Skip to content

উত্তম কৃষি পদ্ধতি (জিএপি)

উত্তম কৃষি পদ্ধতি (জিএপি)

নিচে Good Agricultural Practices (GAP) বা উত্তম কৃষি পদ্ধতি (জিএপি) কি ও কেন, এর গুরুত্ব, নির্দেশনা ও অনুসরণ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হলো-

(১) জিএপি কি ও কেন?

Good Agricultural Practices (GAP) বা উত্তম কৃষি পদ্ধতি (জিএপি) হলো একধরনের পদ্ধতি যা সামগ্রিক কৃষি কার্যক্রমের পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সুরক্ষা সুসংহত করে, ফলশ্রুতিতে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত কৃষিজাত পণ্য সহজলভ্য হয়। ইহা একগুচ্ছ নীতি-বিধি ও প্রযুক্তিগত সুপারিশমালা যা সামগ্রিক কৃষি উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও পরিবহনের বিভিন্ন স্তরে প্রয়োগ করা হয়।

বাংলাদেশ হতে বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৫০-৬০টি কৃষিপণ্য (ফলমূল ও শাকসবজি) নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে এবং ক্রমেই তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া, ইউরোপের মূল মার্কেটে বাংলাদেশি কৃষিপণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) কর্তৃক আরোপিত পরিচ্ছন্নতার মান বিষয়ক নীতিমালার কারণে বাংলাদেশসহ বহু উন্নয়নশীল দেশ কৃষিপণ্য (ফলমূল ও শাকসবজি) রপ্তানিতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে পৃথিবীর প্রায় সবদেশেই Good Agricultural Practices (GAP) অনুসরণ করে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন ফলমূল ও শাকসবজি উৎপাদন যেমন- সম্ভব পাশাপাশি রপ্তানিও সহজতর করা সম্ভব হচ্ছে।

কৃষি উৎপাদন থেকে পণ্য পরিবহন, বাজারজাত, গুদামজাত ও সংরক্ষণকালে নানা প্রকার ঝুঁকির মোকাবেলা করতে হয়। এ সকল প্রতিবন্ধকতা থেকে কৃষিজাত পণ্য বিশেষ করে ফল ও সবজিকে নিরাপদ রাখা অত্যন্ত জরুরি। পৃথিবীর প্রায় সবদেশেই কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাপনা নিরাপদ ও মানসম্পন্ন করার লক্ষ্যে Good Agricultural Practices (GAP) প্রবর্তন করা হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও GAP কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

(২) জিএপি এর গুরুত্ব

জিএপি নিরাপদ ও মানসম্পন্ন কৃষিজাত খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য কৃষিপণ্য উৎপাদন ও সরবরাহের মাধ্যমে জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষা ও কৃষি উৎপাদন পরিবেশ উন্নত করে। জমি ও পানির দূষণ রোধ, কৃষিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং প্রক্রিয়াকরণ ও পরিবহন ব্যবস্থপনা সুসংহত করে। ইহা কৃষি উৎপাদন কার্যক্রমের সকল পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করে।

জিএপি অনুসরণে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। সর্বোপরি দেশে এবং বহির্বিশ্বে কৃষি পণ্যের নতুন ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি করে উৎপাদনকারী তথা কৃষকের জীবনমানের উন্নয়ন সাধন করে। এছাড়া, জিএপি প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার, শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কাজের পরিবেশ উন্নত করে।

(৩) সবজি ও ফল উৎপাদনে জিএপি এর নির্দেশনা

জিএপি নীতিমালায় ফসল উৎপাদনের প্রতিটি স্তরের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যা নিরাপদ এবং মানসম্পন্ন ফলন প্রাপ্তি নিশ্চিত করে। তবে ফসল উৎপাদনের শুরু থেকেই জিএপি নীতি ও সুপারিশমালা অনুসরণ আবশ্যক। ফসল ও জাতভেদে জিএপি নীতি ও সুপারিশমালায় কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।

ক) স্থান নির্বাচন বিষয়ে জিএপি এর নির্দেশনা

ফল ও সবজি উৎপাদনে উপযুক্ত স্থান নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফসল ও জাতের গুণাগুণ বিবেচনা করে স্থান নির্বাচন করতে হবে। স্থান নির্বাচন সঠিক না হলে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। নিয়মিত বিরতিতে গবেষণাগারে বিশ্লেষণ করে মাটিতে কোনো ক্ষতিকর উপাদান থাকলে তা নিশ্চিত হয়ে ফসল উৎপাদন করতে হবে। খামারের জমি কখনো অকৃষি কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না, এতে অণুজীব ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের সংক্রমণ হতে পারে।

ক) চাষাবাদের পরিবেশ ও চাষ পদ্ধতি

আবাদকৃত ফসল বা জাত অবশ্যই জলবায়ু, মাটি, বাজার চাহিদা এবং ফসল বিন্যাস এবং উৎপাদন লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জ্যপূর্ণ হতে হবে। মানসম্পন্ন বীজ বা চারা উচ্চ অঙ্কুরোদগম, বিশুদ্ধ, সুষম ও জীবনীশক্তি সম্পন্ন এবং অবশ্যই অনুমোদিত ও বিশ্বস্ত উৎস হতে সংগ্রহ করতে হবে এবং জন্ম ও পরিবহন সংক্রান্ত তথ্যাদি সংরক্ষণ করতে হবে।

ফসল বা জাত নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধান প্রধান রোগ ও পোকামাকড়-এর বিরুদ্ধে মধ্য হতে উচ্চ মাত্রায় প্রতিরোধী/সহনশীল, সুস্বাদু, দীর্ঘ সেলফ লাইফ, বাজারে প্রতিযোগিতা করা এবং পরিবহনজনিত আঘাত/চাপ মোকাবিলার ক্ষমতার বিষয়সমূহ বিবেচনা করতে হবে।

মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে সারের মাত্রা ঠিক করতে হবে। জৈব পদার্থ/গোবর বা মানুষের মলমূত্র কাঁচা ব্যবহার করা যাবে না, প্রাকৃতিক সার ও মুরগির বিষ্ঠা অবশ্যই ভালোভাবে পচানো হতে হবে। সারের পরিমাণ ও প্রয়োগবিধি সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।

গ) পানির গুণাগুণ ও সেচ

পানির গুণাবলি সতেজ ফল ও সবজির অণুজৈবিক সংক্রমণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফসলের চাহিদা অনুসারে সেচ প্রদান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেচ কম বা বেশি হলে ফসল উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই সঠিক পদ্ধতিতে পরিমিত মাত্রায় সেচ প্রদান করতে হবে।

ঘ) শস্য সংরক্ষণ

ফসল সংরক্ষণে স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অবলম্বন করা উত্তম। সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনা ফলপ্রসূ না হলে অনুমোদিত মাত্রায় ও সঠিক পদ্ধতিতে কীটনাশক ও বালাইনাশক প্রয়োগ করা যাবে। কার্যকর পোকা-মাকড় নিয়ন্ত্রণে সঠিক কীটনাশক ও বালাইনাশক নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কীটনাশক নির্বাচনের পূর্বে আক্রান্ত পোকা রোগবালাই অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে।

অনুমোদিত মাত্রায়, সঠিক অবস্থায়, অবশ্যই সকল নিয়ম-কানুন, প্রয়োগবিধি ও বিরতি অনুসরণ করে শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারাই কীটনাশক ও বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হবে। কীটনাশকের মিশ্রণ ভালো মানের পরিষ্কার পানি ব্যবহার করে নির্ধারিত, নিরাপদ ও বায়ু চলাচল করে এমন স্থানে তৈরি করতে হবে।

ঙ) ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ

ফসল সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও গুদামজাতকরণের সঠিক সময় ও পদ্ধতির উপর উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান মূলত নির্ভর করে। পরিপক্কতা সূচক (maturity index) নির্ণয় করে ফসল সংগ্রহ বা কর্তন করা হলে উৎপাদিত পণ্য গুণ ও মানসম্পন্ন হয়। ফসল সংগ্রহের সময় কীটনাশক ও বালাইনাশকের প্রি-হারভেস্ট ইনটারভেল ও উইড্রল প্রিয়েড (ফসলে কীটনাশক প্রয়োগের পর সংগ্রহ ও বিষক্রিয়া অতিক্রমের সময়সীমা) অতিক্রমের নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

চ) তথ্য সংগ্রহ বিষয়ে জিএপি এর নির্দেশনা

উৎপাদন এবং সংগ্রহোত্তর কার্যক্রম বিষয়ে স্বচ্ছ, নির্ভুল এবং সর্বশেষ তথ্যাদি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। এমন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যাতে যে কোনো নির্দিষ্ট কার্যক্রমের খামার হতে বিক্রয় পর্যন্ত সকল তথ্য অনুসরণ করা সম্ভব হয়। এসব তথ্য কমপক্ষে দুই বছর সংরক্ষণ করতে হবে।

(৪) ফসল উৎপাদনে জিএপি এর অনুসরণ

আধুনিক কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় বিভিন্ন উপাদান যেমন, সার, সেচ ও বিভিন্ন কীটনাশকের ব্যবহার হয়ে থাকে এবং প্রায়শ নানাবিধ রোগ ও পোকা দ্বারা আক্রান্ত হয়। উৎপাদিত পণ্য পরিবহন, গুদামজাত ও সংরক্ষণের সময়ও নানা প্রকার ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। এ সকল প্রতিবন্ধকতা থেকে কৃষিজাত পণ্য বিশেষ করে ফল ও সবজিকে নিরাপদ রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাপনা নিরাপদ ও মানসম্পন্ন করার লক্ষ্যে Good Agricultural Practices (GAP) প্রবর্তন করা হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও GAP কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাংলা ভাষায় GAP কে উত্তম কৃষি পদ্ধতি (জিএপি) হিসেবে ভাষান্তর করা হয়েছে।

উত্তম কৃষি পদ্ধতি (জিএপি) হলো একগুচ্ছ প্রযুক্তিগত সুপারিশমালা যা কৃষি উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও পরিবহনের বিভিন্ন স্তরে প্রয়োগ করে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করে। জিএপি অনুসরণে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, কাজের পরিবেশ ও সামাজিক সুরক্ষা সুসংহত, পরিবেশ সংরক্ষণ ও নিরাপদ মানসম্পন্ন খাদ্যপণ্য সহজলভ্য হয়।

উত্তম কৃষি পদ্ধতি চারটি মূলনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত, যেমন-

  1. নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাদ্য উৎপাদন,
  2. পরিবেশ সুরক্ষা ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ,
  3. জীবনমান ও টেকসই সামাজিক উন্নয়ন এবং
  4. নিরাপত্তা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও কর্মী/শ্রমিক কল্যাণ।

ফসল উৎপাদনের জন্য স্থান নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফসল ও জাতের গুণাগুণ বিবেচনা করে স্থান নির্বাচন করতে হবে। স্থান নির্বাচন সঠিক না হলে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া, স্থান নির্বাচনের পূর্বে মাটি ও জলবায়ু, বিদ্যুৎ, পানি প্রাপ্যতা, যাতায়াত ব্যবস্থা, বাজার সংযোগ, সর্বোপরি শ্রমিকের প্রাপ্যতা ইত্যাদি বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য থাকতে হবে।

গাছের উপযুক্ত বৃদ্ধি, ফসলের গুণাগুণ এবং অধিক ফলনশীলতার জন্য মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকা জরুরি। উত্তম কৃষি পদ্ধতি (জিএপি) এর ক্ষেত্রে জৈব সারের নিরাপদ ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।পরিপূর্ণভাবে পড়ে যাওয়া জৈব পদার্থ ব্যবহারের পূর্বে অণুজীবীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করতে হবে।

জমির প্রকারভেদে গাছের বয়স ও মাটির প্রকৃতির উপর ফসলের পুষ্টির চাহিদার তারতম্য হয়। সময় ও মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে সারের প্রয়োগ মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত এতে অপচয় কম হয় ও অধিক ফলন পাওয়া যায়। শুধুমাত্র অনুমোদিত ও রেজিস্টার্ড সার ব্যবহার করতে হবে যা যে কোনো ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বিশেষ করে হেভি মেটালমুক্ত হতে হবে।

ফসল সংরক্ষণে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অবলম্বন করা উত্তম। সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব। সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনায় কাজ না হলে অনুমোদিত মাত্রায় ও পদ্ধতিতে কীটনাশক প্রয়োগ করা যাবে।

কীটনাশক বিষাক্ত রাসায়নিক যা মাঠ ও ঘরের পোকা দমনে ব্যবহার করা হয়। সঠিক নিয়মনীতি অনুসরণ না করে কীটনাশক ব্যবহার পরিবেশ বিশেষ করে মাঠকর্মী ও ক্রেতার জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। পোকা ও রোগ সঠিকভাবে শনাক্ত করে সঠিক কীটনাশক নির্বাচন করতে হবে এবং অনুমোদিত মাত্রা ও পদ্ধতি অনুসরণ করে কীটনাশক ফসলে প্রয়োগ করতে হবে।

কীটনাশক প্রয়োগকারীকে অবশ্যই এ্যাপ্রোন, মুখোশ, চশমা ইত্যাদি পরিধান করতে হবে। কীটনাশক সবসময় আসল মোড়ক অবস্থায় লেবেলসহ সংরক্ষণ ও পরিবহন করতে হবে। মজুদ স্থান শুকনা, বায়ু চলাচল উপযোগী ও পানির উৎস এবং মানুষ চলাচলের এলাকা থেকে দূরে রাখতে হবে।

কীটনাশক কখনো মানুষ ও পশুখাদ্যের সাথে মজুদ করা যাবে না। কীটনাশক প্রয়োগের অপেক্ষমাণ সময় অতিক্রমের নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। কীটনাশক প্রয়োগের ব্যবহার সামগ্রী, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম এবং পাত্রসমূহ পরিষ্কার পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে।

ফসল সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও গুদামজাতকরণের সময় সঠিক পদ্ধতি ব্যবহারের উপর মূলত উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান নির্ভর করে। সঠিক পরিপক্বতায় উৎপাদিত পণ্য সংগ্রহ করতে হবে। সঠিকভাবে সংগ্রহ করা পণ্য গুন ও মানসম্পন্ন হয়।

ফসল সংগ্রহের সময় কীটনাশক প্রয়োগের নির্দেশনা (ফসলে কীটনাশক প্রয়োগের পর সংগ্রহ ও বিষক্রিয়া অতিক্রমের সময়সীমা) কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

সংগ্রহ করা পণ্য প্যাকিং হাউজে প্রেরণ বা পরিবহনের পূর্ব পর্যন্ত ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। জমি থেকে পণ্য সংগ্রহে প্লাস্টিক ক্যারেট ব্যবহার করা উত্তম।

কৃষি সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট কৃষি’ (inbangla.net/krisi) এর সাথেই থাকুন।

Leave a Reply

nv-author-image

inbangla.net/krisi

Everything related to animal and plants in the Bangla language!View Author posts