তারাবিহ আরবি শব্দ। এর অর্থ বিশ্রাম করা, আরাম করা।
শরিয়তের পরিভাষায় মাহে রমজান মাসে এশার নামাজের পর অতিরিক্ত ২০ রাকআত সুন্নত নামাজকে ‘সালাতুত তারাবিহ’ বলা হয়।
এ নামাজকে তারাবিহ নাম রাখা হয়েছে এ কারণে যে, এতে প্রতি চার রাকআত অন্তর কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নেওয়া হয়।
এ নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। নবি করিম (সা.) নিজে কিয়ামুল লাইল/তারবির নামাজ আদায় করেছেন ও সাহাবিগণকে আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের এই পোষ্টটিতে তারাবির নামাজের নিয়ম, তারাবি নামাজের নিয়ত, তারাবি নামাজের দোয়া, তারাবির নামাজের মুনাজাত, তারাবির নামাজের ফজিলতসমূহ সুন্দর ও সসজ ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনার যদি এ সম্পর্কে জানার ইচ্ছা থাকে আশা করি পোষ্ট শেষ অবধি পড়লে উপকৃত হবেন ইংশাআল্লাহ।
তো চলুন জেনে নিই তারাবির নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া, মুনাজাত ও ফজিলতসমূহ-
(১) তারাবির নামাজের নিয়ম
তারাবির নামাজের নিয়ম হলো-
- তারাবি-এর নামাজ জামাআতে আদায় করা সুন্নত।
- রমজান মাসে এশার চার রাকআত ফরজ ও দুই রাকআত সুন্নতের পর বিতর নামাজের পূর্বে তারাবির নিয়তে স্বাভাবিক নিয়মে দুই রাকআত দুই রাকাআত করে মোট বিশ রাকআত নামাজ আদায় করতে হয়।
- আমাদের দেশে দুই ধরণের তারাবি প্রচলিত। একটি হলো সুরা তারাবি এবং অন্যটি হলো খতম তারাবি। খতম তারাবি পুরো রমজান মাস মিলিয়ে তারারাবির নামাজে সম্পূর্ণ কুরআন একবার পাঠ শেষ করা বা খতম দেওয়া। সুরা তারাবি হলো সাধারন ওয়াক্তে নামাজের মত করে পবিত্র কুরআনের যে কোন সুরা দিয়ে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা।
- প্রতি চার রাকআত পর পর বিশ্রাম নিতে হয়। তখন বিভিন্ন দোয়া ও তাসবিহ পড়া যায়।
- তারাবির নামাজ শেষ করে বিতরের নামাজ রমজান মাসে জামাআতে আদায় করার বিধান রয়েছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: তারাবির নামাজ নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা। কোনো কারণবশত যদি একদিন তারাবির নামাজ পড়তে না পারেন তাহলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। শুধু নামাজের নেকি থেকে বঞ্চিত হবেন। সমাজের অনেকেই মনে করেন তারাবির নামাজ আদায় না করলে রোজা হবে না, অথচ এমন কোন কথা কুরআন-হাদিসে নেই। এটা সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা।)
(২) তারাবি নামাজের নিয়ত
প্রত্যেক আমলের জন্য নিয়ত করতে হয়। তারাবি নামাজের জন্যও নিয়ত করা হয়। নিয়ত মনে মনে বাংলাতেও করা যায়। হাদিসে নিয়তের কোন নির্দিষ্ট বাক্য উল্লেখ করা নেই।
আমাদের দেশের প্রচলিত তারাবির আরবি নিয়তটি হলো-
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ للهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلَوةِ التَّرَاوِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।
অর্থ : আমি কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তারাবি সুন্নত নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার।
তারাবি নামাজের নিয়ত আরবিতে করা আবশ্যক বা বাধ্যতামূলক নয়। বাংলাতেও এভাবে নিয়ত করা যাবে-
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তারাবি এর দুই রাকাত নামাজ কেবলামুখী হয়ে (জামাত হলে- এ ইমামের পেছনে) পড়ছি, আল্লাহু আকবার।
(৩) তারাবি নামাজের দোয়া
তারাবি নামাজে প্রতি চার রাকাত পর বিশ্রাম নেওয়া হয়। এ সময় একটি দোয়া পড়ার প্রচলন রয়েছে আমাদের দেশে। প্রায় সব মসজিদের মুসল্লিরা এই দোয়াটি পড়ে থাকেন।
তারাবি নামাজের চার রাকাআ’ত পরপর প্রচলিত দোয়াটি হলো-
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ
উচ্চারণ: সুবহানাযিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি সুবহানাযিল ইযযাতি ওয়াল আযমাতি ওয়াল হাইবাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়াই ওয়াল জাবারুত। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাযি লা-ইয়ানামু ওয়ালাইয়ামুতু আবাদান আবাদা। সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়ারাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।
অর্থ: আল্লাহ পবিত্রময় সাম্রাজ্য ও মহত্ত্বের মালিক। তিনি পবিত্রময় সম্মান মহত্ত্ব ও প্রতিপত্তিশালী সত্তা। ক্ষমতাবান, গৌরবময় ও প্রতাপশালী তিনি পবিত্রময় ও রাজাধিরাজ যিনি চিরঞ্জীব, কখনো ঘুমায় না এবং চির মৃত্যুহীন সত্তা। তিনি পবিত্রময় ও বরকতময় আমাদের প্রতিপালক, ফেরেশতাকুল এবং জিবরাইলের (আঃ) প্রতিপালক।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, তারাবি নামাজ বিশুদ্ধ হওয়া বা না হওয়ার সঙ্গে এই দোয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এই দোয়া না পড়লে তারাবি নামাজ হবে না, কোনওভাবেই এমন মনে করা যাবে না। মূলত এ দোয়ার সঙ্গে তারাবি নামাজ হওয়া কিংবা না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। চাইলে এ সময় কোরআন-হাদিসে বর্ণিত যেকোনো দোয়াই পড়া যাবে। আলেমদের মতে, তারাবি নামাজে চার রাকাত পর বিশ্রামের সময়টিতে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া, তওবা,-ইসতেগফারগুলো পড়াই উত্তম।)
(৪) তারাবির নামাজের মুনাজাত
প্রতিদিন তারাবি নামাজ শেষে দেশের মসজিদগুলোতে একটি দোয়ার পড়ে মোনাজাতের প্রচলন রয়েছে।
অনেকেই চার রাকাত পরপর মোনাজাত করে থাকেন আবার অনেকে পুরো নামাজ শেষ করে মোনাজাত করে থাকেন। মোনাজাতের ক্ষেত্রেও কোরআন-সুন্নাহর মাসনুন দোয়াগুলো পড়া যেতে পারে। তবে তারাবির নামাজের বহুল প্রচলিত একটি দোয়া অনেকেই পড়ে থাকেন।
তারাবির নামাজ শেষে প্রচলিত মুনাজাতের দোয়াটি হলো-
اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু, ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু, ইয়া বাররু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমরা আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং আমরা আপনার কাছে জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই। হে জান্নাত ও জাহান্নামের স্রষ্টা। হে পরাক্রমশালী, হে ক্ষমাশীল, হে উদার, হে গোপনকারী, হে আমার রহমত, হে পরাক্রমশালী, হে সৃষ্টিকর্তা, হে প্রাণ পত্তনকারী, হে আল্লাহ, আপনার রহমতে আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন। হে প্রার্থনাকারী গ্রহনকারী! হে প্রার্থনাকারী গ্রহনকারী!! হে প্রার্থনাকারী গ্রহনকারী!!! হে পরম করুণাময়, হে সর্বশ্রেষ্ঠ দায়াবান।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: মোনাজাতের দোয়াটি পড়ার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে তারাবি নামাজ হওয়া বা না হওয়ার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন তারাবি নামাজের শেষে বা চার রাকাত পরপর এই দোয়াটি দ্বারা মোনাজাত করার সঙ্গে তারাবি বিশুদ্ধ হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের সমাজে অনেকে মনে করেন তারাবি নামাজ সঠিক নিয়মে আদায়ের জন্য নামাজ শেষে মোনাজাতে এই দোয়াটি পড়া আবশ্যক। এমন ধারণা বা বিশ্বাস ঠিক নয়।)
(৫) তারাবির নামাজের ফজিলত
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। এই মাসের প্রধান দুটি আমল হলো সিয়াম ও কিয়াম। সিয়াম বা রোজা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, দাম্পত্য মিলন ও রোজা ভঙ্গ হওয়ার সব বিষয় থেকে দূরে থাকা। আর কিয়াম হলো রাতে তারাবির নামাজ।
মাহে রমজানে তারাবির নামাজ আদায় করা অত্যন্ত সাওয়াবের কাজ।
রাসুল (সা.) বলেছেন,
“রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করলো সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করলো। আর যে এ মাসে একটি ফরজ আদায় করলো সে যেন অন্য মাসের ৭০টি ফরজ আদায় করলো।”
(শুআবুল ঈমান: ৩/৩০৫-৩০৬)
পবিত্র রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস। পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় হলো রমজান মাস। সারা দিন সাওম (রোজা) পালনের পর বান্দা যখন ক্লান্ত শরীরে কষ্ট করে আন্তরিকতার সাথে তারাবির নামাজ আদায় করে তখন আল্লাহ সে বান্দার প্রতি খুবই সন্তুষ্ট হন। বান্দার জন্য এমন সুযোগ বছরে মাত্র একমাসেই আসে। তাই আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণ এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আল্লাহর রহমত পেতে ব্রতী হন।
রমজানের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তারাবির নামাজ। আল্লাহ তাআলা এ মাসের দিনের বেলা রোজা রাখা ফরজ করেছেন আর এ মাসের কিয়াম তথা রাতের (নফল) নামাজ পড়াবে গুনাহ মাফের উপলক্ষ্য বানিয়েছেন।
এক হাদিসে তিনি বলেছেন,
“যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও পরকালের আশায় রমজানের রাতে কিয়ামুল লাইল (তারাবি) আদায় করবে, তার অতীতের পাপ মার্জনা করা হবে।”
(নাসায়ি)
কিয়ামুল লাইল অর্থ্যাৎ, তারিব নামাজ পড়া সুন্নত, যা ফরজ-ওয়াজিবের মতো অপরিহার্য নয়, তবে তা রাসুলুল্লাহ (সা.)- এর নিয়মিত আমল থেকে প্রমাণিত। নিয়মিত এই নামাজগুলো পড়তেন, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কখনো ছাড়তেন না। তাই কিয়ামুল লাইল (তারাবি) নামাজকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলা হয়।
হজরত আয়েশা রা. বলেন,
“রাসুলুল্লাহ সা. একবার রমজান মাসে রাত্রিবেলায় মসজিদে নববীতে নামাজ (কেয়ামুল লাইল/তারাবি) আদায় করলেন। উপস্থিত লোকজনও তার সঙ্গে নামাজ আদায় করলেন। একইভাবে তারা দ্বিতীয় দিনেও নামাজ আদায় করলেন এবং লোকসংখ্যা অনেক বেশি হলো। অতঃপর তৃতীয় এবং চতুর্থ দিনেও মানুষ একত্রিত হলো। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সা. হুজরা থেকে বেরিয়ে তাদের কাছে এলেন না। অতঃপর সকাল হলে তিনি এলেন এবং বললেন, তোমাদের অপেক্ষা করার বিষয়টি আমি লক্ষ্য করেছি। কিন্তু শুধু এ ভয়ে আমি তোমাদের কাছে আসা থেকে বিরত থেকেছি, আমার আশঙ্কা হচ্ছিল, না জানি তোমাদের ওপর তা (কেয়ামুল লাইল/তারাবি) ফরজ করে দেওয়া হয়।”
(বুখারি)
শেষ কথা-
তারাবির নামাজ ছোট ছোট সুরার মাধ্যমেও আদায় করা যায়। [আবার কুরআন খতমের মাধ্যমেও আদায় করা যায়। তারাবির নামাজের বিশ রাকাআতে পবিত্র কুরআন ধারাবাহিকভাবে তিলাওয়াত করে পূর্ণ কুরআন সমাপ্ত করাই প্রচলিত আছে।
তবে মনে রাখতে হবে যে, সূরাগুলো স্পষ্ট, ধীরস্থির ও ছন্দের সাথে পড়তে হবে। অনেকের মাঝেই দ্রুত কিংবা তাড়াতাড়ি তারাবির নামাজ পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এমনটি কোনোভাবেই উচিত নয়। বরং তারাবির নামাজ ধীরস্থিরভাবে পড়াই উত্তম। এতে তারাবির নামাজের সৌন্দর্য ও মর্যাদা প্রকাশ পায়। গুনাহ থেকে মুক্তি পায় মুমিন।
রমজান মাসে তারাবির নামাজ একত্রিত হয়ে জামাআতে আদায় করা উত্তম। এতে নামাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। দীর্ঘ একটি মাস পরস্পরের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের ফলে পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা, মমত্ববোধ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য গড়ে ওঠে, হিংসা-বিদ্বেষ দূরীভূত হয়।
অতএব, ফজিলতপূর্ণ এ নামাজ রমজানের পুণ্যময় সময়ে জামাআতের সাথে আদায় করা প্রত্যেক ইমানদার মুসলমানের জন্য অত্যন্ত কল্যাণকর।
আজকের এই পোষ্টটি থেকে আমরা তারাবির নামাজের নিয়ম, তারাবি নামাজের নিয়ত, তারাবি নামাজের দোয়া, তারাবির নামাজের মুনাজাত, তারাবির নামাজের ফজিলত জানলাম ও শিখলাম।
তো আলোচনাটি এখানেই সমাপ্ত হচ্ছে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কেয়ামুল লাইল/তারাবি ধীরস্থিরভাবে রাতের এ নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। গুনাহ থেমে মুক্তির পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
[সূত্র: এনসিটিবি]