Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Login to our social questions & Answers Engine to ask questions answer people’s questions & connect with other people.
আপনার পাসওয়ার্ড ভুলেগেছেন? তাহলে আপনার ইমেইল এড্রেসটি লিখুন।প্রথমত, একটি কনফার্মেশন লিঙ্ক সহ ইমেইল যাবে উক্ত লিঙ্কে ক্লিক করে কনফার্ম করতে হবে।দ্বিতীয়ত, আরও একটা মেইল যাবে, যেখানে আপনার নতুন পাসওয়ার্ড উল্লেখ করা থাকবে, সেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি লগিন করতে পারবেন।(বিঃদ্রঃ আপনার ইনবক্সে মেইল না পৌঁছালে স্প্যাম ফোল্ডার চেক করুন)
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পর বিচারকরা কলমের নিব ভেঙে ফেলেন কেন?
মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পরে বিচারক বা বিচারপতিরা কলমের নিব ভেঙে ফেলেন। এ কথাটি শোনার পর অনেকেই চমকে উঠেন। এসে চমকানোর কিছু নেই, সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এই রেওয়াজ চলে আসছে।আজকের দিন পর্যন্ত এই রেওয়াজটিই চলছেই। তবে প্রশ্ন হলো, কেন এই কাজটি করেন বিচারকরা? এর কারণ একটি নয়, একাধিক। এটি একটি প্রতীকী বিষয়। যার বRead more
মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পরে বিচারক বা বিচারপতিরা কলমের নিব ভেঙে ফেলেন। এ কথাটি শোনার পর অনেকেই চমকে উঠেন। এসে চমকানোর কিছু নেই, সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এই রেওয়াজ চলে আসছে।আজকের দিন পর্যন্ত এই রেওয়াজটিই চলছেই।
তবে প্রশ্ন হলো, কেন এই কাজটি করেন বিচারকরা? এর কারণ একটি নয়, একাধিক।
এটি একটি প্রতীকী বিষয়। যার বিভিন্ন ব্যাখ্যা হলো-
- যে কলম একজনের জীবন নিয়ে নিয়েছে, তা যেন আর কারও জীবন নিতে না-পারে।
- যে কলমটি দ্বার একজন জগন্য অপরাধির মৃতউর ফরমান লেখা হয়েছে, একই কলম দ্বারা কোন ভালো ব্যক্তির ভালো ফরমান লেখার কাজ ব্যবহার না করা হয়।
- বলা হয়, বিচারক বা বিচারপতি ওই মৃত্যুদণ্ড এবং তা থেকে প্রসূত অপরাধবোধ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চান। সে কারণেই নিবটি ভেঙে ফেলেন।
- একজন বিচারক বা বিচারপতি তাঁর দেওয়া মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে নিতে পারেন না। তিনি যাতে কোনভাবেই মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবতে না পারেন।
- সব মৃত্যুই দুঃখের। কিন্তু কখনও মৃত্যুদণ্ডের মতো চরম শাস্তির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই কলমের নিব ভেঙে ফেলা হয় এটা বোঝাতে যে, মৃত্যুদণ্ড দুঃখজনক ব্যাপার।
See lessমুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ।
মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ।
See lessমুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন?
ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন।
ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন।
See lessমিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকার কাকে বলে?
মিনিয়েচার শব্দের আভিধানিক অর্থ হল ক্ষুদ্রাকার। যে সার্কিট ব্রেকার অল্প কারেন্টে কাজ করে এবং আকারের দিক দিয়েও ছোট এই ধরনের সার্কিট ব্রেকারগুলোকে মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকার কাকে বলে। মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকারকে সংক্ষেপে MCB বলা হয়।
মিনিয়েচার শব্দের আভিধানিক অর্থ হল ক্ষুদ্রাকার।
যে সার্কিট ব্রেকার অল্প কারেন্টে কাজ করে এবং আকারের দিক দিয়েও ছোট এই ধরনের সার্কিট ব্রেকারগুলোকে মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকার কাকে বলে।
মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকারকে সংক্ষেপে MCB বলা হয়।
See lessমাছ কিভাবে মাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে?
মাছেরা অক্সিজেন দুই ভাবে নিয়ে থাকে। যথা- প্রথমত মাছ তার নিজের ফুল্কোর (gills) সাহায্যে জলের ভিতর থেকে জলের দ্রবীভূত অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে থাকে। দ্বিতীয়ত, জলের উপরের বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন নিয়ে থাকে।
মাছেরা অক্সিজেন দুই ভাবে নিয়ে থাকে। যথা-
- প্রথমত মাছ তার নিজের ফুল্কোর (gills) সাহায্যে জলের ভিতর থেকে জলের দ্রবীভূত অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে থাকে।
- দ্বিতীয়ত, জলের উপরের বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন নিয়ে থাকে।
See lessভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকারের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কী কী?
অন্যান্য সার্কিট ব্রেকারের মতো ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকারের ও কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। এগুলো হলো- [caption id="" align="alignnone" width="300"] চিত্র- ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকার[/caption] ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকারের সুবিধা: ১. এটি দৃঢ়, বিশ্বস্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী। ২. আগুন লাগার ভয় নেই। ৩. অপারেশনেরRead more
অন্যান্য সার্কিট ব্রেকারের মতো ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকারের ও কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। এগুলো হলো-
চিত্র- ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকার
ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকারের সুবিধা:
১. এটি দৃঢ়, বিশ্বস্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী।
২. আগুন লাগার ভয় নেই।
৩. অপারেশনের সময় এবং পরে গ্যাস উৎপন্ন হয় না।
৪. যেকোন ত্রুটিপূর্ণ কারেন্টে এটি অপারেট করে।
৫. মেরামত খরচ কম এবং এটি অপারেশন সহজ।
৬. লাইটনিং সার্জে ও ভাল কাজ করে।
৭. আর্ক কম হয়।
৮. নিয়ন্ত্রণ মেকানিজমের জন্য কম পাওয়ার লাগে।
৯. নীরব অপারেশন।
১০. ডাই ইলেক্ট্রিক এবং কন্টাক্ট রেজিস্ট্যান্স স্থির থাকে।
ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকারের অসুবিধা:
১. ভ্যাকুয়ামের মাধ্যমে অগ্নি নির্বাপণ ব্যয়বহুল।
See less২. ভ্যাকুয়াম কোন কারণে ফেল করলে মেরামত করা কঠিন।
৩. কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে কন্টাক্টদ্বয়ের মাথা ক্ষয় হয়ে যাওয়ার কারণে সমমান হলে ডাই-ইলেক্ট্রিক স্ট্রেংথ কমে যায়।
৪. ৩৬ KV এর উপরে এটি ব্যবহার সুবিধাজনক নয়।
বৈদ্যুতিক সার্কিট কি? বৈদ্যুতিক সার্কিট কত প্রকার এবং কি কি?
বিদ্যুৎ এর উৎস, পরিবাহী, নিয়ন্ত্রন যন্ত্র, ব্যবহারযন্ত্র, রক্ষণযন্ত্র সমন্বয়ে এমন একটি পথ যার মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে তাকে সার্কিট বা বর্তনী বলে। সার্কিটের উপাদান সমুহের সংযোগের ভিত্তিতে সার্কিট তিন প্রকার। যথা- (i) সিরিজ সার্কিট (Series Ckt) (ii) প্যারালাল সার্কিট (Parallel Ckt) (iii) মRead more
বিদ্যুৎ এর উৎস, পরিবাহী, নিয়ন্ত্রন যন্ত্র, ব্যবহারযন্ত্র, রক্ষণযন্ত্র সমন্বয়ে এমন একটি পথ যার মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে তাকে সার্কিট বা বর্তনী বলে।
সার্কিটের উপাদান সমুহের সংযোগের ভিত্তিতে সার্কিট তিন প্রকার। যথা-
(i) সিরিজ সার্কিট (Series Ckt)
See less(ii) প্যারালাল সার্কিট (Parallel Ckt)
(iii) মিশ্র সার্কিট (Mixed Ckt)
বৈদ্যুতিক সার্কিটে কি কি প্রয়োজনীয় উপাদান থাকা আবশ্যক?
বৈদ্যুতিক সার্কিটে নিচের পাঁচটি প্রয়োজনীয় উপাদান আবশ্যক। যথা- উৎস (Source); যেমন- ব্যাটারী অথবা জেনারেটর। পরিবাহী (Conductor); যেমন- তামা অথবা এলুমিনিয়াম তার। নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (Controlling device); যেমন- সুইচ। ব্যবহার যন্ত্র (Consuming device); যেমন- বাতি, পাখা। রক্ষন যন্ত্র (Productive device); যেমRead more
বৈদ্যুতিক সার্কিটে নিচের পাঁচটি প্রয়োজনীয় উপাদান আবশ্যক। যথা-
- উৎস (Source); যেমন- ব্যাটারী অথবা জেনারেটর।
- পরিবাহী (Conductor); যেমন- তামা অথবা এলুমিনিয়াম তার।
- নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (Controlling device); যেমন- সুইচ।
- ব্যবহার যন্ত্র (Consuming device); যেমন- বাতি, পাখা।
- রক্ষন যন্ত্র (Productive device); যেমন- ফিউজ, ব্লেকার।
See lessবেগুনের চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে কেউ বলবেন কী?
বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই বেগুনের চাষ হয়ে থাকে। উন্নত জাত ও সঠিক নিয়ম সম্পর্কে না জেনে, গবেষণায় প্রাপ্ত নিয়ম ও সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করে বেশি ফলনের পাশাপাশি খরচও কমিয়ে আনা যায়। আসুন ধাপে ধাপে জেনে নিই বেগুন চাষের পদ্ধতি- ১. মাটি নির্বাচন হালকা বেলে থেকে ভারী এটেল মাটি অর্থাৎ প্রায় সব ধরনের মাটিতেই বRead more
বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই বেগুনের চাষ হয়ে থাকে। উন্নত জাত ও সঠিক নিয়ম সম্পর্কে না জেনে, গবেষণায় প্রাপ্ত নিয়ম ও সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করে বেশি ফলনের পাশাপাশি খরচও কমিয়ে আনা যায়।
আসুন ধাপে ধাপে জেনে নিই বেগুন চাষের পদ্ধতি-
১. মাটি নির্বাচন
হালকা বেলে থেকে ভারী এটেল মাটি অর্থাৎ প্রায় সব ধরনের মাটিতেই বেগুনের চাষ করা হয়। হালকা বেলে মাটি আগাম জাতের বেগুন চাষের জন্য উপযোগী। এই ধরণের মাটিতে বেগুন চাষ করতে হলে প্রচুর পরিমাণ জৈবসারসহ অন্যান্য সার ঘন ঘন প্রয়োগ করতে হবে। এটেঁল দো-আঁশ ও পলি দো-আঁশ মাটি বেগুন চাষের জন্য উপযোগী এবং এই মাটিতে বেগুনের ফলন বেশী হয়। বেগুন চাষের জন্য নির্বাচিত মাটি গভীর, উর্বর ও সুনিষ্কাশিত হওয়া প্রয়োজন।
২. চাষের মৌসুম
বাংলাদেশের জলবায়ুতে বছরের যে কোন সময়ই বেগুনের চাষ করা যেতে পারে। তবে রবি মৌসুমে বেগুন চাষ করলে ফলন খরিপ মৌসুমের চেয়ে পাওয়া যায়। রবি মৌসুম অর্থাৎ শীতকালের জন্য সাধারণতঃ আগষ্ট থেকে অক্টোবর পর্যন- বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। খরিপ মৌসুম অর্থাৎ বর্ষাকালীন বেগুনের জন্য জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন- বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। রবি মৌসুমে চাষের জন্য যে কোন জাতের বেগুন লাগানো যেতে পারে, কিন’ খরিপ মৌসুমে চাষের জন্য বারমাসী জাতসমূহ লাগাতে হবে।
৩. চারা তৈরি
বেগুন চাষের জন্য প্রথমে বীজতলায় চারা করে তা মূল জমিতে রোপণ করতে হয়। বীজতলা এমন স্থানে তৈরী করতে হবে যেখানে বৃষ্টির পানি দাঁড়াবে না অর্থাৎ সুনিষ্কাশিত হতে হবে, সর্বদা আলো-বাতাস পায় অর্থাৎ ছায়ামুক্ত হতে হবে।
৪.বীজতলা তৈরি
বীজতলা তৈরির জন্য মাটি গভীরভাবে (অন্তত ২০ সেন্টিমিটার) চাষ দিতে হবে। বীজতলায় মাটি হতে হবে উর্বর। উর্বরতা কম থাকলে জৈব সার ও সামান্য পরিমাণ ফসফেট জাতীয় সার ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতি বর্গ মিটার বীজতলার জন্য ০.১০ ঘন মিটার পচা গোবর সার ও ৩০ গ্রাম টিএসপি সার ব্যবহার করা যেতে পারে। চাষের পর সম্পূর্ণ জমিকে কয়েকটি ছোট ছোট বীজতলাতে ভাগ করে নিতে হবে। প্রতিটি বীজতলা দৈর্ঘ্যে ৩-৫ ঘন মিটার, প্রসে’ এক মিটার ও পাশ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার ফাঁকা জায়গা রাখা উচিত। পাশাপাশি দুটো বীজতলার মধ্যে ৫০-৬০ সেন্টিমিটার ফাঁকা জায়গা রাখা উচিত। এ ফাঁকা জায়গা থেকে মাটি নিয়ে বীজতলা উঁচু করে নিতে হবে। অল্প সংখ্যক চারা উৎপাদনের জন্য বীজতলা হিসেবে কাঠের বাক্স, প্লাস্টিকের ট্রে অথবা বড় টব ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রতি হেক্টর জমিতে বেগুন চাষের জন্য ২৫০-৩০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। ১ গ্রাম বেগুন বীজে প্রায় ২০০-২৫০ টি বীজ থাকে এবং শতকরা ৭৫-৮০টি বীজ অঙ্কুরিত হয়। বীজতলাতে বীজ ছিটিয়ে বা সারি করে বোনা যেতে পারে। সারিতে বুনলে সারি থেকে সারির দূরত্ব ৫ সেমি. দিতে হবে। বীজ বোনার পর বীজতলার মাটি হালকা করে চেপে দিতে হবে। বীজতলাতে চারার দূরত্ব ২-৩ সেমি. হলে চারার বৃদ্ধি ভাল হয়। বীজ বোনার পর ঝাঝরি দিয়ে হালকা ভাবে পানি ছিটিয়ে সেচ দেওয়া দরকার। প্রয়োজন হলে, শুকনা খড় বা পলিথিন শীট বা বস্তা দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেওয়া যেতে পারে। গ্রীষ্মকালে সকালে ও সন্ধ্যায় হালকাভাবে সেচ দেওয়া প্রয়োজন। চারা গজানোর পর ২-৩ দিন অন-র হালকা সেচ দেওয়া উচিত।
৫. জমি তৈরি ও চারা রোপণ
সাধারণতঃ মাঠের জমি তৈরির জন্য ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। ৩৫-৪৫ দিন বয়সের চারা রোপণের উপযোগী হয়। এ সময় চারাতে ৫-৬টি পাতা গজায় এবং চারা প্রায় ১৫ সেমি. লম্বা হয়। বেগুনের চারার বয়স একটু বেশী হলেও লাগানো যেতে পারে। প্রয়োজনে দু’মাস পর্যন্ত চারা বীজতলার রেখে দেওয়া যায়। চারা তোলার সময় যাতে শিকড় নষ্ট না হয সেজন্য চারা তোলার ১-২ ঘন্টা আগে বীজতলায় পানি দিয়ে মাটি ভিজিয়ে নিতে হবে।
৬. দূরত্ব
সাধারণতঃ বড় আকারের বেগুনের জাতের ক্ষেত্রে ৯০ সেমি. দূরে সারি করে সারিতে ৬০ সেমি. ব্যবধানে চারা লাগানো যেতে পারে এবং ক্ষুদ্রাকার জাতের ক্ষেত্রে ৭৫ সেমি. সারি করে সারিতে ৫০ সেমি. ব্যবধানে চারা লাগানো যেতে পারে।
৭. সময়
জমিতে লাগানোর পর পরই যাতে চারা শুকিয়ে না যায় সে জন্য সম্ভব হলে বিকালের দিকে চারা লাগানো উচিত।
৮. সার প্রয়োগ
বেগুন মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান শোষণ করে। এজন্য বেগুনের সন্তোষজনক উৎপাদন সার ব্যতীত সম্ভব নয়। সারের পরিমাণ মাটির উর্বরতা শক্তির উপর নির্ভর করে। বেগুন চাষের জন্য হেক্টর প্রতি নিম্ন লিখিত পরিমাণে সার সুপারিশ করা যেতে পারে। প্রথম কিস্তি সার চারা লাগানোর ১০-২৫ দিন পর, দ্বিতীয় কিস্তি ফল ধরা আরম্ভ হলে এবং তৃতীয় ফল তোলার মাঝামাঝি সময়ে দিতে হবে। জমিতে রস না থাকলে সার প্রয়োগের পর পরই সেচ দিতে হবে।
৯. পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা
বেগুনের সবচেয়ে ক্ষতিকর পোকা হল বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা। কোন কোন এলাকায় ক্ষুদ্র লাল মাকড় প্রধান শত্রু। এছাড়া কাঁটালে পোকা বা ইপলাকনা বিট্ল, জাব পোকা, ছাতরা পোকা, বিছা পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, থ্রিপস, কাটুই পোকা ইত্যাদি বেগুনের ক্ষতি করে থাকে। আইপিএম পদ্ধতিতে এসব পোকা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
১০. রোগ ব্যবস্থাপনা
এ দেশে বেগুনের ঢলে পড়া ও গোড়া পচা দু’টি মারাত্মক রোগ। প্রায় বেগুন ক্ষেতেই এ রোগ দেখা যায়। ফল পচা রোগেও অনেক বেগুন নষ্ট হয়। বীজতলায় ড্যাম্পিং অফ রোগ চারার মড়ক সৃষ্টি করে। এ ছাড়া মোজেইক, ক্ষুদে পাতা, শিকড়ে গিঁট ইত্যাদি রোগও বেগুন ফসলের যথেষ্ট ক্ষতি করে থাকে।
১১. ফল সংগ্রহ ও ফলন
সাধারণতঃ ফুল ফোটার পর ফল পেতে গড়ে প্রায় ১ মাস সময় লাগে। জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ১৭-৬৪ টন ফলন পাওয়া যায়।
ফল সম্পূর্ণ পরিপক্ক হওয়ার পূর্বেই সংগ্রহ করতে হবে। ফল যখন পূর্ণ আকার প্রাপ্ত হয় অথচ বীজ শক্ত হয় না তখন ফল সংগ্রহ করার উপযুক্ত হয়। সংগ্রহের সময় ফলের ত্বক উজ্জ্বল ও চকচকে থাকবে। অধিক পরিপক্ক হলে ফল সবুজাভ হলুদ অথবা তামাটে রং ধারণ করে এবং শাঁস শক্ত ও স্পঞ্জের মত হয়ে যায়।
See lessবেগুনের গুনাগুন ও স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো কী?
বেগুন একটি প্রচন্ড পুষ্টিকর সবজি। বেগুনের গুনাগুন ও স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো হলো- ১. হৃদপিন্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর বেগুন ফাইবার, ভিটামিন বি ১, বি ৬, বি ৩, সি, কে তে ভরপুর থাকে। এছাড়াও এতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে বলে বেগুন হৃদপিন্ডের জন্য উপকারী একটি খাবার। আরো হৃদপিন্ডের জন্য অপরিহার্য ফ্ল্যাভোনয়েড যা বেRead more
বেগুন একটি প্রচন্ড পুষ্টিকর সবজি। বেগুনের গুনাগুন ও স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো হলো-
১. হৃদপিন্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর
বেগুন ফাইবার, ভিটামিন বি ১, বি ৬, বি ৩, সি, কে তে ভরপুর থাকে। এছাড়াও এতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে বলে বেগুন হৃদপিন্ডের জন্য উপকারী একটি খাবার। আরো হৃদপিন্ডের জন্য অপরিহার্য ফ্ল্যাভোনয়েড যা বেগুনেই বিদ্যমান থাকে।
২. ক্যান্সার প্রতিহত করতে
বেগুনে পলিফেনল যেমন- ডেলফিনিডিন থাকে। যা ফ্রি র্যাযাডিকেলের ক্ষতির হাত থেকে কোষকে রক্ষা করে। এমনকি টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে এবং ক্যান্সার কোষের বিস্তার বন্ধ করতে সাহায্য করে। আবার যেকোনো ক্ষতস্থান শুকাতে সাহায্য করে বেগুন।
৩. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে
মনে রাখবেন আপনার শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর শক্তি আছে বেগুনের মধ্যেই। অবশ্য তেলে ভাঁজা বেগুন থেকে আপনি খুব বেশি উপকৃত হতে পারবেন না।
৪. মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটাতে
বেগুনের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট জ্ঞানীয় দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং সর্বদা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী। ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ছাড়াও এই উপাদানটি মস্তিষ্ককে রোগ ও টক্সিন থেকে মুক্ত থাকতেও সহায়ক এবং মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৫. হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে
হজম শক্তির ক্ষেত্রে বেগুন অনেক সহায়ক একটি সবজি। কারন ফাইবারে সমৃদ্ধ বেগুন প্ররিপাক প্রক্রিয়ার জন্য উপকারী। এর ফাইবার শরীরের খাদ্য প্রক্রিয়াজাৎকরণে সাহায্য করে।
৬. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে
বেগুনে উচ্চ মাত্রার ফাইবার ও কম দ্রবণীয় কার্বোহাইড্রেট থাকে বলে রক্তের গ্লুকোজ ও ইনসুলিনের মাত্রার সমস্যা আছে যাদের তাদের জন্য উপকারী খাবার।
৭. রক্ত বাড়াতে সাহায্য করতে
বেগুনে আয়রনও রয়েছে অনেক মাত্রায়, যা রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রক্তশূন্যতার রোগীরাও খেতে পারে এই সবজি। এতে চিনির পরিমাণ খুবই সামান্য।
৮. মুখ ও ঠোঁটের কোণের ঘা সারাতে
বেগুনে রয়েছে রিব্লোফ্ল্যাভিন নামক উপাদান। এই উপাদান জ্বর হওয়ার পরে মুখ ও ঠোঁটের কোণের ঘা, জিহ্বার ঘা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
See less