(১) লিলি ফুলের জাত পরিচিতি
বারি লিলি-১:
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফুল বিভাগ কর্তৃক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, নার্সারি হতে জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০০৯ সালে ‘বারি লিলি-১’ জাতটি উদ্ভাবন করা হয়।
- জাতটি বাংলাদেশের সর্বত্র চাষাবাদ উপযোগী।
- এটি একটি কন্দজাতীয় গ্রীষ্মকালীন ফুল।
- ফুলের রং গাঢ় লাল এবং প্রায় ১২.০-১২.৫ সেমি ব্যাস বিশিষ্ট।
- প্রতিটি গাছে ফুলের সংখ্যা থাকে প্রায় ৫-৬ টি।
- পটে এ ফুলের স্থায়ীত্ব ৫-৬ দিন থাকে।
(২) লিলি ফুলের চাষ পদ্ধতি
ক) পট নির্বাচন
২৫-৩০ সেমি মাটির পটে গাছের দৈহিক বৃদ্ধি ও ফুল ভাল মানের হয়।
খ) চারা রোপণ
বাল্ব সাধারণত মে-জুন মাসে লাগাতে হয়।
গ) বেডে সার প্রয়োগ ও ব্যবস্থাপনা
বেড তৈরির পর হেক্টরপ্রতি ৫ টন পচা গোবর সার, ১৫০ কেজি টিএসপি ও ১২৫ কেজি এমওপি সার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
বাল্ব রোপণের ৩ সপ্তাহ পর যখন নতুন গাছের বৃদ্ধি শুরু হয় তখন হেক্টরপ্রতি ১৫০ কেজি ইউরিয়া সার এর অর্ধেক ৭৫ কেজি প্রথম উপরিপ্রয়োগ এবং বাকি অর্ধেক ৭৫ কেজি পুষ্পদন্দ বের হওয়ার সময় উপরিপ্রয়োগ করা উচিত।
ঘ) টব/পটে সার প্রয়োগ ও ব্যবস্থাপনা
পটে জন্মানোর জন্য ২ ভাগ মাটি, ২ ভাগ গোবর সার ও ১ ভাগ পাতাপচা সারের সঙ্গে ৩ গ্রাম টিএসপি, ৪ গ্রাম মিউরেট অব পটাশ এর মিশ্রণ ব্যবহার করা উত্তম।
বাল্ব রোপণের ৪০-৫০ দিন পর হতে ২ গ্রাম ইউরিয়া সার প্রতি ১ মাস পর পর ফুল আসা পর্যন্ত উপরি প্রয়োগ করা উচিত।
ঙ) ফুল সংগ্রহ
সাধারণত চারা লাগানোর ৮০-৯০ দিন পর ফুল সংগ্রহ করা যায়। ফলন: গাছ প্রতি গড়ে বছরে ৫-৬ টি ফুল পাওয়া যায়।
(৪) লিলি চাষে রোগ ও পোকা দমন ব্যবস্থা
ক) পাতায় দাগ পড়া
এ রোগের আক্রমণে প্রথমে নিচের পাতায় হলদে দাগ পড়ে এবং আক্রমণের মাত্রার উপর নির্ভর করে বাদামী থেকে কালো দাগে পরিণত হয়।
এ রোগ দমনে অটোস্টিন বা বেনলেট (০.১%) স্প্রে করতে হবে।
খ) পোকামাকড় ও দমন ব্যবস্থা
এ ফুলে পোকামাকড় দ্বারা তেমন কোন আক্রমণ হয় না বললেই চলে।
[সূত্র: বিএআরআই]