খাদ্যের ছয়টি পুষ্টি উপাদান (শর্করা, আমিষ, স্নেহপদার্থ, ভিটামিন, পানি ও খণিজপদার্থ) দেহের যাবতীয় কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে। চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত ও সঠিক অনুপাতে এই পুষ্টি উপদানগুলো সরবরাহ না করতে পারলে গবাদিপশু ও পাখির উৎপাদন ব্যহত হবে। তাই পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে খামারিদের সঠিক জ্ঞান থাকলে রসদ বা খাদ্যতালিকা তৈরিতে সুবিধা হয়। তাই এখানে গরুর খাদ্য ও দুধের গরুর খাবার তালিকা এবং গাভীর দুধ বৃদ্ধির খাদ্য হিসেবে সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।
এ পাঠ শেষে আপনি- গরুর খাদ্য খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তা বলতে পারবেন। সুষম গরুর খাদ্য হওয়ার পূর্বশর্তগুলো জানতে পারবেন। গরুর খাদ্যের প্রকারভেদ উল্লেখ করতে পারবেন। গাভীর দুধ বৃদ্ধির খাদ্য তালিকা/দুধের গরুর খাবার তালিকা সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। গাভীর দুধ বৃদ্ধির খাদ্য হিসেবে সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
(১) গরুর খাদ্য
আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন তেমনি গবাদিপশুর বেঁচে থাকার জন্যও খাদ্যের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া গবাদিপশু থেকে অধিক মাংস ও দুধ উৎপাদন করতে হলে এদেরকে স্বাভাবিক খাবারের অতিরিক্ত হিসেবে সম্পূরক খাদ্য প্রদান করতে হয়।
ক) গরুর খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা
শুধুমাত্র বেঁচে থাকা ছাড়াও নিম্নলিখিত কারণে গবাদিপশুর খাদ্যের প্রয়োজন। যথা-
- দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও কোষকলার বিকাশ।
- তাপ ও শক্তি উৎপাদন।
- দেহ সংরক্ষণ ও কোষকলার ক্ষয়পূরণ।
- দুধ ও মাংস উৎপাদন।
- প্রজনন ও বংশবৃদ্ধিতে সক্ষমতা অর্জন।
- গর্ভস্থ বাচ্চার বিকাশ সাধন।
খ) গরুর সুষম খাদ্য
গরুর সুষম খাদ্য: যেসব খাদ্য মিশ্রণে গবাদিপশুর দৈহিক প্রয়োজন মিটানোর জন্য উপযুক্ত পরিমাণ ও অনুপাতে সব রকম পুষ্টি উপাদান থাকে সেগুলোকে সুষম খাদ্য বলে।
প্রতিটি গাভীর জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়োজন। কারণ খাদ্যে বিভিন্ন উপাদানের সুষমতার অভাব হলে গাভী তার প্রয়োজন অনুযায়ী পুষ্টি উপাদান পায় না।
ফলে দেহগঠন ও উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। নিম্নলিখিত শর্তগুলো সুষম খাদ্য হওয়ার পূর্বশর্ত-
- এটি রুচিকর হবে।
- পরিমাণ ও আকারে সঠিক হবে।
- খেতে সুস্বাদু হবে।
- দামে সস্তা হবে।
(২) গরুর খাদ্যদ্রব্যের প্রকারভেদ
গবাদিপশু, বিশেষ করে গাভীর খাদ্যদ্রব্যগুলোকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
- আঁশজাতীয় খাদ্য (Roughage)
- দানাদার খাদ্য (Concentrates)
- ফিড অ্যাডিটিভস (Feed Additives)
ক) আঁশজাতীয় খাদ্য
আঁশজাতীয় খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ (Fiber) ও কম পরিমাণে শক্তি (Energy) থাকে। যেমন- বিভিন্ন ধরনের খড়, সবুজ ঘাস, শুকনো ঘাস বা হে, সাইলেজ ইত্যাদি।
আঁশসম্মৃদ্ধ ঘাস গবাদিপশু চারণভূমি থেকে খেতে পারে অথবা খামারি/কৃষক মাঠ বা চাষকৃত জমি থেকে ঘাস কেটে গবাদিপশুকে সরবরাহ করতে পারে।
লিগিউম বা ডালজাতীয় উদ্ভিদের ঘাসে, যেমন- কলাই, খেসারি, কাউপি, ইপিল-ইপিল, আলফা-আলফা ইত্যাদি, সাধারণ ঘাসের তুলনায় অধিক পরিমাণে, আমিষ (Protein), শক্তি, খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন (Vitamin) ও খণিজপদার্থ (Minerals) থাকে।
গরু-গাভীর সাধারণ ঘাসের মধ্যে ভুট্টা, নেপিয়ার, জার্মান, প্যারা প্রভৃতি ঘাস উল্লেখযোগ্য। অন্যান্য ঘাসের তুলানায় এসব ঘাসের ফলন প্রতি উৎপাদন অনেক বেশি।
খ) দানাদার খাদ্য
দানাদার বা দানাজাতীয় খাদ্যে কম পরিমাণে আঁশ ও প্রচুর পরিমাণে শক্তি থাকে।
মাংস ও দুধ উৎপাদনকারী গবাদিপশুর ক্ষেত্রে শুধু আঁশজাতীয় খাদ্য, অর্থাৎ ঘাস বা খড় সরবরাহ করে কখনোই কাঙ্খিত উৎপাদন পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে আঁশজাতীয় খাদ্যের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
উৎস অনুযায়ী দানাদার খাদ্যদ্রবগুলোকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
- প্রাণিজ উৎস: ব্লাডমিল, ফিসমিল, ফিদারমিল ইত্যাদি।
- উদ্ভিজ্জ উৎস: গম, ভুট্টা, সরগাম, বার্লি, খুদ, খৈল, ভুশি, কুঁড়া ইত্যাদি।
গ) ফিড অ্যাডিটিভস
ফিড অ্যাডিটিভসগুলো বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খণিজপদার্থের উৎস। শামুক, ঝিণুকচূর্ণ, চুনাপথর, ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স ফিড অ্যাডিটিড হিসেবে দানাদার খাদ্যের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়।
(৩) গাভীকে খাদ্য প্রদানের থাম্ব নিয়ম
আঁশজাতীয়, দানাদার ও ফিড অ্যাডিটিভস প্রয়োজনমতো সংগ্রহ করে গাভীকে পরিবেশন করতে হবে।
গাবাদিপশু বা গাভীকে যে পরিমাণ খাদ্য পরিবেশন করতে হয় তা এক ধরনের থাম্ব নিয়ম (Thumb Rule) নিয়মে নিরূপণ করা যেতে পারে। যেমন-
- প্রতিদিন একটি গাভী যে পরিমাণ মোটা আঁশযুক্ত খাদ্য খেতে পারে তা তাকে খেতে দেয়া।
- প্রতি ১.৫ লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য গাভীকে খড় ও কাঁচা ঘাসের সঙ্গে প্রতিদিন ০.৫ কেজি দানাদার খাদ্য সরাবরাহ করা।
- শুধু খড় খেলে প্রতি ১.২৫ লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য গাভীকে প্রতিদিন ০.৫ কেজি অতিরিক্ত দানাদার খাদ্য প্রদান করা।
পশু পুষ্টি বিজ্ঞানে প্রতি ৪৫.৫ কেজি দৈহিক ওজনের ভিত্তিতে রসদ সরবরাহের নিয়মও চালু আছে। প্রতি ৪৫.৫ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ০.৯ কেজি আঁশযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করা হয়।
এই নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ২.৪ কেজি উৎপাদনের জন্য ২.৪ কেজি ও পরবর্তী প্রতি ০.৯ কেজি উৎপাদনের জন্য ০.২৩ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
(৪) গাভীর দুধ বৃদ্ধির খাদ্য তালিকা/দুধের গরুর খাবার তালিকা
অন্যান্য পশু-পাখির মতো গাভীর জন্যও উদ্দেশ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের রসদ তৈরি করা হয়। নিচে প্রায় ১০০ কেজি ওজনের একটি গাভীর জন্য সুষম রসদ তৈরির একটি নমুনা দেখানো হয়েছে। এছাড়াও যথাক্রমে ১০০-১৫০ কেজি ও ২০০-২৫০ কেজি ওজনের গাভীর জন্য সুষম রসদ তৈরির দু’টি নমুনা দেখানো হয়েছে।
ক) ১০০ কেজি ওজনের দুধের গরুর খাবার তালিকা
খাদ্য উপকরণ | পরিমাণ |
ধানের খড় | ২.০ কেজি |
কুঁড়া | ০.৫ কেজি |
গমের ভুশি | ০.৫ কেজি |
তিলের খৈল | ০.২ কেজি |
ইউরিয়া | ৩৫.০ গ্রাম |
চিটাগুড় | ০.৫ গ্রাম |
সবুজ ঘাস | ২.০ গ্রাম |
খাদ্য লবণ | ২৫.০ গ্রাম |
বিশেষ দ্রষ্টব্য: দানাদার খাদ্য উপকরণগুলোর সঙ্গে লবণ ও ইউরিয়া ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। খড় ও সবুজ ঘাস ছোট ছোট করে এর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
খ) ১০০-১৫০ কেজি ওজনের দুধের গরুর খাবার তালিকা
খাদ্য উপকরণ | পরিমাণ |
ইউরিয়ার পানিতে ভেজানো খড় (৫%) | ৫.০ কেজি |
সবুজ ঘাস | ১.০ কেজি |
গমের ভুশি | ১.২ কেজি |
ধইঞ্চা বীজ | ০.৫৩ কেজি |
খাদ্য লবণ | ২৫.০ গ্রাম |
বিশেষ দ্রষ্টব্য: পাঁচ কেজি খড়ের উপর ইউরিয়ামিশ্রিত পানি ভালোভাবে ছিটিয়ে দিয়ে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ৩-৪ দিন পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। খড় ও সবুজ ঘাস একসঙ্গে খাওয়াতে হবে। আর দানাদার খাদ্যের সঙ্গে খাদ্য লবণ মিশিয়ে আলাদাভাবে খাওয়ানো উচিত।
গ) ২০০-২৫০ কেজি ওজনের দুধের গরুর খাবার তালিকা
খাদ্য উপকরণ | পরিমাণ |
ধানের খড় | ৩.০ কেজি |
সবুজ ঘাস | ৬.০ কেজি |
ইউরিয়া | ৪৫.০ গ্রাম |
গমের ভুশি/কুঁড়া | ২.০ কেজি |
তিলের খৈল | ০.৫ কেজি |
খাদ্য লবণ | ৪০.০ গ্রাম |
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ধানের খড় ও সবুজ ঘাস একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। ইউরিয়া, গমের ভুশি/কুঁড়া, তিলের খৈল ও খাদ্য লবণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
(৫) গাভীর দুধ বৃদ্ধির খাদ্য হিসেবে সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি
উদ্দেশ্য:
দুধ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ঘাস। এই ঘাস সর্বদা সঠিক পরিমাণে সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে গাভীর দুধ বৃদ্ধির সম্ভব। কিন্তু বন্যা, প্রকৃতিক দুর্যোগ, জমির অপ্রতুল্যতাসহ বিভিন্ন কারণে সবসময় যথেষ্ট গাভীবে যথেষ্ট ঘাস প্রদান করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই ঘাসের সাইলেজ তৈরির মাধ্যমে ৩/৬/১২/২৪/৪৮ মাস অবধি ঘাসকে সংরক্ষণ করা যায়।
পাশাপাশি এই সাইলেজে মোলাসেস বা চিটা গুঁড়সহ কিছু উপাদানে মেশানো এবং গাজান প্রক্রিয়া সংগঠনের ফলে এই সাইলেজ করার ঘাসের পুষ্টিমান অনেক বৃদ্ধি পায়। ভালো মানের সাইলেজের গন্ধ খুবই ভালো হয়, গাভী আনন্দের সাথে সাইলেজ খায় ও দুধের বৃদ্ধি ঘটে।
(ইতিপূর্বে সাইলেজ তৈরি সম্পর্কে একাধিক বিস্তারিত আলোচনা আমারে এই ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা আছে। এই ওয়েবসাইটের উপরের সার্চ অপশন থেকে সাইলেজ লিখে সার্চ করলেই সকল আলোচনা পেয়ে যাবেন। তাই এখানে গাভীর দুধ বৃদ্ধির খাদ্য হিসেবে সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি নিয়ে সংক্ষিপ্ত ভাবে আলেচনা করব।)
মূলতত্ত্ব:
সাইলেজ কি: ঘাসের পুষ্টিমানের কোন পরিবর্তন না করে পচনশীল সবুজ ঘাস প্রাথমিক অবস্থার মতো করে সংরক্ষণ করাকে সাইলেজ বলে। যে মৌসুমে সবুজ ঘাসের অভাব হয়, সে মৌসুমে এই সাইলেজ ব্যবহার করে গো-খাদ্যের অভাব অনেকাংশেই পূরণ করা যায়। সাইলেজে সবুজ ঘাসের মান অক্ষুন্ন থাকে বলে এটি খাওয়ালে গরুর মাংস ও দুধ উৎপাদন ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
- কাঁচা ঘাস (যেমন- প্যারা, ভুট্টা, নেপিয়ার, গিনি ইত্যাদি);
- একটি পাকা সাইলোপিট (৩ মিটার x ২ মিটার x ১০ মিটার);
- শক্ত পলিথিন কাগজ (প্রয়োজনীয় পরিমাণ);
- কিছু এঁটেল মাটি;
- সামান্য পরিমাণ খড় বা নিম্নমানের ঘাস।
কাজের ধাপ:
- প্রথমে নির্বচিত ঘাস (ছোট হলে সম্পূর্ণ ও বড় হলে ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে) সাইলোপিটে রেখে পা দিয়ে ভালো করে চেপে চেপে ভর্তি করুন যাতে কোন ফাঁক না থাকে। কারণ, ফাঁক দিয়ে বাতাস ঢুকলে ঘাস নষ্ট হয়ে যায়।
- প্রতিটা পরতে পরতে হালকা করে চিটা গুড় ঝিঁটিয়ে দিন।
- কাঁচা ঘাস দিয়ে সাইলোপিাট পুরোপুরি ভরার পর তার উপর খড় বা নিম্নমানের ঘাস বিছিয়ে ঢেকে দিন।
- এবার সাইলোপিটের মুখটি পুরোপুরি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিন।
- প্রয়োজনে পলিথিনের উপর মাটি দিয়ে মাটিচাপা দেওয়া যায়। এতে বৃষ্টির পানি পিটে না ঢুকে সহজেই গড়িয়ে যেতে পারে।
- পিটের উপর তিন-চার মাস এভাবে রাখার পর যখন ঘাসের অভাব হয়, তখন পিট থেকে সাইলেজ বের করে গবাদিপশুকে খেতে দিন।
সাবধানতা:
- সাইলোপিট বায়ুরোধী করে তৈরি করতে হবে যাতে বাতাস ঢুকে ঘাস পচিয়ে না দেয়।
- ঘাসের মধ্যে যেন কোনভাবেই পানি ঢুকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রিয় পাঠক বন্ধু, উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা গরুর খাদ্য, খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা, গবাদিপশুর সুষম খাদ্য, গরুর খাদ্যদ্রব্যের প্রকারভেদ, আঁশজাতীয় খাদ্য, দানাদার খাদ্য, ফিড অ্যাডিটিভস, গাভীকে খাদ্য প্রদানের থাম্ব নিয়ম, গাভীর দুধ বৃদ্ধির খাদ্য তালিকা/দুধের গরুর খাবার তালিকা, ১০০ কেজি ওজনের দুধের গরুর খাবার তালিকা, ১০০-১৫০ কেজি ওজনের দুধের গরুর খাবার তালিকা, ২০০-২৫০ কেজি ওজনের দুধের গরুর খাবার তালিকা, গাভীর দুধ বৃদ্ধির খাদ্য হিসেবে সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম।
আমাদের যেমন খাদ্যের প্রয়োজন তেমনি গবাদিপশুর বেঁচে থাকার জন্যও খাদ্যের প্রয়োজন। এছাড়াও অধিক মাংস ও দুধ উৎপাদনের জন্য স্বাভাবিক খাবারের অতিরিক্ত হিসেবে সম্পূরক খাদ্য প্রদান করতে হয়।
গবাদিপশু, বিশেষ করে গাভীর খাদ্যদ্রব্যগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন- আঁশজাতীয় খাদ্য, দানাদার খাদ্য ও ফিড অ্যাডিটিভস। এই তিন ধরনের খাদ্য প্রয়োজনমতো সংগ্রহ করে গবাদিপশু বা গাভীকে সময়মতো পরিবেশন করতে হবে।
কৃষি সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট কৃষি’ (inbangla.net/krisi) এর সাথেই থাকুন।