ভালো ছাগলের মাংসের বৈশিষ্ট্যঃ

1. মাংসের রঙ কালচে বা গাঢ় লাল হবে।
2. চর্বি অত্যন্ত তাজা হবে যা ভেড়ার মাংসের ন্যায় আঁশের ভাঁজে ভাঁজে থাকবে না। বরং মাংসের উপরে একটা পাতলা আবরণের মতো থাকবে। চর্বি সাদা থেকে হলুদ বর্ণের হতে পারে।
3. উৎকৃষ্ট মাংসের মধ্যে রক্তের শিরা-উপশিরাগুলো রক্তশূন্য থাকবে।
4. মাংসের মধ্যে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক গন্ধ থাকবে না ।
5. মাংস তাজা ও উজ্জ্বল হবে।

মোটাতাজাকরণ কর্মসূচির জন্য গরু ক্রয়ের সময় প্রথম দুটি বিবেচ্য বিষয় হলো বয়স ও শারীরিক গঠন।

(ক) বয়স নির্ধারণ: মোটাতাজা করার জন্য সাধারণত ২ থেকে ৫ বছর বয়সী গরু কেনা যেতে পারে, তবে ৩ বছরের বয়সী গরু হলে ভালো ৷ ষাঁড়, বলদ, গর্ভধারণে অক্ষম গাভী অথবা উঠতি বয়সের ষাঁড় বাছুর বেছে নেওয়া যেতে পারে।

(খ) শারীরিক গঠন: মোটাতাজাকরণে ব্যবহৃত গরুর দৈহিক গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রেখে গরু নির্বাচন করা জরুরি।

1. শরীরের হাড়গুলো আনুপাতিকহারে মোটা, মাথাটা চওড়া, ঘাড় চওড়া এবং খাটো।
2. পাগুলো খাটো এবং সোজাসুজিভাবে শরীরের সাথে যুক্ত।
3. পিছনের অংশ ও পিঠ চওড়া এবং লোম খাটে ও মিলানো।
4. গরু অপুষ্ট ও দুর্বল কিন্তু রোগা নয়।
5. দেহ হবে বর্গাকার।
6. গায়ের চামড়া হবে ঢিলা (দুই আঙ্গুল দিয়ে ধরে টান দিয়ে দেখতে হবে)।
7. গায়ের রং লাল বা কালো হলে ভালো দাম পাওয়া যায়। এ দুটি রং বেশ আকর্ষণীয় ।
8. বুকের বেড় ৫০ থেকে ৬০ ইঞ্চি।

প্রজননের জন্য ষাঁড়ের বাচ্চা অবস্থা থেকে সঠিকভাবে যত্ন নিতে হয়। ষাঁড়ের শারীরিক সুস্থতা বীজের বা সিমেনে গুণাগুণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই বাছাইয়ের পর সাধারণত প্রজনন ষাঁড় নির্বাচন করা হয়। প্রজনন ষাঁড়ের যত্নের ব্যাপারে বিবেচ্য বিষয়গুলো হলো:

1. উপযুক্ত পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সরবরাহ করতে হবে।
2. কোন রোগ দেখা দিলে সংগে সংগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
3. স্বাস্থ্যসম্মত বিধি ব্যবস্থা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
4. প্রতি ১০০ কেজি ওজনের জন্য দৈনিক ১.৫-২ কেজি সুষম দানাদার খাদ্য ও ৩-৪ কেজি কাঁচা ঘাস দিতে হবে।
5. সপ্তাহে ২ বারের বেশি বীজ বা সিমেন সংগ্রহ করা যাবে না।
6. প্রত্যেকটি ষাঁড়কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আলাদা ঘরে রাখতে হবে।
7. পরিমাণ মত সুষম খাদ্য দিতে হবে।
8. নিয়মিত প্রতিষেধক টীকা দিতে হবে।

গাভী হিটে আসার লক্ষণগুলো হলো-

1. পশু অন্য পশুর উপর উঠতে চায় এবং অন্য পশুকে নিজের উপর উঠতে দেয়।
2. গাভীর যোনীমুখ ফুলে যায় এবং লাল দেখায়। যোনীমুখ থেকে পরিষ্কার স্বচ্ছ আঠালো শ্লেষা বের হয় এবং লেজের গোড়ায় ও পেছনে তা লেগে থাকে।
3. গাভীর অস্থিরতা বাড়বে, ঘন ঘন ডাকবে।
4. ঘন ঘন প্রস্রাব করবে, দুধ কমে যাবে।
5. গাভীর খাওয়া কমে যায়।