Skip to content

 

৫টি পরীক্ষায় ভালো করার উপায়

(৫টি) পরীক্ষায় ভালো করার উপায়

নিম্নে পাঁচটি পরীক্ষায় ভালো করার উপায়সমূহ তুলে ধরা হলো-

(১) শ্রেণীকক্ষে নিজের পাঠে মনোযোগ বাড়াও

পরীক্ষায় ভালো করার উপায় (১) শ্রেণীকক্ষে নিজের পাঠে মনোযোগ বাড়াও
পরীক্ষায় ভালো করার উপায় (১) শ্রেণীকক্ষে নিজের পাঠে মনোযোগ বাড়াও
  • এইসময় তোমাকে ব্যস্ত থাকতে হবে শ্রেণীকক্ষের শিক্ষক তোমাকে কী পড়াচ্ছেন সেই বিষয়ের প্রতি।
  • তুমি যদি তোমার পড়াশোনার মানকে বাড়াতে চাও তাহলে শ্রেণীকক্ষে সর্বদা মনোযোগী থাকবে।
  • এমন কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো তোমার শ্রেণীশিক্ষকের চেয়ে অন্য কেউ বেশি ভাল বোঝেন না। যেহেতু এটা তাদের সারা বছরের কাজ। একই কাজ তাঁরা বছরের পর বছর করে যাচ্ছেন। সুতরাং এই বিষয়ে তাঁরা বিশেষভাবে অজ্ঞ। এই কারণে শ্রেণী শিক্ষকদের প্রতি একটা আলাদা মনোযোগ স্থাপন করবে।
  • তাছাড়া, অনেক শিক্ষকই পড়ানোর ফাঁকে পরীক্ষা করার জন্যে যে কোন ছাত্র বা ছাত্রীকে পড়া জিজ্ঞেস করে বসেন। এটা অবশ্যই ভাল লক্ষণ। এতে করে চলতি পড়াটা ছাত্র-ছাত্রীরা কেমনভাবে গ্রহণ করলো এটারও একটা পরীক্ষা হয়ে যায়।
  • তুমি যদি মনোযোগী ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে থাক, তাহলে শ্রেণীকক্ষের শিক্ষক ঐদিনের যে কোন পাঠ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে সাথে সাথে উত্তর দিতে পারবে। এতে করে একদিকে তোমার মনের উৎসাহ যেমন বাড়বে। তেমনি তোমার শ্রেণীশিক্ষকও তোমার পড়াশোনার প্রতি এই মনোযোগ বা আগ্রহ দেখে খুশি হবেন।
  • অনেকসময় দেখা যায় একটা বিষয় তুমি পড়ে বুঝতে পারছো না। কিন্তু শুনে সেই বিষয়টা বুঝতে পার। এই দিক থেকে শ্রেণীকক্ষের শিক্ষকের বক্তৃতার কোন বিকল্প নেই। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকরা কেবল বুঝিয়েই ক্ষান্ত হন না। সেই সাথে পড়াটা যাতে তোমাদের মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে সেদিকেও সচেষ্ট হন। সুতরাং শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের দিকে গভীর মনোযোগ থাকলে সেদিনের পড়া অনেকটা তোমার ক্লাসেই সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। পরবর্তীতে বাড়িতে এসে উক্ত বিষয়ের ওপর সামান্য সময় ব্যয় করলেই উক্ত পড়াটি নিঃসন্দেহে ভালভাবে আয়ত্ত করতে পারবে।
  • অনেক শিক্ষক ক্লাসে এসে সেদিনের পড়া শেষ করে তার পরের দিনের পড়া দিয়ে যান। তুমি যদি ভাল ছাত্র হতে চাও তাহলে পরের দিনের পড়াটি একবার বাড়িতে পড়ে নিতে পার। এতে করে তোমার উপকার হবে দুইটি। একটি হলো, পরবর্তী দিন ক্লাসে পড়াটি তোমার পক্ষে বোঝা সহজ হবে। অপরদিকে, মনোযোগের সাথে উক্ত ক্লাসটি করলে তোমার পড়াটি একেবারে মস্তিষ্কে গাঁথা হয়ে যাবে।
  • শিক্ষক যখন শ্রেণীকক্ষে পড়ান তখন তার পড়ানোর বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে তুমি ছোট ছোট নোট করতে পার। শিক্ষক যখন শুধু বলে যান- তখন তার বক্তব্যের কিছু কিছু অংশের নোট তুমি খাতায় লিখে রাখলে পরবর্তীতে বাড়িতে পড়ার সময় মিলিয়ে দেখে নিতে পার। এতে করে তোমার ঐদিনের পড়াটা নিজের আয়ত্তে আনার বিষয়টা অত্যন্ত সহজ হয়ে পড়বে।
  • অংক বা বিজ্ঞানের কোন ক্লাসে তোমাকে সচেতন হতে হবে। কারণ এখানেই তুমি শিখতে পারবে বিভিন্ন সূত্র। তোমার শিক্ষক পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে তোমাদেরকে এইসব সূত্র সম্পর্কে জ্ঞানদান করবেন। তুমি অবশ্যই সেইসব সূত্রগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনবে। প্রয়োজনে নোট করে নেবে
  • অর্থ্যাৎ, ক্লাসের সব শিক্ষকের সবরকম বক্তব্যই তুমি মনোযোগ দিয়ে শুনবে।

(২) বাড়িতে পড়ার রুটিন বানাও

পরীক্ষায় ভালো করার উপায় (২) বাড়িতে পড়ার রুটিন বানাও
পরীক্ষায় ভালো করার উপায় (২) বাড়িতে পড়ার রুটিন বানাও
  • তুমি ভাল ছাত্র কিংবা খারাপ ছাত্র হওনা কেন, তোমাকে একটা নির্দিষ্ট রুটিন বা পরিকল্পনা অনুযায়ী পড়তে হবে। তাহলেই তুমি যোগ্য ছাত্র হিসেবে পরিগণিত হতে পারবে।
  • যে কোন কাজ সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে করলে তার ফল আশাতীত ভাল হবে এটা সবার জানা কথা। তাই পরীক্ষায় ভাল ফল লাভ করতে হলে তোমাকে শুধু স্কুলের রুটিন অনুযায়ী পড়লে চলবে না। সেই সাথে তোমাকে গৃহে পড়ার জন্যেও একটি সুপরিকল্পিত নিয়ম বা রুটিন করে নিতে হবে।
  • এই রুটিনটি তুমি যতটা সুপরিকল্পিতভাবে কাজে লাগাতে পারবে—ফলাফলটাও ততটা সুন্দর হবে।
  • রুটিন তৈরির সময় বাড়িতে পড়ার সময়টাকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। তোমরা সাধারণত স্কুল কিংবা কলেজের ক্লাস নিয়ে ব্যস্ত থাক দিনের বেশিরভাগ সময়।
  • যেমন সকাল দশটা থেকে বিকাল চারটা। এই সময়টা তোমাকে ব্যয় করতে হয় স্কুল বা কলেজে। বাড়িতে পড়ার সময়টা বেছে নিতে হবে এই সময়ের বাইরে।
  • এর মধ্যে আবার রয়েছে তোমার চিত্তবিনোদনের বিষয়। এগুলোকেও তোমার রুটিনের অন্তর্ভূক্ত করে নিতে হবে।
  • তোমার কাছে যে বিষয়গুলো কঠিন বলে মনে হবে- তোমার বাড়ির রুটিনে সেই বিষয়গুলোকে বেশিবার অধ্যয়নের জন্যে সময় নির্দিষ্ট করে দেবে। এতে করে একসময় দেখবে তোমার কাছে সেই কঠিন বিষয় অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছে।
  • বাড়ির রুটিনে শুধু পড়াই নয় সেই সাথে লেখার জন্যেও একটা আলাদা সময় বের করে রাখবে। আমি আগেই বলেছি কোন শক্ত বা কঠিন বিষয় পড়ার আগে সেটাকে লিখলে পড়ার ব্যাপারে অনেক সুবিধা হয়। তাছাড়া তুমি যে বিষয়টা পড়লে বা মুখস্থ করলে- সাথে সাথে সেটা মুখস্থ লিখে ফেললে বিষয়টা দীর্ঘদিন ধরে তোমার ব্রেন ধরে রাখতে পারবে।
  • মনে রাখতে হবে, একটি বিষয় তুমি যতই চর্চা করবে- ততই তুমি সেই বিষয়টাকে মনে রাখতে পারবে।
  • ছুটির দিনটিকে সেই হিসেবে তুমি মুখস্থ বিষয়গুলোকে লেখার দিন হিসেবে ধরে নিতে পার। এই দিনটি তোমার জন্যে একটি পরীক্ষার দিনও ধার্য্য করে নিতে পার। কারণ এই দিনে তুমি পূর্বের পঠিত বিষয়গুলো খাতায় মুখস্থ লিখবে। তারপর সেগুলো মিলিয়ে দেখে ভুলগুলো শুধরে নেবে। এভাবে তোমার পড়াশোনার মান বেড়ে যাবে। পড়তেও তোমার আগ্রহ বাড়বে।
  • লম্বা কোন ছুটি পেলে সেই সময়টাকে বেড়ানোর কাজে নষ্ট না করে পড়ার জন্যে নতুন রুটিন বানিয়ে পড়তে লেগে যাও। মনে রেখো, বেড়ানোর সময় ভবিষ্যতে প্রচুর পাবে। সেই সময়টা যাতে নিরবচ্ছিন্ন শান্তির সাথে বেড়াতে পার, তার পুঁজি তোমাকে এই ছাত্রজীবনেই করে নিতে হবে। লম্বা ছুটির সময় যেহেতু স্কুল বা কলেজের পড়ার বাড়তি চাপ নেই- সুতরাং এই সময়টাকে তুমি তোমার ইচ্ছেমতো পড়ার কাজে লাগাতে পার। এই সময়ের জন্যে একটা আলাদা রুটিন করে কঠিন কঠিন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে পড়াশোনা শুরু করতে পার।
  • তবে আমি তোমাদেরকে শুধুই পড়তে বলছি না। সেইসাথে তোমাদের চিত্তবিনোদনের জন্যে একটা আলাদা সময়ও রাখতে বলছি। তুমি তোমার রুটিনে সেই সময়টাকেও আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে পার।
  • কোন বিষয়ের যদি তুমি দুর্বল থাক, তাহলে অবসরের একটা বিশেষ সময় বেছে নেবে- যে সময়টাতে সেই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলে তোমার অন্যান্য বিষয়গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।
  • তোমাদেরকে আমি আগেই কঠিন কোন বিষয় হলে সেগুলো লিখে তারপর পড়তে বলেছি। এতে করে একদিকে যেমন তোমার হাতের লেখার গতি দ্রুত হবে। অপরদিকে তোমার উক্ত বিষয়টা দ্রুত ধারন করতে পারবে মস্তিষ্কের কর্টেক্স।
  • উপরের আলোচনার অর্থ হলো, তোমাকে দুটি রুটিন মেনে চলতে হবে। একটি বাড়ির রুটিন আরেকটি স্কুলের বা কলেজের রুটিন। বাড়ির রুটিন তুমি তোমার ইচ্ছেমতো তৈরি করতে পার— তবে কলেজ বা স্কুলের রুটিন তোমার স্কুল বা কলেজের কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী তৈরি হয়ে থাকে।যেহেতু তোমার পর্যাপ্ত স্বাধীনতা আছে বাড়ির রুটিন তৈরিতে। সুতরাং তুমি তোমার কঠিন বিষয় আর সহজ বিষয় মিলিয়ে দেখে নিয়ে বাড়ির রুটিন তৈরি করো। তারপর সেই রুটিন যাতে ঠিকমতো মেনে চলতে পার সেই বিষয়ে সচেষ্ট হও। আমি নিশ্চিত এভাবে রুটিন মেনে চললে সফলতা তোমার হাতের গোড়ায় এসে ধরা দেবার জন্যে উসখুস করবে।
  • বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীদের বলছি, তোমাদের পাঠ্য বিষয়ে ইদানিং বেশ কিছু চিত্র রয়েছে। যেগুলো তোমাদের পরীক্ষার খাতায় আঁকতে হয়। এছাড়া তোমাদের মধ্যে অনেককেই প্র্যাকটিক্যাল খাতাতেও ছবি এঁকে তার বর্ণনা লিখতে হয়। এই কারণে ছবি আঁকায় তোমার হাতকে সাবলীল করতে হবে।
  • এই পদ্ধতিতে তোমাকে বাড়ির রুটিনে ছবি আঁকার জন্যে একটা আলাদা সময় ধরে রাখতে হবে। তুমি এই সময়ে ক্লাসের ছবি ছাড়াও অন্যান্য ছবিও আঁকতে পারো। এতে করে একদিকে তোমার মন প্রফুল্ল ও প্রশান্ত হবে। ছবি আঁকলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এই কথাটা আমি ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি আর বিশ্বাসও করি। তুমি তোমার ক্ষেত্রে এই বিষয়টা প্রয়োগ করে দেখতে পার।
See also  শিক্ষার্থী জন্য মোটিভেশনাল কথাঃ প্রতিবন্ধকতা কোন বাঁধা নয়

(৩) নিজের হাতের লেখার প্রতি যত্নবান হও, এটা জরুরী

পরীক্ষায় ভালো করার উপায় (৩) নিজের হাতের লেখার প্রতি যত্নবান হও, এটা জরুরী
পরীক্ষায় ভালো করার উপায় (৩) নিজের হাতের লেখার প্রতি যত্নবান হও, এটা জরুরী
  • পরীক্ষার খাতায় তোমাদেরকে অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এইসব উত্তর দেবার জন্যে একটা নির্দিষ্ট সময় দেয়া থাকে। উক্ত নির্দিষ্ট সময়টুকুর উপযুক্ত সদ্বাবহার না করলে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল লাভের আশা করা যায় না। এই কারণে যদি তুমি আগে থেকেই দ্রুত লেখার অভ্যাস করতে পার, তাহলে দেখা যাবে তোমার জানা কিংবা অল্প জানা উত্তরগুলো কেমন ঝর ঝর করে পরীক্ষার খাতায় লেখা হয়ে যাচ্ছে।
  • তাছাড়া, পরীক্ষার খাতায় একদিকে যেমন দ্রুত লিখতে হয়- অপরদিকে সেই লেখা যেন পরীক্ষকের বোঝার মতো উপযুক্ত হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা দরকার। এইসব কারণে হাতের লেখার প্রতি তোমাদের গুরুত্ব দিতে হবে অনেক বেশি।
  • আমি অনেক ভাল ছাত্র বা ছাত্রী দেখেছি। ক্লাসে তারা অত্যাধিক ভাল পারফরমেন্স দেখায়। কিন্তু পরীক্ষায় তারা খুব একটা ভাল ফল দেখাতে পারে না। এর কারণ অনুসন্ধান করে দেখা গেছে- এদের অধিকাংশেরই হাতের লেখা আশানুরূপ ভাল নয়। এরা খুবই ভাল মুখস্থ করতে পারে। পরীক্ষার প্রশ্নও সব এদের কমন পড়ে- কিন্তু একমাত্র হাতের লেখার জন্যেই সব কিছু গুবলেট হয়ে পড়ে।
  • এই ক্ষেত্রে আমি হাতের লেখাকে ছাপার অক্ষরের মতো হতে বলছি না। আসলে উপরোক্ত ছাত্র-ছাত্রীর সমস্যা হচ্ছে এরা দ্রুত লিখতে পারে না। এদের মুখস্থ শক্তি বেশি। এদের মেধা বেশি। কিন্তু লেখার ক্ষেত্রে এরা অসহায়। খুব দ্রুত লিখতে গিয়ে এদের লেখা এমন আকার ধারণ করে যে, পরীক্ষক বুঝতেই পারেন না লেখার মর্ম। দ্রুত লেখার কারণে অক্ষর বা শব্দের আকার এতটাই বদলে যায়—যে পরীক্ষকের কাছে তা বোধগম্য থাকে না। এই কারণে হাতের লেখার প্রতি তোমাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
  • প্রতিদিন তোমার রুটিনে পড়াশোনার পর উক্ত বিষয়গুলোকে খাতায় লিখে ফেলার জন্মে একটা অতিরিক্ত সময় বেছে নিতে হবে। এই সময়টায় তুমি পড়বে না। খালি লিখবে।
  • একবারে তোমার হাতের লেখার দ্রুততা আশা করতে পারো না। এই কাজটি তোমাকে করতে হবে ধীরে ধীরে। মানুষ অভ্যাসের দাস। তুমি যদি পরিমিত মাত্রার মধ্যে থেকেও এই অভ্যাসটি গড়ে তুলতে পার তাহলেই তুমি দেখতে পাবে একদিন সফলতা এসে তোমার দরজায় করাঘাত করছে। তোমাকে সফলতার পেছনে ছুটতে হবে না। সফলতাই তোমার পেছনে ছুটবে।
  • এছাড়া, হাতের লেখার প্রতি যত্নবান হলে তোমার আরেক দিক থেকেও উপকার হবে। সেটা হলো- তোমার মুখস্ত বিদ্যার জন্যেও এটা অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করবে। কোন কিছু সহজে মুখস্ত করার উপায় সম্পর্কে আমি আগেই বলেছি। কোন কিছু মুখস্ত করতে হলে সেই বিষয়কে আগে ভালভাবে কয়েকবার পড়ে নিতে হবে। এরপর সেটা দেখে দেখে আলাদা একটি খাতায় লিখে ফেলতে হবে। এই লেখার সময় কিন্তু গভীর মনযোগ সন্নিবেশিত করতে হবে উক্ত পাঠের মধ্যে। নচেত লেখার সময় উক্ত বিষয়টা তোমার মস্তিষ্ক ধারণ করতে পারবে না। এই পদ্ধতিতে তুমি তোমার হাতের লেখার প্রতি যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি একটি জরুরী বিষয়ও মুখস্ত করে ফেলতে পারবে।
  • আসলে একথা সত্যি যে, সুন্দর জিনিসের মর্যাদাই আলাদা। এই ক্ষেত্রে তোমাকে আমি বলতে পারি, তোমার হাতের লেখা যদি ভাল হয়, তাহলে সেই হাতের লেখায় লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখার সময় পরীক্ষকের মনোভাবও যে তোমার অনুকুল হয়ে যাবে সেকথা বলার নিশ্চয় আর অবকাশ নেই।

(৪) পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণ

পরীক্ষায় ভালো করার উপায় (৪) পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণ
পরীক্ষায় ভালো করার উপায় (৪) পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণ
  • তুমি ছাত্র। সুতরাং তোমার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন করা।
  • এই কারণে পরীক্ষার জন্যে তোমাকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আজকাল পরীক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। এইকারণে পরীক্ষার ফল যদি আশানুরূপ না হয় তাহলে সেটা একদিকে যেমন ছাত্র বা ছাত্রীর ক্ষতি। তেমনি তাদের ভবিষ্যতে কোন ভাল মাধ্যমে ভর্তি হবার জন্যেও অন্তরায়।
  • সুতরাং পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যে তোমাকে ব্যাপকভাবে তৈরি হতে হবে।
  • নিচের পদ্ধতিগুলো তোমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। প্রথমেই পরীক্ষার বিষয়গুলোকে একটি পরিস্কার খাতায় একটি ছক এঁকে তার মধ্যে লিখে ফেল। নিচের ছকটি লক্ষ্য করো।
See also  ৫টি পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায়
বিষয়সাজেশননোটমুখস্তচিত্রমন্তব্য
বাংলা
ইংরেজি
অংক
বিজ্ঞান
সমাজ
ধর্ম
  • উক্ত ছকে বিষয়গুলোর পাশে ফাঁকা জায়গা রাখা আছে। উক্ত জায়গাগুলোতে তোমার প্রস্তুতির বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হবে।
  • যেমন বাংলার ক্ষেত্রে তুমি সাজেশন পেয়েছো কিনা। পেয়ে থাকলে সেই ঘরে টিক চিহ্ন দেবে। সাজেশন পাবার পরে কোন নোট করেছো কিনা। করে থাকলে সেই ঘরে টিক চিহ্ন দেবে। বিষয়গুলো মুখস্থ করেছো কিনা। করে থাকলে সেই ঘরে টিক চিহ্ন দেবে। কোন চিত্র আছে কিনা। থাকলে সেই চিত্র সম্পন্ন হয়েছে কিনা। হয়ে থাকলে সেই ঘরে টিক চিহ্ন দেবে। সবশেষে মন্তব্যের ঘরে তুমি তোমার মন্তব্য লিখে রাখতে পারো। অর্থাৎ তোমার উক্ত বিষয়ের প্রস্তুতি কতোটুকু সন্তোষজনক সেটা লিখতে পারো।
  • উক্ত ছকটি ঠিকমতো ভরাট করলে পরীক্ষার ক্ষেত্রে তোমার কোন কোন বিষয়ে দুর্বলতা আছে সেটা ধরা পড়বে। তাছাড়া পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে সবকিছু তোমাদের নখদর্পনে থাকবে ৷
  • ছকটি ভরাট করার পর ছক অনুযায়ী তোমাকে কাজ শুরু করতে হবে।
  • সাজেশন যোগাড় না করা হয়ে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব সেটা যোগাড় করতে হবে। কোন বিষয়ে নোট না করা থাকলে সেটা করে ফেলতে হবে।
  • মুখস্থ করার বিষয়গুলো আলাদা করে নিয়ে মুখস্থ করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে।
  • কোন চিত্র থাকলে সেটা সময় নির্দিষ্ট করে নিয়ে সম্পন্ন করতে হবে।
  • সাজেশন যোগাড়ের পর তোমাকে বেছে নিতে হবে কোন বিষয়টা তোমাকে আগে পড়তে হবে। এই ক্ষেত্রে আমি তোমাকে বলবো, তুমি কঠিন বিষয়গুলোকেই আগে পড়তে শুরু করো। সেইমতো তুমি একটি বাড়িতে পড়ার রুটিন তৈরি করে নাও।
  • সাজেশনে উল্লিখিত বিষয়গুলোর যেটি তুমি বেছে নেবে- সেটার কোন বড় প্রশ্ন থাকলে সেটা পড়তে শুরু করবে। এগুলোর মধ্যে থেকে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা তুমি অনায়াসে নিজেই বের করে নিতে পারবে পূর্ববর্তী পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্র যোগাড় করে। এভাবে তুমি তোমার মতো করে একটি ফাইনাল সাজেশন তৈরি করে নিতে পারবে। তারপর উক্ত সাজেশন দেখে তুমি তোমার পরীক্ষার পড়া শুরু করতে পারবে।
  • ফাইনাল বা চূড়ান্ত সাজেশন তৈরির পর উক্ত সাজেশনে উল্লিখিত বিষয়গুলোর উপর একটা একটা করে আলাদা নোট তৈরি করতে হবে। এই নোটগুলো তুমি তোমার নিজের হাতে লিখে করবে। এতে করে একদিকে তোমার হাতের লেখার দ্রুততা বাড়বে। অপরদিকে উক্ত বিষয় সম্পর্কে একটা মোটামুটি ধারণা তোমার মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে।
  • নোট করার আগে যেটা দেখে তুমি নোট করছো সেটা ভালভাবে পড়ে নেবে! কোন অসংগতি থাকলে সেটাকে তখনই দূর করার ব্যবস্থা করবে।
  • তোমার কোন সহপাঠির নোট অনুসরণ করে করলে তার সাথে প্রয়োজনে আলাপ করে নেবে। তবে কোন সহপাঠির নোট হুবহু নকল করার কোন যুক্তিযুক্ত কারণ আমি খুঁজে পাই না। তুমি ইচ্ছে করলে তার চাইতেও ভাল নোট তৈরি করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। হয়তো একজন সহপাঠির নোট তোমার সামনে রাখতে পার সূত্র বা কোনকিছুর হালকা সাহায্য নেবার জন্যে। তবে নোটটা তোমার পছন্দ মতো করেই তৈরি করবে। কারণ এই নোট দেখেই তুমি তোমার পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুত হবে।
  • নোট করার সময় শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক বক্তব্য রাখার সময় যে নোটগুলো তুমি করেছিলে সেগুলো সামনে নিয়ে বসবে। আর সেই সাথে পাঠ্য বইয়ের বিষয়গুলো ভালভাবে পড়ে নেবে। ভাল নোট করতে হলে তোমাকে শুধু একটিমাত্র বইয়ের আশ্রয় নিলে চলবে না। তোমাকে পাশাপাশি আরও অন্তত একটি বা দুটি বই সামনে নিয়ে বসতে হবে।
  • তুমি যদি নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে থাক তাহলে তোমার বিজ্ঞান বা ইংরেজী গ্রামারের নোট করার সময় উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর বিজ্ঞান বা গ্রামারের বই সামনে নিয়ে বসলে ভাল হবে।
  • তুমি যদি ম্যাট্রিক পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করো তাহলে বাংলা বা ইংরেজী রচনা, প্যারাগ্রাফ তৈরি, লেটার রাইটিং, ট্রানশ্লেসন, বঙ্গানুবাদ ইত্যাদি কাজের জন্যে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর বই অনুসরণ করলে ভাল ফল করতে পারবে।
  • তোমার তৈরি নোটে কোন বিষয় যাতে দুর্বোধ্য না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবে।
  • কোন বিষয়ের যাতে দুবার রিপিট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে। যে কোন প্রশ্নের নোট করার সময় তুমি নিজেকে বোঝাবে- এই বিষয়ে পরীক্ষক কোন কিছু জানেন না। তাকে ঠিকমতো জানাতে হবে। এই বিষয়টা তোমার মাথায় ঠিকমতো ঢুকলেই নোট তৈরিতে তোমার কোন অসুবিধা হবে না।
  • নোট করা শেষ হলে উক্ত বিষয়গুলো একটা নির্দিষ্ট রুটিনমাফিক মুখস্থ করা শুরু করতে হবে। অংকের বা বিজ্ঞানের বিষয় হলে বুঝে বুঝে পড়তে হবে। চেষ্টা করবে যাতে খুব ঠান্ডা মাথায় বিষয়গুলো তোমার মস্তিষ্কে পাঠাতে পারো।
  • এইসময় কোন বাড়তি টেনশন বা দুশ্চিন্তার বোঝা মাথায় চাপাবে না। কোন দুশ্চিন্তা থাকলে সেটা দূর করে রেখে পড়তে বসবে। শরীরকে অযথা বাড়তি পরিশ্রম করাবে না বা বাড়তি বিশ্রামেরও সুযোগ দেবে না।
  • পরিমিত মাত্রায় পড়াশোনা করবে। আশাকরি এতেই সাফল্য তোমার হাতের মুঠোয় ধরা দেবে। একটা কথা মনে রাখবে পরীক্ষার পর তুমি বেশ কিছুদিন বিশ্রামের অবকাশ পাবে।

(৫) পরীক্ষার আগের রাতে এবং পরীক্ষার দিন

পরীক্ষায় ভালো করার উপায় (৫) পরীক্ষার আগের রাতে এবং পরীক্ষার দিন
পরীক্ষায় ভালো করার উপায় (৫) পরীক্ষার আগের রাতে এবং পরীক্ষার দিন
  • পরীক্ষার আগের রাতে এমন কোন পড়া রাখবে না যেটাতে তোমার দুশ্চিন্তার কোন কারণ ঘটে। পরীক্ষার আগের রাতে কখনও বাড়তি টেনশনের বোঝা মস্তিষ্কে চাপাবে না।
  • মনে রাখবে পরীক্ষার আগের রাত শুধু পড়াশোনার রাত নয়। এই রাতে তুমি অতীতে যা পড়েছো, তার রিভিশন দেবে।
  • আচমকা এই রাতে তুমি যদি আবিষ্কার করো, একটি বিষয় তুমি এখনও পর্যন্ত ছুঁয়েই দেখোনি, কিন্তু সেটা পরীক্ষায় আসতে পারে। তাহলে সেই বিষয়টা নিয়ে অযথা হা হুতাশ করবে না। কোনক্রমেই পরীক্ষার আগের রাতটি যেন তোমার কাছে হতাশায় ভরা রাত না হয়।
  • উক্ত অপঠিত বিষয়টি কয়েকবার স্বাভাবিক বা ঠান্ডা মাথায় পড়ে যাও। তারপর দেখবে পরীক্ষার খাতায় তুমি উক্ত বিষয় নিয়ে বেশ লিখতে পারছ।
  • পরীক্ষার রাতে বেশি রাত জাগবে না। এতে করে তোমার শরীর ও মন দুটোই ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে। এমনিতে পরীক্ষার আগের রাতে মন উত্তেজিত হয়ে থাকে।
  • এইসময় বেশি রাত অবধি জেগে থাকলে উত্তেজিত মন ধীরে ধীরে অবসন্ন হতে থাকে। যেটা পরবর্তী দিনের পরীক্ষায় মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
  • অনেক ছাত্র-ছাত্রীকেই দেখেছি। পরীক্ষার আগের রাতে পুরো রাত ধরে তারা পড়তে থাকে। এটা খুবই খারাপ লক্ষণ। কারণ তুমি যদি আগে থেকে রুটিন মাফিক পড়াশোনা করতে তাহলে পরীক্ষার আগের রাতে রিভিশন ছাড়া নতুন কোন কিছু তোমাকে পড়তে হতো না। শুধু পুরোনো পড়াগুলো একবার ঝালিয়ে নিতে পারতে। তোমার বেলায় যেন এই ঘটনাটি আর না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবে।
  • পরীক্ষার হলে গিয়ে কি কি জিনিস তোমার লাগবে সেগুলো রাতেই গুছিয়ে রাখবে। বিশেষ করে প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, জ্যামিতি বক্স, স্কেল, কলম ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো একটি বাক্সে করে ভরে রেখে দেবে। যাতে তাড়াহুড়ো করে যাবার সময় একটিও ভুলে না ফেলে যাও।
  • পরীক্ষা শুরু হবার অন্তত আধাঘন্টা আগে পরীক্ষার হলে পৌছুতে চেষ্টা করবে। এতে করে উপস্থিত তোমার অন্যান্য বন্ধু বা বান্ধবীদের সাথে পড়াশোনার বিষয়গুলো শেয়ার করতে পারবে।
  • পরীক্ষার হলে গিয়ে খাতা দেয়া হলে খাতায় নাম ঠিকানা ঠিকমতো লিখবে। আজকাল পরীক্ষার খাতায় নামঠিকানা লিখতে হয় কোড নাম্বারে। সুতরাং তোমাকে সঠিক কোডনাম্বারে সবকিছু লিখতে হবে। কোন ভুল যাতে না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবে। প্রয়োজনে লেখার পরে আবার তোমার প্রবেশ পত্রের সাথে নাম্বারগুলো মিলিয়ে দেখে নেবে।
  • এরপর উত্তরপত্রটির বামদিকে সামান্য মার্জিন রেখে ভাঁজ করবে। অনেক সময় পরীক্ষার্থীদের প্রথম পাতা থেকেই লেখা শুরু করতে হয়। তুমিও ইচ্ছে করলে প্রথম পাতা থেকেই লেখা শুরু করতে পার। অযথা লেখার জায়গার অপচয় করবে না।
  • প্রশ্নপত্র হাতে পাবার পর পুরো প্রশ্নপত্র একবার ধীরে সুস্থে পড়ে নেবে। প্রথমবারে ঠিকমতো না বুঝলে দ্বিতীয়বার পড়ে নেবে।
  • কোন প্রশ্নে কী ধরনের মার্ক দেয়া আছে সেটাও দেখে নেবে।
  • প্রশ্নপত্রটি সম্পূর্ণ পড়ার পর যেটা তোমার প্রথমে মনে আসে সেই প্রশ্নের নাম্বার খাতায় লিখে তারপর উত্তর লিখতে শুরু করবে।
  • হাতের লেখা দ্রুত কিন্তু যেন পরিষ্কার হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবে।
  • সবগুলো প্রশ্ন কমন না পড়লে দুশ্চিন্তায় মাথাটাকে ভারি করবে না। এমন অনেক সময় দেখা যায় কোন প্রশ্নের উত্তর লিখতে লিখতে মাঝামাঝি অবস্থায় এসে একটা বা দুটো পয়েন্ট ভুলে গিয়েছো। এটা নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবে না। সেই উত্তরের নিচে কিছুটা জায়গা আন্দাজমতো ফাঁক রেখে পরবর্তী প্রশ্নের উত্তর লিখতে শুরু করবে। পরবর্তীতে যখনই উক্ত অর্ধেক লেখা উত্তরের বিষয় সম্পর্কে মনে আসবে- তখনই উক্ত উত্তরটি সম্পূর্ণ করবে।
  • সঠিক উত্তর জানা থাকলে সেটা লিখবে। কোন ভুল উত্তর কখনও লিখবে না। একটি জিনিস জানা না থাকলে সেটার উত্তর যদি ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে তাহলে সেটা লিখবে না।
  • মনে রাখবে, পরীক্ষক যখন খাতা দেখেন— তখন কোন প্রশ্নের উত্তর না দেয়া হলে সেদিকে তিনি ততটা গুরুত্ব দেন না। কিন্তু কোন ভুল উত্তর দেয়া হলে তাঁর দেখার ক্ষেত্রে বাধা ঘটে। তাঁর সময় নষ্ট হয়। সুতরাং ভুল উত্তর দেয়া থেকে বিরত থাকবে।
  • উত্তরে যদি কোন চিত্র আঁকার থাকে তাহলে সেটা তখনই এঁকে নেবে। ইচ্ছে করলে চিত্র আঁকার জায়গাটা ফাঁকা রেখে পরবর্তীতে আঁকতে পার। তবে আমার মনে হয় চিত্রটি আগে এঁকে নেয়াই ভাল। এতে করে তোমার উক্ত চিত্র আঁকতে আঁকতে বিষয়টা সম্পর্কে একবার মনের মধ্যে ঝালাই দেয়া হয়ে যাবে। তাছাড়া চিত্রটি আঁকার পর উক্ত চিত্র দেখেও বিষয়টা তোমার মনের মধ্যে সঠিকভাবে উদয় হয়ে যেতে পারে।
  • সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়ে গেলে কিংবা তোমার জানা সবপ্রশ্নের উত্তর লেখা হয়ে গেলে ঘড়ি দেখবে সময় কতোটুকু আছে। যদি সময় আধঘন্টার বেশি থাকে তাহলে ঐ অর্ধেক লিখে রাখা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পনেরমিনিট সময় লাগাবে। এর মধ্যে যদি উত্তরটা মনে আসে তাহলে লিখবে। নতুবা পনেরমিনিটের পর ঐ বিষয়ে আর সময় নষ্ট করবে না।
  • পরের পনেরমিনিট সময় রাখবে পুরো উত্তরপত্রটা একবার রিভিশন দেবার কাজে। রিভিশন দেবার সময় প্রশ্নের সাথে উত্তরের সামঞ্জস্য আছে কিনা তা আর একবার ভাল করে পরীক্ষা করে দেখবে। অনেক সময় দেখা যায় প্রশ্নের উত্তর ঠিকমতো দেয়া হয়েছে ঠিকই কিন্তু প্রশ্নের নাম্বার উল্টোপাল্টা হয়ে গেছে। এতে করে কিন্তু তোমার উত্তর ঠিক হলেও নাম্বার পাবে না। সুতরাং এমনটি যাতে না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখবে। এই কাজটি করবে রিভিশন দেবার সময়।
  • পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় কোনরকম দুশ্চিন্তা করবে না। কারণ দুশ্চিন্তা করার কোন যুক্তি নেই। তুমি যেমন প্রস্তুতি গ্রহণ করবে, পরীক্ষায় ঠিক তেমনই করতে পারবে। সুতরাং তোমার পূর্ব প্রস্তুতি ভাল হলে পরীক্ষাও ভাল হবে।
  • বাড়ি ফিরে পরবর্তী দিনের পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুত হতে হবে। সুতরাং মাথা ঠান্ডা করে পরবর্তী দিনের পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুত হও। আর সবগুলো পরীক্ষাই প্রথম পরীক্ষার মতো করে দেবে।
See also  মোটিভেশনাল কথাঃ ইচ্ছাশক্তি বাড়ানোর উপায় (motivational speech in bangla ‍about mind's desire)

প্রিয় বন্ধুরা, আমরা উপরোক্ত আলেচনার মাধ্যমে পাঁচটি কার্যকরী পরীক্ষায় ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানলাম। আশা করি এ সকল পদ্ধতি বা কৌশলগুলো তুমি অনুসরণ করে চলো, তুমি পরীক্ষায় অবশ্যই ভালো করতে পারবে।

Leave a Reply

nv-author-image

ইন বাংলা নেট মোটিভেশন

আত্ম-উন্নয়ন ও মোটিভেশন সম্পর্কিত যা কিছু বাংলাতে।View Author posts