Skip to content

মাল্টা চাষ পদ্ধতি ও গাছের পরিচর্যা

মাল্টা চাষ পদ্ধতি ও গাছের পরিচর্যা

মিষ্টি কমলা বা Sweet orange (Citrus sinensis) বাংলাদেশে মাল্টা নামে পরিচিত। কমলার সাথে এর মূল পার্থক্য হ’ল কমলার খোসা ঢিলা কিন্তু মাল্টার খোসা সংযুক্ত (টাইট)।

সাইট্রাস ফসলের মধ্যে মাল্টা অন্যতম জনপ্রিয় ফল। বিশ্বের সর্বমোট উৎপাদিত সাইট্রাস ফলের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ হচ্ছে মাল্টা।

ফলসহ মাল্টা গাছ
ফলসহ মাল্টা গাছ

ভিয়েতনাম, উত্তর পশ্চিম ভারত ও দক্ষিণ চীন মাল্টার আদি উৎপত্তি স্থান। তবে বর্তমানে এই ফলটি বিশ্বের উষ্ণ ও অব-উষ্ণমন্ডলীয় এলাকায় বেশি চাষাবাদ হচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ফলটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।

কমলার তুলনায় এর অভিযোজন ক্ষমতা অধিক হওয়ায় পাহাড়ী এলাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য এলাকায় সহজেই এটি চাষ করা যাচ্ছে। উন্নত জাত ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর উৎপাদন বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব।

(১) মাল্টার জাত

ক) বারি মাল্টা-১

বাংলাদেশের বাজারে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সবুজ ও কমলা বর্ণের মাল্টা ব্যাপক হারে বিক্রি হতে দেখা যায়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ‘বারি মাল্টা-১’ নামে ২০০৩ সালে মাল্টার একটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে। জাতটির বৈশিষ্ট্য নিম্নে দেয়া হলো।

বারি মাল্টা-১
বারি মাল্টা-১
  • এ জাতের পাকা ফল দেখতে আকর্ষণীয় সবুজ এবং খেতে সুস্বাদু।
  • নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত।
  • গাছ খাটো, ছড়ানো ও অত্যধিক ঝোপালো।
  • মধ্য-ফাল্গুন থেকে মধ্য চৈত্র পর্যন্ত সময়ে গাছে ফুল আসে এবং কার্তিক মাসে ফল আহরণ উপযোগী হয়।
  • ফল গোলাকার, মাঝারী আকৃতির (১৫০ গ্রাম)। ফলের দৈর্ঘ্য ৭ সেমি এবং প্রস্থ ৫ সেমি।
  • পাক ফলের রং সবুজ।
  • ফলের পুষ্প প্রান্তে পয়সা সাদৃশ সামান্য নিচু বৃত্ত বিদ্যমান।
  • ফলের খোসা মধ্যম পুরো ও শাসের সাথে সংযুক্ত।
  • শাঁস হলুদাভ, রসালো, খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু (টিএসএস ৭.৮%)।
  • গাছপ্রতি ৩০০-৪০০টি ফল ধরে।
  • হেক্টরপ্রতি ফলন ২০ টন।
  • বৃহত্তর সিলেট, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পঞ্চগড়সহ দেশের সব অঞ্চলে চাষের জন্য উপযোগী।

খ) বারি মাল্টা-২

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে সংগৃহীত জার্মপ্লাজমের মধ্য থেকে বাছাই করে মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘বারি মালটা-২’ জাতটি উদ্ভাবন করা হয় এবং ২০১৭ সালে জাত হিসাবে অনুমোদন করা হয়।

বারি মাল্টা-২
বারি মাল্টা-২
  • ‘বারি মাল্টা-২’ একটি নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত।
  • ফল আহরণের সময় সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর।
  • গাছ দ্রুতবর্ধনশীল, ঝোপালো স্বভাবের।
  • পাতা উপবৃত্তাকার, পত্রফলকের অগ্রভাগ সূঁচালো ও গাঢ় সবুজ বর্ণের।
  • ফুল সাদা, ছোট, উভয়লিঙ্গিক, পাঁচ (৫) পাপড়ি বিশিষ্ট।
  • অনেকগুলো ফুল সাইম সাদৃশ্য পুষ্প মঞ্জুরীতে সাজানো থাকে।
  • ফুলে ৫ টি বৃত্যাংশ বিদ্যমান।
  • ফল উপবৃত্তাকার ও তুলনামুলকভাবে বড় (প্রতি ফলের গড় ওজন ১৭৯ গ্রাম), ফলের উপরিভাগ মসৃণ, দেখতে সবুজ বর্ণের এবং টিএসএস ৭.৫%।
  • ফল সাধারণত গুচ্ছাকারে ধরে।
  • ফলের অভ্যন্তরে ১০-১১ টি খন্ড বিদ্যমান এবং খাদ্যোপযোগী অংশ প্রায় ৭২.৯৫%।
  • ফলে ১১-১২ টি পর্যন্ত বীজ বিদ্যমান।

(২) মাল্টা চাষ পদ্ধতি ও গাছের পরিচর্যা

ক) জলবায়ু ও মাটি

  • কম বৃষ্টিবহুল সুনির্দিষ্ট গ্রীষ্ম ও শীতকাল অর্থাৎ শুষ্ক ও উষ্ণ জলবায়ু মাল্টা চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
  • বায়ুমন্ডলের আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাত মাল্টার ফলের গুণাগুণকে প্রভাবিত করে। বাতাসের অধিক আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপ্রবন এলাকায় মাল্টা ফলের খোসা পাতলা হয় এবং ফল বেশি রসালো ও নিম্নমানের হয়। আর্দ্র জলবায়ুতে রোগ ও ক্ষতিকর পোকার উপদ্রব বেশি হয়।
  • শুষ্ক আবহাওয়ায় ফলের স্বাদ উন্নত মানের হয়। মাল্টা গাছ আলো পছন্দ করে এবং ছায়ায় গাছের বৃদ্ধি ও ফলের গুণগত মান কমে যায়।
  • সব ধরনের মাটিতে জন্মালেও সুনিষ্কাশিত, ঊর্বর, মধ্যম থেকে হাল্কা দোআঁশ মাটি মাল্টা চাষের জন্য উত্তম।
  • মধ্যম অম্ল থেকে সামান্য ক্ষারীয় মাটিতে মাল্টা জন্মে, তবে ৫.৫-৬.৫ অম্লতায় (pH) ভাল জন্মে।
  • মাল্টা জলাবদ্ধতা মোটেও সহ্য করতে পারে না এবং উচ্চমাত্রার তাপ ও লবণের প্রতি সংবেদনশীল।

খ) বংশ বিস্তার

বীজ ও কলমের মাধ্যমে মাল্টার বংশ বিস্তার করা যায়।

পরিপক্ক ফলের বীজ সংগ্রহ করে কয়েক দিনের মধ্যেই নার্সারিতে স্থাপন করে চারা উৎপাদন করা হয়। তবে বীজের চারা আমাদের বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়ার সাথে সমন্বয় করে বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। তাই কলমের মাধ্যমে চারা তৈরি করাই উত্তম।

তাছাড়া কলমের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করলে সেটার মাতৃগুণাগুণও ঠিক থাকে এবং দ্রুত ফল ধরে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধী ও বলিষ্ঠ শিকড় সমৃদ্ধ আদিজোড়ের উপর কলম করার ফলে গাছের জীবনকাল ও ফলন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

গ) জোড় কলম

  1. গ্রাফটিং এর জন্য প্রথমে রুটস্টক (আদিজোড়) উৎপাদন করতে হবে। রুটস্টক হিসেবে বাতাবিলেবু, রাফলেমন, কাটা জামির, রংপুর লাইম প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়।
  2. অতঃপর কাঙ্খিত মাতৃগাছ হতে সায়ন (উপজোড়) সংগ্রহ করে রুটস্টকের উপর স্থাপন করে মাল্টার গ্রাফটিং তৈরি করা হয়।
  3. রুটস্টক হিসেবে ১.০ হতে ১.৫ বছর বয়সের সুস্থ, সবল ও সোজাভাবে বৃদ্ধি প্রাপ্ত চারা নির্বাচন করতে হবে।
  4. নির্বাচিত মাতৃগাছ হতে সায়ন তৈরির জন্য দুটি চোখসহ ৫-৬ সেমি লম্বা ও ৮-৯ মাস বয়সের ডাল সংগ্রহ করতে হবে।
  5. মধ্য-বৈশাখ থেকে মধ্য-ভাদ্র (মে থেকে আগস্ট) মাস পর্যন্ত গ্রাফটিং করা যায়।
  6. ভিনিয়ার ও ক্লেফট গ্রাফটিং উভয় পদ্ধতিতেই মাল্টার কলম তৈরি করা যায়। সাধারণত কলম করার ১০-১৫ দিনের মধ্যে রুটস্টক ও সায়নের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয় এবং সায়নের চোখ ফুটে কুঁশি বের হয়।
  7. কলম হতে একাধিক ডাল বের হলে সুস্থ সবল ও সোজাভাবে বেড়ে উঠা ডালটি রেখে বাকিগুলো কেটে ফেলতে হবে।
  8. আদিজোড় থেকে উৎপন্ন কুশি নিয়মিতভাবে অপসারণ করতে হবে।

ঘ) জমি নির্বাচন ও তৈরি

  1. সারাদিন রোদ পড়ে এবং বৃষ্টির পানি জমে না এমন উঁচু বা মাঝারী-উঁচু জমি মাল্টা চাষের জন্য নির্বাচন করতে হবে।
  2. নির্বাচিত জমিটি পর্যায়ক্রমিক চাষ ও মই দিয়ে জমি সমান করে নিতে হবে।
  3. জমি থেকে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে এবং আশে পাশে উঁচু গাছ থাকলে তার ডালপালা ছেঁটে দিতে হবে।

ঙ) রোপণ পদ্ধতি

সমতল ভূমিতে বর্গাকার বা ষড়ভুজী পদ্ধতিতে এবং পাহাড়ী এলাকায় কন্টুর পদ্ধতিতে চারা/কলম রোপণ করা হয়।

সাধারণত মধ্য-বৈশাখ থেকে মধ্য-ভাদ্র (মে থেকে আগস্ট) মাসের মধ্যে মাল্টা চারা লাগানো উত্তম। তবে পানি সেচ নিশ্চিত করা গেলে বছরের অন্যান্য সময়ও চারা লাগানো যেতে পারে।

চ) মাদা তৈরি

  1. চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পূর্বে উভয় দিকে ৪.০ মিটার দূরত্বে ৭৫ ⨉ ৭৫ ⨉ ৭৫ সেমি মাপের গর্ত করতে হবে।
  2. প্রতি গর্তে ১৫ কেজি কম্পোস্ট বা পচা গোবর, ৩-৫ কেজি ছাই, ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ২৫০ গ্রাম এমওপি সার এবং ২৫০ গ্রাম চুন গর্তের উপরের মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে।
  3. গর্ত ভরাট করার ১০-১৫ দিন পর চারা রোপণ করতে হবে।

ছ) চারা/কলম রোপণ

  1. গর্তে সার প্রয়োগের ১০-১৫ দিন পর নির্বাচিত চারা/কলমটি গর্তের মাঝখানে সোজাভাবে রোপণ করতে হবে।
  2. রোপণের পর খুঁটি দিয়ে চারা/কলমটি খুঁটির সাথে বেঁধে দিতে হবে।
  3. অতঃপর প্রয়োজনমতো পানি ও বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

জ) সার প্রয়োগ

গাছের যথাযথ বৃদ্ধির জন্য সময়মতো সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক পদ্ধতিতে সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে সারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।

প্রতিবছর মধ্য-ফাল্গুন থেকে মধ্য-চৈত্র (মার্চ) বর্ষার পূর্বে মধ্য-বৈশাখ থেকে মধ্য-জ্যৈষ্ঠ (মে) এবং বর্ষার পর মধ্য-ভাদ্র থেকে মধ্য-আশ্বিন (সেপ্টেম্বর) মাসে তিন কিস্তিতে সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে সেচের ব্যবস্থা না থাকলে বর্ষার আগে ও পরে দুই কিস্তিতে সার প্রয়োগ করা ভাল।

বয়স ভেদে গাছপ্রতি সারের পরিমাণ:

গাছের বয়স (বছর)গোবর সার (কেজি)ইউরিয়া (গ্রাম)টিএসপি (গ্রাম)এমওপি (গ্রাম)জিংক সালফেট (গ্রাম)বরিক এসিড (গ্রাম)
১-২১০-১২২০০-৩০০১০০-১৫০১০০-১৫০১০
৩-৪১২-১৫৩০০-৪৫০১৫০-২০০১৫০-২০০১৫
৫-৭১৫-১৮৪৫০-৬০০২০০-৩০০২০০-২৫০২০১০
৮-১০১৮-২০৬০০-৭০০৩০০-৪৫০২৫০-৩০০২৫১২
১০ এর অধিক২০-২৫৭৫০৫০০৪৫০৩০১৫

ঝ) আগাছা দমন

বর্ষার শেষে সার প্রয়োগের পর গাছের গোড়া থেকে একটু দূরে বিভিন্ন লতাপাতা বা খড় দ্বারা বৃত্তাকারে মালচ করে দিলে আগাছা দমনসহ শুষ্ক মৌসুমে আর্দ্রতা সংরক্ষিত হয়।

সাধারণত বর্ষার শুরুতে ও বর্ষার শেষে সম্পূর্ণ বাগানে হালকা চাষ দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

ঞ) সেচ প্রয়োগ

ভাল ফলনের জন্য খরার সময় বা শুষ্ক মৌসুমে নিয়মিত সেচ দেয়া একান্ত দরকার। বর্ষার সময় গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সে জন্য দ্রুত পানি নিষ্কাশনের বন্দোবস্ত করতে হবে।

ট) ডাল ছাঁটাইকরণ

  • মাল্টা গাছের জন্য ডাল ছাঁটাই অপরিহার্য। গাছ লাগানোর পর ফল ধরার পূর্ব পর্যন্ত ধীরে ধীরে ডাল ছেঁটে গাছকে নির্দিষ্ট আকার দিতে হবে যাতে গাছ চারিদিকে ছড়াতে পারে। কারণ পার্শ্ব ডালগুলিতে ফল বেশি ধরে।
  • কান্ডের এক মিটার উচ্চতা পর্যন্ত সব ডাল ছাঁটাই করতে হবে। ডাল ছাঁটাই করার পর ডালের কাটা অংশে বর্দোপেস্টের প্রলেপ দিতে হবে।
  • এছাড়া পানি তেউড় বা Water sucker উৎপন্ন হওয়ামাত্র কেটে ফেলতে হবে। মরা, শুকনা এবং রোগ ও পোকামাকড় আক্রান্ত ডালপালা কেটে পরিষ্কার রাখতে হবে।

ঠ) ফল পাতলাকরণ ও ব্যাগিং

  • বারি মাল্টা-১ এর গাছে প্রতিবছর প্রচুর সংখ্যক ফল আসে। সমস্ত ফল রাখা হলে ফল আকারে ছোট ও নিম্নমানের হয়। এজন্য প্রতি পুষ্প মঞ্জরীতে সুস্থ ও সতেজ দেখে দু’টি করে ফল রেখে বাকিগুলো ছোট থাকা অবস্থায়ই (মার্বেল অবস্থা) ছাঁটাই করা দরকার।
  • কলমের গাছ প্রথম বা দ্বিতীয় বছর থেকে ফল দিতে শুরু করে। গাছের বৃদ্ধির জন্য ১ম বছর ফল না রাখাই ভাল, দ্বিতীয় বছর অল্প সংখ্যক ফল রাখা যেতে পারে। এভাবে পর্যায়ক্রমে গাছের অবস্থা বিবেচনা করে ফল রাখতে হবে।
  • ফলের বর্ণ সবুজ হওয়ায় পাখি ও পোকার আক্রমণ কম হয়। তবে পরিপক্কতার পূর্বে ব্যাগিং করলে অবাঞ্ছিত পোকা মাকড়ের আক্রমণ রোধ করা যায়।

ড) ফল সংগ্রহ

  • ফল পূর্ণতা প্রাপ্তির সাথে সাথে ফলের গাঢ় সবুজ বর্ণ হালকা সবুজ বা ফ্যাকাশে সবুজ হতে থাকে। বারি মাল্টা-১ সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে আহরণ করা হয়।
  • পরিপক্ক ফল হাত অথবা জালিয্ক্তু বাঁশের কোটার সাহায্যে সংগ্রহ করা হয়। ফল সংগ্রহের পর আঘাতপ্রাপ্ত ও নষ্ট হওয়া ফলগুলো আলাদা করতে হবে।
  • ভাল মানের ফলগুলো প্রয়োজনে গ্রেডিং করে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে।

[সূত্র: বিএআরআই]

Leave a Reply

nv-author-image

inbangla.net/krisi

Everything related to animal and plants in the Bangla language!View Author posts