Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Login to our social questions & Answers Engine to ask questions answer people’s questions & connect with other people.
আপনার পাসওয়ার্ড ভুলেগেছেন? তাহলে আপনার ইমেইল এড্রেসটি লিখুন।প্রথমত, একটি কনফার্মেশন লিঙ্ক সহ ইমেইল যাবে উক্ত লিঙ্কে ক্লিক করে কনফার্ম করতে হবে।দ্বিতীয়ত, আরও একটা মেইল যাবে, যেখানে আপনার নতুন পাসওয়ার্ড উল্লেখ করা থাকবে, সেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি লগিন করতে পারবেন।(বিঃদ্রঃ আপনার ইনবক্সে মেইল না পৌঁছালে স্প্যাম ফোল্ডার চেক করুন)
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
আমার গরু ৪ দিন যাবৎ কিছু খাচ্ছে না, কি করব?
এনাপ্লাজমোসিস রোগটি প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। প্রথম দিকে গাভীর খাওয়ার রুচি ধীরে ধীরে কমে যাবে এবং এক পর্যায়ে সম্পুর্ন খাবার বন্ধ করে দেয়। খিঁচুনি এবং জ্বর। গাভীর দীর্ঘমেয়াদী (১০৪-১০৬) ডিঃ ফাঃ জ্বর হয় এবং পশম খাড়া হয়ে থাকে। আপনি আপার গরুর রক্ত পরীক্ষা করে নিন। আক্রান্ত গরুর রক্ত ল্যাবে অনুবীক্ষন যন্Read more
এনাপ্লাজমোসিস রোগটি প্রায়ই দেখা যাচ্ছে।
প্রথম দিকে গাভীর খাওয়ার রুচি ধীরে ধীরে কমে যাবে এবং এক পর্যায়ে সম্পুর্ন খাবার বন্ধ করে দেয়।
খিঁচুনি এবং জ্বর।
গাভীর দীর্ঘমেয়াদী (১০৪-১০৬) ডিঃ ফাঃ জ্বর হয় এবং পশম খাড়া হয়ে থাকে।
আপনি আপার গরুর রক্ত পরীক্ষা করে নিন।
আক্রান্ত গরুর রক্ত ল্যাবে অনুবীক্ষন যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে এই এনাপ্লাজমোসিস (Anaplasmosis) রোগ নির্নয় করা হয়।
রক্ত Giemsa strin করলে এ রোগের জীবানু সনাক্ত করা যাবে। ৫০-৬০% লোহিত কণিকা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে।
যদি এনাপ্লাজমোসিস রোগটি ধরা পরে তাহলে উপজেলা ভালো পশু চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা করাবেন, যদিও 1000 থেকে 1500 হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে। আশা করি আপনার গরু ভালো হয়ে যাবে।
আপনি আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে গরুর Anaplasmosis হয়েছে কিনা!
See lessগরুর দানাদার খাবারে অরুচি?
আমার একটি গরুর এমন হয়েছিল ডের মাস আগে, ওর ওজন 120 কেজি, গরু কাঁচা সকল কিছু খায়, কিন্তু গরু দানাদার খাবার খায় না। উপজেলা পশু চিকিৎসকের সহকারী আমার বাসায় এসেছিল, উনি আমাকে: 1. Zymovet powder 2. Vascozyme liquid 3. Vetomycin tablet 4. Mivit tablet এই চারটি ঐষধ খায়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন, গরুটিকে এগুলো খRead more
আমার একটি গরুর এমন হয়েছিল ডের মাস আগে, ওর ওজন 120 কেজি, গরু কাঁচা সকল কিছু খায়, কিন্তু গরু দানাদার খাবার খায় না।
উপজেলা পশু চিকিৎসকের সহকারী আমার বাসায় এসেছিল, উনি আমাকে:
1. Zymovet powder
2. Vascozyme liquid
3. Vetomycin tablet
4. Mivit tablet
এই চারটি ঐষধ খায়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন, গরুটিকে এগুলো খাইয়ে 3/4 দিনের মধ্যে গরু স্বাভdhক ভাবে আবার দানাদার খাওয়া শুরু করে।
See lessজাইমোভেট এর কাজ কি? ZYMOVET Powder
জাইমোভেট একমি কোম্পানির পাউডার ঔষধ। সব ঔষধের দোকানে এটি পাবেন। জাইমোভেট মূলত ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ পাউডার যা খাবার পানির সাথে গুলিয়ে খাওয়াতে হয়। জাইমোভেট এর কাজঃ ১. গরুর পেটে গ্যাস হলে জাইমোভেট পাওডার তা উপসমে কাজ করে। ২. গরু, মহিষ, ঘোড়া, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি গবাদি পশুর হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ৩Read more
জাইমোভেট একমি কোম্পানির পাউডার ঔষধ। সব ঔষধের দোকানে এটি পাবেন। জাইমোভেট মূলত ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ পাউডার যা খাবার পানির সাথে গুলিয়ে খাওয়াতে হয়।
জাইমোভেট এর কাজঃ
১. গরুর পেটে গ্যাস হলে জাইমোভেট পাওডার তা উপসমে কাজ করে।
২. গরু, মহিষ, ঘোড়া, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি গবাদি পশুর হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৩. গবাদিপশুর পেটের পিএইচ এর মান নিয়ন্ত্রিত রাখতে সাহায্য করে।
উপাদানঃ
জাইমোভেটের উপাদান গুলো দেখে আমরা সহজেই বুঝতে পারি যে পেট ফাঁপা বা গ্যাসের জন্য এটি চমৎকার ঔষধ। এটি ৫ টি উপাদান দিয়ে তৈরিঃ
উপাদান সমূহের কাজঃ
- এ্যামোনিয়াম বাইকার্বোনেট এবং সোডিয়াম বাইকার্বোনেট উভয়ে মূলত খাবার সোডা বা বেকিং সোডা। সোডা মূলত পেটে সৃষ্ট এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে পেটের এসিডিটির পরিমাণ কমায়।
- নাক্সভোমিকা হলো একধরনের ভেসজ উপাদান যা পিত্তরস তৈরি করে খাবার দ্রুত হজম করায়।
- জিনজার পাউডার হলো শুকনো আদার গুড়া, আদা যে কি পরিমান গ্যাস কমাতে পারে সেটা আমরা সবাই জানি।
- জেনসিয়ান পাউডার, জেনসিয়ান হলো অপরাজিতা ফুলের মতো দেখতে এক ধরনের পাহাড়ি ভেসজ ফুল যা ক্ষুধা বৃদ্ধি করে।
See lessগরুর হাট থেকে কিনে এনে কি কি করতে হয়?
১) সাধারনত আমরা কোনো গরু বাজার বা কোনো খামার বা আশেপাশের এলাকা থেকে সংগ্রহ বা ক্রয় করে থাকি, তো দূরত্ব বেশি হলে গাড়িতে করে আনতে হয় আর যাতায়াত জনিত কারনে গরু অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং তার শরীরে কিছুটা ব্যাথা অনুভব হয়।তার জন্য আমরা চাইলে,ফাস্ট ভেট বা এইস ভেট ব্যাবহার করতে পারি।আর সাথে গ্লুকোলাইট বা ইলেRead more
১) সাধারনত আমরা কোনো গরু বাজার বা কোনো খামার বা আশেপাশের এলাকা থেকে সংগ্রহ বা ক্রয় করে থাকি, তো দূরত্ব বেশি হলে গাড়িতে করে আনতে হয় আর যাতায়াত জনিত কারনে গরু অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং তার শরীরে কিছুটা ব্যাথা অনুভব হয়।তার জন্য আমরা চাইলে,ফাস্ট ভেট বা এইস ভেট ব্যাবহার করতে পারি।আর সাথে গ্লুকোলাইট বা ইলেক্ট্রমিন স্যালাইন পানিতে মিশিয়ে খাওয়াইতে পারি।
২) গরু বাজার থেকে এনে সাথে সাথে ফ্রেশ সাদা পানি খেতে দিবেন।
৩) বাজার থেকে এনে সরাসরি খামার বা অন্য গরুর সাথে রাখা যাবে না,কয়েকদিন একে আলাদা রেখে দেখাশোনা করতে হবে।আর পটাশ মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে।
৪) গরুকে নিয়মতি ক্রিমির ডোজ করাতে হবে,যেটা প্রান্তিক খামারি বা গেরোস্তো রা করতে চান না।ক্রিমির ডোজ এর জন্য আপনারা চাইলে রেনাডেক্স বা এনডেক্স খাওয়াতে পারেন(খালি পেটে সকাল বেলায়),প্রতি ৭৫কেজির জন্য ১টা ট্যাবলেট হিসেব করে খাওয়াবেন।
৫) ক্রিমির ডোজ দেওয়ার পরদিন থেকে লিভার টনিক দিতে হবে,বড় গরুর ক্ষেত্রে ১০০মিলি করে,আর ছোট গরুর ক্ষেত্রে ৫০মিলি করে,৬-৭দিন।
৬) তারপর জিংক, ভিটামিন ক্যালসিয়াম চাইলে দিতে পারেন, দিলে খুব ভালো হয়।
See lessগাভীর দুধ বৃদ্ধির জন্য কী করবো?
গাভীর দুধ বৃদ্ধির জন্য নিম্ন লিখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা যেতে পারে: pow.milkex(100g) প্রতি ১০০ কেজি গরুর দেহের ওজনের জন্য ১০ গ্রাম করে খাদ্যের সাথে মিশিয়ে রোজ ১ বার ১০ দিন খাওয়াতে হবে। Syp. Oracal p vet oral প্রতিদিন দুপুরে ১০০ মিলি করে ১০ দিন খাওয়াতে হবে। Pow. Renavet DB প্রতি ১০০ কেজি গরুর দেহের ওRead more
গাভীর দুধ বৃদ্ধির জন্য নিম্ন লিখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা যেতে পারে:
- pow.milkex(100g) প্রতি ১০০ কেজি গরুর দেহের ওজনের জন্য ১০ গ্রাম করে খাদ্যের সাথে মিশিয়ে রোজ ১ বার ১০ দিন খাওয়াতে হবে।
- Syp. Oracal p vet oral প্রতিদিন দুপুরে ১০০ মিলি করে ১০ দিন খাওয়াতে হবে।
- Pow. Renavet DB প্রতি ১০০ কেজি গরুর দেহের ওজনের জন্য চার চা চামচ করে খাদ্যের সাথে মিশিয়ে রোজ ১ বার ১ মাস খাওয়াতে হবে।
- আমিষ জাতীয় সুষম দানাদার খাদ্য প্রতি ১ লিটার দুধের জন্য অতিরিক্ত আধা কেজি দানাদার খাদ্য নিয়মিত সরবরাহ করতে হবে।
- অধিক পরিমাণে কাঁচা ঘাস পরিষ্কার করে ধুয়ে সরবরাহ করতে হবে।
- পরিমাণমত ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক খাওয়াতে হবে।
See lessছাগলের কৃমি বিভিন্ন প্রকার। কোন কৃমির জন্য কোন গ্রুপের ওষুধ খাউয়াব???
► ছাগলের কৃমি বিভিন্ন প্রকার। কোন কৃমির জন্য কোন গ্রুপের ওষুধ বোশ কার্যকর তা জানা দরকার। বিশেষ করে ছাগলের বাচ্চাকে কৃমি নাশক ঔষধ ব্যবহার পরবর্তী সময়ে করণীয়গুলো জানা থাকতে হয়, কারণ বাচ্চগুলোই হলো খামারের ভবিষ্যৎ। ►ছাগলের বাচ্চা জন্ম হবার এক মাস পর্যন্ত নাদুসনুদুস থাকে আস্তে আস্তে দেখা দেয় পশম উস্Read more
► ছাগলের কৃমি বিভিন্ন প্রকার। কোন কৃমির জন্য কোন গ্রুপের ওষুধ বোশ কার্যকর তা জানা দরকার। বিশেষ করে ছাগলের বাচ্চাকে কৃমি নাশক ঔষধ ব্যবহার পরবর্তী সময়ে করণীয়গুলো জানা থাকতে হয়, কারণ বাচ্চগুলোই হলো খামারের ভবিষ্যৎ।
►ছাগলের বাচ্চা জন্ম হবার এক মাস পর্যন্ত নাদুসনুদুস থাকে আস্তে আস্তে দেখা দেয় পশম উস্কোখুস্কো মলের সাথে ফিতা কৃমি, পাতলা পায়খানা, কখনো কখনো হঠাৎ মৃত্যু। যদিও আমার কাছে আল্লাহর রহমতে কোন বাচ্চা মারা যায়নি চেষ্টা করি কৃমি মুক্ত রাখতে।
ট্রাইক্লাবেন্ডাজল (Triclabendazole) ছাগলের কি ধরণের কৃমিনাশক?
১.পাতাকৃমি।
২.কলিজার পাতাকৃমি।
৩. রক্তের পাতাকৃমি।
৪. রুমেন কৃমি।
লেভামিসল (Levamisole) ছাগলের কি কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে?
১. সাধারন গােলকৃমি।
২. কেঁচো বা বড় গােলকৃমি
৩. পাকস্থলীর গােলকৃমি।
৪. অন্ত্রনালীর গােলকৃমি।
৫. ফুসফুসের গােলকৃমি।
ইন্জেকশন আইভারমেকটিন (inj Ivermectin) কি দমন করে?
১. উকুন।
২. আঠালী।
৩. মাইট।
*ফিতাকৃমি যেকোন গ্রুপের ঔষধ ব্যবহার করলেই হয়।
ছাগলকে কৃমির ঔষধ প্রয়োগ না করলে, কৃমি জনিত কারণে যে সমস্যা গুলো হয়। যেমন:
১ খাওয়ায় অরুচি ও ক্ষুধা মন্দা।
২ দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়া।
৩ দুগ্ধবতী পশুর দুধ কমে যাওয়া।
৪ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি না হওয়া।
৫ পশুর রক্ত স্বল্পতা।
৬ বােটল জো ও পট বেলি।
তাই সঠিক সময় মত িছাগলকে কৃমির ঔষধ প্রয়োগ করতেই হবে।
উদাহরণস্বরূপ:
একটি ছাগলের জন্মের প্রথম মাসে মানুষের বাচ্চার কৃমি নাশক ঔষধ অ্যালবেনডাজল (Albendazole) গ্রুপের ১ কেজি লাইভ ওয়েট এর জন্য এক এমএল লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রথম মাসে কৃমি নাশক ঔষধ ব্যবহার করার পর যদি মনে হয় রুচি কুমে গেছে তাহলে মানুষের বাচ্চার বিকোজিন ইউজ করা যেতে পারে, ছোট বাচ্চাকে যে নির্দেশনায় দেয়া হয় সেই নির্দেশনা অনুযায়ী দুই থেকে তিন দিন।
দ্বিতীয় মাসে পশু চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রাইক্লাবেন্ডাজল+লেভামিসল গ্রুপের ট্যাবলেট ব্যাবহার যেতে পারে।
তৃতীয় মাসে আইভারমেকটিন গ্রুপের কৃমি নাশক ইনজেকশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
See lessগরুর বুক ফোলা
প্রথমত মত আপনার গরুর বুক ফোলা অংশটির ছবি যুক্ত করে দেওয়া উচিত ছিল এবং গরুর অন্যন্য লক্ষণ/অবস্থার বর্ণনা দেওয়া উচিত ছিল, যা দেখে/পড়ে অনেকেই তাদের অভিঙ্গতা শেয়ার করতে পারত। যাই হোক আমি কয়েকটা ছবি Attachment করছি, ছবি ছবিগুলো দেখে আপনার গরুর সাথে মিল পান। গরুর রোগের নাম: আপনার কথা অনুযায়ীRead more
প্রথমত মত আপনার গরুর বুক ফোলা অংশটির ছবি যুক্ত করে দেওয়া উচিত ছিল এবং গরুর অন্যন্য লক্ষণ/অবস্থার বর্ণনা দেওয়া উচিত ছিল, যা দেখে/পড়ে অনেকেই তাদের অভিঙ্গতা শেয়ার করতে পারত। যাই হোক আমি কয়েকটা ছবি Attachment করছি, ছবি ছবিগুলো দেখে আপনার গরুর সাথে মিল পান।
গরুর রোগের নাম:
আপনার কথা অনুযায়ী মনে হচ্ছে এটা, brisket diseases, আমরা জানি brisket অর্থ সিনা এবং diseases অর্থ রোগ।
এছাড়াও এটি বিভিন্ন নামে পারচিত যেমন: বোভাইন কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিউর, বোভাইন পালমোনারি হাইপারটেনশন (রাইট হার্ট ফেইলিউর) এবং ব্রিসকেট ডিজিজ।
এক প্রকার তরল দিয়ে গরুর সিনার এলাকা বড় হওয়ার কারণে এটিকে সাধারণত ব্রিসকেট ডিজিজ বলা হয়।
ব্রিসকেট ডিজিজ গরুর রোগের লক্ষণ:
গরুর সিনা বা ব্রিসকেট, সাবম্যান্ডিবুলার অঞ্চল, ডিসটেনডেড জগুলার ভেইন এ শোথ বা ফুলা (Oedema) পরিলক্ষিত হয়।
গবাদি পশু তাদের চোয়ালের নীচে তরল ভরা থলি, পেট ফুলে যাওয়া, দৃশ্যমান স্পন্দন সহ জগুলার শিরার বিস্তৃতি, চোখ বাগড়া, এবং মুখে ফেনা পড়া, বিষণ্নতা, কান ঝুলে থাকা, মাঝে মাঝে পাতলা ডায়রিয়া, হার্ট স্পন্দন দ্রুত হওয়া, মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া। এছাড়াও রোগের অগ্রগতির সাথে সাথে গরুর ওজনও হ্রাসের কমে যেতে শুরু করে।
সমস্ত গবাদি পশুর সমস্ত উপসর্গ দেখা দেয় না, তবে তারা রোগের ফলে মারা যায়।
**ব্রিসকেট রোগ প্রাথমিকভাবে নির্ণয় করা কঠিন কারণ এটি শ্বাসকষ্টের সমস্যার সাথে অনেক মিল রয়েছে।
গরুর হার্টের/শ্বাসযন্ত্রের রোগের জন্য কঠিন রোগ নির্ণয় এবং স্বাভাবিক চিকিত্সার কারার পর, যখন বুঝা যায় যে এটির ব্রিসকেট রোগ রয়েছে তখন আর প্রাণীটিকে বাঁচানো যায় না।
গরুর ব্রিসকেট ডিজিজ রোগের ফলাফল:
বাইরের দিকে পরিলক্ষিত তরল (ব্রিস্কেট এবং ঘাড়ে ফোলা) মোট তররের একটি ছোট অংশ। বক্ষ গহ্বরের ভিতরে আরও বেশি তরল রয়েছে যা হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
ব্রিসকেট ডিজিজ গবাদি পশুর একটি আকারে বেড়ে যাওয়া হৃৎপিণ্ড থাকবে যা প্রায়শই স্বাভাবিক হৃদপিণ্ডের আকারের দ্বিগুণ না হওয়া বড় হতে থাকে এবং তখন গরু রক্ত এবং অক্সিজেন পাম্প করতে অক্ষম হয়। ধমনীর অভ্যন্তরীণ ব্যাস হ্রাস, এবং পরবর্তী পালমোনারি উচ্চ রক্তচাপ, পশুর হৃৎপিণ্ডের ডান দিকের ফুসফুসে রক্ত পাম্প করা কঠিন করে তোলে। কিছু গবাদি পশু ব্রিসকেট রোগে খুব দ্রুত মারা যায়, অন্যরা কয়েক সপ্তাহ ধরে থাকে।
ব্রিসকেট ডিজিজ গরুর রোগের চিকিৎসা:
বর্তমানে (২০২২) ব্রিসকেট ডিজিজ সম্পর্কে আমাদের দেশে (বাংলাদেশ) যথেষ্ট গবেষণা নেই। তাই এটির সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই।
See lessগরুকে এনজাইম প্রিপারেশন খাওয়ালে কি উপকার পাওয়া যায়?
এনজাইম প্রিপারেশনে এর কাজ হলো: ফিডের হজমশক্তি বাড়ানো। অ্যামিনো অ্যাসিডের ব্যবহার বাড়াতে। খাদ্য রূপান্তর অনুপাত উন্নত করা। ওজন বৃদ্ধি এবং উৎপাদন উন্নত করা। ভেজা ফোঁটা ও দুর্গন্ধ দূর করতে। ফিডের ব্যয় হ্রাস করা। রোগের প্রবণতা হ্রাস করা। যে কোনও ধরণের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করা।
এনজাইম প্রিপারেশনে এর কাজ হলো:
- ফিডের হজমশক্তি বাড়ানো।
- অ্যামিনো অ্যাসিডের ব্যবহার বাড়াতে।
- খাদ্য রূপান্তর অনুপাত উন্নত করা।
- ওজন বৃদ্ধি এবং উৎপাদন উন্নত করা।
- ভেজা ফোঁটা ও দুর্গন্ধ দূর করতে।
- ফিডের ব্যয় হ্রাস করা।
- রোগের প্রবণতা হ্রাস করা।
- যে কোনও ধরণের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করা।
See lessগমের ভূষি বাদ দিয়ে দৈনিক ২০ লিঃ পর্যন্ত দুধ দেয়া গাভীর খাদ্য ফর্মুলা কেমন হতে পারে?
গমের ভূষি ছাড়া দিয়ে দৈনিক ২০ লিঃ পর্যন্ত দুধ দেয়া গাভীর মোট ১০০ কেজি খাদ্য তৈরির ফর্মুলা: তিলের/সূর্যমুখী খৈল= ২৪.৫ কেজি মসুর/ছোলা ডালের ভূষি= ২৫ কেজি চালেড় কুড়া= ১৪ কেজি ভুট্রা ভাংগা= ২৫ কেজি লবন= ১ কেজি খাবার সোডা= ১ কেজি রক সল্ট= ২ কেজি ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্রস= ০.৫ কেজি চিতা গুড়/মোলাসেস= ৬ কেজRead more
গমের ভূষি ছাড়া দিয়ে দৈনিক ২০ লিঃ পর্যন্ত দুধ দেয়া গাভীর মোট ১০০ কেজি খাদ্য তৈরির ফর্মুলা:
- তিলের/সূর্যমুখী খৈল= ২৪.৫ কেজি
- মসুর/ছোলা ডালের ভূষি= ২৫ কেজি
- চালেড় কুড়া= ১৪ কেজি
- ভুট্রা ভাংগা= ২৫ কেজি
- লবন= ১ কেজি
- খাবার সোডা= ১ কেজি
- রক সল্ট= ২ কেজি
- ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্রস= ০.৫ কেজি
- চিতা গুড়/মোলাসেস= ৬ কেজি
- ইউরিয়া= ১ কেজি
See lessআমি মুরগি পালনে আগ্রহী, লাভজনক ভাবে দেশী মুরগী পালন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাই?
দেশি মুরগি পালন পদ্ধতিতে, দেশী মুরগির ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাজারে বিক্রি করার চেয়ে ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরী করে ৮-১২ সপ্তাহ বয়সে বিক্রি করলে লাভ বেশী হয়। এক সংঙ্গে ১০-১২ টি মুরগি নিয়ে পালন শূরু করতে হবে। শুরুতে মুরগি গুলোকে কৃমি নাষক ঔষধ খাওয়ানোর পরে রানীক্ষেত রোগের টীকা দিতে হবে। মুরগির গায়ে উকুন থাRead more
দেশি মুরগি পালন পদ্ধতিতে, দেশী মুরগির ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাজারে বিক্রি করার চেয়ে ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরী করে ৮-১২ সপ্তাহ বয়সে বিক্রি করলে লাভ বেশী হয়। এক সংঙ্গে ১০-১২ টি মুরগি নিয়ে পালন শূরু করতে হবে।
শুরুতে মুরগি গুলোকে কৃমি নাষক ঔষধ খাওয়ানোর পরে রানীক্ষেত রোগের টীকা দিতে হবে। মুরগির গায়ে উকুন থাকলে তাও মেরে নিতে হবে। প্রতিটি মুরগিকে দিনে ৫০-৬০ গ্রাম হারে সুষম খাদ্য দিতে হবে। আজকাল বাজারে লেয়ার মুরগির সুষম খাদ্য পাওয়া যায় । তা ছাড়া আধা আবদ্ধ এ পদ্ধতিতে পালন করলে লাভ বেশী হয়।
মুরগির সাথে অবশ্যই একটি বড় আকারের মোরগ থাকতে হবে। তা না হলে ডিম ফুটানো যাবে না । ডিম পাড়া শেষ হলে মুরগি উমে আসবে । তখন ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটানোর ব্যবস্থা নিতে হয়। এক সঙ্গে একটি মুরগির নীচে ১২-১৪ টি ডিম বসানো যাবে। খামারের আদলে বাঁশ, কাঠ খড়, বিচলী তাল নারকেল সুপারির পাতা দিয়ে যত কম খরচে স্থানান্তর যোগ্য ঘর তৈরী করা সম্ভব তা করা যায়।
দেশী মুরগি পালন কৌশলের বিশেষ নজর দেয়ার ধাপ সমূহঃ
উমে বসানো মুরগির পরিচর্যা করতে হবে। মুরগির সামনে পাত্রে সবসময় খাবার ও পানি দিয়ে রাখতে হবে যাতে সে ইচ্ছে করলেই খেতে পারে । তাহলে মুরগির ওজন হ্রাস পাবেনা এতে বাচ্চা তোলার পর আবার তাড়াতাড়ি ডিম পাড়া আরম্ভ করবে।
▣ ডিম বসানোর ৭-৮ দিন পর আলোতে রাতের বেলা ডিম পরীক্ষা করলে বাচ্চা হয় নাই এমন ডিমগুলো চেনা যাবে এবং বের করে অনতে হবে। বাচ্চা হওয়া ডিমগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন মুরগি বিরক্ত না হয়।
▣ প্রতিটি ডিমের গায়ে সমভাবে তাপ লাগার জন্য দিনে কমপেক্ষ ৫-৬ বার ওলট পালট করে দিতে হবে।
▣ বাতাসের আর্দ্রতা কম হলে বিশেষ করে খুব গরম ও শীতের সময় ডিম উমে বসানোর ১৮-২০দিন পর্যন্ত কুসুম গরম পানিতে হাতের আঙ্গুল ভিজিয়ে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
▣ ডিম ফোটার পর ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত মাকে দিয়ে বাচ্চাকে উম দিতে হবে। তাতে বাচ্চা শুকিয়ে ঝরঝরে হবে।
বাচ্চা ফুটার পর বাচ্চার পরিচর্যা ও ডিম পাড়া মুরগির পরিচর্যাঃ
গরম কালে বাচ্চার বয়স ৩-৪ দিন এবং শীত কালে ১০-১২ দিন পর্যন্ত বাচ্চার সাথে মাকে থাকতে দিতে হবে। তখন মুরগি নিজেই বাচ্চাকে উম দিবে। এতে কৃত্রিম উমের (ব্রুডিং) প্রয়োজন হবে না। এ সময় মা মুরগিকে খাবার দিতে হবে। মা মুরগির খাবারের সাথে বাচ্চার খাবার ও কিছু আলাদা করে দিতে হবে। বাচ্চা গুলো মায়ের সাথে খাবার খাওয়া শিখবে।
উপরোক্ত বর্নিত সময়ের পর মুরগিকে বাচ্চা থেকে আলাদা করতে হবে। এ অবস্থায় বাচ্চাকে কৃত্রিম ভাবে ব্রুডিং ও খাবার দিতে হবে। তখন থেকেই বাচ্চা পালনের মত বাচ্চা পালন পদ্ধতির সব কিছুই পালন করতে হবে। মা মুরগিকে আলাদা করে লেয়ার খাদ্য দিতে হবে। এ সময় মা মুরগিকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিন দিতে হবে।
মা মুরগি ও বাচ্চা এমনভাবে আলাদা করতে হবে যেন তারা দৃষ্টির বাহিরে থাকে। এমন কি বাচ্চার চিচি শব্দ যেন মা মুরগি শুনতে না পায়। তা না হলে মা ও বাচ্চার ডাকা ডাকিতে কেউ কোন খাবার বা পানি কিছুই খাবে না। আলাদা করার পর অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে গেলে আর কোন সমস্য থাকে না।
প্রতিটি মুরগিকে এ সময় ৮০-৯০ গ্রাম লেয়ার খাবার দিতে হবে। সাথে সাথে ৫-৭ ঘন্টা চড়ে বেড়াতে দিতে হবে। প্রতি ৩-৪ মাস পর পর কৃমির ঔষধ এবং ৪-৫ মাস পর পর আর.ডি.ভি. টীকা দিতে হবে। দেশে একটি মুরগি ডিম পাড়ার জন্য ২০-২৪ দিন সময় নেয়। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ২১ দিন সময় নেয়। বাচ্চা লালন পালন করে বড় করে তোলার জন্য ৯০-১১০ দিন সময় নেয় ।
ডিম থেকে এ ভাবে (৯০-১১০ দিন ) বাচ্চা বড় করা পর্যন্ত একটি দেশী মুরগির উৎপাদন চক্র শেষ করতে স্বাভাবিক অবস্থায় ১২০- ১৩০ দিন সময় লাগে। কিন্তু মাকে বাচ্চা থেকে আলাদা করার ফলে এই উৎপাদন চক্র ৬০-৬২ দিনের মধ্যে সমাপ্ত হয়। বাকি সময় মুরগিকে ডিম পাড়ার কাজে ব্যবহার করা যায়। এই পালন পদ্ধতিকে ক্রিপ ফিডিং বলে।
ক্রিপ ফিডিং পদ্ধতিতে বাচ্চা পালন করলে মুরগিকে বাচ্চা পালনে বেশী সময় ব্যায় করতে হয় না। ফলে ডিম পাড়ার জন্য মুরগি বেশী সময় দিতে পারে। এই পদ্ধতিতে বাচ্চা ফুটার সংখ্যা বেশী হয়। দেখা গেছে বাচ্চার মৃত্যুহারও অনেক কম থাকে। মোট কথা অনেক দিক দিয়েই লাভবান হওয়া যায়। এই পদ্ধতি বর্তমানে অনেকে ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছেন।
দেশীয় পদ্ধতিতে দেশি মোরগ পালনঃ
দেশি মোরগ আবদ্ধ ও ছেড়ে পালন করা যায়। তবে ছেড়ে পালন করলে বেশি লাভবান হওয়া যায় কারন মোরগ নিজের খাদ্য নিজে কুড়িয়ে খায়।এরা মুক্ত আলো বাতাস বিশেষ করে প্রচুর সূর্য কিরণে বেড়ে উঠে যা তাদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে সাহায্য করে। এদের খাবারের জন্য তেমন কোন খরচ করতে হয় না।
মোরগ নির্বাচনঃ
দেখে শুনে সুস্থ সবল ও নিরোগ মোরগ সংগ্রহ করতে হবে। মূলত ৪০০-৬০০ গ্রামের মোরগ দিয়ে শুরু করলে ভাল ফলাফল আশা করা যায়। কারন ঐ সময়ের পর মোরগ গুলো দ্রুত বাড়ে এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যা পেলে ২ মাস পর মোরগ গুলোর গড় ওজন ২ কেজির উপর হবে। প্রতি কিলো দেশি মোরগের মূল্য কেমন আছে সেটা নাই বা বললাম। আপনারা নিজেরা লাভ-ক্ষতি বের করে নিন।
মুরগির ঘর তৈরির নিয়মঃ
মোরগের জন্য খোলামেলা ঘর হতে হবে। ১.৫ মিটার (৫ ফুট) লম্বা X১.২ মিটার (৪ ফুট) চওড়া এবং ১ মিটার (৩.৫ ফুট) উঁচু ঘর তৈরি করতে হবে। ঘরের বেড়া বাঁশের দরজা বা কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি করতে হবে। এছাড়া মাটির দেয়ালও তৈরি করা যাবে। বেড়া বা দেওয়ালে আলো বাতাস চলাচলের জন্য ছিদ্র থাকতে হবে। ঘরের চাল খড়, টিন বা বাঁশের দরজার সাথে পলিথিন ব্যবহার করে তৈরি করা যাবে। এরকম ঘরে ১০-১৫টি মোরগ পালন করা যায়।
মুরগীর খাবারঃ
বাড়ির প্রতিদিনের বাড়তি বা বাসী খাদ্য যেমন ফেলে দেওয়া এঁটোভাত, তরকারি,ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গম, ধান, পোকামাকড়, শাক সবজির ফেলে দেওয়া অংশ, ঘাস, লতা পাতা, কাঁকর, পাথর কুচি ইত্যাদি মুরগি কুড়িয়ে খায়।
দেশী মুরগীর পরিচর্যাঃ
ছেড়ে পালন পদ্ধতিতে মুরগি পরিচর্যার জন্য সময় বা লোকজনের তেমন দরকার পড়ে না। তারপরও কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। সকালে মুরগির ঘর খুলে কিছু খাবার দিতে হবে। সন্ধ্যায় মুরগি ঘরে ওঠার আগে আবার কিছু খাবার দিতে হবে। ঘরে উঠলে দরজা বন্ধ করে দিতে হবে।
মুরগির পায়খানা ঘরের মেঝেতে যেন লেপ্টে না যায় সেজন্য ঘরের মেঝেতে ধানের তুষ, করাতের গুঁড়া ২.৫ সে.মি. (১ ইঞ্চি) পুরু করে বিছাতে হবে। পায়খানা জমতে জমতে শক্ত জমাট বেঁধে গেলে বারবার তা উলট-পালট করে দিতে হবে এবং কিছুদিন পর পর পরিষ্কার করতে হবে। এ পদ্ধতিতে দেশি মোরগ পালন করা গেলে প্রায় তেমন কোন খরচ ছাড়াই ভাল একটা মুনাফা পাওয়া যাবে।
দেশি মুরগি পালনে যত্ন নিতে হবেঃ
বাড়ির আশপাশে চরে বেড়িয়ে বাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবার, পোকামাকড়, কেঁচো, কচি ঘাসপাতা খায় তারা। সে অর্থে প্রতিপালনের কোনও খরচ নেই বললে চলে। আপাতদৃষ্টিতে লাভজনক মনে হলেও আসলে অতটা লাভ হয় না। ছাড়া মুরগি অন্যত্র ডিম পেড়ে আসে, কখনও রোগে মারা যায়। তাই দেশি মুরগির পালন লাভজনক করতে হলে কিছু নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার, সে জাত নির্বাচনেই হোক বা রোগ পরিচর্যায়।
প্রথমে আসি মুরগির জাতে। ব্রয়লার খামারের হাইব্রিড মুরগি উঠোনে ছেড়ে পালন করা যায় না। তাই খাঁটি জাতগুলোকে বাছতে হবে। যেমন, রোড আইল্যান্ড রেড (আরআইআর) বা ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প। রঘুনাথপুর, বালুরঘাটের রাজ্য মুরগি খামারে লাল বা আরআইআর এবং কালো বা ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায়। ইদানীং কালে বনরাজা, গিরিরাজা, গ্রামরপ্রিয়া ইত্যাদি জাত কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে।
মুরগী রাতে রাখার জন্য ঘর বানাতে হবে। মাটি থেকে সামান্য উপরে বাঁশ বা কাঠ দিয়ে কম খরচে খড় বা টালি ঢেকে তৈরি ঘরগুলো যেন শুকনো, পরিষ্কার হয়। আর আলো-বাতাস খেলে। প্রতিটি মুরগীর জন্য গড়ে তিন বর্গফুট জায়গা ধরতে হবে।
দেশি মুরগি চরে বেড়িয়ে তার খাবার সংগ্রহ করে নিলেও এ ধরনের উন্নত জাতের মুরগির পুরো উৎপাদন ক্ষমতা কাজে লাগাতে অল্প পরিমাণে সুষম খাবার দেওয়া প্রয়োজন।
দানাদার খাবারঃ
চালের গুঁড়ো (৩০০ গ্রাম), খুদ বা গম ভাঙা (২৮০ গ্রাম), সর্ষে/ তিল খৈল (২০০ গ্রাম), মাছ বা সোয়াবিন গুঁড়ো (২০০ গ্রাম), ভিটামিন ও খনিজ লবণ মিশ্রণ (২০ গ্রাম)।
মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী মাথা পিছু ৫০-৭০ গ্রাম হিসাবে অর্ধেক সকালে ও অর্ধেক বিকালে খেতে দিতে হবে। রাতে মুরগি রাখার যে ঘর আছে, সেখানে নির্দিষ্ট পাত্রে জল ও খাবার দিতে হবে। যাতে সকালে ঘর থেকে বেরনো বা পরে ঘরে ঢোকার সময় ওই খাবার ও জল খাওয়া অভ্যাস তৈরি হয়। এই অভ্যাস থাকলে ওষুধ গুলে খাওয়াতে সুবিধা হয়। মুরগির খাবার সবসময় শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে। বেশি দিন জমা রাখলে ছত্রাক সংক্রমণ ঘটে।
সংকরায়ণ পদ্ধতিতে দেশি মুরগির সঙ্গে উন্নত মোরগ রেখে প্রাকৃতিক প্রজনন ঘটিয়ে দেশি মুরগির জিনগত উৎকর্ষতা বাড়ানো যায়। প্রতি ১০টি দেশি মুরগি পিছু ১টি উন্নত জাতের মোরগ রাখতে হবে। যে সংকর মুরগি জন্মাবে, তা দেশি মুরগির চেয়ে দ্রুত (৪-৫ মাস বয়সে) এবং প্রায় দ্বিগুণ (বছরে ১২০-১৪০টি) ডিম দেবে।
রোগব্যাধি মুরগি পালনের অন্যতম সমস্যা। তাই নিয়মিত মুরগির ঘর চুন বা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
প্রতি ২ মাসে একবার করে কৃমিনাশক ওষুধ (পাইপেরাজিন তরল বয়স অনুযায়ী ০.৫-১ মিলি) জলে গুলে খাওয়াতে হবে। রানিক্ষেত বা বসন্তের মতো কয়েকটি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত টিকাকরণ জরুরি। টিকা দেওয়ার দশ দিন আগে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে।
মুরগিকে টিকাকরণঃ
বিশেষত রানিক্ষেত( বিসিআরডিভি টিকা ৭-১০ দিন বয়সে চোখে এক ফোঁটা, ৩০ দিন বয়সে আর এক বার, ২ মাস বয়সে প্রথম কৃমির ওষুধ এবং আড়াই মাস বয়সে ডানার তলায়( ফাউল পক্স) ০.৫ মিলি ইঞ্জেকশন অবশ্যই নিতে হবে। ৩ মাস বয়সে ( আরডিভি টিকা) ১ সিসি করে রানের মাংসে এবং প্রতি ৩ মাস পর পর আরডিভি টিকা দিতে হবে।
দেশী মুরগি বানিজ্যিকভাবে পালনঃ
দেশী মুরগি বানিজ্যিকভাবে পালন কৌশল আয় বৃদ্ধি ও পারিবারিক পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানে দেশী মুরগী প্রতিপালন বিশেষ অবদান রাখতে পারে । আমরা সবাই বলে থাকি দেশী মুরগির উৎপাদন কম । কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ লক্ষ্য এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশী মুরগীর উৎপাদন দ্বিগুনের ও বেশী পাওয়া সম্ভব। দেশী মুরগি থেকে লাভ জনক উৎপাদন পওয়ায় বিভিন্ন কৌশল এখানে বর্ননা করা হয়েছে।
ফুটানোর ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষনঃ
আরেকটি প্রয়োজনীয় ̧গুরুত্বপূর্ন কাজ। ডিম পাড়ার পর ডিম সসংগ্রহের সময় পেন্সিল দিয়ে ডিমের গায়ে তারিখ লিখে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষন করতে হবে। ডিম পাড়া শেষ হলেই মুরগি কুঁচো হবে। গরম কালে ৫-৬ দিন বয়সের ডিম এবং শীত কালে ১০-১২ দিন বয়সের ডিম ফুটানোর জন্য নির্বাচন করতে হবে।
উপসংহারঃ
বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় প্রায় প্রতিটি পরিবার দেশী মুরগি পালন করে থাকে। এদের উৎপাদন ক্ষমতা বিদেশী মুরগির চেয়ে কম। উৎপাদন ব্যয়ও অতি নগণ্য। এটি অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। এদের মাংস ও ডিমের মূল্য বিদেশী মুরগীর তুলনায় দ্বিগুণ, এর চাহিদাও খুবই বেশী। দেশী মুরগির মৃত্যুহার বাচ্চা বয়সে অধিক এবং অপুষ্টিজনিত কারনে উৎপাদন আশানুরূপ নয়। বাচ্চা বয়সে দেশী মোরগ-মুরগির মৃত্যুহার কমিয়ে এনে সম্পূরক খাদ্যের ব্যবস্থা করলে দেশী মুরগি থেকে অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদন করা সম্ভব।
আয় বৃদ্ধি ও পারিবারিক পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানে দেশী মুরগী প্রতিপালন বিশেষ অবদান রাখতে পারে । আমরা সবাই বলে থাকি দেশী মুরগির উৎপাদন কম কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ লক্ষ্য এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশী মুরগীর উৎপাদন দ্বিগুনের ও বেশী পাওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশী মুরগি উৎপাদনে উন্নত কৌশল শীর্ষক প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে। এ কৌশল ব্যবহার করে খামারিরা দেশী মুরগি থেকে অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদন করে পারিবারিক পুষ্টি ও আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।
(সংগ্রহিত)
See less