কার্যকারিতার দিক থেকে হাব প্রধানত দুই প্রকার। যথা- ১. সক্রিয় হাব (Active Hub): সক্রিয় হাব সংকেতের মানকে বৃদ্ধি করে এবং মূল সংকেত থেকে অপ্রয়োজনীয় সংকেত বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় সংকেত প্রেরণ করে। ২. নিষ্ক্রিয় হাব (Possive Hub): নিষ্ক্রিয় হাব কেবলমাত্র কম্পিউটারসমূহের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করে। এটি সংকেতেরRead more
কার্যকারিতার দিক থেকে হাব প্রধানত দুই প্রকার। যথা-
১. সক্রিয় হাব (Active Hub): সক্রিয় হাব সংকেতের মানকে বৃদ্ধি করে এবং মূল সংকেত থেকে অপ্রয়োজনীয় সংকেত বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় সংকেত প্রেরণ করে।
২. নিষ্ক্রিয় হাব (Possive Hub): নিষ্ক্রিয় হাব কেবলমাত্র কম্পিউটারসমূহের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করে। এটি সংকেতের মানকে বৃদ্ধি করে না। এ কারণে এ সকল হাবকে Active device-এর সাথে যুক্ত করে দেওয়া হয়।
See less
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সবাই সফল হতে চায়। অনলাইন থেকে খুব দ্রুত ও সহজে ইনকাম করার মাধ্যম হিসেবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এখন সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উড়েছে। সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে অনেকেই দইন্টারনেটের বিভিন্ন আর্টিকেল এবং টিউটোরিয়াল দেখে থাকেন। বর্তমানে অনেক ওয়েবমাস্টার তাদের ওয়েবাসাইটকেRead more
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সবাই সফল হতে চায়। অনলাইন থেকে খুব দ্রুত ও সহজে ইনকাম করার মাধ্যম হিসেবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এখন সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উড়েছে। সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে অনেকেই দইন্টারনেটের বিভিন্ন আর্টিকেল এবং টিউটোরিয়াল দেখে থাকেন।
বর্তমানে অনেক ওয়েবমাস্টার তাদের ওয়েবাসাইটকে শুধুমাত্র পে-পার ক্লিক (PPC) প্রোগ্রামের মধ্যে স্থির না রেখে ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটরদের কাজে লাগিয়ে নতুন কোন পদ্ধতিতে আয় করতে আগ্রহী হচ্ছেন। এজন্যই তারা ধীরে ধীরে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অন্যর প্রোডাক্ট প্রমোট করার মাধ্যমে সেগুলিকে বিক্রয় করা চেষ্টা করা এবং যখন এ লিঙ্কের মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট বিক্রয় হবে তার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন গ্রহণ করার প্রক্রিয়া।
এক্ষত্রে আপনাকে কোন প্রোডাক্ট কেনা বা বেচার ঝামেলায় পড়তে হয় না। এমনকি নিজস্ব ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানানোরও প্রয়োজন পড়ে না। আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিজিটরদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে এমন ধারণা প্রদান করতে হবে, যাতে তারা দেখেই পণ্যটি ক্রয় করতে আগ্রহী হয়।
যদি কোন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে থাকা লিংকে ক্লিক করে কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করে, তাহলে আপনি সেই প্রোডাক্টের জন্য নির্ধারিত অংশ কমিশন পাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি কমিশন বেজড রেফারেল সিস্টেম যেখানে আপনাকে কোন ওয়েবসাইটের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হয় এবং বিক্রয়ের সংখার উপর ভিত্তি করে পার্সেন্টেজ গ্রহণ করতে হয়। অন্যানো সকল পেশার মতোই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে চাইলে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করাও অত্যন্ত জরুরী। এছাড়া এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হওয়ার উপায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে হলে কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে। আজ আমি এ সম্পর্কে কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। নিম্নে কিছু উপায় দেওয়া হলো-
▣ আপনার কাজকে ভালোবাসুন;
▣ আপনার প্রমোট করা প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানুন;
▣ আপনার লক্ষ্যে স্থির থাকুন;
▣ প্ল্যান ঠিক করুন;
▣ উপযুক্ত নিশ সিলেক্ট করুন;
▣ আপনার ওয়েবসাইট মার্কেটিংকে এ গুরুত্ব দিন;
▣ ভিজিটরকে বুঝতে শিখুন;
▣ এক্টিভ থাকুন ও লেগে থাকুন; ইত্যাদি।
১. আপনার কাজকে ভালবাসুন
আমার মতে, এটাকে প্রথমে রাখা উচিত। আপনি যা করেন তা যদি না ভালোবাসেন তবে আপনি কখনই সফল হতে পারবেন না। যদি আপনি কেবল অর্থের জন্য এটি করে থাকেন, তবে আপনার এবং মার্কেটিং কোম্পানির কোনও কর্মচারীর মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই, যিনি তার চাকরিতে নরকের মতো উদাস হয়ে তাকে ঘৃণা করেন।
তবুও তিনি এটি চালিয়ে যাচ্ছেন যেহেতু এটি দিয়ে তার জীবন চলে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এ, আপনি যা করছেন তা ভালবাসা জরুরি।
অন্যথায়, আপনি নতুন আইডিয়া এবং মার্কেটিং অ্যাঙ্গেলগুলোর সাথে আসতে পারবেন না, এফিলিয়েট মার্কেটার হিসাবে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয়।
২. আপনার প্রমোট করা প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানুন
ভিজিটরদের জন্য একটি সংস্থান হিসাবে আপনার ওয়েবসাইট দেখুন। আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসগুলো সরবরাহ করছেন সেগুলি এবং সেইসাথে আপনার টার্গেট করা সম্পর্কে জানতে হবে। সময় নিয়ে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য এমন প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন যা আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে। সেই বিশ্বাসযোগ্যতা আস্থা তৈরি করে। যদি আপনার ভিজিটর আপনার উপর আস্থা না রাখে তবে সম্ভবত তারা আপনার স্টোরহাউস থেকে কিনবে না।
৩. আপনার লক্ষ্যে স্থির থাকুন
আপনি যে লক্ষে কাজ করছেন তা থেকে কখনো পিছিয়ে যাবেন না। কাজ করতে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এতে করে সেটা বাদ দিলে হবে না। কারণ ব্যর্থতা কখনো সাফল্যের পথে বাধা দেয় না। ব্যর্থতাই আপনাকে সফল করে তোলে।
সুতরাং হাল ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে, আবার নতুন করে উঠে পড়ুন এবং আপনি কোথায় ভুল করেছেন তা নির্ধারণ করার চেষ্টা করুন এবং নিজেকে সংশোধন করুন।
৪. প্ল্যান ঠিক করুন
কোন কিছু সম্পর্কে আগে থেকে প্লেন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আপনি কী কী করতে চান সুগিলোর একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন (যেমন- আপনি কোন ব্যবসা চালাতে চান, কীভাবে চালাতে চান, সেই ব্যবসাতে কী কী দরকার,কী কী প্রোডাক্ট প্রয়োজন, কোন কাজে ব্যর্থ হলে কী করতে হবে ইত্যাদি)। এই পরিকল্পনাগুলো আগে থেকে করা থাকলে আপনার কাজ করতে অসুবিধা হবে না। যা অ্যাফিলিয়েট মার্সকেটিং এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পান করে এবং আপনি খুব সহজেই সফল হতে পারবেন।
৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য উপযুক্ত নিশ সিলেক্ট করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে নিশ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা আপনার সাফল্যের দায়ভার গ্রহণ করে। নিশ এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আপনি কাজ করতে আগ্রহী। যেমন, আপনি যদি দেখেন কোন ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র কম্পিউটার সম্পর্কেই আর্টিকেল/ব্লগ রয়েছে এবং সেখানে বিভিন্ন কম্পিউটার সম্পর্কে রিভিউ করা হচ্ছে, তাহলে উক্ত ওয়েবসাইট কম্পিউটার নিশ নিয়ে কাজ করে, এটা সহজেই বুঝা যায়।
আমার মতে, একসাথে সব নিয়ে কাজ করার চাইতে কোন একটি বা দুটি নির্দিষ্ট নিশ নিয়ে কাজ করলে সবচেয়ে বেশি সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই একটি উপযুক্ত নিশ সিলেক্ট করতে হবে এবং তার জন্য উপযোগী ভিজিটরদের টার্গেট করে কাজ করতে হবে।
নিশ সিলেক্ট করার পর আপনাকে প্রথমে নিশ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং সেবা সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে ভিজিটরদের জানাতে হবে।
৬. আপনার ওয়েবসাইটের মার্কেটিংকে গুরুত্ব দিন
অন্যান্য প্রোডাক্টের মত আপনার যদি ভিজিটরের প্রয়োজন হয়, তবে আপনাকে সেটি প্রচার করতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার উপস্থিতি সম্পর্কে সবাইকে জানাতে হবে। কখনোই ট্রাফিক ভিত্তিক কোন প্রোডাক্ট বা সেবা ক্রয় না করাই ভালো। কারণ – ২ লক্ষ সাধারণ ভিজিটরের চাইতে, আপনার নিশ সম্পর্কিত ২ হাজার ভিজিটর অনেক বেশি লাভজনক।
এজন্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ট্রাফিক সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। কারণ, এখান থেকে শুধুমাত্র সেইসব ভিজিটরই আপনার ওয়েবসাইটে আসে, যারা উক্ত প্রোডাক্ট ক্রয় করতে বা সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
এ কারণে ওয়েবসাইটের প্রচারণার জন্য অবশ্যই আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চে উপস্থিত থাকার অর্থই হচ্ছে আপনার প্রোডাক্টের রিভিউ সম্পর্কে মানুষ জানতে আগ্রহী।
৭. ভিজিটরদের বুঝতে শিখুন
বেশিরভাগ সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা তাদের ভিজিটরদের সাথে কথা বলেন। আপনার যদি একটি ব্লগ থাকে তবে কমেন্ট করার অনুমতি দিন। এটি আপনাকে আপনার ভিজিটরদের সাথে কথোপকথনের সুযোগ দেবে। হ্যাঁ, আপনার স্প্যাম ফিল্টার করতে হবে, তবে আপনি যদি বেশিরভাগ কমেন্টকারীকে রিপ্লাই দেন এবং কথোপকথন শুরু করেন, তারা কথোপকথন চালিয়ে ফিরে আসবে।
একটি ব্লগ পোস্ট শেষে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন। “অন্যান্য কোন বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত?” “আপনি কি এই বিষয়ে আরও তথ্য চান?” “আপনার মতামত আমাদের বলুন!” এই কলগুলি অ্যাকশন থেকে সম্প্রদায়ের মিথস্ক্রিয়াকে উৎসাহিত করবে। রিপ্লাই দেওয়ার সময়, যেখানেই সম্ভব কমেন্টারদের নাম ব্যবহার করুন।এতে করে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠবে। তারা আপনার সাইটে বারবার আসতে উৎসাহিত হবে।
তাছাড়া, আপনি যদি আপনার ভিজিটরদের ভুল প্রোডাক্ট সম্পর্কে ধারণা দেন, তাহলে এটি ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনবে না। আপনাকে অবশ্যই আপনার ভিজিটর সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। যেমন- আপনার ব্লগের ভিজিটররা কোন প্রকৃতির, তারা কি জানতে চায় ইত্যাদি বিষয়গুলো বুঝতে পারলেই আপনি তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ আপনার ওয়েবসাইটে দিতে পারবেন। এজন্যই উপরে নিশকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন সাইটের অ্যাফিলিয়েশন নেওয়ার ব্যাপারে ওয়েবমাস্টাররা ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়ে থাকেন। তবে ইন্টারনেটে থাকা বড় বড় কোম্পানী, যেমন-
▣ Clickbank;
▣ ShareaSale;
▣ Amazon Aassociation;
▣ Commission Junction;
▣ eBay ইত্যাদি।
এসব বড় বড় সেরা অ্যাফিলিয়েট কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করাটাই সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত বলে আমি মনে করি।
উপরে দেওয়া যে কোম্পানীর অ্যাফিলিয়েশন নিয়েই আপনি কাজ করেন না কেন, মোটামুটি সব কোম্পানীর কাজের ধরণ প্রায় একই । তবে ভিজিটরের কাছে এদের মধ্য কোন কোম্পানীর গ্রহণযোগ্যতা বেশি, সেটা বুঝে নিয়েই আপনাকে অ্যাফিলিয়েশন নিতে হবে।
যদি এমন কোন ওয়েবসাইটের অ্যাফিলিয়েশন নেন, যেখান থেকে ভিজিটররা প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী নন সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটটি কোন কাজেই আসবে না।
শুধু সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হওয়ার উপায় জানলেই হবে না, এগুলো জানার পরে তা নিয়ে কাজ করাই হচ্ছে বড় ব্যাপার । শুধু শুধু বসে থেকেই কেউ সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারে না। এর জন্য বিনিয়োগ, পর্যাপ্ত মেধা এবং কঠোর পরিশ্রম ৩টিই অধিক প্রয়োজন হয়।
৮. এক্টিভ থাকুন ও লেগে থাকুন
অনেক সময় সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটকে র্যাংক করাতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। এরকম সময়ে ধৈর্য রাখার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে তারপরেই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা উচিত। এছাড়া শুরু করার আগে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সফল কিছু ওয়েবসাইট ঘুরে দেখে, জানার চেষ্টা করা উচিৃত, যে কেন তারা সফল, তাদের সফলতার পিছনে কিসের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি ইত্যাদি। তাহলে আপনার মাথায় একটা আইডি আসবে, স্ট্র্যাটেজি জানা যাবে এবং সফল হওয়ার সহজ হবে।
তাহলে আজ এখানেই শেষ করছি। কীভাবে সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হওয়া যায় আশা করি সে সম্পর্কে কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। এ বিষয়ে যদি কোন মন্তব্য থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আমি যথাসাধ্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।
See less