মুরগি, হাঁস ও রাজহাঁসের মতো কবুতরও পোল্ট্রির জনপ্রিয় প্রজাতি। কবুতর অত্যন্ত সৌখিন পাখি এবং রুচিশীল মানুষের একান্ত শখের বিষয়। এদেরকে গ্রাম, শহরতলী, এমনকি শহরের বাসাবাড়িতে পালন করে থাকে।
কবুতরের মাংস অত্যন্ত সুুস্বাদু ও উপাদেয়। এই মাংস সদ্য রোগ থেকে বেড়ে ওঠা রোগীদের জন্য বলবর্ধক।
নিম্নে কয়েকটি জাতের কবুতরের ছবিসহ কবুতরের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
(১) ফেনটেইল জাতের কবুতরের বৈশিষ্ট্য ও কবুতরের ছবি (Fantail)
কবুতরের ছবি:
উৎপত্তি ও প্রাপ্তিস্থান: এই জাতের কবুতরের উৎপত্তি ভারতে। বর্তমানে বিশ^ব্যাপী এদের দেখা মেলে। এদেশে এরা ময়ূরপঙ্খী নামেও পরিচিত।
কবুতরের বৈশিষ্ট্য:
- এদের লেজ পাখার মতো বিধায় এদের এরকম নামকরণ।
- এদের শারীরিক কাঠামো ছোট হয়।
- এদের বুক ঊর্ধ্বমুখী হয়।
- এদের সবচেয়ে জনপ্রিয় রং হলো সাদা।
- সাদা ছাড়াও হলুদ, কালো, সিলভার বর্ণেরও হতে পারে।
উৎপাদন বৈশিষ্ট্য: প্রাপ্তবয়ষ্ক কবুতরের ওজন ৬০০ গ্রাম। এদের বাচ্চা বা স্কোয়াবের ওজন ৩০০ গ্রাম।
(২) কিং জাতের কবুতরের বৈশিষ্ট্য ও কবুতরের ছবি (King)
কবুতরের ছবি:
উৎপত্তি ও প্রাপ্তিস্থান: এই জাতের কবুতরের উৎপত্তি আমেরকিা। বর্তমানে এদেরকে বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। এরা রেসিংয়ের জন্য বেশি জনপ্রিয়।
কবুতরের বৈশিষ্ট্য:
- এদের দেহের আকার বড় হয়।
- সাদা, নীল, সিলভার, লাল ও হলুদ বর্ণের দেখা যায়।
- পায়ের নালা, পা ও ঠোঁট গোলাপি রঙের হয়ে থাকে।
- প্রাপ্তবয়ষ্ক কবুতরের ওজন ৭৫০ গ্রাম। এদের বাচ্চা বা স্কোয়াবের ওজন ৫০০ গ্রাম।
(৩) হোমার জাতের কবুতরের বৈশিষ্ট্য ও কবুতরের ছবি (Homer)
কবুতরের ছবি:
উৎপত্তি ও প্রাপ্তিস্থান: এদের উৎপত্তি বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড ও জার্মানী। বর্তমানে এ জাতটিকে বিশ্বের প্রায় সর্বত্র পোষা হয়।
কবুতরের বৈশিষ্ট্য:
- নীল, লাল সিলভার ও হলুদ বর্ণের কবুতর খুব জনপ্রিয়।
- দেহ ছোট, কিন্তু পালক খুব আঁটোসাঁটো
- পায়ের নালার রং গোলাপি।
- ঠোঁটের রং কালো।
- প্রাপ্তবয়ষ্ক কবুতরের ওজন ৬৫০ গ্রাম।
- বাচ্চা বা স্কোয়াবের ওজন ৪০০ গ্রাম।
কৃষি সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে জানতে– ‘ইন বাংলা নেট কৃষি’ (inbangla.net/krisi) এর সাথেই থাকুন।