(১) মৃত পশুর সৎকার
মৃত পশুকে যেখানে সেখানে ফেলে রাখা যাবে না। মৃত পশু পরিবেশ দূষিত করে। পশুর রোগ জীবাণু বাতাসে ছড়ায় এবং সুস্থ পশুকে আক্রান্ত করে। তাই মৃত্যুর পর অতি দ্রুত পশুর সৎকারের ব্যবস্থা করতে হবে।
- খামার ও বসতবাড়ি হতে দূরে মৃত পশুকে সৎকার করতে হবে মৃত পশুকে উঁচু স্থানে মাটির ১:২২ মিটার (৪ ফুট) গভীরে গর্ত করে মাটি চাপা দিতে হবে।
- মাটি চাপা দেওয়ার সময় গর্তের উপরের স্তরে চুন বা ডিডিটি ছড়িয়ে দিতে হবে এবং এর উপর মাটি ছিটিয়ে দিতে হবে
(২) মৃত পাখির সৎকার
খামার ও বসত বাড়ি থেকে দূরে সৎকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। হাঁস মুরগির মৃত্যুর পর যেখানে সেখানে না ফেলে একটি গর্ত করে মাটি চাপা দিতে হবে। অন্যথায় মৃত পাখি থেকে রোগজীবাণু চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে এবং এলাকার সুস্থ ও জীবিত পাখিকে আক্রান্ত করবে।
খামারে মহামারী আকারে একসাথে অনেক পাখির মৃত্যু হলে বড় গর্তে মাটি চাপা দিয়ে মাটির উপর DDT (Dichloro Diphenyl Trichloroethane) ছিটিয়ে দিতে হবে।
(৩) মৃত মাছের সৎকার
অনেক সময় চিকিৎসা করেও রোগাক্রান্ত মাছকে নীরোগ করা যায় না। বিপুল হারে মাছ মরতে শুরু করে। অতঃপর পঁচে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং পরিবেশ দূষিত হয়।
এমতাবস্থায় নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে-
- জাল দিয়ে মৃত মাছগুলোকে সংগ্রহ করতে হবে।
- পুকুর থেকে অনেক দূরে যেখান থেকে বৃষ্টির পানি গড়িয়ে পুকুরে প্রবেশ করতে না পারে সেখানে তিন ফুট গভীর গর্ত করতে হবে।
- মাছের সংখ্যানুযায়ী প্রশস্ত গর্ত করতে হবে।
- গর্তে মৃত মাছ নিক্ষেপ করে এর উপর ব্লিচিং পাউডার ছিটাতে হবে।
- অতঃপর মাটি চাপা দিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে।
কৃষি সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট কৃষি’ (inbangla.net/krisi) এর সাথেই থাকুন।