Skip to content

 

নিরাপদ খাদ্য বলতে কি বুঝায়?

নিরাপদ খাদ্য বলতে কি বুঝায়

(১) নিরাপদ খাদ্য বলতে কি বুঝায়?

নিরাপদ খাদ্য বলতে বুঝায়-

যে খাবার সঠিক ও নিরাপদ উপায়ে উৎপাদন, সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাত, বাজারজাত ও সংরক্ষণ করা হয় এবং খাদ্যে রোগ-জীবাণুর উপস্থিতির ঝুঁকি কম থাকে তাকে নিরাপদ খাবার বলে।

নিরাপদ খাবারের বৈশিষ্ট্য-

  1. বাসি-পচা, ছত্রাক ও মাছি পড়া বা দুর্গন্ধযুক্ত খাবার দ্রব্য বা উপকরণ থাকবে না।
  2. মিষ্টি, জিলাপিসহ অন্যান্য খাবার এ অননুমোদিত কোনো প্রকার রং থাকবে না।
  3. ফল যেমন টমেটো, কলা, পেঁপে, আম পাকাতে শুধু ইথোফেন (২-ক্লোরো ইথাইল ফসফনিক এসিড) নির্ধারিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
  4. ফল বিশেষ করে আম পাকাতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করা বা এর উপস্থিতি থাকবে না।
  5. মাছে ফরমালিন গ্রহণযোগ্য নয়। সেজন্য মাছ কাটার পর কয়েকবার পানি বদল করে পরিষ্কার পানিতে ভালো করে মাছ ধুয়ে নিয়ে রান্না করতে হবে।
  6. নিরাপদ পানি খাওয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করতে হবে। ভালো হলো পানি ফুটিয়ে পান করা।
  7. যে সমস্ত খাদ্য রান্না না করে সরাসরি খাওয়া হয় যেমন: সালান, বিভিন্ন সবজি পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে খাওয়া।

(২) খাবার নিরাপদ রাখার পদ্ধতি

ক) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা

  • খাবার তৈরির সময় হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
  • খাবার বাসন, বাটি, ছুরি, কাচি ব্যবহারের আগে ধুয়ে নিতে হবে।
  • খাবার পোকামাকড় মুক্ত ও রান্নাঘর সর্বদা স্যাতস্যাতে ও পোকামাকড় মুক্ত রাখতে হবে।
  • হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে।

খ) কাঁচা ও রান্না করা খাদ্য আলাদা রাখা

  • রান্না করা খাবার থেকে কাঁচা মাছ, মাংস, সবজি আলাদা রাখতে হবে।
  • মাছ-মাংস ও সবজি কাটার জন্য মরিচা বিহীন বঁটি ব্যবহার করতে হবে।
  • ঢাকনা যুক্ত পাত্রে রান্না করা খাবার রাখতে হবে।

গ) খাদ্যদ্রব্য ভালোভাবে সিদ্ধ করে রান্না করা

  • মাংস, ডিম ও সামুদ্রিক খাদ্য ভালো করে সিদ্ধ করে রান্না করা।
  • খাবার পুনরায় গরম করার সময় ভালোভাবে গরম করা।
  • দুধ ভালোভাবে ফুটিয়ে পান করা।

ঘ) খাদ্য সামগ্রী সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা

  • রান্না করা খাবার ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ২ ঘণ্টার বেশি না রাখা।
  • ফ্রিজে লম্বা সময় খাদ্য সংরক্ষণ না করা।
  • শিশুদের খাবার টাটকা খাওয়ানো
  • রান্নায় ব্যবহৃত খাবার তেল পুনরায় ব্যবহার না করা।

ঙ) নিরাপদ ও পরিষ্কার পানি ব্যবহার করা

  • টিউবওয়েল ও ফুটানো পানি নিরাপদ।
  • মানসম্পন্ন খাদ্যসামগ্রী ব্যবহার করা।
  • ফলমূল, শাক-সবজি খাওয়া বা রান্নার পূর্বে ধোয়ার কাজে নিরাপদ পানি ব্যবহার করা।

(৩) এক নজরে খাদ্য নিরাপদ রাখার মূল চাবিকাঠি

  1. পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখি: পরিচ্ছন্নতার প্রথম ধাপ সাবান দিয়ে হাত ধোয়া পরিচ্ছন্ন থালা-বাসর রাখবে সুস্থ সবার জীবন।
  2. কাঁচা রান্না করা খাদ্য আলাদা রাখি: কাচা মাছ-মাংসকে শাক-সবজি থেকে আলাদা রাখি। কাঁচা ও রান্না করা খাদ্য আলাদা রাখি।
  3. সঠিকভাবে রান্না করি: সঠিক তাপে ভালে ভঅবে সিদ্ধ করে রান্না করি
  4. নিরাপদ তাপমাত্রায় খাদ্য সংরক্ষণ করি: রান্না করা খাবার ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার নিচে (ফ্রিজে) সংরক্ষণ করি। রান্না করা খাবার পরিবেশনের আগে ভঅলোভঅবে গরম করি

    নিরাপদ পানি ও খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করি: নিরাপদ উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করি। পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে খাই। ফল-মূল ও শাক-সবজি নিরাপদ পানি দিয়ে ধুয়ে নিই
  5. পোঁড়া তেলকে না বলি: রান্না বা ভাজা পোড়ায় ব্যবহৃততেল পুনরায় ব্যবহার না করি।

[সূত্র: এনসিটিবি]

Leave a Reply

nv-author-image

inbangla.net/krisi

Everything related to animal and plants in the Bangla language!View Author posts

You cannot copy content of this page