ঈদের নামাজের নিয়ম স্বাভাবিক ভাবেই আমরা অনেকেই জানি না। এর অবশ্য অনেক কারণ আছে, প্রথম ও প্রধান কারণ প্রতিবছর আমরা দুইটি ঈদ পালন করে থাকি। সেটিও অনেকদিন পর পর।
যার কারণে আমরা যদি ঈদের নামাজের নিয়ম শিখেও নেই পড়ে আবার ভুলে যাই। যারা এই নিয়ম ভুলে গেছেন শিখতে চান তাদের জন্য আজকের পোস্ট।
ঈদ যেমন একটি আনন্দের দিন তেমনি এর নামাজ পরাও জরুরি। ঈদের নামাজের নিয়ম না জানলে আপনার নামাজ হবে না, তাই চলুন ঈদের নামাজের নিয়ম, ঈদের নামাজের নিয়ত ও ঈদের নামাজের পদ্ধতি জেনে নিই।
(১) ঈদের নামাজ পড়া কি?
হানাফী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ওয়াজিব, মালিকি ও শাফেয়ী মাযহাব অনুসারে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ এবং হাম্ববলী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ফরজ। কোনো কোনো ইসলামী পণ্ডিতের মতে ঈদের নামাজ ফরজে আইন এবং কোনো কোনো ইসলামী পণ্ডিতের মতে ঈদের নামাজ ফরজে কেফায়া।
ঈদ আরবি শব্দ। এর অর্থ আনন্দ, খুশি, উৎসব ইত্যাদি। ঈদের দিন হলো মুসলমানদের জন্য এক আনন্দ ও উৎসবের দিন।
এ প্রসঙ্গে মহানবি (সা.) বলেছেন,
“প্রত্যেক জাতিরই উৎসবের দিন আছে। আর আমাদের উৎসব হলো ঈদ।”
(বুখারি ও মুসলিম)
বছরে দুটি ঈদ। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা।
ঈদের দিন এলাকার মুসল্লিগণ একত্রে ঈদগাহে সমবেত হন এবং দুই রাকআত ঈদের নামাজ আদায় করে।
ঈদের দিন বিশ্বের সকল মুসলিম পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঈদগাহে গিয়ে ছোট-বড়, আমির-ফকির একই কাতারে দাঁড়িয়ে এই বিশেষ ইবাদাত পালন করে থাকেন।
(২) ঈদের নামাজের নিয়ম
আর ঈদুল আযহা (কুরবানির ইদ) ও ঈদুল ফিতরের (রোজার ঈদ) ঈদের নামাজের নিয়ম একই-
- প্রথমে কাতার করে নিয়ত করবে। (অন্যান্য নামাজের ন্যায় এই নামাজের জন্যও নিয়ত করা ফরজ। ‘রমজানের ঈদ হলে ঈদুল ফিতরের বা কুরবারি ইদ হলে ঈদুল আযহার, ২ রাকাত ওয়াজিব সালাত, ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে, আল্লাহর জন্য আদায় করছি’ মনে মনে এই সংকল্প বা থাকাই যথেষ্ট। আরবি বা বাংলায় নির্দিষ্ট শব্দ ও বাক্যে মুখে উচ্চারণ করে “নিয়ত পড়া” জরুরি নয়।)
- তাকবিরে তাহরিমা ”আল্লাহু আকবার” বলে হাত বাঁধবে।
- সানা পড়বে।
- তারপর ইমাম সাহেবের সাথে অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলবে। প্রত্যেক তাকবিরে কান পর্যন্ত হাত উঠবে। মুসল্লিরা ইমামের সাথে তাকবির বলবে।
- প্রথম দুই তাকবিরে হাত বাঁধবে না। তৃতীয় তাকবিরে অন্যান্য নামাজের মতো হাত বাঁধবে।
- ইমাম সাহেব স্বাভাবিক নিয়মে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা মিলিয়ে কেরাত পাঠ করে, রুকু ও সিজদা করে, প্রথম রাকআত শেষ করবেন। এভাবে প্রথম রাকআত শেষ হলে একইভাবে দ্বিতীয় রাকআতের জন্য দাঁড়াবেন সূরা কেরাত পাঠ শুরু করবেন।
- দ্বিতীয় রাকআতের সূরা কেরাত শেষে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলবেন। মুসল্লিরাও তার সাথে তাকবির বলবে।
- তাকবিরে কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেবেন, হাত বাঁধবে না। চতুর্থ তাকবিরে রুকুতে যাবে।
- এরপর স্বাভাবিক নিয়মে রুকু শেষে সিজদা, শেষ বৈঠক ও সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবে।
- নামাজ শেষে ইমাম সাহেব দুটি খুতবা দেবেন। প্রত্যেক মুসল্লি খুতবা শোনা ওয়াজিব।
(ঈদের নামাজের অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরে ভুল হলে অর্থাৎ তাকবির কম বা বেশি বার বলা হলে অথবা বাদ পড়লে সাহু সিজদা প্রয়োজন নেই।)
(৩) ঈদের নামাজের নিয়ত
যাদের আমাদের দেশের প্রচলিত নিয়ত মুখস্ত আছে. সেটা দিয়েই নিয়ত পড়তে চান, তাদের জন্য-
ঈদুল ফিতর/রোজার ঈদের নামাজের নিয়ত (আরবি): নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকয়াতা সালাতি ঈদিল ফিতর, মায়া ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার। ঈদুল ফিতর/রোজার ঈদের নামাজের নিয়ত (বাংলা): ইমামের পেছনে কেবলামুখী হয়ে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবিরের সঙ্গে আদায় করছি, আল্লাহু আকবার।
ঈদুল আযহা/কুরবানি ঈদের নামাজের নিয়ত (আরবি): নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকয়াতা সালাতি ঈদিল ফিতর, মায়া ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার। ঈদুল ফিতর/কুরবানি ঈদের নামাজের নিয়ত (বাংলা): ইমামের পেছনে কেবলামুখী হয়ে ঈদুল আযহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবিরের সঙ্গে আদায় করছি, আল্লাহু আকবার।
(৪) ঈদের নামাজের পদ্ধতি
- ঈদের চাঁদ দেখার পর থেকে- প্রথম কাজই হচ্ছে তাকবির তথা আল্লাহর কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করা। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে তাকবির পড়া। এটিই ঈদের প্রথম কাজ। তাকবিরটি হলো: ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ যার অর্থ হলো: ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ মহান, আল্লাহ ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই; সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ মহান।’
- ঈদের নামাজ আদায়ের সময় হলো- ঈদের দিন সূর্যোদয়ের পর থেকে দুপুরের পূর্ব পর্যন্ত ঈদের নামাজ আদায় করা যায়।
- ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইকামত নেই- তবে জুমার নামাজের মতোই উচ্চ আওয়াজে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। তবে ঈদের নামাজের পার্থক্য হলো অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির দিতে হবে।
- ঈদের নামাজ সাধারণত খোলা জায়গায় বা ঈদগাহে পড়তে হয়- তবে বিশেষ কারণবশত মসজিদে আদায় করা যায়।
- ঈদের নামাজ অবশ্যই জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়- জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য যেসব শর্ত প্রয়োজন, ঈদের নামাজ আদায় করার জন্যও একই শর্ত প্রযোজ্য। সুতরাং জামাত ছাড়া ঈদের নামাজ আদায় করা যাবে না।
- ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর উভয় ক্ষেত্রে ঈদের মাঠে যাবার পথে- “আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ” এই তাকবির বলতে বলতে যেতে হয়।
- সাধারন ওয়াক্তের নামাজ আর ঈদের নামাজের পার্থক্য হলো- অতিরিক্ত ছয় তাকবির। ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজের, প্রথম রাকাতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বেঁধে অতিরিক্ত তিন তাকবির দিয়ে সুরা ফাতিহা পড়া ও অন্য সুরা মেলানোর। দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা মেলানোর পর অতিরিক্ত তিন তাকবির দিয়ে রুকতে যাওয়া। বাকি সবকিছু সাধারন ওয়াক্তের নামাজের মতই।
(৫) ঈদের নামাজ পড়া কি?
ঈদের নামাজের গুরুত্বের ব্যাপারে ইসলামী চিন্তাবিদগণ বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছেন। হানাফী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ওয়াজিব, মালিকি ও শাফেয়ী মাযহাব অনুসারে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ এবং হাম্ববলী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ফরজ। কোনো কোনো ইসলামী পণ্ডিতের মতে ঈদের নামাজ ফরজে আইন এবং কোনো কোনো ইসলামী পণ্ডিতের মতে ঈদের নামাজ ফরজে কেফায়া।
তবে নিশ্চিতভাবে এটা বলা যায়, ঈদের নামাজ পড়া অত্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
(৬) মহিলাদের ঈদের নামাজের নিয়ম
মহিলাদের ঈদের নামাজের নিয়ম কি আলাদা?
না, মেয়েদের ঈদের নামাজ ও ছেলেদের ঈদের নামাজ শতভাগ একই, মহিলাদের ঈদের নামাজের আলাদা কোন নিয়ম বা পদ্ধতি নেই।
মেয়েরাও একই ঈদগাহে যাবে, একই ঈমামের পেছনে, একই নিয়মে ঈদের নামাজ আদায় করবে।
শুধু মেয়েদের নামাজের কাতার আলাদা হবে।
মেয়েদের কি ঈগাহে ঈদের নামাজে যাওয়া জায়েয আছে?
হ্যা, অবশ্যই। উলামায়ে কিরাম মেয়েদের কি ঈদের নামাজ পড়াকে জরুরী বলেছেন। তারা যাবে।
পাঁচওয়াক্ত নামাজ ও জুমু‘আর জামাতে শরীক হওয়ার জন্য মেয়েদেরকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘অনুমতি’ দিয়েছেন আর, ঈদের নামাজের যাওয়ার জন্য তাদের ‘নির্দেশ’ দিয়েছেন।
হাদীসে আছে যে,
উম্মে আতীয়াহ থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন যে,
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এ মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা যেন পরিণত বয়স্কা, ঋতুবতী ও গৃহিনীসহ সকল মহিলাকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সালাতে শরীক হওয়ার জন্য ঘর থেকে বের করে নিয়ে যাই। এমনকি মাসিক হায়েয চলাকালীন মেয়েরাও (ঈদগাহে হাজির হবে। তবে তারা) সালাত আদায় থেকে বিরত থাকবে। কিন্তু ঈদের কল্যাণকর অবস্থা তারা প্রত্যক্ষ করবে এবং মুসলিমদের সাথে দু‘আয় ঋতুবতী মহিলারাও শরীক হবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের মধ্যে কারো কারো উড়না নেই (বড় চাদর নাই যা পরিধান করে ঈদগাহে যেতে পারে)। উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যার ওড়না নেই সে তার অন্য বোন থেকে (ধার করে) ওড়না নিয়ে তা পরিধান করে ঈদগাহে যাবে।”
(সহিহ মুসলিম-৮৯০)
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বর্ণিত এ হাদীসে যে ঋতুবতী মহিলার উপর নামাজ আদায় ফরজ নয় তাকেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং যার উড়না নেই তাকেও একটা উড়না ধার করে নিয়ে ঈদের নামাজে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ হাদীস দ্বারা অনেক বিজ্ঞ উলামায়ে কিরাম মেয়েদের ঈদের নামাজে যাওয়া ওয়াজিব বলেছেন।
যেসব লোক একথা বলেন যে, বর্তমান যুগ ফিতনার যুগ, মেয়েদের নিরাপত্তা নেই এসব কথা বলে মেয়েদেরকে ঈদের নামাজ থেকে বঞ্চিত রাখছেন। তাদের এ অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।
তারা যেন প্রকারান্তরে এ হাদীসের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। শেষ যামানার ফিতনা বাড়বে একথা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের চেয়ে বেশি অবগত থাকার পরও মহিলাদেরকে ঈদের নামাজে যেতে হুকুম দিয়েছেন। আর এ হুকুম সুন্নাত নয়, বরং ওয়াজিব।
মেয়েরা ঈদের নামাজে গেলে পথিমধ্যে তাকবীর বলা, নামাজে শরীক হওয়া, বয়ান ও ওয়াজ নসীহত শোনার সৌভাগ্য তাদের হয়ে থাকে। কাজেই ক্ষতির যে আশংকা করা হয় এর চেয়ে তাদের উপকারের দিকই বেশি।
তাই সম্মানিত ঈদগাহ কর্তৃপক্ষের উচিৎ তারা যেন মেয়েদের জন্য পৃথক প্যান্ডেল তৈরীকরে দেন আর মেয়েরাও যেন সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দা করে অত্যন্ত শালীনভাবে পথ চলেন, ঈদগাহে যাওয়া আসা করেন। কাউকে ডিস্টার্ব না করেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সহীহ হাদীস আমল করার ও হক পথে থাকার তাওফীক দান করুন, আমীন!
(৭) ঈদের নামাজের সামাজিক প্রভাব
ঈদ মানে মহা আনন্দের আয়োজন। ঈদ আমাদের সমাজ সংস্কৃতির সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
- ঈদের দিন পরিবারের যে যেখানেই থাকুক না কেন, সবাই একত্র হয়ে থাকে। সকল আত্মীয়-স্বজনের সাথে সাক্ষাৎ হওয়ার এটাই সর্বোত্তম সুযোগ হয়ে থাকে।
- ঈদের দিন মুসলমানরা একে অপরের খোঁজখবর নেয় ও একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে থাকে। ধনী-গরিব সবাই সকল প্রকার দুঃখ ভুলে আনন্দে থাকার চেষ্টা করে। সকল ভেদাভেদকে ভুলে সবাই একত্র হয়।
- ঈদের দিন পুরুষরা দলে দলে ঈদগাহে যায়। ছোট ছোট শিশুরা বাবা, ভাই ও পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে নতুন জামাকাপড় পড়ে ঈদগাহে যায়। সবার মধ্যে এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
- জামাআতবদ্ধ হয়ে সবাই নামাজ আদায় করে। নামাজ শেষে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করে। ঈদগাহে প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার সকলের সাথে সাক্ষাৎ হওয়ার সুযোগ পায় সবাই। এর মধ্যে দিয়ে সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি হয়।
- গরিব ও অসহায়েরা বিভিন্ন সমস্যার কথা উপস্থিত মুসল্লিদের বলার সুযোগ পায় ও প্রয়োজনীয় সাহায্য পেয়ে থাকে।
- ঈদের দিন সবাই আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের বাড়িতে যায়। কুশল বিনিময় করে থাকে। এর মধ্যে দিয়ে আত্মীয়ের বন্ধন দৃঢ় হয়।
- ঈদের দিন আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের বাসায় একে অপরে খাওয়া-দাওয়া করে থাকে। যার মধ্যে দিয়ে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় ও মজবুত হয়।
সকল দেশে মুসলিম সমাজে ঈদের নামাজ একটি ধর্মীয় উৎসব হিসেবে প্রতি বৎসর উদযাপিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সহ বহু দেশে নামাজ তো পড়াই হয়, অধিকন্তু ঈদের দিনটি উৎসবের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়।
সর্বশেষ, আশা করছি পোষ্টতে থেকে ঈদের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই পোস্টটি যদি আপনার কোনো কাজে আসে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। আপনার জন্য হয়তো অনেকেই উপকৃত হবে। জাজাকাল্লাহ খায়রান।
[সূত্র: এনসিটিবি]