Skip to content

শীতকালীন মরিচের জাত বারি মরিচ-৩ চাষের পদ্ধতি/কৌশল ও গাছের পরিচর্যা

শীতকালীন মরিচের জাত বারি মরিচ ৩ চাষের পদ্ধতি কৌশল ও গাছের পরিচর্যা

(১) শীতকালীন মরিচের জাত বারি মরিচ-৩ গাছের বৈশিষ্ট্য

বৈশিষ্ট্য:

  • গাছ লম্বা, ঝোপালো ও প্রচুর শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট হয়।
  • শীতকালে চাষ করা যায়।
  • গাছের উচ্চতা ৭০-৮০ সেমি।
  • প্রতি গাছে গড়ে পাকা মরিচের সংখ্যা ৬০-৭০টি এবং গড় ফলন ১৮০-২০০ গ্রাম।
  • মরিচের রং হালকা সবুজ।
  • ১,০০০ বীজের ওজন ৪-৪.৫ গ্রাম।
  • জীবনকাল ১৮০-২১০ দিন।
  • ফলন ৮-১০ টন/হে. (পাকা মরিচ) ও বীজের ওজন ৪০০-৫০০ কেজি/হেক্টর।

(২) শীতকালীন মরিচের জাত বারি মরিচ-৩ চাষের পদ্ধতি/কৌশল ও গাছের পরিচর্যা

ক) মাটি ও আবহাওয়া

  • পানি নিষ্কাশনে সুবিধাযুক্ত বেলে দোআঁশ থেকে এঁটেল দোআঁশ মাটিতে মরিচ চাষ করা হয়। তবে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ ঊর্বর দোআঁশ মাটি চাষাবাদের জন্য উত্তম।
  • সব মাটিতে মরিচের চাষ করা গেলেও ক্ষারীয় মাটিতে ফলন ভাল হয় না। মাটির পিএইচ ৬.০-৭.০ হলে মরিচের উৎপাদন ভালো হয়।
  • বন্যা বিধৌত পলি এলাকায় মাঝারী ও উঁচু জমি যেখানে বর্ষার পর ভাদ্র (আগস্ট-সেপ্টেম্বর) মাসে ‘জো’ আসে সেখানে মরিচ ভালো হয়।
  • মরিচ উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ভাল জন্মে। সাধারণত ২০- ২৫ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রা মরিচ চাষের জন্য উপযোগী। সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সে. এবং সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় মরিচের গাছের বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়।
  • অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে মরিচ গাছের পাতা ঝরে যায় এবং গাছ পচে যায়।
  • পানি নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত বেলে দোআঁশ থেকে এঁটেল-দোআঁশ মাটিতে মরিচ চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোআঁশ বা পলি দোআঁশ মাটি চাষাবাদের জন্য উত্তম। মাটি অতিরিক্ত ভিজা থাকলে ফুল ও ফল ঝরে পরে।
  • মাটির pH ৬.৫-৭.০ হলে মরিচের ফলন ভাল হয়।

খ) বপন/রোপণ সময়

বারি মরিচ-৩ এর জন্য সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বীজ তলায় বীজ বপন করতে হবে। মূল জমিতে সেপ্টেম্বর মাসে বীজ বপন করতে হবে এবং অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত মূল জমিতে চারা রোপণের উপযুক্ত সময়।

গ) বীজহার ও রোপন পদ্ধতি

বারি মরিচ-৩ এর বীজ ১.০-১.৫ কেজি/হে. সারিতে বপন ও ২.০-৩.০ কেজি/হে. ছিটিয়ে রোপণের জন্য দরকার। প্রতি হেক্টর জমিতে ৪০,০০০ চারা প্রয়োজন।

ঘ) মরিচের বীজ শোধন

  • বীজ তলায় বীজ বপনের আগে মরিচের বীজকে শোধন করে নিতে হবে এতে করে চারা অবস্থায় রোগ-বালাই কম হবে।
  • অটোস্টিন বা প্রোভেক্স জাতীয় ছত্রাকনাশক দিয়ে বীজ শোধন করা যায়।
  • প্রতি লিটার পানিতে ২.০ গ্রাম অটোস্টিন ও ২.৫ গ্রাম প্রভেক্স-২০০ দ্বারা বীজ শোধন করতে হবে বীজ বপনের পূর্বে মরিচ বীজ উপরে উল্লেখিত ছত্রাক নাশক দ্বারা ৩০ (ত্রিশ) মিনিট ভিজিয়ে রেখে ছায়াযুক্ত স্থানে ১০-১৫ মিনিট শুকাতে হবে।
  • বীজশোধনের কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও শোধিত বীজ ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বীজ শোধনের ফলে বীজ বাহিত রোগ সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
See also  মরিচ গাছের রোগের প্রতিকার ও পোকা দমন

ঙ) বীজ তলা তৈরি

  1. ‘বারি মরিচ-৩’ এর চারা উৎপাদন করে মূল জমিতে রোপণ করার ক্ষেত্রে উত্তম চারা উৎপাদনে বিশেষ দৃষ্টি রাখা আবশ্যক।
  2. অপেক্ষাকৃত উঁচু জমি যেখানে পানি দাড়ায় না, যথেষ্ট আলো বাতাস পায়, পানি সেচের উৎস রয়েছে এবং আশে পাশে সোলানেসী পরিবারের কোন উদ্ভিদ নাই এরূপ জমি বীজতলা তৈরির জন্য উত্তম।
  3. প্রতিটি বীজ তলার আকৃতি ৩ মি. X ১ মি. হওয়া বা নীয়। এ ধরনের প্রতিটি বীজ তলায় ১৫ গ্রাম হারে বীজ সারিতে বপন করতে হবে।
  4. ভাল চারার জন্য প্রথমে বীজতলার মাটিতে প্রয়োজনীয় কম্পোস্ট সার এবং ছাই মিশিয়ে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।
  5. শোধিত বীজ তৈরিকৃত বীজতলায় ৪-৫ সেমি দূরে দূরে সারি করে ১ সেমি গভীরে সরু দাগ টেনে ঘন করে বপন করতে হবে।

চ) চারার পরিচর্যা

  1. বীজ বপনের পর বীজতলায় বীজ যাতে পোকামাকড় দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম সেভিন মিশিয়ে মাটিতে দিতে হয়।
  2. বীজ বপনের পর অতিবৃষ্টি বা প্রখর রোদ থেকে রক্ষা পেতে বাঁশের চাটাই বা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে। বাঁশের চাটাই বা পলিথিন সকাল, বিকাল বা রাতে সরিয়ে নিতে হবে।
  3. চারা গজানোর সাথে সাথে ইনসেক্ট গ্রুপ নেট দিয়ে চারা ঢেকে দিতে হবে। এই নেট রোদ, বৃষ্টি এবং ভাইরাস বহনকারী বিভিন্ন পোকামাকড় থেকে চারাকে রক্ষা করবে।
  4. বীজ বোনার পর চারা বের না হওয়া পর্যন্ত নেটের উপর ঝরনা দিয়ে সেচ দেয়া আবশ্যক।
  5. ৫-৭ দিনের মধ্যে বীজ গজায়। চারা ৩-৪ সেমি হলে নির্দিষ্ট দূরত্বে চারা পাতলা করা হয়।
  6. বীজতলায় আগাছা গজালে ১-২ বার নিড়ানী দিয়ে আগাছা বেছে মাটি আলগা করে দিলে চারা ভাল হয়।
  7. চারা তোলার আগের দিন বীজতলায় সেচ দিলে মাটি নরম হয়। এতে শিকড়ের ক্ষতি না করে সহজেই চারা তোলা যায় এবং চারা সহজেই জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
  8. চারার বয়স ৩০-৩৫ দিন হলে জমিতে লাগানোর উপযোগী হয়। খাট, মোটা কান্ড ও ৪-৫ পাতা বিশিষ্ট চারা লাগানোর জন্য ভাল।
  9. সারি থেকে সারি ৫০ সেন্টিমিটার এবং গাছ থেকে গাছ ৫০ সেন্টিমিটার দূরত্বে রোপণ করতে হবে।
  10. চারা রোপণের মুহুর্তে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এর ফলে মাটিতে সহজে গাছ নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।

ছ) জমি তৈরি

  1. শীতকালীন মরিচের জন্য প্রথমে জমিকে চারিদিক দিয়ে আইলের অতিরিক্ত অংশ কেটে নিতে হবে। তারপর ৪-৬টি গভীর চাষ ও মই দিতে হবে।
  2. জমিতে শেষ চাষের পর মই দিয়ে সমান করে আগাছা বেছে ফেলে দিতে হবে।
  3. মাটির ঢিলা ভেঙ্গে মাটি ঝুরঝুর ও সমতল করে নিতে হবে।
  4. জমি তৈরিতে শেষ চাষের আগে জৈব এবং রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে।
  5. এরপর বেড তৈরি করতে হবে। বেড চওড়ায় ১ মিটার হলে ভাল হয়। তবে দৈর্ঘ্য জমির আকার অনুসারে হলে ভাল হয়।
  6. বেডের উচ্চতা ১০-১৫ সেমি হতে হয়। পাশাপাশি দুটো বেডের মাঝখানে ৪০-৫০ সেমি প্রশস্ত এবং ১০ সেমি গভীরতা বিশিষ্ট নালা পানি সেচ ও নিষ্কাশনের সুবিধার্থে রাখতে হয়।
See also  মরিচ চাষ পদ্ধতি, মরিচ গাছে সার দেওয়ার নিয়ম, মরিচ গাছের পরিচর্যা এবং টবে মরিচ চাষ পদ্ধতি
সারের নামহেক্টর প্রতি পরিমাণশেষ চাষের সময় জমিতে প্রয়োগসারের উপরি প্রয়োগ: ১ম কিস্তিসারের উপরি প্রয়োগ: ২য় কিস্তিসারের উপরি প্রয়োগ: ৩য় কিস্তি
গোবর/কম্পোস্ট১০ টনসম্পূর্ণ
ইউরিয়া২১০ কেজি৭০ কেজি৭০ কেজি৭০ কেজি
টিএসপি৩০০ কেজিসম্পূর্ণ
এমওপি২০০ কেজি৫০ কেজি৫০ কেজি৫০ কেজি৫০ কেজি
জিপসাম১১০ কেজিসম্পূর্ণ
জিংক সালফেট১২ কেজিসম্পূর্ণ
বোরিক এসিড১০ কেজিসম্পূর্ণ

জ) সার ব্যবস্থপনা ও প্রয়োগ পদ্ধতি

  1. উপরে উল্লিখিত হারে জমিতে সার প্রয়োগ করতে হবেশেষ চাষের সময় সম্পূর্ণ গোবর বা কম্পোস্ট, টিএসপি, জিপসাম, জিংক, বোরন এবং এমওপি ৫০ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।
  2. বাকি এমপি এবং ইউরিয়া সার তিন কিস্তিতে বীজ গজানোর ২৫, ৫০ এবং ৭৫ দিন পর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
  3. সাধারণত সকাল বেলা কিংবা বিকাল বেলা জমিতে সার প্রয়োগ করতে হয়।
  4. জমিতে সেচ দেওয়ার পর পানি বের করে দিয়ে অর্থাৎ জমিতে সেচ দেওয়ার পর যখন কোন পানি জমিতে জমে না থাকে সে সময় ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। কারণ সেচের পর জমিতে সার প্রয়োগ করলে সার তাড়াতাড়ি মাটির সাথে মিশে যায়। এভাবে সার প্রয়োগ করলে সারের অপচয় কম হয়।
  5. তবে এমওপি সেচের পূর্বে গাছের গোড়া থেকে ১০-১৫ সেমি দূরে প্রয়োগ করে নিড়ানী দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।

ঝ) হরমোন প্রয়োগ

  • প্ল্যানোফিক্স নামক হরমোন প্রয়োগে দেখা গেছে মরিচের ফুল কম ঝরে এবং ফলন বাড়ে।
  • এক মিলিলিটার প্ল্যানোফিক্স ৪.৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে সমস্ত গাছের উপর ছিটিয়ে দিতে হবে।
  • ফুল আসলে প্রথমবার এবং ২০-২৫ দিন পর দ্বিতীয়বার প্রয়োগ করতে হবে।
  • এক হেক্টর জমিতে প্রায় ৫০০ লিটার মিশ্রণের প্রয়োজন হয়।

ঞ) নিড়ানী

জমিতে আগাছার পরিমাণের উপর নির্ভর করে নিড়ানী দিতে হবে। যদি আগাছা বেশি থাকে তাহলে নিড়ানী বেশি দিতে হবে। অর্থাৎ জমিতে কোনক্রমেই আগাছা রাখা যাবে না।

ট) সেচ

  • মাটিতে অতিরিক্ত আর্দ্রতা মরিচ সহ্য করতে পারে না আবার বেশি সেচ প্রয়োগ করলে গাছ লম্বা হয় ও ফুল ঝড়ে যায়।
  • জমির আর্দ্রতার উপর নির্ভর করে ৩/৪টি সেচ দিতে হবে।
  • ফুল আসার সময় এবং ফল বড় হওয়ার সময় জমিতে পরিমানমতো আর্দ্রতা রাখতে হবে।
See also  মরিচের উন্নত/উচ্চ ফলনশীল জাত বারি মরিচ-৪ চাষ পদ্ধতি ও মরিচ গাছের পরিচর্যা

ঠ) মালচিং

সেচের পর মাটিতে চটা বাঁধলে নিড়ানী দিয়ে ভেঙ্গে দিতে হবে তাতে শিকড় প্রয়োজনীয় বাতাস পায় এবং গাছের বৃদ্ধি তরান্বিত হয়।

ড) মাটি তোলা

ভাল ফসলের জন্য ৩-৪ বার দুই সারির মাঝের মাটি গাছের গোড়ায় তুলে দিতে হয়। সার প্রয়োগের পর পরই মাটি তুলে দিতে হয়। এতে গাছের গোড়া শক্ত হয় এবং পানি নিষ্কাশনের সুবিধা হয়।

ঢ) খুঁটি প্রদান

অধিক উচ্চতা, ফলনের ভার, ঝর বা অতি বৃষ্টি কারণে গাছ হেলে। ফলে মরিচের গুণাগুণ হ্রাস পায়। প্রায় হেলে পড়া থেকে রক্ষা পাবার জন্য খুঁটি প্রদান করা হয়। গাছের পাশে বাঁশের খুঁটি পুঁতে প্লাস্টিকের সুতলী দিয়ে গাছ বেধে দিতে হবে।

ণ) ফসল সংগ্রহ

  • মরিচ পাকা অবস্থায় তোলা হয়। বীজ বপনের ৬০-৬৫ অথবা চারা লাগানোর ৩৫-৪০ দিন পর গাছে ফুল ধরতে শুরু করে, ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে ফল ধরে এবং ৭৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ফল পাকতে আরম্ভ করে।
  • সাধারণত কৃষকের প্রথম বারের সংগৃহীত ফসল কাচা মরিচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পরের মরিচ পাকা (লাল রং) হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। লম্বা, উজ্জল লাল বর্ণ, চকচকে, পাতলা মসৃণ ত্বক এবং বেশি ঝাঁঝের পাকা মরিচ (যা পরবর্তীতে শুকানো হয়) মসলা হিসাবে অধিক জনপ্রিয়।
  • মরিচের ফুল ফোটা, ফল ধরা, রং ধারণ ইত্যাদি তাপমাত্রা, মাটির ঊর্বরতা এবং ভালো জাতের উপর নির্ভর করে। উষ্ণ তাপমাত্রায় ফল তাড়াতাড়ি পাকে এবং ঠান্ডায় ফল পাকতে দেরি হয়। অনুকূলে আবহাওয়া বিরাজ করলে এর স্বাভাবিক উৎপাদন কয়েক মাস পর্যন্ত চলতে পারে।
  • পাকা মরিচ সাধারণত ৩-৫ পর্যায়ে তুলতে হয়। বোঁটাসহ মরিচ তুলতে হয়। কারণ বোটা ছাড়া মরিচ তাড়াতাড়ি সজিবতা হারায় ও সহজে রোগাক্রান্ত হয়। শুকনো মরিচের জন্য আধাপাকা মরিচ তুললে মরিচের রং ও গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায়।

ত) শুকানো

  • পাকা মরিচ পাকা মেঝে বা মাটিতে পলিথিনের উপরে অথবা পাকা বাড়ীর ছাদে ৫-৮ সেন্টিমিটার পুরু করে বিছিয়ে সূর্যের আলোতে শুকানো হয়। তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে, সরাসরি সূর্যের আলো মরিচে “হোয়াইট প্যাচ” সৃষ্টি করে যা মরিচের গুণগত মান নষ্ট করে। সাধারণত ২২-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মরিচ শুকানোর জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট।
  • সব মরিচের রং সমভাবে ঠিক রেখে শুকানোর জন্য এবং যাতে মোল্ড/ছত্রাক জন্মাতে না পারে সে জন্য মাঝে মাঝে রৌদ্রের মধ্যে মরিচ নেড়ে দিতে হবে।
  • ভালভাবে না শুকালে মরিচের রং, ঝাঝ এবং চকচকে ভাব নষ্ট হয়ে যায়। ভাল বীজ উচ্চ অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা, উজ্জল রং, উন্নত পুষ্টিমান, অণুজীবের আক্রমণ এবং আফলাটক্সিন এর হাত হতে মরিচকে রক্ষার জন্য শুকনো মরিচের আর্দ্রতা ৮-১০% মধ্যে রাখতে হবে।
  • শুকানোর সময় রোগে আক্রান্ত এবং রং নষ্ট হয়ে যাওয়া মরিচ বেছে ফেলে দিতে হবে।
  • সাধারণত ১০০ কেজি পাকা মরিচ শুকিয়ে ২৫-৩৫ কেজি (১ কেজি পাকা মরিচ শুকালে ২৫০-৩০০ গ্রাম) শুকনো মরিচ পাওয়া যায়।
  • সোলার ড্রায়ার এর সাহায্যও মরিচ শুকানো যায়। ৮ ফুট লম্বা ৪ ফুট চওড়া এবং ৪ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হার্ডবোর্ড, কাঁচ ও তারের জাল দিয়ে ৩-৪ স্তর বিশিষ্ট সোলার ড্রায়ার তৈরি করে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে মরিচ শুকানো যায়। এতে মরিচের রং ভাল থাকে।

থ) সংরক্ষণ

দূরবর্তী স্থানে কাচা মরিচ পরিবহনের ক্ষেত্রে ছিদ্রযুক্ত বাঁশের ঝুড়ি এবং চটের ব্যাগ ব্যবহার করলে মরিচ ভাল থাকে। মরিচ শুকানোর পরে ছায়াযুক্ত স্থানে ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করতে হবে।

[সূত্র: বিএআরআই]

Leave a Reply

nv-author-image

ইন বাংলা নেট কৃষি

পশু-পাখি পালন ও চাষাবাদ সম্পর্কিত যা কিছু বাংলাতে।View Author posts