমাগারে নেয়ারপূর্বে ২৪-২৮ ঘন্টা কাল ১৬-১৮ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় প্রিকুলিং (Pre-cooling) করতে হয়। অত:পর বস্তা হিমকক্ষে তাকের উপর খাড়াভাবে রেখে আস্তে আস্তে তাপমাত্রা কমিয়ে ৪ ডিগ্রি সে. এ নামিয়ে আনতে হয়।
- হিমাগারের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮০% বা তার বেশি হওয়া দরকার।
ঘ) আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বীজ সংরক্ষণ
- এ পদ্ধতিতে শুকনা বীজকে বায়ুরোধক পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়। আদ্র মৌসূমে বীজ সংরক্ষণের জন্য এ পদ্ধতি বেশ কার্যকর।
- এ পদ্ধতিতে বীজ সংরক্ষনের জন্য বায়ুরোধক টিন, এলুমিনিয়াম, কাঁচ কিংবা প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও মোটা পলিথিনের ব্যাগ এলুমিনিয়াম ফয়েল সংযুক্ত কাগজের ব্যাগ এবং বার্ণিশ করা বা বিটুমিনের প্রলেপ দেয়া মাটির পাত্র ও ব্যবহার করা চলে।
- তবে পাত্রের মুখ এমনভাবে বন্ধ করে দিতে হবে যাতে ভিতর দিয়ে কোন বাতাস চলাফেরা না করে।
- অল্প পরিমাণ বীজ হলে তা ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড কিংবা সিলিকাজেল সমেত ডেসিকেটর বা বীজ জারে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলেচনার মাধ্যমে আমরা বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি ও বীজ সংরক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারলাম।
বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বাজারজাত ও ভবিষ্যতের ব্যবহারে উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করা হয়। বীজের প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে বীজের আর্দ্রতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বীজ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিচর্যা সঠিকভাবে করতে হবে। অনুপযুক্ত অবস্থায় বীজ সংরক্ষণ করা যাবে না। এতে বীজের তেজ ও মানের অবনতি ঘটে।
কৃষি সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট কৃষি’ (inbangla.net/krisi) এর সাথেই থাকুন।