চোখেরি জলে লেখা কতো যে কবিতা, গানটির লিরিক্স নিম্নরূপ- চোখেরি জলে লেখা কতো যে কবিতা। ঝরে পড়ে প্রতিদিনি তোমারি নামে। যেদিনি চোখের জল শুকিয়ে যাবে। মনে রেখো সেদিন আমার মরন হবে। ভুলে যদি যাও তুমি এই আমাকে। পারবে না ভুলে যেতে স্মৃতি গুলোকে। সব কিছু এখানেই জানি পড়ে রবে। ধুকে ধুকে জীবনটাকে পাড়ি দিতে হবRead more
চোখেরি জলে লেখা কতো যে কবিতা, গানটির লিরিক্স নিম্নরূপ-
চোখেরি জলে লেখা কতো যে কবিতা।
ঝরে পড়ে প্রতিদিনি তোমারি নামে।
যেদিনি চোখের জল শুকিয়ে যাবে।
মনে রেখো সেদিন আমার মরন হবে।
ভুলে যদি যাও তুমি এই আমাকে।
পারবে না ভুলে যেতে স্মৃতি গুলোকে।
সব কিছু এখানেই জানি পড়ে রবে।
ধুকে ধুকে জীবনটাকে পাড়ি দিতে হবে।
চোখেরি জলে…..
কষ্টরা জমা হয়ে কাঁদে দিন-রাত্রি।
নীরব রাতের সাথে আমি একা যাত্রী।
আঁধার এখন আমার বড় ভাল লাগে।
মনে হয় কে যেনো পিছু থেকে ডাকে।
চোখেরি জলে…..
আমরা অনেকেই মনে করি যে, সমান মানের এসি এবং ডিসি ভোল্টেজের শকের তীব্রতা একই হবে। আবার অনেকেই মনে করেন ডিসি কারেন্টের শক বেশী অনুভূত হবে এসি কারেন্টের তুলনায়। কারন এসি কারেন্ট এ ফ্রিকুয়েন্সির জন্য নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা সহজ কিন্তু ডিসিতে সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু আসল তথ্য হচ্ছে এসি কারেন্টের শকই বেশী অনুভূতRead more
আমরা অনেকেই মনে করি যে, সমান মানের এসি এবং ডিসি ভোল্টেজের শকের তীব্রতা একই হবে। আবার অনেকেই মনে করেন ডিসি কারেন্টের শক বেশী অনুভূত হবে এসি কারেন্টের তুলনায়। কারন এসি কারেন্ট এ ফ্রিকুয়েন্সির জন্য নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা সহজ কিন্তু ডিসিতে সেটা সম্ভব নয়।
কিন্তু আসল তথ্য হচ্ছে এসি কারেন্টের শকই বেশী অনুভূত হয় এবং বেশী প্রাণঘাতী এবং সেটা সেই ফ্রিকুয়েন্সির কারনেই। চলুন তাহলে দেখা যাক এর পেছনের কারন।
ইলেকট্রিক শক হলো একধরনের অনুভূতি যা আমাদের দেহের কোন অংশের ভেতর দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হবার কারনে ঘটে থাকে। এই শকড এর পরিমান নির্ভর করে বেশ কিছু ফ্যাক্টরের উপর। যেমন কারেন্টের ধরণ(ডিসি/এসি), ফ্রিকোয়েন্সি, ভোল্টেজ এর মাত্রা, দেহের কোন অংশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, প্রবাহের সময় এসব। 50/60Hz এর AC শকের অনুভূতি DC এর তুলনায় ৫গুন বেশী।
আবার 50/60Hz এর AC শকের অনুভূতি 5000Hz এর AC কারেন্টের চেয়ে ৬ গুন বেশী এবং ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ার সাথে সাথে শকড এর অনুভূতি কমতে থাকে।
এর কারন হলো পেশী নড়াচড়া করার জন্য আমাদের ব্রেইন স্নায়ুকোষের মাধ্যমে লো ফ্রিকুয়েন্সির ইলেকট্রিক সিগন্যাল পাঠিয়ে থাকে। আবার মানুষের হার্ট 60-100Hz ফ্রিকোয়েন্সিতে স্পন্দিত হয় যা ব্রেইন থেকে ইলেকট্রিক সিগনালের মাধ্যমে হার্টে পৌছে। তাই 50-60Hz এর কারেন্টের শক বেশী অনুভূত হয় কারন এটা সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রের সিগন্যালিংকে বাধাগ্রস্থ করে!
ফলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহে আপনি আপনার পেশীর উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবেন।
সেক্ষেত্রে আপনার ইচ্ছা থাকলেও বিদ্যুতায়িত বস্তু থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন না। আর হার্টের ভেতর দিয়ে 50-60Hz এর নির্দিষ্ট পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহ আপনার হার্টের নিয়মিত স্পন্দনকে নষ্ট করে দিবে যার ফলাফল হলো কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এ মৃত্যু।
তাই 50-60Hz AC কারেন্ট থেকে সবসময় সাবধান। সমান ভোল্টেজের ডিসি কারেন্ট থেকে এসি বিপজ্জনক হবার আরেকটি কারন হলো মানবদেহের ত্বক এবং গ্রাউন্ড ক্যাপাসিটেন্স এর মত কাজ করে। এই গুণের কারনে AC কারেন্ট ত্বক থেকে গ্রাউন্ডে সহজে প্রবাহিত হতে পারে কিন্তু DC কারেন্ট বাধাপ্রাপ্ত বেশী হয়।
উপরের চার্ট দেখলেই বুঝতে পারবেন সমপরিমান AC কারেন্ট অধিক বিপজ্জনক। ১৫০ পাউন্ড ওজনের এক ব্যক্তির পেইনফুল শকের জন্য 62mA DC কারেন্ট লাগে যেখানে AC এর ক্ষেত্রে সেটা মাত্র 9mA ই যথেষ্ট। আবার ফ্রিকোয়েন্সি 10KHz হলে সেটা হবে 55mA।
কারেন্ট প্রবাহে মানবদেহের মোট রেজিস্ট্যান্সের ৯৯% ই থাকে ত্বকে। মানবদেহের ড্রাই রেজিস্ট্যান্স যেখানে ১০০০০০ ওহম সেখানে দেহের ভেতরের রেজিস্ট্যান্স মাত্র ৩০০ ওহম। ত্বকে কোন ক্ষতের কারনে কারেন্ট দেহের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হলে তার পরিমাণ হবে অনেক এবং সেই শকড হবে বিপজ্জনক। হাই ভোল্টেজ AC এবং DC উভয়ই ত্বকের ব্রেকডাউন ঘটিয়ে ফেলে এবং দেহের ভেতর দিয়ে অধিক পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হয় যা বিপজ্জনক।
আর একটি ব্যাপার আপনারা সবই ই জানেন যে, এসি ভোল্টেজ/কারেন্ট পরিমাপ করা হয় rms এ। কিন্তু ডিসি পরিমাপ করা হয় পিক অথবা ম্যাক্সিমাম ভেলুতে।
আমরা জানি, V(peak) = 1.4142* V(rms)
এজন্য বলা যায় একজন ব্যাক্তি যদি ডিসিতে ২২০V এ শক খায়, সে ২২০V এ ই শক খাবে। কিন্তু একজন ব্যাক্তি যদি এসিতে ২২০V এ শক খায়, সে সর্বোচ্চ ১.৪১৪২*২২০V = ৩১১V এ ই শক খাবে। আর ৩১১V তো ২২০ থেকে ডেফিনেটলি বড়। এজন্য এখানে ও বলা যায় যে, ডিসি থেকে এসি বেশি বিপজ্জনক।
See less